নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো নীপবনে

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব

মাঝে মাঝে মনে হয়- আমি হয়তো মানুষ নই, অন্য কিছু। মাঝে মাঝে মনে হয়- I am no body.

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সক্রেটিস - পর্ব ১৩ (শেষ পর্ব)

২৭ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪





শায়মা আপিকে কথা দিয়েছিলাম, আমি সক্রেটিস নিয়ে লিখবো। সেই কথা রাখতেই এই লেখা শুরু করা। দেখতে দেখতে ১২ পর্ব লেখা হয়ে গেছে। শায়মা আপি একদিন জিজ্ঞাস পর্যন্ত করলেন, এখানেই শেষ কিনা। আমি আরো ১২ পর্ব লিখতে পারি, কিন্তু কেন জানি মনে হয় ১৩ পর্বই যথেষ্ট।



কেন, তার কিছু ব্যাখ্যা দেই আগে। আমাদের দেশে যে নাটক গুলো হয়, সেগুলোর ছোট ছোট পর্ব করে ১৩ পর্বে শেষ হয়। নয়তো ২৬ পর্বে, নয়তো ৫২ পর্বে। তাসের সংখ্যাও কিন্তু ৫২ টি। ১৩ টি করে চার রকমের তাস।



ঈসা (আঃ) এর শেষ রাত্রিকালীন খাবারের সদস্য ছিলো ১৩। Last Supper এর একটা ছবি এখানে দিয়ে দেয়া হলো। (অপ্রাসঙ্গিক যদিও)





এবার সংখ্যা তত্ত্বের দিকে আসি। সংখ্যা তত্ত্বে ১২ সংখ্যাই যথেষ্ট মনে করা হয়। যেমন ১২ মাস। ১২ টা রাশি। তাই ১৩ সংখ্যাকে অনেকটা বিরক্তি কর মনে হয়।



ইউরোপে কোনো হোটেলে ১৩ নম্বর কক্ষ রাখা হয়না। কেননা এটা Unlucky নম্বর হিসেবে বিবেচিত হয়।



কিন্তু ১৩ আবার একটি মৌলিক সংখ্যা। ১+৩= ৪। ৪ এর গুনিতক ২। তাই ১৩ কেন জানি একই সাথে ১,২,৩ আর ৪ এর প্রতীক।



শুরু করি ক্রিটো (Crito) দিয়ে, শেষ করবো ফিডো (Phaedo ) দিয়ে।



মহাত্মা সক্রেটিসের প্রাণদন্ড ঘোষিত হওয়ার পর তাঁকে সরাসরি কারাগারে নেয়া হয়। প্রাণদন্ড কার্যকর করতে কিছু দিন দেরী হয়। তাঁর বিচার কার্য শুরুর আগের দিন দেশের তীর্থযাত্রীবাহী জাহাজ খানিক দূরের দেলোস নামের দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ধর্মীয় রীতি অনুসারে যতদিন না ঐ জাহাজ ফিরে আসে ততদিন দেশে কোন মানুষের প্রাণ নেওয়া যেত না। আদালতেরও ক্ষমতা ছিল না। সেই কারণে দন্ড ঘোষণার প্রায় এক মাস পর মহাত্মার প্রাণহরণ করা হয়।



সক্রেটিসঃ আজ এত সকালে এলেন! না কি সকাল অনেক আগেই হয়ে গেছে?

ক্রিটোঃ না, না, এখনও আকাশ ফর্সা হয় নাই।

সঃ সময় কত এখন?

ক্রিঃ এখন সুবেহ সাদিক।

সঃ অবাক কান্ড! জেল সুপার ঢুকতে দিল আপনাকে?

ক্রিঃ এতদিনে ওর সাথে আমার একটা ভাব হ্যে গেছে না, সক্রেটিস। আমি তো অনেকদিন থেকেই এখানে যাওয়া আসা করছি। আর অর যা পাওনা তা উনি পেয়েছেন।

সঃ তো এইমাত্র এলেন, না কিছুক্ষণ হলো?

ক্রিঃ কিছুক্ষণ হয়েছে।

সঃ এসেই জাগালেন না আমাকে, চুপ করে খামোখা বসে থাকলেন?

ক্রিঃ জিয়ুস খোদার কসম, সক্রেটিস। আমি নিজেও তো এমন দুঃখের দিনে এত ভোরে জাগতে চাইতাম না। এতটা শান্তিতে আপনাকে ঘুমাতে দেখে সময়টা যতটা পারেন সুখেই কাটান না কেন! আগেও সারাজীবন আমি বিশ্বাস করেছি আপনি সুখেই সংসার করেছেন। আর আজ এই বিশেষ দুঃখের দিনেও দেখছি কতটা মুক্তমনে কেমন নির্ভারচিত্তে দৈবের মোকাবেলা করছেন।

সঃ যমের সাক্ষাৎ দাড়াতে হচ্ছে বলে নালিশ করা আজ এই এত বয়সে আমার আর সাজে না।

ক্রিঃ এহেন দুঃখে পড়লে আপনার বয়সের অন্য মানুষ তো নালিশ না করে ছাড়ে না।

সঃ ও তাই! তো আপনি এত সকাল সকাল যে?

ক্রিঃ এলাম, কারণ খবর বড় খারাপ। আপনার কানে খবরটা হয়তো কিছুই নয়, সক্রেটিস। কিন্তু আমার কানে, আপনার অন্য সকল বন্ধুর কানে বড় ভারি এ খবর। এর ভার বইবার শক্তি আমাদের নাই। কথা হক হক বলি তো এর চেয়ে ভারি খবর এ জীবনে আর কোনোদিন শুনি নাই।

সঃ কিসের খবর? ও, জাহাজ এসে পড়লেই আমার প্রাণ যাবে সে খবর! জাহাজটা কি দেলোস থেকে এসেই গেলো?

ক্রিঃ না, ঠিক আসে নাই এখনও। তবে মনে হয় আজই এসে যাবে। সোনিয়মে এসে পড়েছে জাহাজটা। ওখানে নেমে যারা খবর দিলো তারা তো তাই বললো। বোঝা যাচ্ছে জাহাজ আজই এসে পড়বে আর কালই আপনার জীবনের শেষ দিন।

সঃ আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। আল্লাহর ইচ্ছা যদি তাই হয়, তাই হবে। তবে আমার মনে হচ্ছে জাহাজটা ঠিক আজই আসছে না।

ক্রিঃ কিভাবে বুঝলেন?

সঃ বলছি। জাহাজটা যে দিন পৌছবে, তার পরদিনই আমার প্রাণ যাবে।

ক্রিঃ সরকারি সিদ্ধান্তও তাই।

সঃ তা হলে আমি বলব জাহাজটা ঠিক কালই আসছে না। আসবে আগামী পরশু। গতরাতে, একটু আগে, আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম। কথাটা বলছি ঐ স্বপ্নের জোরে। মনে হচ্ছে আসামাত্র আমাকে না জাগিয়ে ভালোই করেছেন।

ক্রিঃ কি স্বপ্ন দেখলেন?

সঃ দেখলাম এক পরমাসুন্দরী ভদ্রমহিলা শাদা পোশাকে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। ডেকে বললেন, 'আজ থেকে তিনদিন পর সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা ফতিয়ায় চলে আসবেন আপনি।'

ক্রিঃ বেশ আজব স্বপ্ন, সক্রেটিস।

সঃ আমার তো স্বপ্নের অর্থটা খবই পরিস্কার মনে হচ্ছে, ক্রিটো।



ক্রিটো, সক্রেটিসকে পালাতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেল থেকে পালিয়ে থেসালিতে চলে গেলে আর কোনো চিন্তা করতে হবে না। এই ছিলো ক্রিটোর প্রস্তাব। কিন্তু সক্রেটিস তা সানন্দেই ফিরিয়ে দেন। সারাজীবন যিনি ন্যায়-অন্যায়কে বিভেদ করে, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা চেয়েছেন, সেই তিনি তো আর কেবল বেঁচে থাকার জন্য নিজের নীতি থেকে সরে আসতে পারেন না।



এইবার ফিডোতে দেখা যাক, জীবনের শেষ কয়েক ঘন্টার বর্ণনা।



'স্নান করার জন্য সক্রেটিস উঠে একটি ঘরে চলে গেলেন। ক্রিটো সঙ্গে যাচ্ছিলেন কিন্তু তিনিয়ামাদের অপেক্ষা করতে বললেন। কাজেই আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। সক্রেটিস যা বলেছেন তা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ চললো। আমাদের উপর কি নিদারুণ দুর্ভাগ্য নেমে আসছে তা ভেবে নিজেদের অসহায় মনে হচ্ছিলো। আমাদের বাকি জীবনটাই পিতৃহীন অনাথের মতো কাটাতে হবে। স্নান হয়ে গেলে ছেলেমেয়েদের তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। একটি বড়ো আর দুটি ছোট ছোট পুত্র সন্তান ছিলো তাঁর। পরিবারের মহিলারা তাঁর কাছে গেলেন। ক্রিটোর উপস্থিতিতেই তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশ দিয়ে তিনি মহিলা এবং ছেলেমেয়েদের চেলে যেতে বললেন। তারপর আমাদের কাছে ফিরে এলেন। তখন সূর্যাস্ত হতে চেলেছে। ভিতরে তিনি বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছিলেন। যাই হোক, স্নান শেষে ফিরে এসে তিনি আমাদের মধ্যে বসলেন। তারপর থেকে আর তেমন বেশি কথা বলেন নি। এই সময় একাদশ'দের কর্মকর্তা এলেন, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, 'সক্রেটিস, অন্যদের নিয়ে আমাকে যে ঝামেলা পোহাতে হয়, আপনাকে নিয়ে তো সে ঝামেলা নেই। বিষ পান করতে বলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যেরা আমার উপর ভয়ানক খেপে উঠেন, অভিশাপ দিতে থাকেন। কিন্তু যতো মানুষ আজ পর্যন্ত এখানে এসেছে তাঁদের মধ্যে আপনিই হচ্ছেন মহত্তম। কাজেই এ বিষয়ে আমার সন্দেহমাত্র নেই যে আপনি আমার উপর ক্রুদ্ধ হবেন না। কি বলার জন্যে এখন আমি আপনার কাছে এসেছি, তা তো আপনি জানেন। বিদায়, যা অবশ্য ঘটনীয় তা যতোদূর সম্ভব সহজভাবে সইবার চেষ্টা করুন।' এই কথা কটি বলে তিনি উদ্গত অশ্রু চাপতে চাপতে মুখ ফিরিয়ে কক্ষত্যাগ করলেন। সক্রেটিস তার দিকে চেয়ে বললেন, 'আপনাকেও বিদায়। যেমন বললেন। তাই করবো।' তারপর আমাদের দিকে ফিরে মন্তব্য করলেন, 'মানুষটি কত ভদ্র। আমি এখানে যতোদিন আছি আমার কাছে এসেছেন, আমার সঙ্গে আলাপ করেছেন, তাকে আমার মানুষদের মধ্যে যোগ্যতম মানুষ বলে মনে হয়েছে। আর এখন কি সহৃদয়তার সঙ্গেই না তিনি আমার জন্যে অশ্রু বিসর্জন করলেন। যাই হোক, ক্রিটো, লোকটির কথা মান্য করতো আমরা, তৈরি হয়ে থাকলে কেউ বিষ নিয়ে আসুক, না হলে বলো তৈরি করে আনতে।'



একটি লোক বিষ হাতে নিয়ে এসে সক্রেটিস তাকে বললেন, 'এসব বিষয়ে তোমার তো ভালো জানা আছে। বলো বন্ধু, কি কি আমাকে করতে হবে?' লোকটি জবাব দিলো, 'তেমন কিছুই না সক্রেটিস, এটা খেয়ে নিয়ে একটু পায়চারি করুন। যখন পায়ের দিকটা ভারি-ভারি লাগবে তখন শুয়ে পড়বেন। এতেই কাজ হবে।' আর এই কথার সঙ্গে সঙ্গে সে সক্রেটিসের দিকে বিষের পাত্রটি বাড়িয়ে ধরলো। অতিশয় প্রফুল্ল মনে পাত্রটি হাতে নিলেন সক্রেটিস, এতটুকু, এতটুকু কাঁপলেন না, এতটুকু পরিবর্তন দেখা গেল না তাঁর চেহারায়। বরাবর যেমন করে থাকেন, তেমনি ভাবে লোকটির দিকে স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন, 'এই বিষ থেকে একটুখানি কি কাউকে উৎসর্গ করার নিয়ম আছে? কি বলো, সেটা আইন সঙ্গত কিনা?'

লোকটি বললো, 'যতোট বীষ পান করা দরকার বলে মনে করি ঠিক ততোটাই আমরা তৈরি করে থাকি সক্রেটীস?' 'তোমার কথা বুঝেছি', সক্রেটিস বললেন, 'তবে দেবতাদের কাছে এটা প্রার্থনা করা নিশ্চয়ই যথার্থ ও আইনসঙ্গত যে এখান থেকে আমার বিদায় গ্রহণ সুখপ্রদ হোক।' তাহলে আমি সেই প্রার্থনাই করছি।'



এই কথাগুলো বলেই তিনি শান্তভাবে সবটুকু বিষ পান করে ফেললেন।



সক্রেটিসের বিষপান করতে দেখে উপস্থিত সুধী কেউ অশ্রুসংবরণ করতে পারেন নাই। সক্রেটিস বললেন, 'মান্যগণ্য বন্ধুরা, করছো কি তোমরা? এই কারণেই তো আমি মেয়েদের এখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি যাতে এই ধরনের কান্ড না করতে পারে। আমি শুনেছি শান্তির মধ্যে মৃত্যুই শ্রেয়। শান্ত হও, সহ্য করো।'



এই কথা শুনে লজ্জিত হলাম আমরা, অশ্রুসংবরণ করে নিলাম। তিনি পায়চারি করতে করতে এক সময় বললেন, পা দুটি ভারি বোধ করছেন এবং এই কথা বলে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন। লোকটি তাঁকে এরকম করতেই নির্দেশ দিয়েছিলো। সঙ্গে সঙ্গেই লোকটি সক্রেটিসকে ধরলো এবং একটু পরে তাঁর পা আর পায়ের তলা পরীক্ষা করে দেখলো। তারপরে তাঁর পায়ের তলায় জোরে চাপ দিয়ে জিজ্ঞাস করলো তিনি কিছু বোধ করছেন কিনা। সক্রেটিস বললেন, তিনি কিছুই অনুভব করছেন না। একটু পরে আবার সে তাঁর উরুর উপর চাপ দিলো। এইভাবে উপরের দিকে আসতে আসতে লোকটি আমাদের দেখালো যে তিনি ধীরে ধীরে ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে যাচ্ছেন। সক্রেটিস নিজেকে একবার স্পর্শ করে বললেন, বিষ তাঁর হৃৎপিন্ডে যখন পৌছবে তখুনি তিনি বিদায় নিবেন। ততোক্ষণে তাঁর তলপেটের আশপাশের অংশ প্রায় ঠান্ডা হয়ে গেছে। ঠিক এই সময় মুখের উপর থেকে চাদর সরিয়ে- কারণ তাঁকে সম্পূর্ণ ঢেকে দেওয়া হয়েছিলো- তিনি এই শেষ কথাগুলি বললেন, 'ক্রিটো, ইসকিউলাপিয়াসের কাছে আমাদের একটি মোরগ মানত আছে, শোধ করে দিয়ো, অবহেলা করো না।' ক্রিটো বললেন, 'ওটা নিশ্চয়ই করা হবে, আর কিছু বলার আছে কিনা দেখুন।'



এই প্রশ্নের তিনি কোনো জবাব দিলেন না। একটু পরেই তাঁর সারা শরীর থর থর করে কেঁপে উঠলো। লোকটি ঢেকে দিলো তাঁর দেহ। চোখ দুটি স্থির হয়ে রয়েছে দেখে ক্রিটো তাঁর মুখ এবং চোখের পাতা বন্ধ করে দিলেন।



এচিক্রেটিস, এই হচ্ছে আমাদের বন্ধুর অন্তিম যাত্রার কথা। সেই বন্ধু যিনি আমার জানামতে, আমাদের কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন এবং তার চেয়েও বড়ো কথা, সবচেয়ে জ্ঞানী, সবচেয়ে ন্যায়বান।



সক্রেটিস - পর্ব ১

সক্রেটিস - পর্ব ২ সক্রেটিস - পর্ব ৩

সক্রেটিস - পর্ব ৪ (এটাকে প্রেম পর্বও বলা যায়)

সক্রেটিস - পর্ব ৫

সক্রেটিস - পর্ব ৬

সক্রেটিস - পর্ব ৭

সক্রেটিস - পর্ব ৮ (কিছু উক্তি)

সক্রেটিস - পর্ব ৯ (সক্রেটিস এর বিরূদ্ধে অভিযোগ সমূহ)

সক্রেটিস - পর্ব ১০ (সক্রেটিস এর মৃত্যুদন্ড)

সক্রেটিস - পর্ব ১১ (কতিপয়তন্ত্র এবং আমরা কোথায় আছি?)

সক্রেটিস - পর্ব ১২ (ধর্ম কী? অনেকের কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে।)



যে বিষয়গুলো বাদ পড়ে গেলো, অথচ আলোচনা করা যেত- সৌন্দর্য কি? জ্ঞান কি? ন্যায় কি? এটা মোটেও সম্পূর্ণ নয়। সব কিছু কি সম্পূর্ণ হয়? আমাদের মনের ইচ্ছা, তাও কি সব সম্পূর্ণ করতে পেরেছি আমরা?



(এতো বড় লেখায় বানানের দিকে নজর দিতে পারি নাই। ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী।)

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

বেঈমান আমি বলেছেন: +++ দিলাম

২৭ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: বেঈমান আমি ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ধৈর্য্য তো অসীম। এতো বড় লেখা পড়া আর ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেয়া একই কথা।

হ্যাপী ব্লগিং।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: 'ক্রিটো, ইসকিউলাপিয়াসের কাছে আমাদের একটি মোরগ মানত আছে, শোধ করে দিয়ো, অবহেলা করো না।'

২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ইকরাম উল্যাহ ভাইজান, অনেক ধন্যবাদ। ধরেই নিচ্ছি আপনি পুরোটা পড়েছেন। অনেক ধন্যবাদ। এমনই ছিলো সক্রেটিস। একজন ন্যায়বানের মানদন্ড। সেই সুখী যে ভালো মানুষ, সৎ মানুষ এবং ন্যায়বান। আমি চেষ্টা করি এমন একজন হওয়ার।

হ্যাপি ব্লগিং।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪১

শহিদুল বলেছেন: আগের পর্ব গুলা ভালো লেগেছে
একটু কাজে বাহিরে যাচ্ছি
সকালে পুরোটা পড়বো
ধন্যবাদ :)

২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: শহিদুল ভাই, আপনাকেও ধন্যবাদ।

পড়েন কিন্তু। একটু বড় হয়ে গেছে, এই যা।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৯

স্বাধীনহ্যাপী বলেছেন: একসাথে সব পর্ব গুল পড়ে ফেললাম। আমি নতুন ব্লগ এ। সব গুল পর্ব বুঝতে পারলাম তা না, কিছু পারলাম, কিছু একদমই না। কিন্তু ভাইয়া আপনার ধৈর্য্য দেখে আমি !!!! অনেক কিছু জানতে পারলাম তাই ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৮ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:০৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: স্বাধীনহ্যাপী ভাইয়া, সব বুঝতে হবে এমন না। যে পর্বে বুঝতে সমস্যা হয়, জিজ্ঞাস করেন। আমি চেষ্টা করবো ব্যাখ্যা করার। আর এক সাথে সব পড়াও তো এক দুঃসাধ্যের কথা। শুধু এই পর্বটা পড়াই এক বসায় হওয়ার কথা না। সেইখানে সব পর্ব এক সাথে পড়া !!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ। হ্যাপি ব্লগিং।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১৯

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: পড়ছি মানে?

আমারে ক্লাসে সক্রেটিস ডাকে বন্ধুরা :P

আমি পরুম না তো কে পড়বে?

:D :D

২৮ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:১৭

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ইকরাম উল্যাহ ভাইয়ামনি, শুনে খুবই প্রীত হলাম। ইন্টারনেট আমাদের অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। এই আজই জেনোফনের সক্রেটিসের উপর লেখা 'মেমোরেবল' নামালাম। সময় করে পড়বো। বাংলা হলে সবচেয়ে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের দেশে অনুবাদ নিয়ে কাজ হয়েছে খুব কম। হাতে গোনা লোক অনুবাদ করেন।

আমাকে ছোটবেলায় এলাকার ছেলেরা মিয়াভাই ডাকতো। এর কারন, আমি দেখতে ছোটখাট হলেও পড়তাম একটু উপরের ক্লাসে। এলাকায় আমার সমবয়সী থাকলেও আমার নিচে পড়ায় ওদের সাথেই খেলতাম। হঠাৎ মনে পড়ে গেল।

ভাইয়ামনি, সক্রেটিসকে অন্তরে ধারণ করতে পারাই সবচেয়ে বড় কথা। তিনি কিন্তু কোন ভুল বা অন্যায় কে প্রশ্রয় দেন নাই। প্রতিবাদ করেছেন। নিজের জায়গা থেকে এইটা করতে পারাও কিন্তু অনেক বড় কাজ।

আপনার প্রতি শুভ কামনা রইলো। হ্যাপি ব্লগিং।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:১৫

স্বাধীনহ্যাপী বলেছেন: ভাইয়া আমি ভাইয়া না X( আপু :) । আর ভাইয়া আমার পা ভাঙ্গা :(( তার উপর আমি মানুষটাই bookish girl । তাই পড়তে পারলাম।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:১৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপুমনি পা ভাঙ্গা শুনে খুব খারাপ লাগলো। আল্লাহপাক অতি দ্রুত আপনার পা ভালো করে দিন, এই দোয়া করছি।

ভাইয়া শব্দটা আমার কাছে কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য না। আমি আমার ভাইদেরকে যেমন ভাইয়া ডাকি, তেমনি আপুদের কেউ ভাইয়া ডাকি। এমন কথা কেউ হয়তো কখনো শুনেনি। কিন্তু আমি শুনেছি। আমার এক ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আছেন, তিনি সবাইকে ভাইয়া ডাকেন। এই অভ্যাসটা তার কাছ থেকে রপ্ত করা। ভালো অভ্যাস অন্যের কাছ থেকে ধার নেয়া যায়। এটা দোষের কিছু না। ওমন রাগি রাগি ইমো দেখলে তো ভয় লাগে ভাইয়া। থুক্কু আবার ভাইয়া বলে ফেললাম, আপুমনি। :) :D =p~

আহা, আমিও যদি bookish হতাম!

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৬

স্বাধীনহ্যাপী বলেছেন: bookish হলে কি হবে আমি ১ টা লাইন নিজে থেকে লিখতে পারি না। আর আপনি ভাইয়া কতো সুন্দর করে লিখতে পারেন, হোক সে টা অন্য কোথাও থেকে নেয়া তথ্য। আর ভাইয়া আমাকে নিয়া তো কতো মানুষ হাসে, গান না নাচ না পারি শুধু পড়তে :((

আমি মেয়েদের সাথে নাম ধরে আপু করে বলতাম, মেয়ে রা রেগে আমাকে বলে " এই আমি কি তোর বড় না কি " :-/ তার পর থেকে আপু ভাইয়া সব বাদ :(

৩০ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:১২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপুমনি, মন খারাপ করেনা। আমি একটা বুদ্ধি দিয়ে দেই। প্রতিদিন এক পাতা করে লিখবেন। কি লিখবেন? এই সকাল থেকে লেখার আগ পর্যন্ত কোন জিনিসটা আপনার ভালো লাগলো, কোনটা ভালো লাগলো না। কেন ভালো লাগলো, কেন ভালো লাগলো না। এর পর কি করা উচিত ছিলো, কি করা উচিত ছিলো না। এই সব। আবার এমন হতে পারে, কেউ কিছু বললো, শুনতে ভালো লাগলো, সেই কথাটাই লিখে রাখুন। ধরেন, আপনার এক বান্ধবী অথবা যে কেউ একটা গল্প বললো বা কারো সম্পর্কে বললো, সেটাই লিখে রাখুন। এটা এক সময় অভ্যাসে পরিনত হবে, এই অভ্যাস এক সময় কল্পনা করতে সাহায্য করবে। তারপর আর এই ভাইয়াটির কথা মনে পড়বে না। দেখবেন অবলীলায় কি সুন্দর লিখতে পারছেন।

আপু, ভাইয়া সব বাদ হলে এখন কি শুধু নাম ধরে ডাকেন? আমার তো আমার ছোট কাউকেও নাম ধরে ডাকতে মন চায় না। আমি আমার ছোট, বড় সবাইকেই ভাইয়া, আপু বলে ডাকি। এতে একটা সমস্যা হয়, কেউ কেউ মনে করে আমি তার ছোট। এটা তার সমস্যা আমার না। কি বলেন?

হ্যাপি ব্লগিং।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৮

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: অনুসারিত এবং প্লাস। সময় নিয়ে পড়ব সবগুলো পর্ব। ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:০৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সেই ভালো, সময় নিয়ে পড়েন।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: চমৎকার এবং পছন্দের তালিকায় নিলাম; অন্য পর্বগুলোও পড়তে হবে দেখছি।

৩০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সোনালী ডানার চিল ভাইয়ামনি, আমার খোঁজ পেলেন কিভাবে? আপনার নামটা পড়েই তো জীবনান্দ দাশের কথা মনে পড়ে গেলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। হ্যাপি ব্লগিং।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৫

স্বাধীনহ্যাপী বলেছেন: লেখার জন্য ভাইয়া যে বুদ্ধিটা দিলেন, মন্দ না। চেষ্টা করবো।

আর আমি এখনও ব্লগ এর রুলস ধরতেই পারছি না, দোয়া করবেন ব্লগিং যেন সত্যি হ্যাপি হয়।

৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৫০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভাইয়ামনি, ব্লগের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। এইটাই ব্লগের বৈশিষ্ট্য। আপনি আপনার মনে যা চায় তা প্রকাশ করতে পারেন। ভালো লাগা, মন্দ লাগা, আপনি জানেন অন্যদেরও জানা উচিত এমন জিনিস অথবা যা খুশি।

দোয়া গো দোয়া। ব্লগিং আপনার অবশ্যই হ্যাপি হবে।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:

আরেকটু হলেই মিস হয়ে যেত! :|
এবার নতুন কোন সিরিজ শুরু করুন :)
অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে।।

এমন একটি লেখায় ব্লগাররা লাইক দিতেও কাপর্ণ্য করে, আজব!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:১৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপুমনি, আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। ইস, শায়মা আপিটা যদি দেখে যেত। পাসওয়ার্ড হারিয়ে এখন গৃহহারা।

এই লেখা অনেকের মাথার উপর দিয়ে নাকে গেছে। তাই হয়তো। অথবা এতো ভালো লেগেছে, লাইক দেয়ার কথা ভুলে গেছে। আমার ধারণা এতো বড় পোস্ট, ধৈর্য্য হারিয়ে লেখা না পড়েই বের হয়ে গেছে। শুধু শিরোনাম দেখে ভুলে ঢুকে পরেছে। হাঃ হাঃ হাঃ

এখনো ঠিক করিনি, তবে বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নিয়ে লেখার একটা ইচ্ছা আছে। একটা লেখার কথা দেয়া আছে, এখনো লেখা হয়নি। একটা গল্পও দিতে মনে চাইছে, লেখাই আছে শুধু পোস্ট করতে হবে (এর আগে টাইপ করতে হবে এই যন্ত্রনায় দেয়া হচ্ছেনা। গল্পটা আবার শীতকালের)।

হ্যাপি ব্লগিং আপুমনি।

১২| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৫৯

শায়মা বলেছেন: শেষ হয়ে গেলো ভাইয়া!:(

সৌন্দর্য্য নিয়েও না হয় একটু লিখতে!

বেশ কিছুদিন ব্যস্ত এবং বিরক্ত ছিলাম অনেক লেখা জমে গেছে!:(

১২ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:১৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপি, আপনি পড়েন নি, এইটা না কেমন যেন খচ খচ করছিলো। কি যে ভালো লাগছে!

আমার এই লেখাটা এইমাত্র পূর্ণতা পেল।

জোনাকী কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছো, ও জোনাকী?

গানটা কেবলই শুনছি। কি যে ভালো লাগে!!!

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

আরও গান শুনাই দেবো। :P


তোমার এই পোস্ট টা প্রিয়তে নিয়ে যেতে আসলাম আজকে। সেদিন ভুলে গেছিলাম।:)

১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:২৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ধন্যবাদ আপি।

আরো গান শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:০৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: চমৎকার লাগলো। সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি। যে কয় টা পড়েছি ভাল লেগেছে। বাকী গুলো পড়ব। অনেক ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:৫৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমার ব্লগে ঢু মারার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

হ্যাপি ব্লগিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.