![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধাসিধা মানুষ।একজন প্রকৌশলের ছাত্র।রুয়েটে পড়ি তড়িৎকোশল নিয়ে।ব্লগে এত অসাধারন সব মানষ,তাদের অসাধারন চিন্তা চেতনা আমাকে মুগ্ধ করছে প্রতিনিয়ত।মনের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যম যেন।মায়ায় জড়িয়ে গেছি ইতোমধ্যে
আমাদের মেসের খালার(বুয়া) কান্নাকাটি আর ডাকাডাকিতে সকাল বেলা ঘুম ভাঙলো। জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে?
কান্নাকাটি করতে করতে উনি
কথা বলতে পারছিলেন না।
অনেক কষ্টে উনি যা বললেন, তাতে হতবাক হয়ে রইলাম।
এও সম্ভব?
… উনার মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পরই মেয়ের জামাই ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু এই অমানুষটা তার বীজ রেখে গেছে। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ৪-৫ দিন আগে খালা তার মেয়েকে হসপিটালে নেন।
রক্ত প্রয়োজন!
আমাদের কয়েকজন রক্ত দিয়ে আসেন।
এখন খালা যা বললেন, তা হচ্ছে, মেয়েটা ৩ দিন আগে মারা গেছে।
এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিকতার পাশাপাশি আরেকটি নিষ্ঠুর অমানবিক ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালের বিল আসছে ৩০ হাজার টাকা। এই টাকা ছাড়া লাশ দেওয়া হচ্ছে না। খালা অনেক কষ্টে ২০ হাজার টাকা ম্যানেজ করেছেন।
১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় ৩ দিন ধরে মেয়েটার লাশ পড়ে আছে হাসপাতালে।
সন্তান মৃত্যুর শোক, একমাত্র সন্তানহারাই বুঝতে পারেন। তার উপর যদি টাকার অভাবে সন্তানের লাশ পাওয়া না যায়!
উফফ! কি নির্মম!
কি অমানুষিক!
লজ্জায় ঘৃণায় আমি হতভম্ব হয়ে রইলাম। প্রতিটা প্রাইভেট হসপিটালের মালিকই একেকজন ধনাঢ্য ব্যাক্তি। কাজের বুয়া, রিকশাওয়ালা, পথের ফকিরের রক্ত চোষেই তারা গড়ে তোলেন অট্টালিকা। সভা সেমিনারে সমাজ সেবার ধোঁয়া তোলেন। তাদের ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন ১০ হাজার টাকার খেলনা ভাঙলেও তাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু এই ১০ হাজার টাকার কাছে পরাজিত হয় সন্তান হারা দরিদ্র মায়ের আর্তনাদ!
এই অসভ্যতার শেষ কোথায়?
উহ! ভাবতে পারছি না!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১২
খেয়া ঘাট বলেছেন: সভা সেমিনারে সমাজ সেবার ধোঁয়া তোলেন।-
এই সমাজের মাছের মতো রোগে ধরেছে।