![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাবলীগ জামাতের একটা উসুল মাসালা ওলামাদের নিকট থেকে জানা । মজার ব্যাপার তাবলীগের কাজ শুরু হওয়ার বেশ কিছু দিন পর মহিলা তাবলীগ শুরু হয় , ( আমার জানা মতে মাওলানা ইলিয়াস রহ: এর যুগে এটা শুরু হয় নি , কেউ কেউ বলেন হজরত ইউসুফ সাহেবের সুগেও এটা শুরু হয় নি । ) এরপর সীমিত আকারে চললেও ইদানিং এর বিস্তার ব্যপক হয়েছে । কিন্তু এটি চালু করার বিষয়ে আলেমদের ফতোয়া নেওয়া হয়েছিল কিনা তার কোন প্রমাণ নেই ।
মুহাক্কিক ( বিদগ্ধ ) আলেমরা অনেকেই মহিলা তাবলীগ - মাসতুরাতের জামাত, মহিলাদের দাওয়াত ও তাবলীগের নিয়তে সফর - এসব কিছুকেই বর্তমান জামানায় নাজায়েজ বলেছেন।
তাবলীগী ভাইরা যদি নিজেরাই ফতোয়া দেন তবে তো আর বলার কিছু নেই, আর যদি ওলামাদের ফতোয়ার কথা বলেন তবে এ কথা নিশ্চিত যে ওলামার মহিলা তাবলীগ জায়েজ হওয়ার বিষয়ে একমত নন ।
প্রসিদ্ধ ফতোয়ার কিতাব আহসানুল ফতোয়ায় এর না জায়েজ হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উচ্চতর গবেষণামুলক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা থেকেও মহিলা তাবলীগকে নাজায়েজ বলা হয়েছে । বাংলাদেশের প্রবিণতম মুফতী ফকিহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান সাহেব মহিলা তাবলীগ নাজায়েজ হওয়ার বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা সহ বই-ও ছেপেছেন।
তাই তাবলীগী ভাইদের প্রতি অনুরোধ আমরা যারা তাবলীগ পছন্দ করি, আবার ওলামাদের ফতোয়ার উপর চলতে চাই, তাদের জন্য তাবলীগে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ রাখবেন । মহিলা তাবলীগ আপনার করবেন কি না করবেন তা আপনাদের ব্যাপার আর ওলামাদের ফতোয়ার বিষয়, একে মুল কাজের অশ বানিয়ে ফেললে আমাদের জন্য এ কাজে অংশ নেওয়ার আর রাস্তা থাকে না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৫৪
হাবিব৮৯ বলেছেন: بسم الله الرحمن الرحيم
মহিলাদের জন্য দুনিয়াবী প্রয়োজনে মাহরামসহ সফর করা জায়েজ আছে। সেখানে দ্বীনে প্রয়োজনে মহিলাদের কেন মাহরামসহ সফর জায়েজ হবে না?
মাস্তুরাত জামাতের জন্য আবশ্যক হল মাহরাম থাকা। যদি মাহরাম ছাড়া সফর করে, বা শরয়ী কোন বিধান লঙ্ঘণ হয় যেমন পর্দা বা অন্য কোন ফিতনার আশংকা থাকে, তাহলে তাদের জন্য মাস্তুরাত জামাতে বের হওয়া জায়েজ নয়।কিন্তু এমনিতে দাওয়াতের কাজে মাহরামসহ জামাতে বের হবার মাঝে শরয়ী নিষেধাজ্ঞার কোন দলীল আমাদের বুঝে আসছে না।
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখে
এমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্ল াহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}