নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল ' সংসার কিভাবে চলবে, বা ব্যবসা দিয়ে আমার সংসার চলে ' এজাতীয় কথা বলা ইমানের দূর্বলতা !

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

আবু বকর রা: খলিফা হওয়ার পর কাপড়ের গাট্টি মাথায় নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। হজরত ওমর রা: ওনাকে ঠেকান, এই বলে: ' আপনি যদি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকেন তবে খেলাফতের কাজ চলবে কি ভাব ? ' জবাবে হজরত আবু বকর বলেন তাহলে আমার সংসার চলবে কি করে ?



যেহেতু উম্মতের মাঝে ওনার ইমানই সবচয়ে বেশী তাই বুঝা যায় ' সংসার চলবে কি করে' এটা বলাতে ইমানের ক্ষটি হয় নি।



হজরত ওমর রা: খলীফে হওয়ার পর বলেন আমার জাতি জানে আমি ব্যবসা করি, এ দিয়েই আমার সংসার চলে । তোমরা আমকে খেলাফতের কাজে নিয়োজিত করেছ, এখন আমার জীবিকার কি হবে ?



দৈনন্দিন জীবনে আমরা সাধারণ মানুষেরা এ জাতীয় কথা আমরা হর হামেশাই বলে থাকি । কোরাণ হাদীসেও এর প্রতি নিষেধ করা হয় নি ।

এসব সাধারণ কথাগুলোকে স্বাভাবিক ভাবেই নেওয়া উচিত । কিন্ত আমাদের কোন কোন মুবাল্লিগ ভাইরা এ জাতীয় কথা শুনলে বলেন, দিলের এক্কীন ঠিক হয় নি! কেউ কেউ বলেন অন্তরে আল্লাহর পাশাপাশি মাখলুকের এক্কীন আছে, সুতরাং এগুলোও এক প্রকার শিরক।



এভাবে আমরা কত স হজেই একজন মুসলমানকে শিরকের মাঝে ফেলে দিচ্ছি, অথচ এসব দৈনন্দিন স্বাভাবিক কথাকে সঠিক অর্থে নিলে বিষয়গুলো এত কঠিন না ।



মুসলমান মাত্রই তো আল্লাহ তায়ালাকে পালন কর্তা- রিজিক দাতা মনে করে । কোটি টাকা দিলেও একজন মুসলমান শিকার করবে না যে আল্লাহ ছাড়া আর কে্য রিজিকদাতা আছেন । তাই যখন কোন মুসলমান এ কথা বলবে যে ব্যবসা করেই আমার সংসার চলে, এর অর্থ হবে আল্লাহ আমাকে এর মাধ্যমেই রিজিক দিয়ে থাকেন । ( অন্য কোন ভাবেও আল্লাহ রিজিক দিতে পারেন - এটা সব মুসলমান-ই বিশ্বাস করে থাকে )

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : ইমান বৃদ্ধির উপায়
Click This Link

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের কর্মীদের আর একটি ভুল : এইটাই কাম।
Click This Link

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : অসৎ কাজের নিষেধ দরকার নেই, সৎ কাজের আদেশ বা দাওয়াতের মাঝেই অসৎ কাজের নিষেধ আছে।
Click This Link

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : হিজরত ছাড়া, ইমান পূর্ণ হয় না, ইয়াক্কীন তৈরী হয়না। Click This Link

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' তাবলীগের কাজ বর্তমানে ফরজে আইন, ফরজে কেফায়া না ' Click This Link

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভুল, সবই ভুল .................

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সব ভুল হবে কেন ?

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: কেউ কেউ বলছে, মনে বিশ্বাস থাকলেই চলবে। আবার কেউ বলছে, মুখেও স্বীকার করতে হবে। আমার মনে হয় দুটোই ঠিক। তবে নুন্যতম মনের বিশ্বাসটাই হল ঈমান।

[পোষ্টটিতে অন্যান্য লিখার লিন্ক যোগ করেও দিতে পারেন]

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: নুন্যতম মনের বিশ্বাসটাই হল ঈমান।
তবে মুখেও স্বীকার করতে হবে।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: হজরত ওমর রা: খলীফে হওয়ার পর বলেন আমার জাতি জানে আমি ব্যবসা করি, এ দিয়েই আমার সংসার চলে । তোমরা আমকে খেলাফতের কাজে নিয়োজিত করেছ, এখন আমার জিবীকার কি হবে ?

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

নিজাম বলেছেন: ভাই, আপনি কেন নিরীহ এদের পিছনে লাগগেলন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই পিছে লাগলাম কৈ ? ওনাদের ভাল চাই বলেই তো ত্রুটিগুলো বলে দিচ্ছি ? আমার ভাষাটা কি পিছে লাগার মত ?

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

চান্টু ভাই বলেছেন: ভালতো!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কি?

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

ইজীটক বলেছেন: তাবলীগ এর ভূলত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু ধর্ম নিয়া ব্যবসা করেনা।আপনি শুধু
তাবলীগ এর বিরুধ্যে লিখেন। আপনার অন্যকোন উদ্দেশ্য আছে...।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ এর ভূলত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু ধর্ম নিয়া ব্যবসা করেনা - ১০০ ভাগ একমত ।

আপনি শুধু
তাবলীগ এর বিরুধ্যে লিখেন। আপনার অন্যকোন উদ্দেশ্য আছে...

লেখাগুলো গুছিয়ে একটা বই লেখার ইচ্ছা আছে, ব্লগে লিখলে সমালোচনার মুখে পরে ভুল -ত্রুটিগুলো ঠিক করে নিব, এই আশাতেই ব্লগে লেখা !

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন: আপনার কথাগুলোতে যুক্তি আছে। কিন্তু আপনার টপিকস এর শিরোনামগুলো দেখলে মনে হতে পারে যে আপনি তাবলীগ বিদ্বেষী। তাদের কারও কারও কথায় ভূল-ক্রটি থাকতেই পারে। তবে তারা নিরিহ এই কথার চেয়ে বড় কথা হল- তাবলীগ জামাতের কর্মীদের মত ইসলামের সেবায় এমন নিবেদিত প্রাণ এবং খাটি এখলাস নিয়ে (শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) কাজ করে এমন গ্রুপ/মানুষের সংখ্য খুবই কম আছে এই পৃথিবীতে। তাদের কাজের উদ্দেশ্য দুনিয়াবী লোভ লালসা থেকে একেবারেই মুক্ত। বর্ত
মান জমানায় যা বিরল।

আপনার উদ্দেশ্য যেহেতু ভাল, তাই অনুরোধ করছি শিরোনামের ভাষা একটু পাল্টান। যেমন এই লেখাটির শিরোনাম হতে পারত-

“তাবলীগ জামাতের ভাইদের জন্য কিছু পরামর্শঃ প্রসঙ্গ- সংসার কিভাবে চলবে, বা ব্যবসা দিয়ে আমার সংসার চলে' এজাতীয় কথা বলা ইমানের দূর্বলতা”

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আসলেই তাবলীগ জামাতের কর্মীদের মত ইসলামের সেবায় এমন নিবেদিত প্রাণ এবং খাটি এখলাস নিয়ে (শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) কাজ করে এমন গ্রুপ/মানুষের সংখ্য খুবই কম আছে এই পৃথিবীতে।

' তাবলীগ জামাতের ভাইদের জন্য কিছু পরামর্শঃ ' এই শিরোনামটি খুব সুন্দর হয়েছে, আশা করি সামনে এ শিরোনামে পোষ্ট দিব ।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন:
জাজাকাল্লাহু খাইরান। আপনার সংশোধনীর পোষ্ট থেকে যেন অন্যরা উপকৃত হয়।

তবে, নিজেকে কিন্তু দ্বীনি দাওয়াতের এই মহান কাজ থেকে বঞ্চিত রাখবেন না। অন্তত পক্ষে আপনার পরিবারের লোকজন এবং আপনার বন্ধু বান্ধবদের প্রতিদিন অল্প হলেও আল্লাহর হুকুম মানার এবং নবী (সাঃ) এর সুন্নত অনুসরণের জন্য দাওয়াত দিন। অন্যকে দাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের নিজের ঈমান মজবুত হয় এবং আমল আরও পরিশুদ্ধ হয়। এটা আমার নিজের উপর পরীক্ষিত।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইরান।

বন্ধু বান্ধবদের প্রতিদিন না হলেও আল্লাহর হুকুম মানার এবং নবী (সাঃ) এর সুন্নত অনুসরণের জন্য দাওয়াত দেই । যেমন আমাদের মসজিদে তারাবী পড়ানর জন্য দুজন হাফেজ সাহেবকে -মোট প্রায় ৫০ হাজারের মত বা বেশী টাকা দেওয়া হয় । যা আল্লাহর হুকুম ও নবীর ত্বরীকার খেলাফ । ইমাম সাহেব ও কমিটিকে বার বার বলার পরও কাজ হয়নি । এখানে অনেক হাফেজ আছে যারা পয়সা ছাড়া পড়াতে আগ্রহী । তাদের সুজোগ দেওয়া হয় না ।

আমদের মসজিদে তাবলীগের অনেক সাথী । এরা স্হানীয় বাড়িওয়ালা এবং প্রভাবশালীও। এ বিষয়ে তারা একটু চেষ্টা করলেই একটা ভাল কাজ চালো হতে পারে । আমীর সাহেবকে আমি নিজে অনেক বার বলেছি, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কিছু করছেন না ।

তবে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, দোয়া করবেন ।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন:
এ সমস্যাটি বর্তমানে অনেক মসজিদেই দেখা যায়। তারা দেখা যায় যে, সরাসরিই হাফেজ সাহেবদের জন্য তারাবী পড়ানো বাবদ মুসুল্লীদের কাছে টাকা চায়। এতে তারা দুইটি অপরাধ করছে, এক ত আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন আর সবার সামনে হাফেজ সাহেবদের ছোট করা হচ্ছে। অথচ তারাতো হাফেজ এবং ইমাম, সম্মান আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী।

যাই হোক, আপনার উদ্যোগ সফল হোক। ভাল হয় আপনি যদি আপনার সাথে ভাল সম্পর্ক আছে সেই সাথে তাবলীগ করে এমন কারো মাধ্যমে বিষয়টি আপনাদের আমীর সাহেব এবং মসজিদ কমিটিকে বুঝিয়ে বলেন। আমাদের মসজিদও তাবলীগের কাজের একটি মজবুত স্থান। কমিটিরও অনেকে এই বরকতময় কাজে অংশগ্রহণ করে। আলহামদুলিল্লাহ একটি মাদ্রাসাও আছে এখানে। আমাদের এখানে যা করা হয় তা হচ্ছে, মুসুল্লিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় বলে দেওয়া হয় যে কেউ যেন ‘হাফেজ সাহেবদের তারাবী পড়ানোর বিনিময় হিসেবে দিচ্ছে’ এ নিয়্যাত করে যেন টাকা না দেয়, বলা হয় টাকাগুলো হাফেজ সাহেবদের এবং অন্য আরও অনেকের ঈদ বোনাস। উঠানো টাকা শুধুমাত্র তারাবী পড়ানো হাফেজ সাহেবদের দেওয়া হয় না, বরং ঈদ বোনাস হিসেবে উক্ত হাফেজ সাহেবদের এবং মসজিদের অন্যান্য ষ্টাফদেরও আনুপাতিক হারে দেওয়া হয়। নিরন্তর বলার ফলে এখন মুসুল্লিদের কারও মনেই আর টাকা দেওয়ার সময় ‘তারাবীর বিনিময়ে দিচ্ছি’ এ কথাটি মনে আসে না, আলহামদুলিল্লাহ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই আপনি হাফেজ সাহেবদের টাকা দেবার যে পদ্ধতিটি বললেন, সেটাও
শরীয়ত সম্মত নয় । হাফেজ সাহেবরা যদি ৩০ পারা কোরাণ শরীফ আপনাদের না শুনাত, তবে কমিটি বা আপনারা কি ওনাদের টাকা দিতেন ?

আর এজাতীয় বোনাস না পেলে হাফেজ সাহেবরা কি আপনাদের জন্য এতটা সময় ও শ্রম খরচ করতেন ? না অন্য মসজিদে যেখানে ' সন্মানি ' 'বোনাস' ' হাদিয়া ' এসব পাওয়া যাবে সেখানে চলে যাবে ?

আমার কথ বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন ।

দেশে কত হাফেজ সাহেবরা আছেন, আপনারা তো কাউকে বোনাস দেন না, হাদিয়া সন্মানি দেন না, দেন শুধু ২ জন হাফেজ সাহেবকে যারা আপনাদের কোরাণ শুনিয়েছে । কেন ?

আবার আমাদের মসজিদে দেখেছি, ইমাম সাহেব যদি ১৫ হাজার টাকা বোনাস পান, হাফেজ সাহেবরা ২০ -৩০ হাজার টাকা পান খাওয়ার খরচ হিসেবে! ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ যিনি পড়ান তিনি পান ১৫ হাজার, আর ১ ওয়াক্ত সুন্নতে মুয়াক্কাদা পড়িয়ে পান ৩০ হাজার, কেন ? কোরাণ শুনাবার বিনিময়ে -ই তো, নাকি ? আপনার হাফেজ সাহেবদের কত বোনাস দেন, আর ইমাম সাহেবদের কত বোনাস ডেন ?

একটা পরিচিত উদাহরণ দেই: মনে করেন এক অফিসে কাজ করাতে ৫০০ টাকা ঘুষ দেওয়া লাগে । আপনি ইসলামী ভাবধারার লোক, ঘুষ দেওয়া হারাম, এটা জেনে উস খুস করছেন । তখন একজন হুজুর বা আমীর সাহেব আপনাকে শিখিয়ে দিলেন ভাই ঘুষের নিয়ত না করে ওনাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে দেন। আর ওনাকেও বলেন টাকার বিনিময়ে না বরং আল্লাহর ওয়াস্তে কাজটা করে দেন । কি বুঝলেন ? ১০০ ভাগ হালাল হয়ে গেল ? দ্বীন খেল তামাসার কোন বিষয় না ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ইসলামের মূলনীতি হচ্ছে নাম বদলালে তার হাকীকত বদলে যায় না, হুকুমও বদলায় না । যেমন ঘুষ দিয়ে যদি বলেন হাদিয়া দিলাম, তাহলে সেটা হালাল হয় না। সুদ দিয়ে যদি বলেন লাভ , এটাও হালাল হয়না।
কোরাণ শুনানর বিনিময় দিয়ে যদি বলেন এটা বোনাস, কাওয়া খরচ, সন্মানী, তাহলে এটা জায়েজ হয় না ।

আপনি যে হাফেজ সাহেবকে দিচ্ছেন, কেন ? কি জন্য? কিসের বিনিময়ে ? কোরাণ শুনাবার জন্যই তো ? আমাকে আপনার মসজিদের মুসল্লীরা তো হাদিয়া দিবে না ? এট গুলো কথা বলে দিলাম, একটা মাসালা এত বিস্তারিত লিখলাম, আমাকে কিছু দিবেন ?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: এর পরও যদি আমার যুক্তি আপনার মানতে কষ্ট হয়, তবে বলব দ্বীন কারো পছন্দ মাফিক বুঝের নাম না । আমার বুঝ-ও দ্বীন না, আপনার বুঝও না । সে ক্ষেত্র কি করা যায় ? আপনি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রবীন ও মান্যবর মুফতী সাহেবকে জিগেষ করেন । আপনাদের মসজিদের টাকা দেবার পদ্ধতি ঠিক কি না । বাংলাদেশের বড় বড় মাদ্রসা গুলো থেকে - দারুল ইফতা ( ফতোয়া বিভাগ ) ফতোয়া নেন, দেখেন না কতজন মুফতী আপনাদের জায়েজের ফতোয়া দিচ্ছে । আমার অভিগ্ঘতা হল যারা এরূপ কাজ করে এরা জীবনেও তাদের কাজের বিষয়ে লিখিত কোন ফতোয়া নেয় না, তবে অনেক সময় কিছু দ্বীন বিক্রি করা পোষা মৌলবীকে দিয়ে নিজের মতের পক্ষে রায় বের করে নেয় ।

আল্লাহ আমাদের দ্বীন বিক্রি ও বিকৃত করা থেকে হেফাজত করুক।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন:
হা হা হা! ভাই কুল ডাউন, আপনি যা ভাবছেন ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। আপনার আবেগকে আমি সম্মান জানিয়েই বলছি, আপনার ব্যক্তিগত যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা নিয়ে আমার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে।

আমি বোনাস দেবার যে সিস্টেমের কথা বলেছি সেটা মোটেও হাদিয়ার নাম করে ঘুষ দেওয়া বা মুনাফার নাম করে সুদ খাওয়া নয়। আমাদের মসজিদের ব্যাপারে বিস্তারিত বললে হয়ত বিষয়টা আপনার ক্লিয়ার হবে।

আমাদের এখানে মসজিদ স্থাপিত হবার প্রথম থেকেই (প্রায় ৪০ বছর) একটি মক্তব ও হিফজখানা আছে, বর্তমানে কওমী কিতাবখানাও খোলা হয়েছে। এখানে হিফজ শেষ করা সিনিয়র ছাত্ররা অপেক্ষা করে থাকে পরবর্তি রমজান মাসের জন্য। কারণ রমজান মাস তাদের জন্য একটি প্রতিযোগীতার সময়। তারাবীর সময় মোটামুটি ৩জন সদ্য হিফজ শেষ করা এবং একজন অভিজ্ঞ মোট ৪ জন তারাবী পড়ায়। তারা মোটেও টাকার লোভে পড়ায় না, এটা তাদের একটি পরীক্ষা এবং স্বীকৃতির প্লাটফর্ম। আমাদের মাদ্রাসা ও মসজিদের সিস্টেম অনুযায়ী তাদের এক টাকাও দাবী করার অধিকার নেই। আর ১ জন যিনি অভিজ্ঞ তিনিতো এমনিই বেতনভুক্ত, আমাদের দ্বিতীয় ইমাম। তারা কেউই টাকার জন্য তারাবী পড়ায় না। কিন্তু যেহেতু রমজান মাস, তাই মুসুল্লীরা সবাই একটু বেশী বেশী করে এই রমজান মাসে টাকা দেয়, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তারাবী বাবদ দিতে চায়। কিন্তু যেহেতু তারাবী পড়ানোর বিনিময়ে নেওয়া জায়েজ নয়, তাই আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা যেন কেউ উক্ত উদ্দেশ্যে টাকা না দেয়। যদি দিতেই চায় তবে যেন ঈদ বোনাস হিসেবে দেয়। এটা বলা হয় যেন তাদের টাকা প্রদানটা বৃথা না যায়। এটা ঘুরিয়ে খাওয়া নয়, কারণ তাদের কেউই ইনফ্লুয়েন্স করে না।

আচ্ছা, সেই টাকাটা কে কে পায় জানেন? টাকাটা পায়, আমাদের প্রধান ইমাম, দ্বিতীয় ইমাম, মুয়াজ্জিন, ৩ জন হাফেজ এবং মসজিদের খাদেম সাহেবেরা। মোটকথা মসজিদের কার্যক্রমে যারা যারা জড়িত সবাই পায়। আশা করি আপনার ধারণা একটু পাল্টাবে।

আর আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমাদের মসজিদে/মাদ্রাসায় দুই জন মুফতী সাহেব আছেন। একজন দারুল উলুম করাচী থেকে ইফতা শেষ করেছেন। নিশ্চয়ই তারা দুজন আমি কিংবা আপনার চেয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন।

জাজাকাল্লাহ্..........

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই আপনাদের মসজিদের সিস্টেম আপনি আমার চেয়ে অনেক অনেক ভাল জানবেন ।

তবে মসজিদের নিয়মিত নিয়োগ প্রাপ্তরা ছাড়া আর ৩ জন হাফেজ সাহেব যে পয়সা পায়, তাদের বিষয়ে আমি কিতাব পত্রে যা পেয়েছি, তা-ই বললাম, নিজ থেকে কিছু বলিনি ।

আর একটা বিষয় জানতে আগ্রহী ঈদ বোনাস তো নিয়মিত বেতনভুক্তদের দেওয়া হয়, যারা মসজিদের কর্মরত নন, বেতনও পান না, তাদেরকে কি জন্য বোনাস দেন বলবেন কি ? কত করে দেন ?

আর পরীক্ষা কি ৩ জনের -ই নেন ? বাকীদের নেন না ? বাকীরা কি পরীক্ষা ফী দেয় ? আর ৩ জন বোনাস পায় ? কেন ? আপনাদের কোরাণ শুনায় বলে ?

আপনাদের মসজিদের টাকা দেবার পদ্ধতি ঠিক কি না । বাংলাদেশের বড় বড় মাদ্রসা গুলো থেকে ( যেমন বসুন্ধরা , হাট হাজারী, পটিয়া, মারকাজুদ দাওয়া )- দারুল ইফতা ( ফতোয়া বিভাগ ) ফতোয়া নেন ।

আপনারা যদি সঠিক পদ্ধতিতে টাকা দেন, তবে ফতোয়া নিতে অসুবিধা কি ? শরীয়ত সম্মত পদ্ধতিতে হাফেজ সাহেবদের খেদমত করা গেলে আমরাও করব । আশা করি শরীয়ত সম্মত পদ্ধতিতে , তারাবীর হাফেজ সাহেবদের খেদমত করার উপায় বলে আমাকে বাধিত করবেন, আর ওনাদের খেদমতের সুযোগ করে দিবেন । তবে পদ্ধতিটা বাংলাদেশের কোন বড় মাদ্রসার দারুল ইফতা থেকে হতে হবে ।

আর দারুল উলুম করাচীর কথা বললেন, সেখানের ফতোয়াও দি্তে পারেন । সেখান থেকে ইংরেজীতেও ফতোয়া দেয়, আপনি তাদের মেইল করতে পারেন ।আর কোন বড় প্রতিষ্ঠান থেকে খুব ভাল ফলাফল নিয়ে বের হলেই কেউ ভুল পথে পরিচালিত হবে না সেটা বলা যায় না, জসীম -উদ্দীন রহমানী তার উত্তম উদাহরণ।

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন:
ভাই আপনি আসলে অকারণে প্যাঁচাচ্ছেন। আমি আপনাকে মুক্ত মনের মনে করেছিলাম, কিন্তু দেখা যাচ্ছে আপনি বায়াসড্ হয়ে আছেন।

যাই হোক, উক্ত ৩ জন হাফেজ তারাবীর নামায পড়ায় পরীক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে নয়, তারা আগেই পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে পাগড়ী লাভ করা। পরীক্ষার পাশ করা অনেকের মধ্যে কয়েকজনকে নির্বাচিত করা হয় তারাবী পড়ানোর জন্য। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেখা যায় পরবর্তীতে হিফজ খানায় চাকুরীও পায়।

হাফেজরা টাকা পায় কেন? আপনি এখানে শুধুমাত্র ঐ নতুন হাফেজদের আলাদা করে দেখছেন কেন! ঈদ বোনাস তারাবী মাসে মসজিদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দেওয়া হয়। এখানে ইমাম সাহেব থেকে শুরু করে মসজিদের একেবারে অধঃস্তন কর্মচারী (যেমন বাবুর্চি) সবাইকেই দেওয়া হয়। যেহেতু হাফেজ সাহেবরা রমযান মাসের এ্ই সময়টাতে নতুন যোগ হয়, তাই তারাও এর অংশ পায়। এ টাকা মসজিদ কমিটির বা মাদ্রাসার কেউ পায় না। আপনি বোনাস দেওয়াটা শুধু হাফেজ সাহেব নির্ভর বলতে চাচ্ছেন কেন!?

ব্যাপারটি খুবই সরল যদি আপনার বোঝার ইচ্ছা থাকে।

আল্লাহ হাফেজ....

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আচ্ছা ভাই আপনি আমাকে এত কষ্ট করে না বুঝিয়ে, বসুন্ধরা মাদ্রাসা বা মারকাজুদ দাওয়া থেকে একটা ফতোয়া এনে দেন, বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নেব।

আমি হয়ত বুঝতে পারছিনা, ওনারা তো বুঝার কথা ।

আর আমার অভিগ্ঘতা যত মসজিদের ইমাম -মুফতীরা তারাবীর হাফেজদের পয়সা দেন ওনারা আপনার মত সুন্দর সুন্দর যুক্তি দেন, আর প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যান । কোন বড় মাদ্রাসার লিখিত ফতোয়া দেখান না !

আপনার যদি সহিহ হয়েই থাকেন তাহলে ভাল কোন জায়গা থেকে আপনাদের মসজিদ সম্পর্কে ফতোয়া এনে দেখান না, অসুবিধা কি ?

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেছেন:
আল্লাহ! আমি আপনার প্রশ্নগুলোর এত কষ্ট করে উত্তর দিলাম আর আপনি বললেন যে এড়িয়ে যাই। বোঝা যাচ্ছে, আপনি ‌‌‌'তালগাছটা আমার' শ্রেণীর মানুষ।

কি থেকে যে কোথায় আসলেন! আপনার মন্তব্য ছিল হাফেজদের তারাবীর বিনিময়ে টাকা নেওয়ায় আপনার আক্ষেপের ব্যাপারে। আমি আপনার কথার সমর্থন করে আমাদের মসজিদের অবস্থা বর্ণনা করেছিলাম, যেখানে প্রানান্ত চেষ্ঠা করা হয় নাজায়েজ আয় রোধ করার জন্য।

ভাই আমার কি স্বার্থ আছে বলেনতো। আমি ঐ মসজিদে চাকুরী করি না আর মসজিদ কমিটিতেও নাই। আমি এলাকার সাধারণ মুসুল্লি। মিষ্টি কথা বলে নাজায়েজকে জায়েজ করার কোনও স্বার্থ আমার নাই। আমি এখানে কোনওভাবে বেনিফিটেড না।

একটা নাজায়েজ পন্হার প্রতিবাদে আপনাকে আন্তরিক মনে হওয়ায় আমি আপনার সাথে ফ্রি ভাবে আলোচনা করছিলাম। সেখানে স্রেফ একটা উদাহরণ হিসেবে আমাদের মসজিদের বিষয়টি উঠে আসে। এখন দেখছি আপনি আমার সাথে ঝগড়া করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ভাই মস্তিষ্কের অতি উর্বরতা অনেক সময় মানুষকে সীমা লঙ্ঘনের দিকে নিয়ে যায়, কারণ তখন সে গোয়ার্তুমি করে। যারা ভন্ড পীরদের কাজে বিরক্ত হয়ে হক্কানী পীরদের অনুসরণ করাকেও বেদাত বলে তারা যেমন সীমালঙ্ঘন করে, আপনিও অনেকটা তেমনই করলেন। আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে সীমালঙ্ঘন থেকে হিফাজত করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.