খেলার সাথে রাজনীতি নয়, ধর্ম মেশান

২২ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

"খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না"। এর চাইতে বিরক্তিকর আর আবালমার্কা কথা আর কি হতে পারে আমি জানি না।



পাকিস্তানের ম্যাচের পর যখন হোমপেইজে দেখি হাস্যোজ্জল পাকিজাত পারজ মাড়খোর ছাগলের বাচ্চারা গালে মুখে বুকে পাকি পতাকা এঁকে কপালে পাকিস্তান ব্যান্ডানা বেঁধে V সাইন দেখিয়ে উল্লাসরত ছবি তুলে পোস্ট করছে তখন একটা কথাই মনে হয়, এতো তাড়াতাড়ি আমাদের স্বাধীনতা পাওয়া ঠিক হয়নি, মাত্র ৯ মাসের বদলে যুদ্ধটা ৯ বা ১৯ বছর হবার দরকার ছিল। প্রতিটা গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, প্রতিটা পরিবারে সেই যুদ্ধের বিভীষিকা ছোঁয়ানোর দরকার ছিল। পাকি অফিসারদের নারীর খোরাক একসময় শেষ হয়ে যেতো তখন আপনার ঘরেই উঁকি দিত, আপনার চেহারাও আফ্রিদির মতই সেক্সি হতো (অথবা কে জানে আপনাকে দেখলে হয়তো পাকিস্তানি বলেই মনে হয়)। বাংলাদেশ যদি আরেকটা ভিয়েতনাম বা বসনিয়া হত তাহলে আজ আর যুদ্ধপরাধ, জামাত শিবির, পাকিস্তান নিয়ে এতো কথা বলা লাগতো না। পাকি পতাকার নাচন দেখে আর ঘৃণায়, ক্রোধে, আফসোসে স্তব্ধ হতে হতো না।



এখন দেখি বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচেও তাদের জারজ বংশধররা পাকিস্তান সমর্থন করছে, লাইভ টিভিতে আবার গর্বের সাথে সেটা বলে বেড়াচ্ছে।



ফাকি সমর্থকদের ৯৯% কে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কেন সমর্থন করছেন, তাহলে একটাই উত্তর আসে তারা মুসলিম তাই। তার মানে হে জারজ ছাগুরা,

আপনারা খেলার সাথে রাজনীতি মেশান না কিন্তু খেলার সাথে ধর্ম মেশান। আবার সেই আপনারা জামাতিরা এইটাও বলে বেড়ান ইসলাম মানেই রাজনীতি। ইসলামে মুনাফেকের বৈশিষ্ট্যটা একটু পইড়া নিয়েন।



আমরা খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে পারবো না কিন্তু ইমরান খানরা পারবে। তারা আমাদের দেশ নিয়ে যা খুশি বলতে পারবে। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট আমাদের বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে কথা বলার, নিন্দা প্রস্তাব তোলার স্পর্ধা দেখাতে পারবে, পাকিস্তানি জামাত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালানোর হুমকি দিতে পারবে। ৪৪ বছরেও তাদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিত হবে না, লজ্জিত হবে না, ক্ষমা চাইবে না, বাংলাদেশের চুরি করে নিয়ে যাওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেবে না। পাকিস্তানি যুদ্ধপরাধিদের, যাদের তারা বিচার করবে বলে নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে রাজার হালে রাখবে। তারা আপনাদের আব্বা তাই তারা পারবে।



যদি প্রশ্ন করা হয় যতগুলো ক্রিকেট জাতি আছে তার মাঝে সবচেয়ে বেশি কেলেঙ্কারি, সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পাতানো, সবচেয়ে বেশি ডোপ পজিটিভ, হোটেল রুমে নারী কেলেঙ্কারি, দলের মধ্যে কামড়াকামড়ি কোন দেশে হয়? আপনাদের গর্বিত উত্তর হবে, 'আব্বা পাকিস্তান'। হে ছাগুসমাজ তারপরও পাকিস্তান মুসলিম দল, আর এইসব করা ফাকিস্তানের জন্য হালাল।



যেই পাকিস্তানে মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারে না, যেখানে প্রতিমাসেই জুমার নামাজে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়, যেই দেশে সরকার বলে কিছু নেই, আইনের কোন বালাই নেই, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নাই যেখানে রাজ্যগুলো আজ বাদে কাল নিজেরা স্বাধীন হয়ে যায়, যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখনো সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে হত্যাযজ্ঞ চালায় অথবা যেই দেশে সেনাবাহিনী কোন কোন অঞ্চলে ঢুকারও সাহস পায়না, আমেরিকার গোলামি কইরা দিন পার করে যেই দেশে ফতোয়া দিয়ে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করানো হয় সেই দেশ মুসলিম আর আমাদের দেশের সবাই নাস্তিক। সে দেশের সাথে একসাথে থাকার জন্য, এক বিছানায় শোয়ার জন্য এখনো আপনারা হা পিত্যেস করে যাচ্ছেন।



হে ধরণী রেখেছ তাদের মাড়খোরের পারজ বাচ্চা করে, রেখেছ আবাল শুয়োর করে, মানুষ করনি।



শেষ একটা বহুল উচ্চারিত প্রশ্ন, পাকিস্তান ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ কেন?



পাদটীকাঃ

পারজ= পাকিস্তানি আবাল জারজ।

মাড়খোর= পাকিস্তানের জাতীয় পশু, একজাতের পার্বত্য ছাগল।

৬ টি +০/-০