![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধাসিধা মানুষ।একজন প্রকৌশলের ছাত্র।রুয়েটে পড়ি তড়িৎকোশল নিয়ে।ব্লগে এত অসাধারন সব মানষ,তাদের অসাধারন চিন্তা চেতনা আমাকে মুগ্ধ করছে প্রতিনিয়ত।মনের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যম যেন।মায়ায় জড়িয়ে গেছি ইতোমধ্যে
সময়ের সাথে সব কিছুই আধুনিক হয়ে যাচ্ছে। কবুতরকে প্রতিস্থাপন করেছিল যে চিঠি আজ তা ইমেইল এর কাছে হেরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। হাতপাখা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল ফ্যানের দ্বারা। আজ সেই ফ্যানই আজ প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে এসির দ্বারা। মাটির ঘর প্রতিস্থাপিত হয়েছে প্রথমে টিনের ঘর দ্বারা এবং এরপর ইট ও সিমেন্ট এর দ্বারা। এই আধুনিকায়নের ছোঁয়া রূপকথা, কল্পকাহিনী গল্প আর কবিতাকেও রেহাই দেয়নি।
আগে আমরা শুনতাম সিনডেরেলার গল্প। সেই সিনডেরেলা পার্টিতে গিয়ে জুতা রেখে চলে আসে। সেই জুতার সাহায্য নিয়ে পরে রাজকুমার তাকে খুঁজে বের করে। এখন আধুনিকায়নের পর গল্পটা একটু পরিবর্তিত হয়ে যাবে। দেখা যাবে, সিনডারেলা কোনো ম্যাসেঞ্জারে সাইন ইন করে রাজকুমার এর সাথে আলাপ করবে। কিন্তু সে তার কোনো বিবরন দেয়ার আগেই চলে যেতে হবে। শুধু যাওয়ার আগে সে তার পাসওয়ার্ডটি বলে যাবে। এরপর রাজকুমার ঐ আইডি নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াবে আর পাসওয়ার্ড জানতে চাবে। শেষে দেখা যাবে, এক মেয়ে আন্দাজে ঢিল মেরে পাসওয়ার্ড ঠিক বলে ফেলেছে। এরপর রাজকুমার ঐ মেয়েকে বিয়ে করবে। আর সিনডারেলা ভাববে তার সাথে ধোঁকা হইসে। যা আজকের ইন্টারনেট-এ হর হামেশাই হয়ে থাকে।
পদ্যর ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। আগে আমরা পড়তাম-
“বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
নদে এলো বান”
আর এখন বাচ্চাদেরকে শিখানো হবে-
“গুলির আওয়াজ ঠাস ঠাস
মানুষ মরে চার পাঁচ।”
এভাবেই সাহিত্যর সর্বক্ষেত্রেই আধুনিকায়নের ছোয়া লেগেছে বা লাগতে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: “গুলির আওয়াজ ঠাস ঠাস
মানুষ মরে চার পাঁচ।”
হাঃ হাঃ হাঃ ভালো বলেছেন।