নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দামাল ছেলে ৭১

দামাল ছেলে ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউনেস্কো’র স্বীকৃতি, সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবার প্রশংসায় ভাসালেন জাতিসংঘের ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিন বোকোভা। হোটেল রেডিসনে গত রোববার তিন দিনব্যাপী ‘ই-৯ মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অন এডুকেশন-২০৩০’ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক কার্যক্রমের সবিশেষ প্রশংসা করে ইরিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য অনেক সফলতার গল্প রয়েছে। এই সফলতার প্রধান রূপকার হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে চরম দারিদ্র্য থেকে। মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হারও কমেছে অনেক। শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া হ্রাস পাওয়া ছাড়াও শিক্ষায় ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। প্রযুক্তিখাতে উন্নতির গ্রাফ ক্রমাগত উঁচুতে উঠে চলেছে। এদেশের জনগণের জন্য এটা একটা বিরাট অর্জন। উল্লেখ্য, ই-নাইনভুক্ত দেশসমূহে ৭০ শতাংশই বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠী। ঝরেপড়া রোধ, লৈঙ্গিক সমতা, উন্নত ও গুণগত শিক্ষার জন্য কাজ করবে ই-নাইনভুক্ত এই নয়টি রাষ্ট্র। এটা বাস্তবায়ন করতে ২০৩০ সালকে শেষ সময়সীমা ধরা হয়েছে। আগামী দুই বছর এর নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়েই ইউনেস্কোর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন। ই-নাইনের জন্ম ইএফএ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের দিল্লিতে, ১৯৯৩ সালে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা অধ্যুষিত নয়টি উন্নয়নশীল দেশের সাধারণ শিক্ষাবিষয়ক লক্ষ্যসমূহ নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।

ই-৯-ভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইউনেস্কোর ডাইরেক্টর জেনারেল ইরিনা বোকোভা, ভারতের শিক্ষামন্ত্রী উপেন্দ্র কিশোর, ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়নবিষয়ক চেয়ারম্যান টোটো সুপ্রায়ান্ত, নাইজেরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী এনন্থনি গোজি আনওয়াক, পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী মো. বালিজুর রেহমান, ব্রাজিলের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস দ্য নোবিগা। ই-৯-ভুক্ত এই সম্মেলনে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের উপস্থিতিতে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতি দিলেন তাতেই প্রমাণ হয় দেশ আজ সঠিক পথেই আছে। এটা এখন আন্তর্জাতিক বিশ্ব উপলব্ধি করতে পেরেছে। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন এক সময় প্রশংসায় ভাসালেন যখন ইউনেস্কো কর্তৃক বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করে আসছিল রামপালে অবস্থিত দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে। ইউনেস্কোর মহাপরিচলকের এ স্বীকৃতির পর আমরা আশা করব যে, এ অবস্থায় ইউনেস্কো যেন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা থেকে সরে আসে। যেহেতু ইউনেস্কোর মহাপরিচালক স্বীকৃতি দিয়েছেন যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব খাতই এগিয়ে চলেছে, কাজেই আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তার আপন গতিতে চলবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। ইতোমধ্যেই দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাশিয়া ও ভারতের সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে যে এ দেশটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হবে, এটা কোনো স্বপ্ন নয়। এটা এখন আমাদের সামনে অনিবার্য বাস্তবতা। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে আমরা ৩৫তম পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবো। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিন বোকোভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল বলেই তিনি তার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই শিক্ষার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার নেওয়া এই পদক্ষেপগুলো ইউনেস্কোসহ বিশ্বের সব দেশ প্রশংসা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানকেও অনেক পেছনে ফেলেছে। ই-৯ ভুক্ত যে নয়টি দেশ শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে চলেছে, নিঃসন্দেহে তার মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন সদস্যভুক্ত অন্যান্য দেশের দেশের কাছে একটা রোলমডেল। আগামীতে বাংলাদেশ এই দেশগুলোকে দিকনির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করবে বলে আমরা প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে পারি। শুধু ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের আজকের এই স্বীকৃতিই নয়, আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতিটি দেশই স্বীকার করছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। আমরাও প্রত্যাশা করি, বর্তমান প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যেই বা তার আগেই দেশটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের প্রথম ২০টি দেশের পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হতে সক্ষম হবে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের স্বীকৃতিতেই প্রমাণ, এই প্রত্যাশা এখন আর স্বপ্ন নয়, অনিবার্য বাস্তবতা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২০

রাশিদা রাজাপুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই শিক্ষার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার নেওয়া এই পদক্ষেপগুলো ইউনেস্কোসহ বিশ্বের সব দেশ প্রশংসা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানকেও অনেক পেছনে ফেলেছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.