![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশী। আমি আমার দেশ ও দেশের মানুষকে খুব ভালবাসী। আগ্রহী যে কেউ আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেন।
শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে এখন চলছে করোনা কাল। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিনিয়ত দেখা দিচ্ছে করোনার নতুন ধরন। করোন নিজেকে বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে মিলিয়ে নিজেকে সে অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রাণঘাতী করে তুলছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন পরিবর্তীত ধরণের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যার কারনেই হয়তো হঠাৎ করেই মৃত্যুহার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। আর যার ফলে দেশে চলছে লকডাউনের বাংলাদেশী সংস্করণ। এখন আমাদের সকলের নতুন শঙ্কার নাম হলো করোনার বিবর্তীত ভারতীয় ধরণ, যা ইতিমধ্যেই দেশে পাওয়া গেছে। এই ধরণের বিস্তার যদি বাড়ে তাহলে দেশের কি হতে পারে তা ভারতের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায়। তারপরও দেশের মানুষ চরম উদাসীন। আমাদের বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নানা ধরনের উপদেশ ও সাবধানতা আমরা যেন আমলেই আনছি না। আর এই উদাসীনতার দাম হয়তো আমাদের দিতে হবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর ঢলের মাধ্যমে। আমাদের এই উপদেশ অবজ্ঞা করার বিষয়টিতে ছোট বেলায় শোনা একটি গল্পের কথা মনে পড়লো। আমার মনে হয় অনেকেই হয়তো শুনেছেন গল্পটি। যাক সে কথা। গল্পটি হলো, একদেশে একবার একটি বেজি ও সাপের মধ্যে বন্ধুত্ব হলো, তাদের ঘোরাফেরা, খাওয়া দাওয়া সব একসাথে। এভাবেই তাদের দিন কেটে যাচ্ছিল সুখে। এরপর হঠাৎ একদিন সেখানে এলো চরম বন্যা। তাদের খাদ্যে ও বাসস্থানে দেখা দিল চরম সঙ্কট। তা, একদিন বেজি হঠাৎ কোথা হতে এসে সাপকে বলল, বন্ধু এখানে তো থাকা খাওয়ার সমস্যা। আমি নতুন একটা জায়গার খোঁজ পেয়েছি, চল আমারা সেখানে যাই, তাহলে আর এখনকার মতো আমাদের কষ্ট করতে হবে না। বেজির কথায় সাপ রাজি হলো, এবং নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিল। কিন্তু সমস্যা হলো সাপকে নিয়ে, বেজিকে দেখলে মানুষ কিছু না করলেও, সাপ দেখা মাত্রই মারতে উদ্যত হয়। তাই তাদের লোকালয়ের ভিতর দিয়ে খুব সাবধানে যেতে হচ্ছিল। উপরন্তু বেজি দ্রুত চলতে পরলেও সাপ চলে ধীরে ও একেবেঁকে। এভাবেই তারা তাদের গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। একরাতে তাদের ঘুমন্ত মানুষের মধ্যে দিয়ে যেতে হলো। স্বভাবতই বেজি দ্রুত আর সাপ যাছিল ধীরে ও একেবেঁকে। বেজির ভয় হচ্ছিল সাপের ছোঁয়া যদি ঘুমন্ত মানুষের দেহে লাগে তাহলে মানুষ জেগে গেলে বিপদ হতে পারে। তাই সে তার বন্ধুকে আসন্ন বিপদের কথা স্বরণ করিয়ে, বার বার বলছিল, বন্ধু সোজা হয়ে যাও, সোজা হয়ে যাও। কিন্তু সাপ তো তাতে অপারগ। তারপর আর কি--? যা হবার তাই হলো, সাপের ছোয়াঁয় লোকের ঘুম ভাঙলো, লাঠি দিয়ে সাপকে দিল এক ঘা। আর সাপ সেখানেই অক্কা। আর সাপ শুনি নাকি মরলে টান টান হয়ে যায়। তাই সাপ মরে সোজা হয়ে গেল। আর নিরাপদ দুর থেকে বেজি তা দেখে হতাশ হয়ে বলল “ বন্ধু এতোবার করে বললাম সোজা হয়ে যাও, সোজা হয়ে যাও, শুনলেনা আমার কথা। এখন সেই তো সোজা হলেই কিন্তু মরার পর।” এরপর বেজি আপসোস করতে করতে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে তার নতুন ঠিকানার দিকে আবার যাত্রা শুরু করলো। আমাদেরও হয়তো এই পরিনতীই হবে, মানে আমারাও বিশেষজ্ঞদের কথা মানবো কিন্তু স্বজন হারাবার পর।---
২| ১১ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০০
সাইবার সোহেল বলেছেন: তেমনটাই তো মনে হচ্ছে---
৩| ১১ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ঈদ যাত্রা যেন ভয়াবহ রুপ না নেয়- এটাই প্রার্থনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৩
মোঃ পলাশ খান বলেছেন: এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়!