নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার ডাকু

একজন মানুষ । বেচে আছি এখনও.... এপর্যন্ত জানি...

বাংলার ডাকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছায়া শূণ্য

০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

জরুরি কাজগুলো মনেহয় সকাল-বেলাতেই
বেশি মনেপরে| আমারও তাই সকালেই
একটা জরুরি কাজ মনেপরে গেল|
খুব ধ্রুত
বাড়ি থেকে বেড়িয়ে একটা অটোরিক্সায়
উঠেপরলাম|
মেনেহচ্ছে ব্যাস্ততা দেখাতে অটোওয়ালাকে বারবার
বলি জোরে চালাও আরো জোরে কিন্তু
বলাহয়ে উঠলনা পৌছে গেলাম.
পার্কে ঢোকার আগে মনেহল আজকাল
পার্কে এতই ভিড় হয়
যে বসার জায়গা পাওয়াই মুশকিল কিন্তু আজ
তার বীপরিত পার্ক জনশুন্য প্রায়|
পার্কে সবচেয়ে উচু জায়গায় গিয়ে বসেই
পকেট থেকে কলম আর ছোট
ডাইরিটা বের করে একটা কাকের
দিকে তাকিয়ে খচখচ
করে লিখে ফেললাম
“কাক একটি সর্বভুক প্রাণি
একে প্রাকৃতিক ডাষ্টবিনও বলা চলে”
কাক নিয়ে এই
ছোট গবেশনাটাই ছিল আমার জরুরি কাজ|
কাজটা শেষ হওয়াতে এখন
ফাকা ফাকা লাগছে| এসম
ছায়াকে পেলে জমিয়ে ওর গল্প শোনাযেত|
ছায়া নামের এই মেয়েটাকে আমার
জাদুকরি বলে মনেহয়| বিরক্তিকর কথাগুলোও
ওর
কছথেকে শুনতে অসম্ভব রকম ভাললাগে ।
ছায়া মেয়েটা আমায় এক অন্যরকম ভালবাসার
বাধনে ঘিরে রেখেছে এবাধন আমায়
দ্বারা ছিন্ন
করা অসম্ভব| শুন্যকে কেন্দ্র
করে ছায়া খুরছে চক্রাকারে| এ
চক্রে ছায়া বারবার
নতুন রুপ নিচ্ছে আর শুন্য তাকে নতুন
করে ভালবাসছে..
বারবার ছায়াকে নতুন রুপে দেখতেই
আমার ভাললাগে কখনও কালো শাড়ি আবার
কখনও
সাদা জামা ।এখন যেমন ছায়াকে লাল
ফ্রেমের চশমার সাথে ম্যাচ
করে লাল লিপষ্টিক ঠোটে হ্যাট পরা ঐ
ফর্সা মেয়েটা যে ধীরপায়ে এদিকে আসছে তার
রুপে দেখতে ইচ্ছে করছে.. মেয়েটাও মনেহয়
আমার মত
একা পার্কে এসেছে তবে মনেহচ্ছে তার কোন
জরুরি কাজ নেই| মেয়েটার
আসা দেখে মনেহচ্ছে সে পার্কের উচু
যায়গাটার
সিরিতে বসবে কিন্তু সে আমাকে অবাক
করেদিয়ে আমার পাশে এসে বসলো|
একেতো আমি মেয়েটার রুপে মুগ্ধ তার উপর
সে পাশে এসে বসেছে এখন কেমনযেন
মেয়েটাকেও
আমার পরিচিত বলে মনেহচ্ছে.. আমি পুরাই
টাশকিত...
এই মেয়েটিই ছায়া..
-তোমার কথাই ভাবছিলাম আর তুমি চলে আসলা
-তো কি ভাবতেছিলা
- ভাবতেছিলাম যে সাজ দিছ
দুর্বল হার্টের মানুষ তো ষ্টোক করবে
-কেন.?
-মানুষ অতিরিক্ত কিছুই সহ্য করতে পারেনা|
তোমার সাজ
হৃদয়ে যে অনুভুতি তৈরি করতেছে তাতে দুর্বল
হৃদয়ের
মানুষের ষ্টোক করারি কথা.
-থাক আর
বলতে হবে না
-ঠিক আছে| তো তুমি কেন এখানে..?
-আজ কেনযানি মনেহচ্ছিল পার্কে আসলেই
তোমার
সাথে দেখা হবে
-আমি তো পার্কে খুব কম আসি তাহলে তোমার
এমন
কেন মনেহলো.?
-জানিনা| পার্কে আসনা তো আজকে কেন
আসছো..?
-তোমার সাথে দেখা করতে
-দেখ শুন্য তুমি মিথ্য কথাও ঠিক
করে বলতে পারনা|
-হুম অসলে কাক
নিয়া গবেশনা করতে আসছিলাম| এই দেখ
গবেশনা করে কি পাইছি (আমি ছায়াকে আমার
ডাইরিতে লিখাটা দেখালাম)
-শুন্য,
তুমি কি জানো তুমি দিনে দিনে পুরোপুরি পাগল
হয়ে যাচ্ছ..
ছায়া এক নিশ্বাসে যে কথাটা বলেদিল এই
কথার
কোন উত্তর হয় না| উত্তর দিতে গেলেই
সর্বনাষ
কারন যে উত্তরই দেইনা কেন সেটা পাগলের
প্রলাপের মত শোনাবে | তাই চুপ
করে থাকাটাই ঠিক
বলে মনেকরলাম|
- কি হলো চুপ করে আছ কেন.?
-তাহসানের একটা টিভি বিঙ্গাপনের
কথা ভাবছি
-কোন বিঙ্গাপন.?
-এক জীবন কম মনেহয় দেখলে তোরি মুখ
বুজলাম না বিঙ্গাপনটার কথাশুনে ছায়া কেন
চুপ হয়েগেল|
মনেহচ্ছে সে এবার কেদে দিবে|
মেয়েটা কাদতেও
পারে খুব যখন-তখন কেদে দেয়| এমন কান্নার
অভ্যাস হয়েগেলে বিপদ |
দেখাযাচ্ছে ১মাস দাত ব্রাশ
না করে একদিন
সকালে তাকে ফোন করে বললাম “১মাস হল
দাত
ব্রাশ করিনা| কোন টুথপেষ্ট দিয়ে দাত ব্রাশ
করলে ভালহয় বলত”
উত্তরে সে ভ্যা ভ্যা করে কেদেদিল|
আমি দোকানে গিয়ে বলব ভ্যা ভ্যা টুথপেষ্ট
দেনতো কিন্তু দোকানদার যখন
দিতে পারবে না তখন
আবার তাকে ফোন করে বলব “ঐ নামে তো কোন
টুথপেষ্ট পেলাম না” উত্তরে ছায়া আবার
কেদেদিবে|
সে এভাবে কাদতেই থাকবে আর আমার ব্রাশ
করাটা হবেনা..
আমি নিজে কাদতে পারিনা কেউ
কাদলে সান্তনাও
দিতে পারিনা| ছায়াকেও
সান্তনা দিতে পারতেছি না যেহেতু
সান্তনা দিতে পারতেছি না সেহেতু আমার
এখানে থাকার কোনও প্রশ্নই
আসেনা চলে আসার সময় ছায়া কান্নাজরিত
কন্ঠে বলল “কোথায় যাচ্ছ..?”
আমি পেছনে না তাকিয়ে প্রত্যুত্তরে শুধু
বললাম “জরুরি কাজ শেষ তাই চলে যাচ্ছি”
পার্কের বাহিরে এসে একটা রিক্সায়
উঠেপরলাম ছায়াও চলে এসেছে আমার
সাথে দুজনে একি সাথে যাব কিন্তু
কোন কথা হবেন| শুন্য কান্না সহ্য
করতে পারেনা আর
ছায়া কান্না ছারা থাকতে পারেনা..
গন্তব্যের কিছু আগেই
রিক্সা থেকে নেমে পরলাম | ছায়ার
সাথে কিছুটা হাটাযাবে | ছায়ার
সাথে হাটতে ভালই লাগে আমার..ছায়ার
সাথে হাটতে ওর হাত ধরতে হয়না |
হয়না ওর পায়ের
সাথে পা মেলাতে.
দুজনে পাশাপাশি হাটলেও দুজনের
দুটি পথ..
ভেবেছিলাম হাটতে হাটতে কোন
কথা হবে না| কিন্তু
ছায়া প্রশ্ন করলো “ আমায় এত ভালবাস
কেন..?”
সর্বনাষ মেয়েটা মারাত্বক প্রশ্ন
করেফেলছে..! একেতো ভালবাসার কি দেখল
কিছুই বুঝলাম না । দ্বিতীয়ত এই প্রশ্নের
কোন উত্তর নেই আমার কাছে. শেষ পর্যন্ত
কিছুই বললাম না আমি|
দুজনের দুদিকে যাওয়ার সময় হয়েছে এখন
আমরা না চাইলেও পথ আমাদের
আলাদা করে দেবে|
দুজনে দুদিকে যাওয়ার সময়
ছায়া অধিরআগ্রহে চেয়ে থাকবে আমারদিকে যাতে একবার
ওরদিকে ফিরে তাকাই কিন্তু আমি কখনই
পেছনে তাকব না. ছায়াও
জানে আমি পেছনে তাকাবনা তুবুও
সে চেয়ে থাকবে.....
<প্রিয় পাঠক শুন্য ছায়ার ভালবাসা এমনি|
ছায়া শুন্যের ফিরে তাকানোর
অপেক্ষা করে আর
শুন্য কখনও ফিরে তাকায় না| কে জানে শুন্য
তখন
কি ভাবে. হয়ত
সে ভাবে “পেছনে না তাকিয়েও
তো তোকে আমি দেখতেপাই আমার তৃতীয় নয়নে|
কি হবে পেছনে তাকিয়ে..?
পেছনে তাকালে তো শুধু
ফেলেআসা প্রতিটি পদক্ষেপ আর
ফিরে না পাওয়ার বেদনাই পাওয়াযাবে"
নাকি শুন্য ছায়ার ছুটে আসার
প্রতিক্ষা করে...??
শুন্যের ছায়া তুই ভাল থাকিস সারাক্ষন>

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১২

আরজু পনি বলেছেন:
গল্প লেখার উপস্থাপন কবিতার মতো কেন ?

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.