নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইসলামী জেহাদ-কে অস্বীকার করা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

জে এম বি, বাংলা ভাই, হিজবুত তাওহীদ - এসব জংগীদের কথা বলছি না, এদের অপতৎপরতার বাইরেও ইসলামে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 'জেহাদ' নামে একটি বস্তু আছে। আর ইসলামী আক্কীদা হচ্ছে হজ ও জেহাদ কেয়ামত পর্যন্ত বাকী থাকবে - ফাসেকের নেতৃত্বে হলেও!



বুঝে না বুঝে, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কিছু তাবলীগী ভাইয়েরা জেহাদকেই অস্বীকার করে বসেন । তারা অনেকে বলে ফেলেন নফস বা প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জেহাদ বড় জেহাদ, আর তাবলীগ করলে নফসের বিরূদ্ধে জেহাদ হয় তাই এটাই আসল জেহাদ । ( অস্ত্র নিয়ে মারামারির দরকার নেই )



অস্ত্র নিয়ে মারামারির দরকার নেই - আমরাও বলি, তবে কোন মুসলিম দেশের শাসক জেহাদ ঘোষণা করতে পারে । পাড়া - মহল্লার মৌলবীদের, পাকুন্দিয়ার পীর মতিউর এমন লোকদের জেহাদ ঘোষণার সুযোগ শরীয়তে নেই। শাসক এটা পারে। অন্য কেউ না। তাই বলে শরীয়তের একটা মৌলিক নির্দেশকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।



কেউ কেউ বলেন আসল উদ্দেশ্য দাওয়াত । জেহাদ দাওয়াতের উদ্দেশ্যেই। আর আমরা যেহেতু দাওয়াতে মশগুল আছি, তাই জেহাদের কি প্রয়োজন ?



অনেকে বলেন ঈসা আ: - ইমাম মেহেদীর যুগে যে জেহাদ হবে আমরা তাতে শামিল হব ।



আবার কে্য কে্য বলেন জেহাদের প্রয়োজন হলে মুরুব্বীরাই বলবেন ।



যাই হোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কথার মার প্যাচে জেহাদকে অস্বীকার করা ইসলামী আক্কীদার পরিপন্থী । এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক ভাবে মন্তব্য করা উচিত ।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

নিজাম বলেছেন: আপনাকে কে বলেছে তাবলীগওয়ালারা জেহাদকে অস্বীকার করে? অহেতুক বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে কাকারাইল মসজিদে যান। আপনার যত প্রশ্ন আছে জিজ্ঞেস করুন। তারপর মন্তুব্য করবেন। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগওয়ালারা জেহাদকে অস্বীকার করে - বলিনি, বলেছি কিছু ভাইরা এরূপ করে । তবে এদের সংখ্যা অনেক । আর এ কথা আমাকে কে্য বলবে কেন, আমি নিজেই তো তাবলীগে গিয়ে শুনেছি ।

.... কাকারাইল মসজিদে যান। আপনার যত প্রশ্ন আছে জিজ্ঞেস করুন.. - ভাই আপনি কি আমার প্রশ্ন গুলো মুরুব্বীদের কাছে উপস্হাপন করে ওনাদের মন্তব্য জানাতে পারবেন ? অনেক উপকার হত।

আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মো কবির বলেছেন:
দ্বীন ইসলাম আর জিহাদ এই সব সম্পর্কে জ্ঞান অনেক কম আছে।
তাই প্লিজ ভাই এই কম জ্ঞান নিয়ে মানুষের কাছে ইসলামের ভুল জ্ঞান প্রচার করবেন না।

জিহাদ মানে কি নিরাপরাধ মানুষকে মারা, ইসলামের কোথায় ভাই এই সব পেয়েছেন।
বিনা কারনে মানুষকে হত্যা একটি বিরাট অপরাধ। নবীজি বলেছেন,

"যদি তোমরা দুই ভাই একে অপরের সাথে মারামারি লেগে একজন অপর জনকে হত্যা করে তবেই দুজনেই জাহান্নামে যাবে"-----[বুখারী শরীফ]



তাই ভাই আবারও বলছি কোন কিছু সম্পর্কে না জেনে মানুষকে জ্ঞান দিবেন না। এমনিতেই ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা আছে চরম বিভ্রান্তিতে কুরআন হাদিসের বানী থেকে দূরে, তাদের মধ্যে আজকে বিদআত, শিরক এই সবই হল ইবাদত।

আল্লাহ আমাদের কুরআন হাদিসের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার এবং তা মেনে চলার তফিক দান করুন। (আমীন)


১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: দ্বীন ইসলাম আর জিহাদ এই সব সম্পর্কে আমার জ্ঞান অনেক কম আছে, তবে আমার পোষ্টের কথাগুলো মুলত আমার না । বড় বড় আলেমদের কথা ।

ওয়াবেদুল হক সাহেব একবার মুফতী রশিদ আহমাদ সাহেবকে জিগেস করেন, ' লোকের শেকায়েত করে যে তবলীগ ওয়ালারা জেহাদ অস্বীকার করে, জবাবে তিনি বলেন এটি শেকায়েত ( অভিযোগ ) না , হাকিকত ( বাস্তব )

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.