![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধাসিধা মানুষ।একজন প্রকৌশলের ছাত্র।রুয়েটে পড়ি তড়িৎকোশল নিয়ে।ব্লগে এত অসাধারন সব মানষ,তাদের অসাধারন চিন্তা চেতনা আমাকে মুগ্ধ করছে প্রতিনিয়ত।মনের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যম যেন।মায়ায় জড়িয়ে গেছি ইতোমধ্যে
আমরা সন্তানের খেলার সাথীর মুখে তুলে দেই ফরমালিন মেশানো বিষাক্ত দুধ। পেছনের ড্রেন থেকে বালতি ভরে তুলে আনা পানি দিয়ে বানাই দুই টাকার আইসক্রিম। কিংবা এক টাকার অরেঞ্জ চকলেট। ঘামে ভেজা আর ধুলো কাদায় মাখামাখি হয়ে যাওয়া পায়ে পাড়িয়ে নরম করি আটা কিংবা ময়দার দলা। সেখান থেকে বানাই পাউরুটি। বাহারি নামের ফাস্ট ফুড।
আমরা বিদেশ ফেরত গরিব শ্রমিকের চোখে মাখাই বিষাক্ত মলম। বহুবছর পর দেশে ফেরা মানুষটার সমস্ত উপার্জন কেঁড়ে নিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলি। ভিনদেশে রপ্তানি হওয়া চানাচুরের প্যাকেটে ভরে দেই হেরোইন। । ঈদের ছুটিতে গ্রামে ফেরা দিনমজুরের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে কেঁড়ে নিই ছোট্ট মেয়ের জন্য কেনা লাল রঙের ফ্রক।
এই আমরাই আবার নিজের মৃত্যুর ভয়কে তোয়াক্কা না করে ধ্বংসস্তূপের সুড়ঙ্গ ধরে নিচে নামতে থাকি। সারারাত দাঁড়িয়ে থেকে একটা একটা করে ইট সিমেন্টের ভাঙা টুকরা সরিয়ে বেঁচে যাওয়া মানুষদের জন্য খানিকটা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করি। মাসের শেষে কষ্ট করে চলার মতো পাঁচশো টাকার শেষ নোটটি ভেজা চোখে তুলে দেই ভলান্টিয়ারের হাতে। দূর দূরান্ত থেকে স্বজনের খোঁজে আসা মানুষগুলোর জন্য ঘরের সবটুকু ডালের সাথে মায়ের কিংবা বোনের মমতা দিয়ে রেঁধে আনি এক হাঁড়ি খিঁচুড়ি। মেসের সবচেয়ে গরীব ছাত্র হওয়ার পরও বাজারের মুদি দোকান থেকে কিনে স্বেচ্ছাসেবী দলের হাতে তুলে দেই বিস্কুটের ছোট প্যাকেট। খাবার স্যালাইন। ব্যথার ওষুধ।
আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হতে না পারি, কিন্তু নিঃসন্দেহে সবচেয়ে আবেগপ্রবণ জাতি। নিজের হাতে খোঁড়া মৃত্যুকূপে ঠেলে দিতে পারি কয়েক হাজার মানুষকে আবার পরম মমতায় বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে তুলে নিয়ে আসতে পারি তাদের নিষ্প্রাণ দেহ
©somewhere in net ltd.