নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গায়েবানা জানাজা রসুলের আদর্শে নেই, মৌদুদীর আদর্শে আছে !

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

আর রসুল কোন কাজ জীবনে এক দুইবার করলে সেটা রসুলের আদর্শ হয় না। সহিহ হাদীসে আছে রসুল দাড়িয়ে পেশাব করেছেন ( একবার - একটা বর্ননাই এসেছে ), সেটা আদর্শ হয় নি । ইসলামী আন্দোলনের স্বার্থে কি দাড়িয়ে পেশাব করা চালু করতে হবে ? সেটা রসুলের আদর্শ হবে না মউদুদীর আদর্শ হবে ?



রসুলের আদর্শ সেটাই যেটা সাহাবারা গ্রহণ করেছেন । কোন সাহাবী রসুলের গায়েবানা জানাজা পরেন নি, কোন সাহাবার গায়েবানা জানাজাও রসুল ও সাহাবারা পড়েন নি । রসুলের চাচাত ভাই জাফর পালক ছেলে জায়েদ, মুতায় শহিদ হয়েছেন, গায়েবানা জানাজা পড়েন নি ! বীরে মাউনায় ৭০ জন সাহাবী নির্মম ভাবে কাফেরদের হাতে শহীদ হয়, জানাজা পড়ার কেউ ছিল না, রসুল গায়েবানা জানাজা পরেন নি!



গায়েবানা জানাজা জায়েজ না না জায়েজ তা থেকে বড় কথা এটা রসুলের আদর্শ না । আজান দেওয়া রসুলের আদর্শ । আজান ছাড়া নামাজ পড়লে নামাজ হবে, জায়েজ না নাজায়েয সেটা অন্য বিষয় ।



বিশেষ প্রয়োজনে মরা খাওয়া জায়েজ ( জীবনের আশংকা থাকলে), এজন্য কেউ বলবে না মরা খাওয়া ইসলামের আদর্শ। একই ভাবে জায়গা না পেলে মসজিদে জানাজা পড়া জায়েজ, এটা আদর্শ না, সুন্নত না । দাড়িয়ে পেশাব করা প্রয়োজনে জায়েজ, এটা ইসলামের আদর্শ না।



গায়েবানা জানাযা হালাল করতে যারা ফাতওয়া উদগীরণ করছেন? আপনাদের উদ্দেশ্য কী? ইসলাম কায়েম করা ? না রসুলের আদর্শ ধংস করা ? ইসলাম কায়েম করতে কি রসুলের আদর্শ ধংস করা ফরজ ? তবে মৌদুদী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্য রসুলের আদর্শ ধংস করা ফরজ !



গায়েবানা জানাজাকে নাজায়েজ বলেছেন, মাজহাবের ইমামরা । কেউ কেউ জায়েজ বলেছেন জানাজা না হওয়ার শর্তে । জানাজা পড়ার পরও গায়েবানা জানাজা জায়েজ বলেন নি কেউ ই! বারবার -অবিরত জানাজা কেও জায়েজ বলেন নি কেউ ! অথচ মৌদুদী - কাদের মোল্লা এদের জানাজা বারবার হচ্ছে, গায়েবানা জানাজা বারবার হচ্ছে !



ভাই , আপনি কি রসুলের গায়েবানা জানাজা পড়েছেন ? পড়বেন ?? না শুধু কাদের মোল্লা আর মৌদুদীর জানাজাই গায়েবানা তরীকায় পড়বেন ? ?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

চিটির বাক্স বলেছেন: ভাই আপনার কথায় পরিষ্কার যে গায়েবানা জানাযা পড়া যায়। আপনি বলেছেন "আর রসুল কোন কাজ জীবনে এক দুইবার করলে সেটা রসুলের আদর্শ হয় না। সহিহ হাদীসে আছে রসুল দাড়িয়ে পেশাব করেছেন ( একবার - একটা বর্ননাই এসেছে ), সেটা আদর্শ হয় নি ।" রাসুল (স) যে কাজ একবার করেছে সেই কাজ আমাদের জন্য ১০০% যায়েজ যদি না তিনি পরবর্তিতে নিষেধ না করে থাকেন। যায়েজ করার জন্য একাধিক বার করতে হবে বা বলতে হবে সেটা ঠিক নয়..অসংখ্য হাদিস আছে যা তিনি একবারই বলেছেন, একাধীকবার নয়। হা আপনি বলতে পারেন করতেই হবে (সুন্ণাতে মু-আক্কাদা) তেমন হয়ত নয়।

যা রাসুল (স) জীবনে একবার করেছেন তা আমাদের জন্য অবশ্যই যায়েজ তবে হা সুন্ণাতে মু-আক্কাদা নয় এমনকি না করলে পাপ ও হবেনা এবং করলে ও কোন ক্ষতি নেই।

আপনার কথায় যদি বলি, সহিহ হাদীসে আছে রসুল দাড়িয়ে পেশাব করেছেন ( একবার - একটা বর্ননাই এসেছে ), তাইলে দাড়িয়ে পেশাব করা না যায়েজ নয় তবে হা উত্তম হল বসে করা। ঠিক তেমনি যদি তিনি জীবনে একবারও পড়ে থাকেন গায়েবালা জানাযা তবে তা পড়া জায়েয তবে হা অতীব উত্তম কিছু না।

ভাই রাসুল(স) কে এত ভালবাসেন, এত মেনে চলেন!! আপনার লিখায় 'রাসুল' লিখা পেয়েছি অসংখ্যবার তবে একবারও পেলাম না (স) এইটাও কি???? আল্লাহ মাফ করুন।

দয়া করে এইভাবে বিভেদ সৃষ্টী করবেন না, সঠিক ভাবে উপস্হাপন করাই ইসলামের আদর্শ, আল্লাহ সবাইকে মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জী আপনি এবং আপনার নেতারা যে শরীয়ত পয়দা করেন - মন্তব্যেই তা প্রমাণ করলেন । আবু হানিফা - মালেক, শাফেয়ী , আহমাদ ইবনে হাম্বাল সহ তাদের কোটি কোটি অনুসারীদের বলদ মনে করেন নাকি ?

যে ব্যাক্তির একবার জানাজা হয়েছে তার গায়েবানা জানাজা পড়া সবার মতেই নাজায়েজ , রসুল জীবনেও একাজ করেন নি । তবে ধর্ম বিকৃতকারী মউদুদী ও তার চেলাদের কথা আলদা । রসুলের আদর্শ ধংস করাই তাদের কাজ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ইসলামের আদর্শ দিনকে দিন পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কিছু পয়সা লোভী মৌলবী আর ধর্ম ব্যবসায়ীরা ইসলামের আদর্শকে নষ্ট করছে।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

এম এ কাশেম বলেছেন: মোনাফেকের কাজ হলো ইসলামের মধ্যে ফেৎনার সৃষ্টে করা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মোনাফেকের কাজ হলো ইসলামের মধ্যে ফেৎনার সৃষ্টে করা। যেমন মৌদুদী করেছে । গায়েবানা জানাজা ছাড়াও ইসলামের আন্দোলন করার অনেক তরীকা আছে, তাহলে শরীয়ত ধংস করার কি দরকার ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.