নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দরিদ্র অসহায় জনগোষ্ঠীর সাথে চরমতম উপহাস: ইউনুসের হিলারী পল্লী

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নোবেল বিজয়ী ড: ইউনুস, বাংলাদেশের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের তথা পশ্চিমা বিশ্বের গর্ব । ড: সাহেবের বাটপারীর বহু নজির থাকলেও তার কিছু কিছু চরম অমানবিক। খুবই অস্বস্তিকর আর বেদনাবহ। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর নারী হিলারী ক্লিনটন, ইউনুস সাহেবের সমর্থক, সহযোগী। তার নামে ও সন্মানে যশোহরে করা হয়েছিল হিলারী পল্লী, দারিদ্র বিমোচনের (!) মডেল হিসেবে ।



যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের পাশে বারোবাজারের মশিয়াহাটি ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল সেখানে আনা হয় আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনকে। সেজন্য রাতারাতি পল্লীটির চেহারার পরিবর্তন ঘটানো হয়। নামকরণ করা হয় হিলারী আদর্শ পল্লী। সেই আদর্শ পল্লীর জনগণ সন্তানাদি নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ঋণের জালে আটকা পড়ে ভিটাবাড়ি বিক্রি করে অভাবের তাড়নায় এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ঋণগ্রস্ত অনেকের ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ ইতিপূর্বে তারা বুট পালিশ, ঝুড়ি ও কুলা তৈরী এবং কমবেশী আবাদী জমি চাষাবাদ করে সংসার নির্বাহ করতো। হিলারী পল্লীর ভক্ত দাস বলেন, ‘হিলারী ম্যাডাম এসেছিলেন, অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল আমাদের। কিন্তু বাস্তবে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। শুধু আমি নই, ঋণ নিয়ে কারোরই ভাগ্য ফেরেনি। ১৯৯১ সাল থেকেই ঋষী পল্লীতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণদান কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ২৫ বছরে সেখানকার দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি;



গ্রামীণ শুধু আর্থিকই উন্নয়নই না, সামাজিক উন্নয়নেরও দাবি করে। হিলারী ক্লিনটন যশোরে গ্রামীনের কার্যক্রম পরিদর্শনে গেলে তাকে যে গ্রামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো, সেই গ্রাম হিলারী গ্রাম বলে পরিচিত। সেখানে দুই কন্যাশিশুকে ঘটা করে উপস্থাপন করা হয়েছিলো গ্রামীনের আর্থিক সহায়তায় বাল্যবিবাহ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হিসেবে। প্রথম আলো সেই বালিকাদেরই একজনের ১৩ বছরে, আরেকজনের ১৪ বছরে বিয়ের সংবাদ ছেপেছে। ডঃ ইউনূস কি এসব জানেন না?

সুত্র : http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/8159



আর এখানেই ইউনুসের মর্মান্তিক প্রতারণা আর বাটপারীর নমুনা !







মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: A nice post on Yunus from Cadet college blog !

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দেয়া ৭শ’ কোটি টাকা (১০ কোটি ডলার) গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অন্যত্র সরানোর অভিযোগ উঠেছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মাদ ইউনুসের বিরুদ্ধে। দারিদ্র্য দূর করার জন্য ভর্তুকি হিসাবে গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯৯৬ সালে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয় ইউরোপের কয়েকটি দেশ। নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির দেয়া এই অর্থ থেকে ১০ কোটি ডলার বা ৭শ’ কোটি টাকারও বেশী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিবর্তে ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামে নিজের অন্য এক প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেন ড. ইউনুস। ঢাকার নরওয়েজিয়ান দূতাবাস, নরওয়ে দাতা সংস্থা ‘নোরাড’ এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকে ফেরত নিতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। ১০ কোটি ডলারের মধ্যে সাত কোটি ডলারেরও বেশী অর্থ ড. ইউনুসের ‘গ্রামীণ কল্যাণ’ নামের প্রতিষ্ঠানেই সরাসরি থেকে যায়। এরপর ‘গ্রামীণ কল্যাণে’র কাছ থেকে এই অর্থ ঋণ হিসাবে নেয় গ্রামীণ ব্যাংক। উল্লেখ্য, কোটি কোটি ডলার সরানোর এ ঘটনা যাতে প্রকাশ না হয়, সেজন্য ড. ইউনুস নোরাডের তখনকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিলে লিখিত চিঠিতে বলেন, ‘আপনার সাহায্য আমার দরকার। সরকার এবং সরকারের বাইরের মানুষ বিষয়টি জানতে পারলে আমাদের সত্যিই সমস্যা হবে’।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:
গ্রামীণ চেকের ২৬০ টাকার ফতুয়ার আড়ালে... অত:পর উপকারভোগী নারীরা আর নেই।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

মুশে হক বলেছেন: হিলারী পল্লি পোস্টারের জন্য ধন্যবাদ। অসহায় দরিদ্রদের সার্কাসের সঙ সাজিয়ে অর্থ উপার্জনের মহা আনন্দ ড: ইউনুস এবং পশ্চিমা সাহেব ও তাদের দোসররা ভালই জানেন। কবি বলেছেন:-
" রাজার হস্ত করে সমস্ত গরীবের ধন চুরি" - ইউনুস সাহেবরা যার জাজ্বল্যমান উদাহরণ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

অসহায় দরিদ্রদের সার্কাসের সঙ সাজিয়ে অর্থ উপার্জনের মহা আনন্দ ড: ইউনুস এবং পশ্চিমা সাহেব ও তাদের দোসররা ভালই জানেন। কবি বলেছেন:-
" রাজার হস্ত করে সমস্ত গরীবের ধন চুরি" - ইউনুস সাহেবরা যার জাজ্বল্যমান উদাহরণ।

চরম ভাবে সত্য কথারে ভাই!

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের এলাকায় ও মোটামুটি একই অবস্থা !!! ঋণ নেওয়ার আগেই তারা তুলনামূলকভাবে বেশি ভাল ছিল!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সত্যি কথাটা সুন্দর ভাবে বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ ,

ঋণ নেওয়ার আগেই তারা তুলনামূলকভাবে বেশি ভাল ছিল!!

আর চক্র বৃদ্ধি হারের সুদের বিষয়টাই তো এমন, মানুষকে সর্ব শান্ত করে ছাড়ে।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনি কি মাহমুদ ভাই নাকি সিসিআর এর?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: না রে ভাই,
আমি একজন ক্যাচাল প্রিয় বল গার বলতে পারেন,
তবে ব্লগার না, ক্যচাল পাইলেই বলগাই , সে যে ক্যচাল-ই হোক!

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০১

এম আর ইকবাল বলেছেন: ঋণ নেওয়ার আগেই ভাবতে হবে এটা দিয়ে কি করবেন ।
ঋণ নিয়ে কেউ বড়লোক হয় না । ঋণ সঠিক ব্যবহার করে আয় করে অবস্হা পরিবতর্ন করতে হয় ।
ব্যাংক ঋণ হচ্ছে উপরে উঠার সিড়ির মত ।
সিড়িটা ব্যবহার করে আপনি উপরে উঠার চেষ্ঠা না করে, সিড়িটা ভেঙ্গে আপনার বাসার বাউণ্ডারী শক্ত করেন , তা তো কিছু হবে না ।
সিড়িটা যখন ফেরত চাইবে তখন .............. ?
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কনজিউমার লোন দেওয়া হয় ।
খোজ নেন, বেশীর ভাগ অনাদায়ী ।
কার লোনের গাড়ী রাস্তা থেকে ব্যাংক ধরে নিয়ে যায় ।
কারণ একটাই ।
প্রবাদ আছে "ঋণ করে ঘি খাও"

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ১৯৯৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে গ্রামীন ব্যাংক উল্লেখ করেছিলো যে, পূর্ববর্তী বছরে তাদের সদস্যদের মধ্যে ড্রপট-আউটের হার ছিলো ১৫%। কিন্তু ঋণ পরিশোধের হার কিন্তু ঠিকই ৯৫%। এর মানে হচ্ছে, ঋণ খেলাফিরা ড্রপট-আউট হলেও তাদের কাছ থেকে ঋণ ঠিকই আদায় হয়েচ্ছিল। সেটা কিভাবে সম্ভব হয়েছিল? এটা কল্পনা করা লাগবে না, হাতের কাছেই টাটকা নজীর আছে। ২০০৭ এর নভেম্বরে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঘটে যাওয়া প্রলংকরী ঘূর্ণীঝড় ‘সিডর’ শুধু মানুষের ঘরবাড়ি, ফসল, গাছপালাই উড়িয়ে নিয়ে যায় নি, সেই সাথে ক্ষুদ্রঋণের মহামানবদের “গরীবের বন্ধুনামক” মুখোশটাও উড়িয়ে নিযে উলংগ করে দেখিয়েছে তাদের আসল চেহারা। (দেখুন ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়, ১১ ডিসেম্বর, ২০০৭)। এক্ষেত্রে হতভাগ্য সেই তুলনামূলক-গরীব ত অবধারির ভাবেই নিঃস্ব হয়ে পড়ে! পুরো ডিসেম্বর-জানুযারী মাস জুড়েই প্রায় সব পত্রিকার পাতায়ই আছে ক্ষুদ্রঋণ-ওয়ালাদের হাতে নিঃস্ব ঋণগ্রহীতাদের নির্যাতনের করুণ কাহিনী। কোন কথা শোনা যায়নি দরিদ্রদের বন্ধুদের। তাদের অত্যাচারে অনেকেই নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যখানে পালিয়ে গেছে। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকটা! – সেনাবাহিনীর প্রধানের সরাসরি হস্তক্ষেপে+ত্রাণকার্যের জন্য মাঠে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কারণে কেবল সাময়িক মুক্তি মিলেছিলো কিছু কিছু ভুক্তভোগীর। কিন্তু তারপরে তাদের কপালে কি ঘটেছে, সেই খবর আর নেই নাই আমরা। আর্তের করুন আর্তনাদ মিলিয়ে গেছে। আবার সরব হয়েছে “গরীবের বন্ধু”রা।

গ্রামীন ব্যাংক ও তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের সুবিধাবাদী চরিত্র ধরা পড়ে একটা সাধারণ প্রবণতার মধ্যেঃ যখন ক্ষুদ্রঋণের দুঃস্থ গ্রহীতাদের পক্ষ হয়ে তাকে বলা হয় ঋণ/সুদ মাফ করতে, তখন সে দাবি করে যে, সে ত দাতব্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে না, ব্যবসা করছে। কাজেই কোন মাফ নাই। আবার যখন বলা হয় যে, কমার্শিয়াল ব্যাংকের মত ট্যাক্স দিতে, শেয়ার-হোল্ডারদের ডিভিডেন্ট দিতে, তখন বলে যে, সে ত ব্যবসা করছে না, জনসেবা করছে!

- উপরে রইলো আমার বিশ্লেষণ। এবার পাঠকের হাতেই দিলাম ক্ষুদ্রঋণের ‘দারিদ্র-বিমোচন+সমাজসেবা+গরীবের বন্ধু’ হওয়ার দাবি বিবেচনা করার ভার।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: The above reply is copy paste from : http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/8159

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রেফারেন্সিং এত দুর্বল কেন?

যদিও সোর্স পোস্টের শক্ত রেফারেন্স আছে কিন্তু সেটার মধ্যেও অনেক গুলোর যুক্তি আপডেট না। আপডেট না এই কারনে যে সেগুলোর সাফাই দেয়া হয়েছে এবং অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ উঠিয়ে নিয়েছে।

আজ পর্যন্ত এমন কোনো একাডেমিক পেলাম না যে ইউনুসের বিরুদ্ধে তার কুকর্ম সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। সমালোচনা যা করা হয় সেগুলোকে পরে আপডেটও করা হয় কিন্তু সেরকম শক্ত রেফারেন্সিং এবং যুক্তি সমেত কেউ দিতে পারেনি। পুরোনো রেকর্ডই বাজায় যে সম্রাজ্যবাদী শাসকের প্রতিনিধি।

তাই এসব রচনা যতই লেখা হোক না তা নীতিনির্ধারনী মহলে তেমন সমাদৃত কখনোই হবে না এমন আমজনতার মাঝে কখনোই আলোড়ন তৈরী করবে না।

আর বাস্তবতা? বাস্তবতা চোখের সামনে থাকা সত্বেও সেটা নিয়ে উপযুক্ত কাজ এখনো পর্যন্ত কেউ প্রতিষ্ঠিত আকারে করতে পারেনি দেখে মনে হচ্ছে যারা সমালোচনা করেন হয় তারা প্রোপাগান্ডা ছড়ান নাহলে তাদের ভিত্তিটা এই ক্ষেত্রে দুর্বল

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: এসব রচনা যতই লেখা হোক না তা নীতিনির্ধারনী মহলে তেমন সমাদৃত কখনোই হবে না এবং আমজনতার মাঝে কখনোই আলোড়ন তৈরী করবে না। - একমত,

আর সাংবাদিকদের রেফারেন্সিং - ই যখন ইউনুসের অবিরত সাফাই গাওয়ার বিপক্ষে খুব একটা দাড়াতে পারছে না, তখন ব্লগে আমার মত চুনোপুটি কতটুকু পারবে ? ব্লগে যারা লেখে তারা তো অনলাইনে পাওয়া তথ্যের উপরই লিখে, সরাসরি সোর্স থেকে তথ্য নিয়ে কজন আর পুষ্টাইতে পারে ! যাই হোক এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমি নিজেই জোবরা গ্রাম - হিলারী পল্লী যাব ভাবছি, আর কিছু প্রত্যক্ষ দর্শীর / ভুক্তভোগীর ভিডিও সাক্ষাৎকার নেওয়া যায় কি না দেখি।

জিপি দেশের সবচেয়ে বড়/ধনী কোম্পানী, যার একাংশের মালিক গ্রামীণ ব্যাংক, যার চেয়ারম্যান ইউনুস, তাই তার বিরূদ্ধে বড় ইনভেষ্টমেন্টের কোন মিডিয়া কিছু করে বিজনেস লস ঘটাবে বলে মনে হয় না ! হাজার হলেও এ্যড তো ওরাই বেশী দেয় । কথা বললে ফ্রী ফ্রী বলগানো লোকেরাই কিছু বলতে পারে ।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জিপির সাথে গ্রামীন ব্যাংকের সুসম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে যারা কথা বলেন তখন মনে হয় এসব মেধাহীন অজ্ঞতাপূর্ন কথা মানুষ কেন বলে আর না জেনে এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে কেন আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যায়।

কোনো কিছু নিয়ে যখন কেউ কথা বলে তখন যদি একের পর এক ভুল এবং না জেনে তথ্য প্রদান করে তখন সমগ্র বিষয়ের সমালোচনা করার অধিকার হারায়। কারন এতটা ভুল তথ্য সকল অডিয়েন্সকেই ভুল পথে ধাবিত করার প্রবনতা থাকে।

পল্লীফোনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এমআইটির একজন প্রফেসর তার নাম কাদের না কি যেনো ছিলো। উনি ড: ইউনুসের পাতানো ভাই। উনি গ্রামীন ফোনের কনসেপ্ট নিয়ে নানা জায়গায় ধরনা দিলে প্রযুক্তি ব্যাব হারের উপযোগীতার কারনে অনেকে ফিরিয়ে দিলেও টেলিনর লুফে নেয় এবং সিটিসেল যখন স্বদেশী ইস্ট ইন্ডিয়ার মতো এই প্রযুক্তি নিয়ে পুরো বাজার গিলে ফেলতে চাচ্ছিলো তখন টেলিনর লোকার ইনভেস্টর হিসেবে গ্রামীন ব্যাংকে বেছে নেয় কাদের সাহেবের বদৌলতে। পরে কাদের সাহেব তার শেয়ার গ্রামীন ব্যাংকের সাবসিডি গ্রামীন টেলিকমের কাছে বেচে দিয়ে আমেরিকায় পুরোপুরি চলে যান এবং এখন বর্তমানে এমআইটির পুরো একটা ফ্যাকাল্টি হেড।

জিপির টেলিনরের সাথে গ্রামীন টেলিকমের সম্পর্ক সাপে নেওলে বিবিধ কারনে। শেষ বার কাদের সাহেব আসলে এই সমস্যাটা সবার সামনেই চলে আসে। পরে শেয়ারের টানপোড়েন সহ নানা ব্যাপারের টেলিনরের সাথে জিপি সম্পর্ক ভালো না এর কারন ছিলো মাঠপর্যায়ে গ্রামীন টেলিকমের অকার্যকর ম্যানেজম্যান্ট।

টেলিনর ইউনুসের একজন স্পন্সর ছিলো শুধু একারনেই টেলিনর ইউনুসের এই কাজের প্যাটেন্ট বা কিছু কাজ নিজের মতো করে চালাচ্ছে যেমন সিএসআর কনসেপ্ট স হ ইত্যাদি। এছাড়া নোবেলের মতো একটা অংশীদারিত্বের লোভ কেউ সামলাতে পারেনি। তার বদলে গ্রামীন টেলিকমকে অনেকটা ছাড় দেয়। পুরোটাই ব্যাবসায়িক।

সেক্ষেত্রে ৪ দলীয় ঐক্যজোটের সময় গ্রামীন টেলিকম জিপির আরও শেয়ার পকেটস্হ করতে চায় যেটা পরে হয়ে ওঠেনি এটা নিয়েও সম্পর্ক খুব ভালো নেই। আর গ্রামীন ব্যাংকের বিরুদ্ধে লিখলে জিপির কিছু যায় আসে না আর অনেকেই বলে নোরাডের কাজটা অনেকটা টেলিনর ইশারা করেছিল বলে শুধু এ কারনেই যখন শেয়ার যুদ্ধে দৌড়ে গ্রামীন টেলিকম হেরে যায় তখন এটাই করে। পরে দেখা যায় ইউনুস সাহেব সেটা ভালোভাবেই সামলে নেন।

এসব না জেনে কন্সপিরেসী থিওরী কপচায় দেখেই ইউনুসের কাজের বিরুদ্ধে সমালোচনায় কেউ কর্নপাত করে না আর কখনো করবেও না।

আর আপনি বলেছেন ব্লগে যারা লেখে তাদের সোর্স সম্পর্কে। আপনি ভুল জানেন। আপনাকে কিছু ব্লগের নাম দেই সেখানে আপনি ঘুরে আসেন। দেখেন সেখানে কি সোর্স দেয়া হয়। এবং সেখানকার সোর্স অনুসারে যাই লেখা সেগুলো অনেকটা জার্নালের মতো হয়ে যায়। হাকাও পেপার থেকে অথবা ওয়েবসাইট থেকে কোনো লেখাই প্রতিষ্ঠিত কিছু হতে পারেনা। হতে পারে দুর্বল নাগরিক সাংবাদিকতা কিন্তু এই কনসেপ্ট এখনো যুদ্ধ করছে এবং কেবলমাত্র হাফিংপোস্টের মতো হাতে দুয়েকটা ছাড়া কেউ আগাতে পারেনি। তাই আপনার মতো এসব লেখা যারা লেখেন তাদেরকে বুঝতে হবে কিভাবে লিখলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, যতক্ষন না লিখছেন ততক্ষন এই কন্সপিরেসী থিওরী দিয়ে অশিক্ষিত বা হুজুগে জন গোষ্ঠিকে বোঝানো গেলেও মিথ্যে দিয়ে কোনো আন্দোলনই সফল হবে না। সবই হাসিনার বুলিসমই হয়ে যায়।

ব্লগ লিংক সমূহ:

http://www.math.columbia.edu/~woit/wordpress/ (রেফারেন্সে পাবলিকেশন পেপার, লেকচার, বই এবং বিশেষজ্ঞ লেভেলের সাক্ষাৎকার)
http://phys.org/ (পুরোটাই জার্নাল নির্ভর)
http://blog.ted.com/tag/cosmology/


আরও অনেক দেয়া যায় এবং এসব ব্লগ থেকে আমরা অনেক অজানা আবিষ্কার সম্পর্কেই জানতে পারি। এরা যা লেখে সেগুলোই আগামীতে অনেক প্রতিষ্ঠিত সত্যের জন্য কাজ করে।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানলাম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.