![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যায় বগালেক :
বগা লেক।
গুগল আর্থে এর উচ্চতা পাওয়া যায় ১২৭০ ফুটের মত । অনেকে দুই আড়াই হাজার ফুটের কথা বললেও এগুলো কাল্পনিক রূপকথা মাত্র । আসল উচ্চতা ১২-১৩ শ ফুট। গুগুল আর্থের একটা বিষয় হচ্ছে আশে পাশের জায়গা যদি নীচু হয় তবে মাউসের নীচের জায়গাটা পকৃত উচ্চতা থেকে কিছু কম দেখয়, আর আশে-পাশের জায়গাটা যদি উচু হয় তবে মাউসের নীচের জায়গাটা একটু বেশী উচু দেখাবে । এর কারণ প্রতি ইন্চির উচ্চতা গুগুল আর্থ সেভ করে রাখে না, কিছু দুর পর পর পয়েন্টগুলো উচ্চতা সেভ করে রাখে আর মধ্যবর্তী স্হাংগুলোর উচ্চতা গড় করে নেয়, তাই এই বিভ্রাট । সে হিসেবে বগা লেকের উচ্চতা ১২৭০ ফিটের চেয়েও কম হওয়ার কথা। ১২৫০ হতে পারে। আলাহ ই ভাল জানেন, তবে ২০০০ ফুট কোন ভাবেই নয়।
বগা লেক ছেড়ে চলেযাবার সময়কার আর একটি ছবি বাদিকে আর্মি ক্যাম্প।
বগা লেক নিয়ে নানান কিসিমের মিথ ছড়িয়ে আছে। ব্যাক্তি জীবনে এসব মিথ-টিথের দিকে আমার আদৌ আগ্রহ নেই, কেউ বললে ভদ্রতার খাতিরে হয়ত শুনে থাকি। একটা মিথ হচ্ছে এর গভীরতা জানা যায় না। মিথ তো মিথ, একেবারেই মিথ্যা ও বটে! এক-দেড়শ ফুটের মত গভীর বিভিন্ন স্হানে, সবচেয়ে গভীর স্হান সম্ভবত ১৭০ বা দুইশ ফুটের মত । ভ্রমণ ও পর্বতারোহন বিশারদ শামসুল আলম বাবু ভাই, এডভেন্চার প্রেমী হামিদ ভাইএর সাথে ছিলেন, যখন হামিদ ভাই সোনার ডিভাইস দিয়ে এর গভীরতা মেপেছিলেন । যতটুকু মনে আসছে এতে হামিদ ভাই ১৭০ ফুটের মত গভীরতা পেয়েছিলেন । শাহাবাগে বাবু ভাই বলছিলেন।
যাই হোক, ওনাদের সে সফরে বেশ মজার কিছু ঘটনা বাবু ভাই বলেছিলেন। সময়টা ২০০০ কিছু আগে বা পরের । জুমের ফসল বেচে লাভের টাকায় সাহষ বা আগ্রহ যাই বলেন, এক পাহাড়ি কিনে নিয়ে আসে এক টেলিভিশন! ব্যাটারী সহ । আর তাতে হমরী খেয়ে পরে পুরা গ্রাম। ক্লান্ত দলটি যথারীতি সকাল-সকাল ঘুমিয়ে পরে। রাত বাড়লে বাবু ভাই বাথরুম সারার জন্য বাইরে এসে দেখেন, টিভির সম্পরচার শেষ হয়ে গেছে, টিভির ডিসপ্লেতে ঝিরঝির, আর আওয়াজ শো-শো । মহা আগ্রহে এই ঝির ঝির আর শো শো দেখছে বগা লেক বাসী, অসীম আগ্রহ নিয়ে!
যাই হোক বগার সেই নৈসর্গিক অকৃত্তিমতা স্হান দানবীয় নাগরিক কৃত্তিমতা ধীরে ধীরে দখল করে নিয়েছে অনেক আগেই । আরো নিচ্ছে।
কিছুই করার নেই । তাই এ নিয়ে কিছু চিন্তা ভাবনাও করি না । মনে হল তাই লিখে দিলাম । পাহাড়ে নাগরিকতা ঠেকালোর নিষ্ফল চেষ্টা কোনদিন করব না, কারন জানি ফল হবে না। তাই মেনে নেওয়াটাই লাভজনক।
২০০৩-৪ এ গোমেজ দা আর আমি গিয়েছিলাম, ঠিক লেকের পারের গেষ্ট হাউজটায় উঠেছিলাম । লিয়েন বোম ছিল আমাদের হোষ্ট । চাদের আলোয় ঝলমলে রাত ছিল । শুতে গিয়ে শুনছিলাম পাহাড়ী ছেলেরা গিটার নিয়ে গাইছে পাচমিশালী গান। তবে বেশীর ভাগই ব্যান্ডের গান। জেমস -বাচ্চু বা আরো এমন অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পীদের গান। অবাক হয়েছিলাম, এই গহীন পাহাড়ে ( এখন আর এটাকে গহীন বলার কোন অবকাশ নেই) যেখানে অনেক কিছুই এসে পৌছেনি, ব্যান্ডএর গান চলে এসেছে! বুঝলাম ব্যান্ড সংগীতের আবেদনকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই । আর একই ভাবে নগরায়ণের অনেক প্রয়োজনীয়তাও অস্বীকার করার উপায় নেই। সমাজ আর প্রকৃতি নিজের নিয়মেই চলে, একে খুব একটা প্রভাবিত করা যায় না । মহান ব্যক্তিত্বরা সমাজ বা এর গতিকে কিছুটা ( বা অনেকটা ) প্রভাবিত করেন, আর আমরা তো তাদর মত কেউ না, তাই আমরা শুধুই দেখি, মাঝে মাঝে লিখি বা নষ্টালজিতে আক্রন্ত হই।
বগা লেক ছেড়ে চলেযাবার সময়কার একটি ছবি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: রাতুলবিডির পোষ্টের কপি -পেষ্ট।