নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায়ের মতো মার খেয়েছে আ. লীগের সেই ক্যাডাররাও

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

নিরীহ জন বলেছেন: ফটিকছড়ির ঘটনার হেফাজতে ইসলামীর আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। হেফাজতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের এই স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন। এবং যারা হেফাজতকে জড়িয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে তার প্রতিবাদ করেছেন। তথাপি একটি চিহ্নিত বিশেষ গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘটনাটিকে হেফাজতে ইসলামীর নামে চালিয়েছে



আর কালের কন্ঠ বলছে : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাজিরহাটে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের বেপরোয়া হামলা থেকে রক্ষা পায়নি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের এক সময়ের বাঘা সন্ত্রাসীরা। হামলায় র‌্যাব-পুলিশের সাবেক তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু তৈয়ব, আবদুল কৈয়ূম, মহিউদ্দিন, চুন্নু, জানে আলম, আবদুল হালিম, ফারুক, আব্বাস উদ্দিন, কামাল উদ্দিনসহ ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি মামলার সাবেক আসামি আবু তৈয়বের মাথায় আটটি সেলাই পড়েছে। অন্যদের কারো চোখে, কারো মাথা, পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। তারা চিকিৎসা নিচ্ছে চমেকসহ নগর ও জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ফটিকছড়ির ২০ ইউনিয়নের প্রায় ছয় লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীর কাছে জিম্মি ছিল। তাদের হাতে ছিল একে-৪৭, এম-১৬, জি-৩সহ ভারী বিভিন্ন অস্ত্র। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে একেকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অপহরণ, হত্যাসহ নানা অপরাধে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২৮টি পর্যন্ত মামলা ছিল। গত সোয়া চার বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় দলীয় এই ক্যাডারদের সব মামলা প্রত্যাহার ও খারিজ হয়ে যায়। তাদের অনেকেই এখন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ির এইচ এম আবু তৈয়ব উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের গত কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁকে সবাই চেনে তৈয়ব বাহিনীর প্রধান হিসেবে। তাঁর বিরুদ্ধে যে ২৮টি মামলা ছিল, এর বেশির ভাগই হত্যা মামলা। তৈয়ব এতই ভয়ংকর ছিলেন যে ১৯৯৮ সালে নিজ সংগঠনের নেতা রাশেদুল আনোয়ার টিপুকে কুপিয়ে গুলি করে হত্যা করতে দ্বিধা করেননি। গত ওয়ান ইলেভেনে পলাতক থাকার পর বর্তমান সরকারের আমলে তাঁর সব মামলা প্রত্যাহার হয়ে যায়। এই তৈয়ব বৃহস্পতিবার হেফাজত ও জামায়াত-শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ফটিকছড়ির একটি হাসপাতালে।

আহত আবু তৈয়ব গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এখন কোনো মামলা নেই।' তিনি বলেন, 'আমরা যদি অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতাম তাহলে প্রাণহানি এবং দুই শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হতো না।'

হামলায় আহত আরেক সাবেক সন্ত্রাসী আবদুল কৈয়ূমের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ এক ডজন মামলাও খারিজ হয়ে গেছে এই সরকারের আমলে। তিনি বর্তমানে ফটিকছড়ি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবারের ছুরির আঘাতে তাঁর বাম চোখে গুরুতর জখম হয়েছে।

ওই দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী, সমর্থক নিয়ে হরতালবিরোধী মিছিলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। হেফাজত ও জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের হামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সন্ত্রাসীদের আহত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে হেফাজত ও জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা তালেবান স্টাইলে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক কারণে আমাদের প্রতিপক্ষ বিগত সরকারগুলোর আমলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা দিয়েছিল। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখন কোনো মামলা নেই।' সুত্র : Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ফটিকছড়ির ঘটনার হেফাজতে ইসলামীর আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। হেফাজতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের এই স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছেন। এবং যারা হেফাজতকে জড়িয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে তার প্রতিবাদ করেছেন। তথাপি একটি চিহ্নিত বিশেষ গোষ্ঠী স্বার্থ হাসিলের জন্য ঘটনাটিকে হেফাজতে ইসলামীর নামে চালিয়েছে। বলেছেন নীরিহ জন।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:
বর্তমান পরিস্হিতিতে নাস্তিকতার প্রচার রাজনৈতিক ভাবে লাগ জনক না, ভোটের রাজনীতিতে জংন এর বিপক্ষে । তাই কিছু "সুশীল" ইসলামের নাম দিয়ে নাস্তিকদের বানীগুলোই প্রচার করে যাচ্ছে । সবকিছু ইসলামী-করণের আর এক রূপ ।

একে বলা যায় ইসলামী নাস্তিকতা . নাস্তিকরা যেমন সবজায়গায় ধর্ম আর ধার্মিক হুজুরদের দোষ খুজে পায়, ইসলামী নাস্তিকতা প্রচার কারীরাও সব যায়গায় হুজুরদের দোষ খুঝে পায় । ইসলামী নাস্তিকতার আর কিছু কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.