![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমান বা ইমানের শক্তি বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আগে বেশ কিছু পোষ্ট দিয়েছিলাম । আজকের পোষ্ট ইমান কমে কি ভাবে ?
তাবলীগী ভাইয়েরা অনেক সময় দাওয়াতের জজবায় বলে ফেলেন যত বেশী দাওয়াত দিবেন, তত ইমান বাড়বে, আর দাওয়াত না দিলে ইমান কমা শুরু হবে।
শরীয়তে ইমান কমার বিষয়টা প্রথমত গুনাহর সাথে সম্পর্ক যুক্ত । কোন বান্দা যখন কোন গুনাহ করে, তখন অন্তরে একটি কাল দাগ পরে । তওবা করলে সেটি আবার দূর হয়ে যায়। আর তওবা না করলে সেই ডাগ থেকে যায় । এমতবস্হায় আবার গুনাহ করলে আবার লাকো দাগ পরে। এভাবে গুলাহ করতে থাকলে (তওবা ছাড়া) অন্তর একেবারে কালো হয়ে যায় ।
এরূপ অন্তরে ইমানের শক্তি একদম কমে যায় । ভাল কথা - কাজ তখন অন্তর গ্রহণ করে না। এটাই ইমানহীনতা বা ইমানের শক্তিহীনতার অবস্হা।
তাই দাওয়াত না দিলে ইমান কমে যাবে এ কথা পাইকারী ভাবে বলা যাবে না । তবে যে সব ক্ষেত্রে সৎ কাজের আদেশ - অসৎ কাজের নিষেধ বাদ্যতা মুলক, সে সব ক্ষেত্রে তা না করলে ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে । যেমন কারো সামনে অন্যায় কাজ হলে তার যদি বাধা দানের সামর্থ থাকে, আর সে বাধা না দেয়, তার ইমানের বিশেষ ক্ষতি হবে । আর সামর্থ না থাকলে ঘৃণা করতে হবে, যেটা ইমানের শেষ দরজা! মাজার বিষয় 'ইমানের শেষ দরজা' বলে যে ধমকি এসেছে সেটা নেহী আনিল মুনকার বা অসৎ কাজের নিষেধ সম্পর্কে, যেটার বিষয়ে অধিকাংশ তাবলীগী ভাইরাই উদাসীন।
এ থেকে আরো একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, তাবলীগী ভাইরা দাওয়াত বলতে সাধারণত: যে ইমানী আলোচনা, অথবা নেক কাজে তরগীব বা উৎসাহ প্রদান করেন, সেটা না করলে ইমান কমে যাবে এমন মনে করার খুব ভাল কোন কারণ খুজে পাওয়া যায় না ।
শায়খ জাকারিয়া চাচা হজরত ইলিয়াস রহ: এর কাছে পড়তেন। তিনি চাচার একটা কথা নকল করেন, জাকারিয়া ! তুই ৬ সপ্তাহ কথা বন্ধ কর, আমি তোকে ওলী বানিয়ে দিব ! এই ঘটনায় ওলী হওয়ার উপায় দাওয়াত না বরং চুপ থাকা ! দাওয়াত না দিলে যদি ইমান কমেই যায়, তবে ৬ সপ্তাহ চুপ থেকে তো কারো পক্ষে ওলী হওয়া সম্ভব না!
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাত একটি বিরট ইসলামী খেদমতের কাজ করছে । যার কোন বিকল্প নেই । কিন্তু এ জামাত মাসুম বা ভুল ত্রুটির উর্ধে না! তাবলীগ জামাতের ভুল -ত্রটিগুলো ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সময় চিন্হিত করেছেন । সেগুলো নীচের পোষ্টগুলোতে বলার চেষ্টা করেছি, তাবলীগী ভাইদের পড়ার অনুরোধ করছি । কোন ভুল চোখে পরলে অবশ্যই ধরে দিবেন ।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : ইমান বৃদ্ধির উপায় শুধু দাওয়াত
তবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল ' দাওয়াত দিলে যেভাবে ইমান বাড়ে তা অন্য কোন উপায়ে বাড়ে না '
তবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল 'দাওয়াত দিলে ইমান বাড়ে, দাওয়াত না দিলে যেভাবে ইমান কমে যায় '
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের আর একটি ভুল : এইটাই কাম।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : অসৎ কাজের নিষেধ দরকার নেই, সৎ কাজের আদেশ বা দাওয়াতের মাঝেই অসৎ কাজের নিষেধ আছে।
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : হিজরত ছাড়া, ইমান পূর্ণ হয় না, ইয়াক্কীন তৈরী হয়না।
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' তাবলীগের কাজ বর্তমানে ফরজে আইন, ফরজে কেফায়া না '
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল ' সংসার কিভাবে চলবে, বা ব্যবসা দিয়ে আমার সংসার চলে ' এজাতীয় কথা বলা ইমানের দূর্বলতা !
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইসলামী জেহাদ-কে অস্বীকার করা।
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' দাওয়াত থাকলে দ্বীন থাকবে, দ্বীন থাকলে দুনিয়া '
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : দাওয়াতের কাজ সমস্ত ফরজ কাজের মা ' উম্মুল ফরায়েজ'
যে ভুলটা জামাতে ইসলামী ও তাবলীগের কর্মীরা করে থাকেন : চাকরী-ব্যবসা, খাওয়া -দাওয়া সব এবাদত !
তাবলীগ জামাতের হুজুর- কর্মীদের প্রতি একটা পরামর্শ: ' উম্মতের ফজীলত বলতে গিয়ে সীমা অতিক্রম করবেন না'
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের প্রতি একটা পরামর্শ : বিতর্কিত মহিলা তাবলীগকে মূল তাবলীগ থেকে আলাদা রাখুন
তাবলীগী ভাইদের কাছে প্রশ্ন : দাওয়াত বড় না এবাদত ? দায়ীর মর্যাদা বেশী না আবেদের ?
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ : পীর-মুরীদীকে অস্বীকার করবেন না ।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ :জেনে নিন কিভাবে তবলীগের ক্ষতি হয় ?
আল্লামা জাস্টিস ত্বকী উসমানীর বিশ্লেষণে তাবলীগীদের একটি ভ্রান্তি : তাবলীগের আমিররা এমন অনেক সিদ্ধান্ত দেন যা শরীয়তের খেলাফ।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : পবিত্র কোরাণ শিক্ষায় অনীহা
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : পবিত্র কোরাণ শিক্ষায় নিরুৎসাহিত করা
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : জরূরী এলেম শিক্ষায় অনীহা
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল ' দ্বীনি বই পুস্তক পাঠে অনীহা '
তাবলীগ জামাতের ৪৯ কোটি সোয়াব নিয়ে কিছু প্রশ্ন
তাবলীগী কিছু ভাইয়ের একটি ভুল ধারণা : মাশওরা করে যে সিদ্ধান্ত আসে তা সব সময় সঠিক।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
তাজুল_ইসলাম বলেছেন: শুধু তাবলিক নয়। পত্যেক মুসলমানদের উচিত ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়া।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জী
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: প্রসংগত আরো একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই না, তা হচ্ছে বিশেষ ভাবে ইমান বৃদ্ধির উপায় হচ্ছে, গুনাহ থেকে ফিরে আসা । গুনাহ ত্যাগ করা । এর দ্বারা যেরকম ইমান বাড়বে তা আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না!
মেশকাত শরীফে কিতাবুন নিকাহতে আছে, যে নজরের হেফাজত করবে আল্লাহতায়ালা তাকে এমন ইমান দান করবেন যে সে তার মিষ্টতা অন্তরে অনুভব করবে।