নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেপার পড়ি ভাল লাগলে এখানে রাখি

কাটপিস

পেপার পড়তে পড়তে যা ভালো লাগে এখানে রেখে দেই

কাটপিস › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি\' কোথায় জন্ম, কিভাবে খেলে ,পরিনতি, সাবধানতা ৷

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই
মরণখেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে
দুই বছর পরে। প্রচলিত ধারণা
অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা
যাওয়ার আগে জল ছেড়ে
ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার
জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের
নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল' বা
নীল তিমি।

অবসরে স্মার্টফোনে গেম
খেলার পরিণতি এতটা
ভয়ানক হতে পারে কদিন
আগেও কে ভেবেছিল
তা? কিন্তু এখন ভাবতে
হচ্ছে তা। সম্প্রতি
বিশ্বজুড়ে আতংকের নাম
হয়ে দাঁড়ানো ‘ব্লু
হোয়েল’ গেম কেড়ে
নিয়েছে অনেক তরুণ প্রাণ।
এর পরপরই মানুষ অনুধাবন
করছে আপাত সাধারণ
অনলাইন ভিত্তিক একটি
গেমও কতটা মারাত্মক হতে
পারে। আতঙ্কের পুরো নাম
‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’।
ব্লু হোয়েল গেমে ৫০টি
লেভেল রয়েছে। এক বা
একাধিক কিউরেটর
দ্বারা পরিচালিত এই
গেমের শেষ লেভেলের
টাস্কগুলো খুবই ভয়ংকর।
তবে প্রথম দিকের
লেভেল ও তার
টাস্কগুলো বেশ মজার
হওয়ায় এই গেমের প্রতি
সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন
কিশোর-কিশোরীরা।
নিয়ম অনুযায়ী একবার এই
গেম খেললে বের হওয়া
যায় না। কেউ বের হতে
চাইলেও তাদের চাপে
রাখতে পরিবারকে
মেরে ফেলার হুমকি
পর্যন্ত দেয়া হয় বলে
প্রচলিত আছে।
এই গেমের বিভিন্ন
ধাপে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ
চ্যালেঞ্জ। যেমন ব্লেড
দিয়ে হাতে তিমির
ছবি আঁকা, সারা গায়ে
আঁচড় কেটে রক্তাক্ত
করা, কখনো ভোরে
একাকি ছাদের
কার্নিশে ঘুরে
বেড়ানো, রেল লাইনে
সময় কাটানো, ভয়ের
সিনেমা দেখা
ইত্যাদি। চ্যালেঞ্জ
নেয়ার পর এসব ছবি
কিউরেটরকে পাঠাতে
হয়। ২৭তম দিনে হাত
কেটে ব্লু হোয়েলের
ছবি আঁকতে হয়। একবার এই
গেম খেললে
কিউরেটরের সব
নির্দেশই মানা
বাধ্যতামূলক। তার
শেষের দিকের
লেভেলে
আত্মনির্যাতনমূলক
বিভিন্ন টাস্ক সামনে
এলেও কিশোর-
কিশোরীরা এতটাই
নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন
যে, গেম ছেড়ে বের
হতে পারে না। তবে
গেমের শেষ ধাপ অর্থাৎ
৫০তম ধাপে ইউজারদের
এমন কিছু টাস্ক দেওয়া হয়,
যা সম্পূর্ণ করা মানেই
আত্মহত্যা। আর এর
মাধ্যমেই ঘটে গেমের
সমাপ্তি।
বলা হয়, এই গেমিং
অ্যাপ মোবাইলে একবার
ডাউনলোড হয়ে গেলে
তা আর কোনো ভাবেই
মুছে ফেলা সম্ভব নয়। শুধু
তাই নয়, ওই মোবাইলে
ক্রমাগত নোটিফিকেশন
আসতে থাকে যা ওই
মোবাইলের ইউজারকে
এই গেম খেলতে বাধ্য
করে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন
মাসে রাশিয়া, পার্শ্ববর্তী
এলাকা ও বাংলাদেশসহ মোট
১৭ তরুণীর আত্মহত্যার খবর
মিলেছে। এদের মধ্যে
বাংলাদেশের স্কুল
শিক্ষার্থী স্বর্ণা (১৩) গলায়
ফাঁস দিয়ে, সাইবেরিয়ার দুই
স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া
কনস্তান্তিনোভা (১৫) ও
ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪)
একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ
দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তে
নেমে পুলিশের নজরে আসে এই
‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'।
ভারতেও মারা গেছে বেশ
কয়েকজন। শেষ পর্যন্ত এটা হানা
দিল বাংলাদেশে।

কেন যুবক–যুবতীরা আকৃষ্ট
হচ্ছে?
সহজ ও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ
এবং সাহস আছে কি না
এমন কথায় সাহস দেখাতে
গিয়ে দিনকে দিন যুবক-
যুবতীরা আকৃষ্ট হচ্ছে এই
গেমে। তবে একবার এ
খেলায় ঢুকে পড়লে তা
থেকে বের হয়ে আসা
প্রায় অসম্ভব।
তেমনি জানা যায় গেম
থেকে বেঁচে ফিরে আসা
ভারতীয় এক যুবকের কাছ
থেকে তিনি জানান, ব্লু
হোয়েল গেমটা আসলে
একটা ভয়ঙ্কর মরণ ফাঁদ। ইচ্ছে
থাকলেও যে ফাঁদ থেকে
বেরিয়ে আসা যায় না।
সেই হাতছানিই প্রায়
আত্মহত্যার পথে টেনে
নিয়ে গিয়েছিল
ভারতের পুদুচেরির যুবক ২২
বছর বয়সী
আলেকজান্ডারকে। কিন্তু
শেষমেশ পুলিশ পুদুচেরির
করাইকালে তার
বাড়িতে ঢুকে পড়ায় আর
আত্মঘাতী হতে পারেনি
আলেকজান্ডার।
পুলিশ যখন তাকে বাঁচায়,
তখন আলেকজান্ডারের
হাতে আঁকা ছিল নীল
তিমি। এক পদস্থ পুলিশ
কর্তার পাশে বসে
আলেকজান্ডার বলেছেন,
‘‘এটা পুরোপুরি মরণ ফাঁদ। ওই
গেমে ঢুকে পড়লেই ভয়ে
কাঁপতে হবে।
অ্যাডভেঞ্চার যাদের খুব
ভাল লাগে, তারাও ভয়ে
কাঁপতে থাকবেন। আমি
সবাইকে বলছি, বড়ই ভয়ঙ্কর
গেম ব্লু হোয়েল। কেউ যেন
ভুল করেও ওই মরণ ফাঁদে না
পড়েন। ’’
খেলার মাঝপথে বাদ
দিতে চাইলে
প্রতিযোগীকে
ব্লাকমেইল করা হয়। এমনকি
তার আপনজনদের ক্ষতি
করার হুমকিও দেয়া হয়। আর
একবার মোবাইলে এই
অ্যাপটি ব্যবহারের পর তা
আর ডিলিট করা যায় না।
গেমটি ঠিক কোনও অ্যাপ
নয়। নয় কোনও গেমও। এটা
জাস্ট একটা লিঙ্ক। আর
সেটা চালান একজন
অ্যাডমিন। ওই গেম
খেলতে যিনিই ঢোকেন,
তাকে কয়েকটি টাস্ক দেন
অ্যাডমিন। প্রত্যেক দিন
সেই টাস্কগুলো রাত ২ টার
পর শেষ করতে হয়। ওই গেম
খেলতে ঢোকার পর
কয়েকটা দিন কাটে
মোটামুটি স্বাভাবিক
ভাবেই। তখন অ্যাডমিন
সকলের ব্যক্তিগত
পরিচিতি ও ফটোগ্রাফ
সংগ্রহ করতে শুরু করেন।
তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত
আলাপচারিতায় মেতে
ওঠেন অ্যাডমিন।

#####সাবধান###
ব্লু হোয়েল গেম একটি ফোন নম্বর
ব্যবহার করছে। দয়া করে
+917574999093 এই নম্বর থেকে
কোনো কল বা মেসেজ আসলে তা
রিসিব করবেন না এবং যত বেশি
সম্ভব এই মেসেজটি শেয়ার করুন।
"popcorncarnival" এই নামে কোনো
ইন্টারনেট লিং আসলে ক্লিক
করবেন না। এটি ব্লু হোয়েল গেম এর
একটি গোপন লিং। তারা আপনার
মোবাইল এর তথ্য চুরি করবে এবং
আপনাকে ব্লু হোয়েল গেমটি
খেলতে বাধ্য করবে। তাই যত
পারেন মেসেজটি সেয়ার করুন।
আপনার বন্দু বা প্রতিবেশি এর
শিকার হবার আগেই মেসেজটি
সেয়ার করুন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.