![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাবলীগ জামাত একটি বিরট ইসলামী খেদমতের কাজ করছে । যার কোন বিকল্প নেই । কিন্তু এ জামাত মাসুম বা ভুল ত্রুটির উর্ধে না! তাবলীগ জামাতের ভুল -ত্রটিগুলো ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সময় চিন্হিত করেছেন । সেগুলো নীচের পোষ্টগুলোতে বলার চেষ্টা করেছি, তাবলীগী ভাইদের পড়ার অনুরোধ করছি । কোন ভুল চোখে পরলে অবশ্যই ধরে দিবেন ।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের বিপথগামী হবার ইতিবৃত্ত
তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতার কিছু বানী ও তাবলীগের কর্মীদের কাছে কিছু প্রশ্ন :
ইমানের হ্রাস-বৃদ্ধি
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : ইমান বৃদ্ধির উপায় শুধু দাওয়াত
তাবলীগে না গেলে ইমান শিখা যায় না, ১২ বছর মাদ্রসায় পড়লে এলেম শিক্ষা হয়, ইমান শিখা হয় না
তবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল ' দাওয়াত দিলে যেভাবে ইমান বাড়ে তা অন্য কোন উপায়ে বাড়ে না '
তবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল 'দাওয়াত দিলে ইমান বাড়ে, দাওয়াত না দিলে যেভাবে ইমান কমে যায় '
ইমানের হ্রাস-বৃদ্ধি নিয়ে ভ্রান্ত মত সমূহের জবাব
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : হিজরত ছাড়া, ইমান পূর্ণ হয় না, ইয়াক্কীন তৈরী হয়না।
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল ' সংসার কিভাবে চলবে, বা ব্যবসা দিয়ে আমার সংসার চলে ' এজাতীয় কথা বলা ইমানের দূর্বলতা !
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা :
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' তাবলীগের কাজ বর্তমানে ফরজে আইন, ফরজে কেফায়া না '
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের আর একটি ভুল : এইটাই কাম।
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : অসৎ কাজের নিষেধ দরকার নেই, সৎ কাজের আদেশ বা দাওয়াতের মাঝেই অসৎ কাজের নিষেধ আছে।
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভ্রান্তি : ইসলামী জেহাদ-কে অস্বীকার করা।
যে ভুলটা জামাতে ইসলামী ও তাবলীগের কর্মীরা করে থাকেন : চাকরী-ব্যবসা, খাওয়া -দাওয়া সব এবাদত !
তাবলীগ জামাতের হুজুর- কর্মীদের প্রতি একটা পরামর্শ: ' উম্মতের ফজীলত বলতে গিয়ে সীমা অতিক্রম করবেন না'
তাবলীগী ভাইদের কাছে প্রশ্ন : দাওয়াত বড় না এবাদত ? দায়ীর মর্যাদা বেশী না আবেদের ?
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের প্রতি অনুরোধ : পীর-মুরীদীকে অস্বীকার করবেন না ।
তাবলীগী কিছু ভাইয়ের একটি ভুল ধারণা : মাশওরা করে যে সিদ্ধান্ত আসে তা সব সময় সঠিক।
তবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : দাওয়াত দেওয়া হলে শয়তান থাকে না।
আল্লামা জাস্টিস ত্বকী উসমানীর বিশ্লেষণে তাবলীগীদের একটি ভ্রান্তি : তাবলীগের আমিররা এমন অনেক সিদ্ধান্ত দেন যা শরীয়তের খেলাফ।
দ্বীন শিক্ষা :
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : পবিত্র কোরাণ শিক্ষায় অনীহা
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : পবিত্র কোরাণ শিক্ষায় নিরুৎসাহিত করা
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি বড় ভ্রান্তি : জরূরী এলেম শিক্ষায় অনীহা
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল ' দ্বীনি বই পুস্তক পাঠে অনীহা '
কিছু বিতর্ক:
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের প্রতি একটা পরামর্শ : বিতর্কিত মহিলা তাবলীগকে মূল তাবলীগ থেকে আলাদা রাখুন
তাবলীগ জামাতের ৪৯ কোটি সোয়াব নিয়ে কিছু প্রশ্ন
তাবলীগ জামাতের কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ :জেনে নিন কিভাবে তবলীগের ক্ষতি হয় ?
তাবলীগ জামাতের কিছু কর্মীদের একটি ভুল : ' দাওয়াত থাকলে দ্বীন থাকবে, দ্বীন থাকলে দুনিয়া '
তবলীগ জামাতের কর্মীদের একটি ভুল : দাওয়াতের কাজ সমস্ত ফরজ কাজের মা ' উম্মুল ফরায়েজ'
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই, আপনার বেশীর ভাগ বিষয়ের সাথেই একমত, কিছু কিছু পয়েন্টে কিছু ভিন্নমত থাকলেও সব বিষয়ে তো আর একযোগে ক্যাচাল চালানো যাবে না । আসেন পীর মুরীদি বিষয়ে ক্যাচাল লাগাই !
Click This Link এই পোষ্ট টা পড়ে দেখতে পারেন । এই পোষ্টে দেখাতে চেষ্টা করেছি তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা পীর মুরীদিকে কতটা গুরুত্ব দিতেন, আর এর বিপরীতে বর্তমানের কর্মীদের অবস্হান কি !
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: Thanks Lisani Bhai, hope to come on discuss soon, electicity gone, typing on UPS!
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
আদম_ বলেছেন: তারা আবোল-তাবোল লীগ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: তাবলীগ জামাতের বেশীর ভাগ কাজই ভাল। তারা মানুষকে ধর্মের পথে ডেকে আনে । তবে কিছু ত্রুটি আছে সেটা নিয়েই সমালোচনা - আলোচনা কিছু একটা করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই এই বিষয়গুলো নিয়ে তো গভীর মতামত দেয়া সম্ভব না, বরং যা মনে হয় তা বলি।
১. ঈমান বৃদ্ধির উপায় শুধু দাওয়াত:
দ্বিমত রাখছি। ঈমান বৃদ্ধির সবচে বড় উপায় দাওয়াত, ইবাদাত, তাক্বওয়া বা খোদাসচেতনতা ও জ্ঞান অর্জন। সবচে বড় উপায়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দাওয়াত।
২. এইটাই কাজ:
সত্যের নিমন্ত্রণ দেয়া অন্যতম প্রধান কাজ। একমাত্র কাজ কখনোই না।
৩. আমর বিল মা'রুফ ও নাহি আনিল মুনকার:
আসলেই আগে সৎকাজে উৎসাহিত করার মাধ্যমে অসৎ কাজে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তবে দুটা পাশাপাশি চলে। একটা ছেড়ে আরেকটা নয়।
৪. হিজরত ও ঈমানের পূর্ণতা:
ঈমানের পূর্ণতার জন্য তো কুরআন সুন্নাহ তে সরাসরি হিজরতকে অবশ্যপূরণীয় শর্ত আকারে উপস্থাপন করা হয়নি।
৫. ধর্মের নিমন্ত্রণ ফরজে আইন:
এতবড় কথা তো বলতে পারি না। তবে ধর্মের নিমন্ত্রণ যে ফরজ এটা ঠিক। আইন হোক আর কেফায়া হোক।
৬. ব্যবসা দিয়ে সংসার চলা:
সংসার প্রভু চালান এই বিশ্বাস মনে রেখে মুখে এ বলা অন্যায় নয় যে, ব্যবসা দিয়ে সংসার চলছে। তবে ব্যবসাকে প্রভুর প্রতিদ্বন্দ্বীতায় না আনলেই হল।
৭. ইসলামি জিহাদ:
ইসলামি জিহাদ রয়েছে। তবে সেটা ব্যক্তির উপর নয়, বরং উলিল আমরের উপর। আর এই উলিল আমর হলেন খলিফা। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ও স্থানবিশেষে এটা মানুষের নিজের উপরও বর্তায়। যেমন, ধর্মযুদ্ধরত অঞ্চলের মুসলিমকে উলিল আমরের আশায় বসে থাকলে চলবে না। ইরাক আফগান এইসব দেশে বিষয়টা মুক্তিযুদ্ধ। প্রতিরোধযুদ্ধ।
৮. দাওয়াত দ্বীন দুনিয়া:
কথাটা হিসাবে ঠিকই। তবে একটু বেশি জোর দিয়ে ফেলেছেন তাঁরা, এই যা। রাসূল দ.'র সেই কথা, ব্যালান্স করো, তা থেকে বিষয়টা সরে গেছে।
৯. উম্মুল ফারায়েজ:
উপলব্ধির একটা পর্যায়ে গিয়ে তা আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু তা সবার জন্য সব সময় প্রযোজ্য হবে না। আর একটা আরেকটার কাফফারা হয় খুব কমই।
১০. সবই ইবাদাত:
যদিও বর্ণনার বেশকমে এবং সম্মানিত মাজহাবের ইমামদের কথায় অন্যরকম শোনা যায় বা বোঝা যায়, কার্যত অবশ্যই মুমিনের সবকিছু ইবাদাত হবে, যদি সে সেই স-বকিছুতে সঠিকভাবে আল্লাহর সচেতনতা ধারণ করতে পারে।
সবকিছুই ইবাদাত হলেও, ইবাদাতে ক্লাসিফিকেশন আছে।
কিছু ইবাদাত শারীরিক প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত, যেমন নামাজ-রোজা-হজ্ব-যিকর-তিলাওয়াত-দুআ।
কিছু ইবাদাত পার্থিব কাজের সাথে যুক্ত, যেমন যাকাত, দান, সেবা।
কিছু ইবাদাত মানসিকতার সাথে যুক্ত, ইন্নামাল আ'মালু বিন নিয়্যাত।
এই তৃতীয় শ্রেণীর সাথে যুক্ত থেকে সবকিছুই আল্লাহর ইবাদাতে যুক্ত হয়।
১১. উম্মতের ফজীলত:
রাসূল দ.'র উম্মত বাই ডিফল্ট শ্রেষ্ঠ উম্মত। এটা কোরান হাদীসের সমস্ত তথ্যের একত্রিত ফলাফলও বলতে পারেন। আর নবীগণ আ., আহলে বাইত রা., আসহাব রা.- উম্মত নির্বিশেষে এঁদের সম্মান উচ্চ।
১২. দায়ী বনাম আবিদ:
এর সমাধান হবার নয়। কোথাও দায়ী তো কোথাও আবিদ। তবে, হাজারো অজ্ঞাত আবিদ থেকে একজন জ্ঞানী'র মর্যাদা বেশি এবং আলিম আমার ওয়ারিশ- এই দুই কথা থেকে প্রমাণিত হয়, সঠিক ও বিশাল দায়ীর মর্যাদা সাধারণ অর্থে বিশাল আবিদের চেয়ে বেশি হবার কথা। তবে সেই দায়ী আবার আবিদ না হলে সমস্যা।
১৩. পীর মুরীদীকে অস্বীকার:
এ নিয়ে এ কারণে বলতে চাই না যে, এখন পর্যন্ত তাবলীগ জামাতের বিশ্বাস ও তার ঠিক বা ভুল নিয়ে কিছু বলিনি।
শুধু এটুকু বলা যায়, তাবলীগ জামাতের মৌলিক থিমই হচ্ছে পীর মুরিদিকে অস্বীকার করা। এ কারণেই একে ঘুরিয়ে অস্বীকার করা হচ্ছে।
এই কথাটা বলেও বিপদে পড়ে গেলাম। আসলে তাবলীগ হল একটা যুক্ত স্রোতধারা।
আশা করি আপনার আলোচনা পাব।