নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইবার অভিযাত্রী

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

সাইবার অভিযত্রী

সাইবার অভিযত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণ না মনের পূজা?

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

এক কথিত আহলে হাদীসের সাথে মজার বাতচিত !

লুৎফর সাহেবের এফবি স্ট্যাটাস থেকে পাওয়া, মজা পেলাম, তাই পোষ্ট দিলাম !



আব্দুল আজীজ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, মাদারটেক, খিলগাঁও মাঠে গত ২২ই মার্চ ২০১৪ ঈসাব্দ রোজ শনিবার বাদ আসর বয়ান শেষ করে মাত্র উঠলাম।



বয়ানে কথিত আহলে হাদীসদের ধোঁকাবাজীর বাক্স খুলার আগেই মাগরিবের আজান ধ্বনি ভেসে এল। সময় শেষ। নেমে এলাম ষ্টেজ থেকে।



নামতেই প্যান্ট শার্ট পরিহিত এক ভাই ছুটে এলেন। তাকিয়ে দেখলাম চেহারার রং কালো বর্ণ। গায়ের জামাটাও মনে হয় কালো। প্যান্টটা যে কালো সেটা মনে আছে পরিস্কার। চুলগুলো এলোমেলো।

এসেই বলতে লাগলেন- শায়েখ!আপনার বয়ান শুনলাম। খুবই ভাল লাগল। তবে উক্ত বয়ানের উপর আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

তখন মাগরিবের আজান হচ্ছে পাশের মসজিদে।

আমি বললাম নামাযের পর বলুন। আমিতো আছি।

নামাযের পর মসজিদের ভিতরেই এসে হাজির ভাইটি।বসলাম। সাথে সাথে আরো চারজন চলে এলেন। দুইজন এলেন মেহমানখানায় নেয়ার জন্য। আর দুইজন এলেন প্রশ্ন করার জন্য।

যাক ঐ কালো কাপড় পরিহিতা ভাইটি পরিচয় দিলেন তার নাম ফয়সাল।

ফয়সাল ভাই বললেন- শায়েখ![সম্বোধনটা আমার পছন্দের নয়, লোকটি বলেছিল তাই লিখছি। আমি কোন শায়েখ না] আমার প্রশ্নগুলো করবো?



আমি- অবশ্যই।



ফয়সাল- আপনি যে, বললেন আহলুল হাদীসরা গোমরাহ। অথচ মাসিক মদীনার সম্পাদক মুহিউদ্দীন খান সাহেবতো মাসিক মদীনায় আহলে হাদীসদের আহলে সুন্নাতের অনুসারী বলেছেন। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?



আমি-আপনাদের মাঝে দল কয়টা?তিনি কোন দলটিকে আহলে সুন্নতের অনুসারী বলেছেন?



ফয়সাল- আমরাতো এক দলই। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহের অনুসারী।



আমি- আচ্ছা, তাইলে বলুনতো, আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ সঠিক না জমিয়তে আহলে হাদীস সঠিক? উনারাতো একদল আরেক দলকে ভ্রান্ত কয়? এর মাঝে কোনটি আহলে সুন্নাতের অধিকারী?



ফয়সাল- আমি তাদের কাউকে মানি না। আমি সৌদীর আহলে হাদীস।



আমি- তাহলে এই দুই দলই গোমরাহ?



ফয়সাল-আমি জানি না। আচ্ছা, ইমাম আবূ হানীফা রহঃ যে বলেছেন, ফার্সিতে কিরাত পড়লে নামায হয়, এর হুকুম কি?



আমি- আপনি কিন্তু আমার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। উত্তর দিলেন না।আপনার সব প্রশ্নের জবাবই আমি দেব। আপনার অবস্থান আগে পরিস্কার করেন।



ফয়সাল-আমি চার ইমামকেই মানি। তবে চার ইমামের মাঝে যার মত সহীহ মনে হবে তারটা মানি।কাউকে অন্ধভাবে মানি না।



আমি- আচ্ছা, ধরুন, বাংলাদেশে চারজন বিজ্ঞ সরকার স্বীকৃত ডাক্তার আছেন। একটি বিষয়ে চারজন চারটি প্রেসক্রিপশন লিখল।সেই চারটির মাঝে কোনটি সঠিক সেটি কি যাচাই করবে মুর্খ মুচি?



ফয়সাল- না, না মুচি কেন?



আমি- ভাল কথা, মুচি কি করে প্রেশক্রিপশনের ভুল ধরবে তাই না? তাহলে চারজন বিজ্ঞ মুজতাহিদ। যাদের সারা পৃথিবীর বিজ্ঞ ব্যক্তিরা মুজতাহিদ বলে স্বীকৃতি দিলেন, তাদের চারটি মতের মাঝে আপনি একটিকে প্রাধান্য দিবেন, তো আপনি কি? আপনিতো আমাদের মত ঘোড়ার ডিম তাই না? মতগুলো মুজতাহিদের, যাচাই করবে মুর্খ?



ফয়সাল- আমি ঘোড়ার ডিম ঠিক আছে, কিন্তু বিন বাজও কি ঘোড়ার ডিম?



আমি- মজার কথা বললেন, তাহলে পৃথিবী বিখ্যাত ও স্বীকৃত মুজতাহিদের তাকলীদ রেখে আপনি ফেতনার যুগের বিন বাজের মুকাল্লিদ হতে চান?



ফয়সাল- না, না বিন বাজের মুকাল্লিদ হবো কেন? আমার বিবেক নেই। আমি বিবেক দিয়ে একটিকে প্রাধান্য দিব।



আমি- আপনি আগেই বলেছেন, বিজ্ঞ চার ডাক্তারের প্রেশক্রিপশনের ভুল-সঠিক যাচাইয়ের কোন অধিকার মুর্খ মুচির নেই, তাহলে বিজ্ঞ চার মুজতাহিদের সমাধানের ভুল-সঠিক ঘোড়ার ডিম মুর্খ কি করে করবে?



ফয়সাল- দেখুন, আল্লাহ আমাকে বিবেক দিয়েছে, তাই আমার বিবেক দিয়ে যেকোন একটিকে প্রাধান্য দিব।



আমার হাসি পেল। লোকটি নিজের বিবেকের অনুসরণ করবে। মানে মনের পূজা করবে। যখন যেটিকে ইচ্ছে সেটিকে মানবে, যেটিকে তার মন সায় দিবে না, সেটিকে ছেড়ে দিবে, এরকম মনের পূজার নাম দিচ্ছে আবার কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণ।



আমি বললাম-তাহলেতো আপনি বিবেকের অনুসারী হলে কুরআন ও হাদীসের অনুসারী রইলেন না।এক



আব্দুল আজীজ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, মাদারটেক, খিলগাঁও মাঠে গত ২২ই মার্চ ২০১৪ ঈসাব্দ রোজ শনিবার বাদ আসর বয়ান শেষ করে মাত্র উঠলাম।

বয়ানে কথিত আহলে হাদীসদের ধোঁকাবাজীর বাক্স খুলার আগেই মাগরিবের আজান ধ্বনি ভেসে এল। সময় শেষ। নেমে এলাম ষ্টেজ থেকে।

নামতেই প্যান্ট শার্ট পরিহিত এক ভাই ছুটে এলেন। তাকিয়ে দেখলাম চেহারার রং কালো বর্ণ। গায়ের জামাটাও মনে হয় কালো। প্যান্টটা যে কালো সেটা মনে আছে পরিস্কার। চুলগুলো এলোমেলো।

এসেই বলতে লাগলেন- শায়েখ!আপনার বয়ান শুনলাম। খুবই ভাল লাগল। তবে উক্ত বয়ানের উপর আমার কিছু প্রশ্ন আছে।

তখন মাগরিবের আজান হচ্ছে পাশের মসজিদে।

আমি বললাম নামাযের পর বলুন। আমিতো আছি।

নামাযের পর মসজিদের ভিতরেই এসে হাজির ভাইটি।বসলাম। সাথে সাথে আরো চারজন চলে এলেন। দুইজন এলেন মেহমানখানায় নেয়ার জন্য। আর দুইজন এলেন প্রশ্ন করার জন্য।

যাক ঐ কালো কাপড় পরিহিতা ভাইটি পরিচয় দিলেন তার নাম ফয়সাল।

ফয়সাল ভাই বললেন- শায়েখ![সম্বোধনটা আমার পছন্দের নয়, লোকটি বলেছিল তাই লিখছি। আমি কোন শায়েখ না] আমার প্রশ্নগুলো করবো?



আমি- অবশ্যই।



ফয়সাল- আপনি যে, বললেন আহলুল হাদীসরা গোমরাহ। অথচ মাসিক মদীনার সম্পাদক মুহিউদ্দীন খান সাহেবতো মাসিক মদীনায় আহলে হাদীসদের আহলে সুন্নাতের অনুসারী বলেছেন। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?



আমি-আপনাদের মাঝে দল কয়টা?তিনি কোন দলটিকে আহলে সুন্নতের অনুসারী বলেছেন?



ফয়সাল- আমরাতো এক দলই। কুরআন ও সহীহ সুন্নাহের অনুসারী।



আমি- আচ্ছা, তাইলে বলুনতো, আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ সঠিক না জমিয়তে আহলে হাদীস সঠিক? উনারাতো একদল আরেক দলকে ভ্রান্ত কয়? এর মাঝে কোনটি আহলে সুন্নাতের অধিকারী?



ফয়সাল- আমি তাদের কাউকে মানি না। আমি সৌদীর আহলে হাদীস।



আমি- তাহলে এই দুই দলই গোমরাহ?



ফয়সাল-আমি জানি না। আচ্ছা, ইমাম আবূ হানীফা রহঃ যে বলেছেন, ফার্সিতে কিরাত পড়লে নামায হয়, এর হুকুম কি?



আমি- আপনি কিন্তু আমার প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। উত্তর দিলেন না।আপনার সব প্রশ্নের জবাবই আমি দেব। আপনার অবস্থান আগে পরিস্কার করেন।



ফয়সাল-আমি চার ইমামকেই মানি। তবে চার ইমামের মাঝে যার মত সহীহ মনে হবে তারটা মানি।কাউকে অন্ধভাবে মানি না।



আমি- আচ্ছা, ধরুন, বাংলাদেশে চারজন বিজ্ঞ সরকার স্বীকৃত ডাক্তার আছেন। একটি বিষয়ে চারজন চারটি প্রেসক্রিপশন লিখল।সেই চারটির মাঝে কোনটি সঠিক সেটি কি যাচাই করবে মুর্খ মুচি?



ফয়সাল- না, না মুচি কেন?



আমি- ভাল কথা, মুচি কি করে প্রেশক্রিপশনের ভুল ধরবে তাই না? তাহলে চারজন বিজ্ঞ মুজতাহিদ। যাদের সারা পৃথিবীর বিজ্ঞ ব্যক্তিরা মুজতাহিদ বলে স্বীকৃতি দিলেন, তাদের চারটি মতের মাঝে আপনি একটিকে প্রাধান্য দিবেন, তো আপনি কি? আপনিতো আমাদের মত ঘোড়ার ডিম তাই না? মতগুলো মুজতাহিদের, যাচাই করবে মুর্খ?



ফয়সাল- আমি ঘোড়ার ডিম ঠিক আছে, কিন্তু বিন বাজও কি ঘোড়ার ডিম?



আমি- মজার কথা বললেন, তাহলে পৃথিবী বিখ্যাত ও স্বীকৃত মুজতাহিদের তাকলীদ রেখে আপনি ফেতনার যুগের বিন বাজের মুকাল্লিদ হতে চান?



ফয়সাল- না, না বিন বাজের মুকাল্লিদ হবো কেন? আমার বিবেক নেই। আমি বিবেক দিয়ে একটিকে প্রাধান্য দিব।



আমি- আপনি আগেই বলেছেন, বিজ্ঞ চার ডাক্তারের প্রেশক্রিপশনের ভুল-সঠিক যাচাইয়ের কোন অধিকার মুর্খ মুচির নেই, তাহলে বিজ্ঞ চার মুজতাহিদের সমাধানের ভুল-সঠিক ঘোড়ার ডিম মুর্খ কি করে করবে?



ফয়সাল- দেখুন, আল্লাহ আমাকে বিবেক দিয়েছে, তাই আমার বিবেক দিয়ে যেকোন একটিকে প্রাধান্য দিব।



আমার হাসি পেল। লোকটি নিজের বিবেকের অনুসরণ করবে। মানে মনের পূজা করবে। যখন যেটিকে ইচ্ছে সেটিকে মানবে, যেটিকে তার মন সায় দিবে না, সেটিকে ছেড়ে দিবে, এরকম মনের পূজার নাম দিচ্ছে আবার কুরআন ও সহীহ হাদীসের অনুসরণ।



আমি বললাম-তাহলেতো আপনি বিবেকের অনুসারী হলে কুরআন ও হাদীসের অনুসারী রইলেন না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এত কিছুর পরেও যদি ওনারা বুঝতেন...

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: এত কিছুর পরেও যদি ওনারা বুঝতেন... .........................

ধন্যবাদ ভাই,

ওনারা বিন বাজের তাকলীদকে হারাম মনে করেন না!

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: চমৎকার!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জী ভাই লুৎফর ফরাজী সাহেব অনেক চমৎকার বলেন, লেখেন,
ফেবুতে ওনাকে অুসরণ করতে পারেন , আমি করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.