নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরয়ী পর্দায় কি মুখ ঢাকা জরুরী?

০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

প্রশ্ন



জনাব, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই মুখ খোলা বোরখা পরে, আর আমাদের উপমহাদেশে নেকাব , হাতমোজা, পা মোজা. . . আরো কত কি! এটা কি বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিনা?



যদি এগুলো না পরলে পর্দা না হয় তবে কি আরব রা কোরআন হাদিস জানে না? নাকি জেনেও মানে না.



Tareque, ময়মনসিংহ।



উত্তর



بسم الله الرحمن الرحيم



আমাদের কাছে দলীল আরব রাষ্ট্র নয়। দলীল কুরআন ও সুন্নাহ এবং কুরআন সুন্নাহ থেকে ইজতিহাদকৃত ফুক্বাহায়ে কেরাম ফিক্বহ।



সুতরাং কোন দেশের মানুষ কি আমল করে? কি করছে না? সেটি কোন মুসলিমের কাছে বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। বিবেচ্য হল কুরআন-সুন্নাহ এবং কুরআন-সুন্নাহ থেকে নির্গত ফিক্বহে ইসলামী।



ইসলামী পর্দা



কুরআনে কারীমের সাত আয়াত এবং হাদীসের প্রায় ৭০টি বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, ইসলামী শরীয়তে মূল মাকসাদ এমন পর্দা, যার দ্বারা মহিলাদের চলাফেরা, তার পোশাক, তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের কিছুই বেগানা পুরুষের দৃষ্টিগোচর হবে না।



এমন পর্দা পর্দাবৃত বাড়ি এবং সংশ্লিষ্ট পর্দার দ্বারাই সম্ভব। এটাই মহিলাদের আসল স্থান। এটিই পর্দার প্রথম স্তর। যা পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে।







وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى



আর তোমরা অবস্থান কর তোমার বসবাসের গৃহে। নিজেদের মুর্খতার যুগের মহিলাদের মত প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩৩}



এ আয়াত কি প্রকাশ করছে?



শুধু কাপড় চোপড় দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখাকেই যথেষ্ট মনে করবে না, বরং এমনভাবে পর্দা করবে যে, শরীরসহ কাপড়ও যেন পরপুরুষের সামনে প্রকাশিত না হয়। যেন কোন পরপুরুষের নজরই নারীর উপর নিবদ্ধ না হতে পারে। তবে প্রয়োজনের বিষয়টি ভিন্ন। তখন প্রয়োজনে বাহিরে যেতে পারবে।







وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ



অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}



বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)



নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ হলেন সকল মুমিনের মা। অথচ তাঁদের সাথেই লেনদেন বা কথা-বার্তা বলতে হলে পর্দার আড়াল থেকে করতে বলা হয়েছে। তাহলে অন্যান্য সাধারণ বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে হুকুমটি কত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত তা তো সহজেই অনুমেয়।



লক্ষ্য করুন!



প্রথম আয়াতের মাঝে মহিলাদের ঘর থেকে বের হতেই নিষেধ করা হয়েছে প্রয়োজন ছাড়া। আর দ্বিতীয় আয়াতে যদি কোন পরপুরুষের মহিলাদের কাছে কোন চাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে চাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



এই হল পর্দা বিষয়ক প্রথম নির্দেশনামূলক আয়াত।



দ্বিতীয় নির্দেশনামূলক আয়াত ও হুকুম



প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে পর্দার সাথে।



সেই পর্দার পরিমাণ কতটুকু?



ঘরে যেভাবে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই বাহিরে বের হতে চেষ্টা করবে এমন নির্দেশনা থাকাই কি যৌক্তিক নয়? যেখানে ঘর থেকে বের হতেই নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে বাহিরে চেহারার সৌন্দর্য প্রকাশ করে বের হওয়ার অনুমতি কিভাবে দেয়া হতে পারে?



এ কারণেই নির্দেশনা এসেছে যে, এমন বড় কাপড় সারা শরীরে আবৃত করে বের হবে যে, শরীরের কোন অংশ বাহিরে প্রকাশিত না হয়। চেহারা, হাত-পা, মোটকথা, শরীরের কোন অংশ ও সাজগোজের সরঞ্জাম প্রকাশিত যেন না হয়।



রাস্তা দেখার জন্য শুধু চোখ খোলা রাখবে। বা চোখের সামনে নেট লাগিয়ে নিবে। যাতে করে রাস্তা দেখা যায়। এটাই শরয়ী পর্দা।



পর্দার প্রথম স্তরের মতই দ্বিতীয় স্তরের ব্যাপারেও সকল বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন।



দ্বিতীয় স্তরের নির্দেশনা সম্বলিত আয়াত-



يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا (59)



হে নবী! আপনি আপনার পতœীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। [মাথার দিক থেকে] এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। {সূরা আহযাব-৫৯}



এ আয়াতে মহিলাদের জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার পদ্ধতি শিখানো হয়েছে। কোন প্রয়োজনীয় কারণে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ও পর্দাহীন হবে না। বরং সে সময়ও স্বীয় চেহারার উপর পর্দা টেনে নিবে। যাতে করে চেহারা কারো দৃষ্টিগোচর না হয়।



কুরআনে কারীমে এমন স্পষ্ট শব্দে চেহারার উপর চাদর টেনে নেয়ার নির্দেশ থাকা সত্বেও ভিন্ন বক্তব্য দেয়ার কি সুযোগ আছে? যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, চেহারার উপর চাদর টেনে নিবে। যাতে করে কেউ তার চেহারা দেখতে না পারে। সেখানে মুখ খুলে রাখার সুযোগ থাকার কথা কিভাবে বলা যায়? এটি কি কুরআনের আয়াতের সরাসরি খেলাফ হচ্ছে না?



উক্ত আয়াতের কারণেই মুখ ঢেকে রাখা মুসলিম নারীদের উপর ফরজ হয়েছে। এর বিপরীত করা জায়েজ নয়।



এই পর্দাই ইসলামের শুরু যুগ থেকে নিয়ে আজো পর্যন্ত দ্বীনদার মুসলিমদের মাঝে জারি আছে।



কয়েকটি হাদীস দেখা যেতে পারে-







عَنْ عَبْدِ الْخَبِيرِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَالُ لَهَا أُمُّ خَلَّادٍ وَهِيَ مُنْتَقِبَةٌ، تَسْأَلُ عَنِ ابْنِهَا، وَهُوَ مَقْتُولٌ، فَقَالَ لَهَا بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: جِئْتِ تَسْأَلِينَ عَنِ ابْنِكِ وَأَنْتِ مُنْتَقِبَةٌ؟ فَقَالَتْ: إِنْ أُرْزَأَ ابْنِي فَلَنْ أُرْزَأَ حَيَائِي،



হযরত আব্দুল খায়ের বিন সাবেত বিন কায়েস বিন শাম্মাস তার পিতা, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা এক মহিলা রাসূল সাঃ এর কাছে এলেন। যাকে উম্মে খাল্লাদ বলা হয়। তিনি এমতাবস্থায় এলেন যে, তার চেহারা পর্দাবৃত ছিল। সে এসে তার নিহত সন্তানের ব্যাপারে অভিযোগ জানায়। তখন কতিপয় সাহাবী তাকে বলেন, “তুমি তোমার ছেলের ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করতে এসেছে, তারপরও তুমি পর্দাবৃত হয়ে এলে?” তখন উম্মে খাল্লাদ বলেন, যদিও আমার ছেলের উপর বিপদ এসেছে, এর মানেতো আমার লজ্জা শরমেরও বিপদ আসেনি। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪৮৮}



আরেক বর্ণনায় এসেছে-



عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ: ” لَمَّا نَزَلَتْ: {يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ} [الأحزاب: 59]، خَرَجَ نِسَاءُ الْأَنْصَارِ كَأَنَّ عَلَى رُءُوسِهِنَّ الْغِرْبَانَ مِنَ الأَكْسِيَةِ “



إسناده قوي. ابن خثيم -وهو عبد الله بن عثمان- لا بأس به. ابن ثور: هو محمد بن ثور الصنعاني، ومحمد بن عُبيد: هو ابن حِساب الغُبَري.



وأخرجه ابن أبي حاتم في “تفسيره” كما في “تفسير ابن كثير” 6/ 48 – 49 من طريق الزنجي مسلم بن خالد، عن عبد الله بن عثمان بن خثيم، به مطولاً.



হযরত উম্মে সালামা রাঃ বলেন, যখন কুরআনে কারীমের এ আয়াত يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ



তথা “তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। [মাথার দিক থেকে]” -সূরা আহযাব-৫৯} নাজিল হয়, তখন আনসারী মহিলারা স্বীয় ঘর থেকে এমনভাবে বের হতো যেন তাদের মাথায় কাক বসে আছে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১০১}



হযরত মুফতী শফী রহঃ “আহকামুল কুরআন” গ্রন্থে লিখেন যে,



فى هذه الآية دلالة على أن المرأة الشابة مأمورة بستر وجهها من الأجنبيين



এ আয়াত একথা বুঝাচ্ছে যে, যুবতী মেয়েরা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এমনভাবে বের হবে যেন তাদের চেহারা পরপুরুষের সামনে প্রকাশিত না হয়। {আহকামুল কুরআন-৩/১৪৫৮}



عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ، فَإِذَا خَرَجَتْ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ.



হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, নারী জাতি হল আপাদমস্তক সতর। যখনি সে বের হয়, তখনি শয়তান তাকে চমৎকৃত করে তোলে। {সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৭৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২০৬৫, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৯৮}



অন্য বর্ণনায় এসেছে-



عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّهَا كَانَتْ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَهِيَ مُنْتَقِبَةً»



হযরত আয়শা সিদ্দিকা রাঃ বাইতুল্লাহ তওয়াফ করতেন পর্দাবৃত অবস্থায়। {মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৮৮৫৯}



পর্দা পরপুরুষের সাথে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সৌন্দর্যমন্ডিত বস্তুও লুকানোও ফরজ।



কুরআনে কারীমে নির্দেশ এসেছে-



وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ [٢٤:٣١]



ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে {সূরা নূর-৩১}



এ আয়াতে স্পষ্টভাষায় সৌন্দর্যকে লুকাতে আদেশ দেয়া হয়েছে। যেটা হল পর্দা করার মূল হাকীকত।



কিন্তুযা “সাধারণতঃ প্রকাশমান” বলে চেহারা ও হাত উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। যা তীব্র প্রয়োজনের সময় যেমন প্রচন্ড ভীর, আদালতে সাক্ষ্য প্রদান ইত্যাদি প্রয়োজনে খোলা জায়েজ আছে।



এ দুটি বিষয়কে পৃথক করা হয়েছে সতর থেকে। পর্দা থেকে নয়। অর্থাৎ এ দুটি অংশ সতরের অন্তর্ভূক্ত নয়। কিন্তু পর্দার অন্তর্ভূক্ত। এ কারণেই নামাযরত অবস্থায় হাত ও মুখ এবং পা ঢাকতে হয় না। এসব খোলা রেখেই নামায হয়ে যায়। কারণ এসব সতর নয়। আর নামাযে সতর ঢাকা ফরজ।



কিন্তু বাহিরে বের হওয়ার সময় যেহেতু সতরের সাথে সাথে পর্দা রক্ষা করাও ফরজ, এসব ঢেকে রাখা ফরজ।



মোটকথা হল এই যে, মহিলাদের জন্য এটি কিছুতেই জায়েজ নয় যে, খোলা বাজারে তারা মুখ খুলে ঘুরে বেড়াবে। নিজের সৌন্দর্য মানুষকে দেখিয়ে বেড়াবে। যেহেতু সৌন্দর্যের মূলই হল চেহারা। চেহারা দেখেই মূলত সৌন্দর্যের মাপকাঠি নির্ধারণ হয়ে থাকে। সুতরাং এটি প্রদর্শন কিভাবে জায়েজ হতে পারে?



এ কারণেই ইসলামী শরীয়ত জিনার দরজা বন্ধ করার জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলাকে হারাম সাব্যস্ত করেছে।



আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ আয়াতাংশের অধীনে লেখেনঃ



{وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا مَا ظَهَرَ مِنْهَا} أَيْ: لَا يُظهرْنَ شَيْئًا مِنَ الزِّينَةِ لِلْأَجَانِبِ، إِلَّا مَا لَا يُمْكِنُ إِخْفَاؤُهُ.



“যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে” মানে হল, পরপুরুষের সামনে সৌন্দর্যের কোন কিছুই প্রকাশ করবে না, তবে যা লুকানো সম্ভব হয় না তা ভিন্ন। {তাফসীরে ইবনে কাসীর-৬/৪১}



উপরোক্ত বিস্তারিত আলোচনা জানা যাচ্ছে যে, মহিলাদের পর্দার যে হুকুম দেয়া হয়েছে, তাতে চেহারাও দাখিল। শুধু তাই নয়, মূলত আসল হুকুম চেহারা ঢাকার উপরই। কারণ চেহারাই সৌন্দর্যতার মূল। সেই সাথে মহিলাদের উত্তম পোশাক, পরিহিত সাজ সরঞ্জামও দাখিল।



আর চেহারা ও পোশাক-আশাকের পর্দা রক্ষা প্রচলিত বোরকা বা এজাতীয় কাপড় দ্বারা অর্জিত হয়ে থাকে।



এ কারনৈ মুসলিম নারীদের জন্য পর্দার ফরজিয়্যাত আদায় করার জন্য বোরকা বা এ জাতীয় শরীর ঢেকে থাকে এমন পর্দাযুক্ত কাপড় পরিধান করা জরুরী।



এ কারণেই পবিত্র কুরআনে প্রথমে মহিলাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি কোন প্রয়োজনে বের হয়ও, তাহলে বোরকা বা এ জাতীয় কাপড় দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নিতে বলা হয়েছে।



তবে ৩টি সূরত এ নির্দেশনা থেকে পৃথক। যথা-



১- এমন প্রয়োজন যাতে করে চেহারা ঢাকলে নিজের ক্ষতি হবে। যেমন ভীরের মাঝে চলার সময়।



২- এমন প্রয়োজন যাতে চেহারা ঢাকা থাকলে অন্যের ক্ষতি হবে। যেমন সাক্ষ্য প্রদান করার সময়।



৩- কাজ করা, বা কর্মক্ষেত্রে ডিউটি করার সময় অনিচ্ছায় চেহারা খুলে গেলে। এতে গোনাহ হবে না।



তবে এ তিন সূরতের ক্ষেত্রেই পুরুষদের জন্য বিধান হল, তারা নিজেদের চোখকে নিচু করে রাখবে। মহিলাটির দিকে তাকিয়ে থাকবে না। মহিলার দিকে দেখা তার জন্য হারাম।



চেহারা ঢেকে রাখার বিধানটি যুবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নতুবা বৃদ্ধ নারীদের জন্য চেহারা বা হাত খোলার সুযোগ সম্বলিত অন্য আয়াতে বিদ্যমান রয়েছে।



উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা আশা করি একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মহিলাদের জন্য পরপুরুষের সামনে মুখ হাত খোলা রাখা আমভাবে জায়েজ বলা শরীয়ত সম্মত নয়। বরং চেহারা ও হাত খোলার সুযোগ নির্দিষ্ট কিছু সূরতের সাথে খাস। সেসব বিশেষ সূরত ছাড়া বেগানা পুরুষদের সামনে হাত মুখ খোলা কিছুতেই জায়েজ নয়।



ব্যক্তি বা এলাকার আমল পালনীয় নয়। পালনীয় আল্লাহ ও তার রাসূল সাঃ এর নির্দেশনা।



সুতরাং যারা কুরআনে স্পষ্ট এ নির্দেশনার অপব্যাখ্যা করছে তাদের জন্য হেদায়াতের দুআ। এসব অপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা প্রতিটি মুসলমানের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করা উচিত। এক হল দ্বীন না মানা, আরেক হল দ্বীনের বিধানটিই অস্বিকার করা। দু’টি দুই জিনিস।



দ্বীন না মানার গোনাহ থেকে দ্বীনী বিষয়কে অস্বিকার করা মারাত্মক গোনাহ। ক্ষেত্রে বিশেষে তা কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তাই এসব অপপ্রচারের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত সকল মুসলমানদের।



আল্লাহ তাআলা আমাদের হককে হক বুঝার, এবং বাতিলকে বাতিল বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।



والله اعلم بالصواب



উত্তর লিখনে



লুৎফুর রহমান ফরায়েজী



সহকারী মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া-ঢাকা



ইমেইল[email protected]



[email protected]

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: http://jamiatulasad.com/?p=2974

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৮

উজবুক ইশতি বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুন

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২০

নতুন বলেছেন: মেয়েদের শ্বালীন পোষাখ পরলেই তো হয়.... পুরা হাত+পা মোজা... কালো চশমা সহ পুরু ঢাকতে কোথাও বলা হয়েছে?????

ইসলামে কখনোই জুলুম হয় এমন নিয়ম থাকতে পারেনা.... যারা ব্যক্ষ্যা করেছে তারাই সবকিছু ঢাকতে বলেছে....

নিচের ছবিটি দেখুন.... এই রকমের পদা`য় নারীর সাধারন মানুষের মতন পানি খাবার অধিকারও নাই.....

এই রকমের পদা` অবশ্যই ধীরে ধীরে নারীকে পদা` থেকে দুরে ঠেলে দেবে....

বাড়া বাড়ী কখনোই ভাল না...

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ইসলাম কি মেয়েদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখতে বলেছে ? না প্রকাশ করতে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২১

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আমার 'স্ত্রী - মেয়ে' রা বাসার বাইরে খেতে হলে তো নেকাব দিয়ে ঢাকা অবস্হায়ই খাওয়া- দাওয়া করে, চোখ - হাত বের করে না, তারা কি ধীরে ধীরে পর্দা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে ?

আমার আত্মীয়রা অনেকে পর্দা করে অনেক করে না । আমার মেয়েরা বাসার বাইরে চেহারা খুলে খাওয়া দাওয়া করলে কি সব আত্মীয়রা পর্দা করা শুরু করবে ?

নাকি চেহারা ঢেকে রাখার কারণে অন্যান্য আত্মীয়রা যারা অন্যভাবে পর্দা করত তারা পর্দা ছেড়ে দিয়েছে ?

আর ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসীদের, পর্দা তো নিজেকে করতে হবে, ধর্মীয় কারণে করতে হবে। তাই পর্দা তো ধর্ম যেভাবে বলেছে সেভাবেই করতে হবে, লোকজনকে খুশী করার জন্য ধর্মীয় বিধান পালন করা কতটুকু ধার্মিকতা ?

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আল-কোরানেও স্পষ্ট ভাবে মূখ খোলা অবস্থায় পর্দা করার নির্দেশ সুনির্দিষ্ট ভাবে বর্ননা করা হয়েছে - কোথাও হেজাব বা বোর্খার কথা বলা নেই
এখানে দেখুন
আল্লাহ কোরানে বলেছেন

সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।
এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"।

এখানে তাদের পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর মানে দেহের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে, মুখ বা মাথা বেধে রাখতেও বলেনি।
(আপনি বুঝালেন চেহারা আটকাতে বলেছে!)
এখানে পরিষ্কার সুস্পষ্ট ভাবে সব বলা হয়েছে আলাদা কোন চাদর, হেজাব, বোরখা চাপিয়ে দিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
মুখ ঢেকে রাখতে বলেনি, বরং চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় সেভাবেই দেহে কাপড় টেনে নিতে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।
অন্য একটি আয়াতে বয়ষ্কদের (মা, খালা দাদি,নানি যাদের বিয়ের সম্ভাবনা নেই) দেহে কাপড় টেনে নেয়া ছাড় দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট ভাবেই!


পবিত্র কোরানের এসব আয়াতকে হাদিসের দ্বারা উলটে দেয়া যায় না। হজরত মহাম্মদ (স) একাদিক বার হাদিস নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন, কোরান ফলো করতে বলেছেন।

ইসলামে ছদ্দবেশধারন বা পরিচয় গোপন নিষিদ্ধ। আলাদা কাপড় বা হুড দিয়ে আপাদমস্তক আটকালে এটা ছদ্দবেশধারনের বা পরিচয় গোপনের সামিল হয়ে যায়।

হজরত মহাম্মদ (স) আমলে মুখ খোলা পোষাকই চালু ছিল।
সে কারনে হজের সময় মুখ খোলা পোষাক প্রচলিত আছে আজো। হজে বা ওমরাতে সকল মহিলা মুখ খোলা রেখেই পুরুষদের সাথে মিলেমিসে হজের সকল পর্ব সম্পন্ন করে। ইসলাম অনেক উদার, এটাই মোক্ষম প্রমান।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১২

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: রসুলের পবিত্র বিবিরা কি চেহারা ঢেকে রখতেন না খুলে রাখতেন ?
ওনারা কি কুরাণ মানতেন ? না বাড়াবাড়ি করতেন ?

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পোষ্ট পড়েছেন ?

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

আর তোমরা অবস্থান কর তোমার বসবাসের গৃহে। নিজেদের মুর্খতার যুগের মহিলাদের মত প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩৩}

এ আয়াত কি প্রকাশ করছে?

আর আপনি তো আয়াতের ভুল অর্থ ও ব্যক্ষা দিলেন, ইসলামের বিধি মতে দাসীরা চেহারা ঢেকে না, স্বাধীন ও সন্মাণিত মেয়েরা নেকাব দিয়ে চেহারা ঢেকে রাখে । তাই নেকাব দেখে বুঝা যায় যে তিনি একজন সন্মানিত নারী । এটাই চেহারা ঢাকার দ্বারা চিনার উপায়।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

মুঘল সম্রাট বলেছেন: পর্দা বিষয়ক এই পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। লেখককে অনেক ধন্যবাদ!


আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সা: ) আল্লাহর রাসুল।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সা: ) আল্লাহর রাসুল।

আর ধর্ম আল্লাহ - রসুলের নির্দেশিত পথে, অন্য পথে না !

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমিতো কোথাও নারীদের ঘরের বাইরে বসবাস করার কথা বলিনি। প্রয়জন ছাড়া এদেশের মেয়েরা বাইরে থাকেনা।

{সূরা নূর-৩১}
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গ সমুহ ঢেকে রাখে তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের আচল বক্ষ দেশে ফেলে রাখে।

(তাহলে প্রকাশমান কিছুএকটা আছে)

এখানে দৃষ্টি নত রাখতে বলেছে। ঢাকতে বলেনি।
বুক ঢাকতে বলেছে, মুখ নয় অবস্যই।
এই আয়াতে বলছে দেহের কিছু অংশ (হাত,মুখ,পায়ের পাতা) প্রকাশমান থাকে।
আপনি বলছেন কিছুই খোলা রাখা যাবে না, সবই ঢেকে রাখতে হবে!


পবিত্র কোরান ও হাদিসে মুসলিমদের পোষাক নির্দিষ্ট করে দেয়া কোন কথা নেই। বিধর্মি কোরাইশ-বেদুইনদের প্রচলিত পোষাকই চালু ছিল। ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের বা ছেলেদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই।

পায়জামা, পাঞ্জাবী, ওড়না, এগুলো মুলত ভারতীয় (সাউত এশিয়ান) পোষাক।
জিলবাব কে এপ্রোন বা বোরখা বোঝানোর প্রশ্নই আসে না, কারন মধ্যআরব অঞ্চলটিতে সেযুগে খুব ধনী অভিজাত ছাড়া সেলাই করা কাপড়ের প্রচলন ছিল না। ছেলেরাও ৩টি চাদর জাতীয় পোষাক পরতো তৃতীয় চাদর দিয়ে পাগড়ী বানাতো রোদ থেকে বাঁচার জন্য। বিধর্মি কোরাইশরাও এইধরনের পোষাকই পরত।
হ্যা, সবধর্মের মেয়েরা মরুভুমিতে হাঁটার সময় তীব্র রোদ ও ধুলিঝড় থেকে রক্ষা করতে মুখমন্ডল সহ আপাদমস্তক ঢেকে চলত, সেটা ধর্ম পালন করার জন্য নয় অবশ্যই। রোদ ও ধুলিঝড় থেকে রক্ষা করতে পুরুষরাও আপাদমস্তক ঢেকে চলত। নরমাল সময়ে মুখ খোলা রাখতো। এটাই আরব রীতি।

আরবদের মরুভুমিতে চলার স্টাইল কাটমোল্লারা ইসলামি আইন বানিয়ে ফেলেছে।
আল্লাহ পবিত্র কোরানে একাধিক সুরাতে সব স্পষ্ট করে বলা হলেও কাটমোল্লারা হাদিসের বিভ্রান্তকর ব্যাখ্যা দিয়ে তা মানছে না।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: যা সাধারণতঃ প্রকাশমান - wrong translation . এই অনুবাদ কৈ পাইলেন ?

রসুলের পবিত্র বিবিরা কি চেহারা ঢেকে রখতেন না খুলে রাখতেন? ওনারা কি কুরাণ মানতেন? না বাড়াবাড়ি করতেন ?

-এটার উত্তর দিলেন না ?

আপনি কি পর্দা বিরোধী ? না চেহারা ধাকা বিরোধী ? আপনি কি পর্দা করা সমর্থন করেন ?

পিছলাবেন না আশা করি .

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাকে পর্দা বিরোধী বা ইসলাম বিরোধী বলে ভেবে বসে থাকলে ভুল হবে।

আল-কোরানের ৩টি পৃন্টেড ভার্শান সহ সবকটি বংগানুবাদের পর্যালচনা করে দেখেছি।
{সূরা নূর-৩১} মুল কথা হচ্ছে -

দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গ সমুহ ঢেকে রাখে।
অংগশোভা প্রদর্শন না করে।
প্রকাশযোগ্য অংশ বাদে অন্যান্ন অংশ ভালভাবে ঢেকে রাখে
তারা যেন তাদের আচল বক্ষদেশে ফেলে রাখে।


এখানে বক্ষদেশের কথা সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, মাথা বা মুখমন্ডলের কথা বলা হয় নি।
কারনটা আগের অংশেই বলা হয়েছে, এসব প্রকাশযোগ্য অংশ। সে আমলে সেটাই আরব অঞ্চলের স্বাভাবিক সংস্কৃতি।

আল-কোরানের এত স্পষ্ট একটি আয়াতকে অস্বীকার বা অপব্যাখ্যা দিলে অন্যায় হবে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: বানায় বানায় অনুবাদ দিলে অনেক কথা বলা যায় ।

আগের মন্তব্যে বানানো কথা ছিল : " যা সাধারণত প্রকাশমান " ,

তাদের যৌন অঙ্গ সমুহ ঢেকে রাখে : এটাও আপনার/আপনাদের বানানো।

এই মন্তব্যে " অংগশোভা প্রদর্শন না করে।" এটাও আপনার/আপনাদের বানানো।

আপনি ইচ্ছা করে বানিয়ে বানিয়ে কুরাণ বলছেন, না বুঝতেই অক্ষম ?

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বংগানুবাদ তো কেউ না কেউ করবেই।
অনুবাদ তো বানানোই হবে।

" অংগশোভা প্রদর্শন না করে।" এটা মুল বই থেকে নিয়ে লেখা হয়েছে। (হরফ প্রকাশনী)

কোরানের এত স্পষ্ট একটি আয়াতকে অস্বীকার করলে নাফরমানি হবে।

কোরানের আরেকটি আয়াতেও মুখ বা মাথা ঢাকতে বলেনি।
সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।
এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু"।

কোরানে কোথাও মুখ ঢাকতে বলা হয়নি। আপনি পারলে প্রমান দেখান।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: অনুবাদ তো বানানোই হবে। বানাতে গিয়ে মুল বক্তব্যই বদলে দিলেন !

যৌন অঙ্গ সমুহ ঢেকে রাখে - এইটা কৈ পাইলেন ? আল্লাহ তায়ালা কি ঢাকতে বলেছেন ?
" ঢাকা"র বিষয়টা যেখানে এসেছে "অনুবাদ" এর নামে এর মাঝে " যৌন অঙ্গ " ঢুকায় দিলেন! ভাই আপনি পারেন ও !

" যৌন অঙ্গ সমুহ ঢেকে রাখে" তাহলে নাভী - উরু ঢাকতে হবে না, কি বলেন ? আর চাদর তো শুধু বুকের উপর, নাকি ? উরু খোলা থাকুক, কি বলেন ? উরু ঢাকতে তো কোথাও বলা হয় নি !

ভাই কোরাণ বানাতে শুরু করলেন কবে ?

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০০

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: সাইবার ভাই আপনার উত্তর শুনে হাসতেছি। অনেক জটিল একটা উত্তর দিলেন।

ঠিকই তো কালবৈশাখীর মতে যে সমস্ত মেয়েরা ব্রা আর পেন্টি পইরা থাকে তাদের পর্দাই আসল পর্দা কারন এতে যৌনাঙ্গ এবং বুক ঢাকা থাকে।

কই থেইকা যে এই রকম বেক্কেল শাহের মুরিদ আসে

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: একটা দল ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে রাস্তায় রাস্তায়, মোড়ে মোড়ে চন্দ্রপাড়া, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগীদের ব্যানার - ফেস্টুন - প্ল্যাকার্ড, পোষ্টারে, ভরে যায়! কোটি কোটি টাকার প্রচারণা । ওনারা কি বলে জানেন ?

" মনের পর্দাই বড় পর্দা "


১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০২

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: একটা কথা আছে মানলে তাল গাছ আর না মানলে *** গাছ।

নিজে মানব না ভাল কথা তার জন্য এত এত খোড়া যুক্তি দ্বার করানো আসলেই মূর্খতার শামিল।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পবিত্র কোরাণ শরীফে আছে : অনেক লোক কুরাণের দ্বারা গোমরাহ হয়, অনেক লোক হেদায়েত পায়, তবে ফাসেক ছাড়া কেউ কোরাণের দ্বারা গোমরাহ হয় না !

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই...

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাই আপনাকেও আল্লাহ তায়ালা জাজায়ে খায়ের দান করুন, আমিন ।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

Md Abdullah Al Maruf বলেছেন: يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا (59)

হে নবী! আপনি আপনার পতœীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। [মাথার দিক থেকে] এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। {সূরা আহযাব-৫৯}

[মাথার দিক থেকে] এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। মাথার দিক থেকে উড়না টেনে দিলে , তাদেরকে চেনা সহজ হবে কিভাবে?????

১৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

Md Abdullah Al Maruf বলেছেন: Click This Link

http://www.shodalap.org/munim/23013/

১৪| ২৩ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:২৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মুখ, দুই হাতের পাতা ও দুই পাতের পাতা খোলা রাখলে পর্দা নষ্ট হবে না। আপনি ভুল ব্যাখ্যা করলে হবে না।
https://www.jugantor.com/todays-paper/features/islam-and-life/488812/পর্দার-জন্য-মুখ-ঢাকা-কি-জরুরি

১৫| ২৩ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:২৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: পর্দার জন্য মুখ ঢাকা কি জরুরি?
পর্দার জন্য মুখ ঢাকা কি জরুরি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.