নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইমান বৃদ্ধির উপায়

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

ইমান ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । নেক আমলের দ্বারা এর শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায় । গোনাহ করার দ্বারা ইমান কমে যায় অর্থাৎ ইমানের শক্তি বা নুর কমে যায় । কুরাণ - হাদীসের অসংখ্য বর্ণনা দ্বারা বিষয়টা প্রমাণিত , হাদীস ও ফিকাহর ইমামরা এ বিষয়ে একমত ।



কোন কোন মুসলমান ভাই না জানার কারণে ইমানকে কোন বিশেষ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট করেন। অথচ বিষয়টা এরূপ নয় । যে কোন নেক আমলের দ্বারাই ইমানের শক্তি বা নুর বৃদ্ধি পায়, যে কোন গুনাহর দ্বারাই এর শক্তি কমে যায় । তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা অনেক সময় ইমানের বৃদ্ধকে শুধু মাত্র দাওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট করেন, যেটা ঠিক না । আমাদের ধর্মে নামাজের গুরুত্ব দাওয়াত-তাবলীগ বা জিহাদ বা অন্য কোন দ্বীনি কাজ থেকে অনেক বেশী । তাই ইমান বৃদ্ধিতে নামাজের ভুমিকা এগুলোর চেয়ে অনেক বেশী।



নামাজের বিষয়ে পবিত্র কোরাণ শরীফে এসেছে নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, অর্থাৎ গুনাহ থেকে দূরে রাখে ! যে জিনিষ মানুষকে গুনাহ থেকে দূরে রাখছে - এটাকে আপনি ইমান বা ইমানের বৃদ্ধি বলবেন না ?



আর কোন আমলের ক্ষেত্রে, দাওয়াত বা জেহাদের ক্ষেত্রে এরূপ বলা নেই ।



ফাজায়েলে নামাজে বর্নিত আছে, যাকে নিয়মিত মসজিদে যাতায়াতে অভ্যস্ত দেখ তার ইমানদারীর সাক্ষী দাও ।



এরূপ কোন ফজীলত কি জিহাদ, তাবলীগ বা অন্য কোন আমল সম্পর্কে আছে ?



ফাজায়েলে নামাজে আরো আছে , যে ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত আল্লাহর ওয়াস্তে প্রথম তকবীরের সাথে নামাজ পড়বে সে দুটি পরওয়ানা পাবে । এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দুই মুনাফিকি থেকে মুক্তি ।



আর কোন আমলে কি এরূপ নিশ্চয়তা আছে? তাহলে কি নামাজ ইমানকে নিশ্চতভাবে শক্তিশালী ও নিরাপদ করার উপায় না ?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কোরাণ-হাদীসের অসংখ বর্নণা থেকে দেখা যায় নামজের সাথে ইমানের যে সম্পর্ক তা অন্য কোন আমলে নেই ।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আর নামজের পর রোজাও ইমান বৃদ্ধইতে বিশেষ কার্যকর । যেমন রোজার বিষয়ে-ই কোরাণ শরীফে এরশাদ হচ্ছে, তোমাদের উপর রোজা নির্ধারইত করা হয়েছে যেন তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পার !

রোজার দ্বারা খোদা ভীতি অর্জন হয়, আর কোন আমলের ব্যাপারে কি এরূপ আছে ?

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

ধুলোময়বৃষ্টি বলেছেন: ঈমানের বৃদ্ধিকে শুধু দাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ত এটা তারা বলে না বলেই আমার মনে হয়

তাদের কথা মনে হয় অনেকটা এরকম
দাওয়াত দিলে ইমান বাড়বে ( তারা এটা বলে না যে অন্য কোনো কিছুতে ইমান বৃদ্ধি পাবে না ) - এটা সত্য কথা

নামাজে বা রোজায় বা জিকিরে যে ঈমান বাড়বে না, এটা তো তারা বলে না

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: বেশীর ভাগ কর্মীরাই ঈমানের বৃদ্ধিকে শুধু দাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ত করে, আর আমি অধিকাংশের কথাই বলছি ।

অনেক সময় তারা নামাজ রোজার দ্বারা ইমানের বৃদ্ধিকে স্বীকার করলেও, ইমান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবাদত সমুহের ভুমিকাকে গৌন মনে করে । তাদের বিশ্বাস ইমান বাড়ে মুলত দাওয়াতের দ্বারা ।


তারা যদি বলত নেক আমলের দ্বারা ইমান বাড়ে, ইমানের শক্তি বাড়ে, আর দাওয়াতও যেহেতু একটি শক্তিশলী নেক আমল তাই এর দ্বারাও ইমান বাড়ে, তাহলে আপত্তি করার কিছু ছিল না ।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: আপনি সম্ভবত তাবলীগ জামাতের সাথে তেমন একটা জড়িত না এই কারনেই আপনার এরকম ধারনা হয়েছে। তাবলীগ জামাত সদস্যরা সর্বপ্রথম যে দাওয়াত দেয় তা হল নামাযের দাওয়াত। যে ব্যক্তি নামায পড়ে না তাকে আগে নামাযের দাওয়াত দিয়ে তাকে নামাযের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তবলীগ জামাতের লোকেরা নামাজের দাওয়াত দেয়, একদম সত্য কথা । তবে নামাজের দাওয়াত দেয় - সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ এবাদত হিসেবে ।

অসুবিধা হচ্ছে কর্মীরা একটা কথা বলে, সমস্ত এবাদত মানুষ করে ইমানের কারণে, আর ইমান বাড়ে দাওয়াতের দ্বারা । এই কথার সমস্যা হচ্ছে ইমানের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাওয়াতকে অন্য সব নেক আমল থেকে বিশেষভাবে আলাদা করা হচ্ছে। অথচ আমরা বলি সমস্ত নেক আমলের দ্বারাই ইমান বাড়ে। আর ইমান বাড়ার জন্য কোন বিশেষ আমল যদি থেকে থাকে তবে তা নামাজ । কারণ নামাজের ব্যপারেই ইমানদারীর সাক্ষ্য , মুনাফেকি থেকে মুক্তি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি এসব পরওয়ানার কথা এসেছে। সাহাবাদের জামানায় কেউ ইসলাম কবুল করলে প্রথম নামাজ শিখানো হত।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

রাকি২০১১ বলেছেন: যে কোন নেক আমল দ্বারাই ঈমান বৃদ্ধি পায়।
দা্ওয়াত দ্বারা কী পরিমান ঈমানী নূর হাসিল হয় তা আপনি দাওয়াত দেওয়ার পরে বুজতে পারবেন।

আপনি এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন - যার আগে আপনি নামাজের দাওয়াত দেন নাই। আর আপনি এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন - যার আগে আপনি নামাজের দাওয়াত দিয়েছেন - আর মনে রাখবেন দাওয়াত দেওয়ার সময় এটা স্থির করে নেবেন দাওয়াত যাকে দেন না কেন নিজে অবশ্যই ইহার উপর আমল করবেন।

তার পর উপরোক্ত দুই ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে নামাজে মনসংযোগ, এখলাস সহ অন্যান্য বিষয়গুলো তুলনা করুন - তবেই ঈমানের পরিবর্তনগুলো বুঝতে পারবেন।


০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই কি বলতে চাচ্ছেন, দাওয়াত দিলে ইমানের শক্তি বা নুর এত বেশী বৃদ্ধি পায় যে নামাজের চেয়েও বেশী ? এটা কি আপনার অনুভব- অনুভুতি ? না এর সাথে অন্য কোন দলীল প্রমাণও আছে ?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ: এর অবস্হা কিন্তু ভিন্ন! দাওয়াতের জন্য গাশ্ত-সফর ইত্যাদীর মাধ্যমে মানুষের সথে মিলা মিশার দ্বারা ওনার দিলের অবস্হা খারাপ হত, এতেকাফ ও ভাল সোহবতের দ্বারা উনি আবার কলবের অবস্হা ঠিক করতেন ! আপনার দেখি অবস্হা এর উল্টা ! যাই হোক, ভাল হলেই ভাল ।

মালফুজাত ৮৫: তিনি বলেন-

আমাকে যখন মেওয়াতও যাইতে হয় তখনও আমি সর্বদা আহলে খাইর ও আহলে জিকিরের জমায়াতও লইয়াই যাই। তথাপি সাধারণের স্েঙ্গ মেলামেশায় কলবের অবস্থা এতই পরিবর্তন হইয়া যায় যে, যতক্ষন পর্যন্ত ‘এতেকাফ’ করিয়া উহাকে ধৌত না করি অথবা কিছু দিনের জন্য ছাহারানপুর অথবা বায়পুর যাইয়া খাছ জমায়াত ও খাছ পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে না থাকি ততক্ষণ পর্যন্ত কলব নিজের পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়া আসে না।


Click This Link

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:

তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত ইলিয়াস (রহ : ) অমর বাণী (From Malfujat )

১৫৩। ( তিনি আরোও বলেন) ছাত্রদিগকে সম্বোধন করিয়া তিন বলেন-

নামাজ কায়েম করা সমস্ত জেন্দেগী দুরস্তকারী কাজ। কিন্তু তখনই নামাজ কায়েম করা পূর্ণ হইবে যখন নামাজ সম্বন্ধে যে সব গুণের কথা কোরআন হাদীছে বলা হইয়াছে নামাজীর মধ্যে তাহা পয়দা হইবে।


১৯৪। তিনি বলেন-


নামাজকে হাদীছে ----- “দ্বীনের খুটি” বলা হইয়াছে। ইহার মতলব এই যে, নামাজের উপর অবশিষ্ট দ্বীন নির্ভর করে ও নামাজ হইতেই দ্বীন পাওয়া যায়। নামাজের মধ্যে দ্বীনের বুঝও পাওয়া যায়। আমলের তওফীকও দেওয়া হয়। আবার যাহার নামাজ যেইরূপ হইবে সেইরূপ তাহার জন্য তওফীকও দেওয়া হইবে। এই জন্য নামাজের দাওয়াত দেওয়া ও অন্যের নামাজে “খুশুখুজু” (নম্রতা) পয়দা করিবার জন্য কোশেশ করা পরোক্ষভাবে পূর্ণ দ্বীনের জন্য কোশেশ করা।

from : Click This Link

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি এক পেশে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন। আরেকটু ভালভাবে তাবলীগের কাজে প্রবেশ করুন, আমার মনে হয় অনেক কিছু আপনার কাছে পরিষ্কার হবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: যদি কোন কিছু একপেশে হয়ে থাকে দয়া করে ধরিয়ে দিবেন । এই পোষ্ট -টা কি আক্রমণাত্মক মনে হয়েছে ? অসহনশীল ? নিন্দা - কুৎসা মূলক ?

এমন হলে প্লীজ বলুন, অবশ্যই শুধরে নিব। আর আমি তাবলীগে ব হু চিল্লা দিয়েছি, পাকিস্তানে একসাথে ৩ চিল্লাও দিয়েছি, আমেরিকাতেও চিল্লা দিয়েছি । কাজেই আমার মনে হয় আমি খুব কাছ থেকেই তবলীগি ভাইদের দেখেছি, তাদের চিন্তা ভাবনা বুঝার চেষ্টা করেছি । এর পরও আমার ভুল হতে পারে । ভুল ধরিয়ে দিলে বাধিত হব ।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ইমরান হক সজীব বলেছেন: আমি চিল্লাই গেছি কয়েকবার ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ । আমিও গেছি বেশ কয়েকবার ।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ইমান শব্দের মানে হলো বিশ্বাস, আর বিশ্বাস হলো আল্লাহ আছেন,তিনি একক মালিক আমাদের একক সৃষ্টিকর্তা।তিনি আমাদের প্রতিপালক,ওনার কাছে আমরা ফিরে যাবো,নবী মানুষে মধ্যে এই দাওয়াত পৌছাতেই এসেছেন,এবং ওনার পুর্বে যেই নবী গুলো আসছিলো তারাও এই সংবাদ নিয়ে পৃথিবীতে আসছিলেন, হাজার হাজার বছর ধরে সমস্ত শেরককারীদের মধ্যে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য নবী গন আসছে,আল্লাহ এটাই চান যে মানুষ আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করুক তিনি আছেন তিনি সর্বশক্তি মান, এই বিশ্বাস কম বেশি কিভাবে হয়,?

যে করবে সে করবেই, যে করবেনা সে একেবারেই করবেনা।

আল্লাহ আছেন মানেন বিশ্বাস করেন তবুও এমন ব্যক্তি নামাজ পড়েনা।তাহলে কি তার ইমান নেই?

মা বাপ স্বীকার করে কিন্তু মা বাবার কথা মানেনা,তাহলে কি সে জারজ হয়ে যাবে?

নামাজ মানুষের চরিত্র ঠিক করে, চরিত্র খারাপ হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বিশ্বাস করার পরও। চরিত্র ভালো হলে সে শাস্তি পাবেনা, শান্তি পাবেনা,।এটাইতো মনে হয়।

ইমান শব্দটা বলে জটিল করার কিছু নেই, এটা হলো বিশ্বাস করা,সহজ শব্দ বিশ্বাস বললেই ইমান কি সেটা ক্লয়ার হয়ে যাবে।


আপনি বার বার বলছেন ইমান মজবুত করা,সেটা নিয়েই বলছি,আপনি এবার কথা নিয়ে কিছু বলুন আমার ভুল গুলো কি কি?তবলিগ ভালো মন্দ এসব পরে আসছি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ইমানের শক্তি বাড়ে কমে, যা মানুষকে, ( মোমিনকে ) আমলের দিকে ধাবিত করে । কোরাণ শরীফে এই ইমান বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে ।

মুল ইমান, যা দ্বারা মানুষ অমুসলিম থেকে মুমিন বা মুসলিম হয়, এতে বাড়া কমার কিছু নেই, কারণ মুসলিম ও অমুসলিম এর মাঝামাঝি কিছু নেই ।

-উপরের কথা দুটি কি আপনি মানেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.