![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি
ব্লগার মুনতা একদিন ফেসবুকে আমাকে জিজ্ঞেস করল – ‘Incendies দেখেছেন?’ এই ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যে উত্তর দিই, এবারও তাই দিলাম, ‘দেখি নাই।’ ‘বলেন কি, এই সিনেমা অবশ্যই দেখবেন, মাথা নষ্ট করা মুভি’ – আমি যেন অবশ্যই দেখি সেজন্য সে ঘেটেঘুটে দুটো লিঙ্ক বের করে আমাকে দিয়ে গেল। আমি ডাউনলোড কমান্ড দিয়ে শীতনিদ্রায় গেলাম। কয়েকদিন পরে মুনতা আবারও ফেসবুকে নক করলো – ‘ভাই সিনেমাটা দেখছেন?’ সিডের অভাবে সিনেমাটা ১৫ পার্সেন্ট নেমে বন্ধ হয়ে গেছে বলে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। তারপরে প্রায় এক মাস পিসি নষ্ট ছিল। তারও প্রায় এক মাস পরে সিনেমাটা আবার খুজে বের করে ডাউনলোড করলাম। মুনতার জন্য হলেও সিনেমাটা দেখা দরকার।
২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটা সেরা বিদেশী মুভির ক্যাটাগরীতে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল কিন্তু পুরস্কার পায় নি। মনট্রিল ফিল্ম জার্নাল একে ৪ এ সাড়ে তিন দিয়ে বলেছেন পরিচালক তার সেরা কাজ করেছেন এই সিনেমায়। দ্য গেজেট একে ৫ এ ৫ দিয়ে বলেছেন, ‘মাস্টারপিস’। রোটেন টম্যাটোস বলেছে এই সিনেমার ৯২শতাংশ জায়গা সজীব, ফ্রেশ। তাদের রেটিঙ – ৭.৯/১০। অস্কার না পেলেও এখন পর্যন্ত ৩১টি পুরস্কার জিতেছে এই সিনেমা। এত গুনে গুনান্বিত যে সিনেমা তা না দেখার কোন কারন থাকতে পারে না।
মায়ের হঠাৎ মৃত্যুর পরে যমজ ভাই বোন সিমন ও জেন মারওয়ানের নিকট দুটি চিঠি উপস্থাপন করে নোটারি। মা তার শেষ ইচ্ছা নোটারির নিকট জানিয়ে গেছেন – মেয়েকে দেয়া চিঠিটি পৌছুতে হবে তাদের বাবার নিকট। আর ছেলেকে দেয়া চিঠিটি পৌছুতে হবে তাদের ভাইয়ের নিকট। যতদিন পযর্ন্ত তা না হচ্ছে ততদিন তাকে কবর দেয়া হবে উপুর করে। কঠিন এই শর্ত। ভাই বোনের নিকট অবাস্তবও বটে। কারণ তাদের বাবাকে তারা দেখেনি কোনদিনই, তাদের কোন ভাই আছে সে কোথাও কোনদিন শোনা হয় নি মায়ের নিকটে। তবে কেন এই কঠিন শর্ত? যাদের অস্তিত্ব সম্পর্কেই কোন ধারনা নেই তাদের খুজে বের করতে হবে, কিন্তু কিভাবে?
সিনেমার একদম শুরুতেই এই ড্রামাটিক নিড দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা হয়। পুরো সিনেমা এই নিডকে স্যাটিসফাই করার প্রচেষ্টায় কাহিনী বর্তমান আর অতীতের মাঝে ছোটাছুটি করেছে। বর্তমানে আছে কন্যা জেন মারওয়ান (পরবর্তীতে সিমন মারওয়ানও যুক্ত হয়), আর অতীতে আছে মা নাওয়াল মারওয়ান। মূলত মায়ের বিপ্লবী জীবনকে একটু একটু করে খুড়ে বের করেছে তার সন্তানেরা। একটু একটু করে বেরিয়ে এসেছে এমন সব অধ্যায় যা কোনদিনই মায়ের কাছ থেকে তারা জানে নি, এমন সব ঘটনা যা কোন সন্তানের পক্ষেই সহ্য করা সম্ভবপর নয়।
কানাডা থেকে নির্মিত এই সিনেমার প্রেক্ষাপট কানাডা নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ যা স্পষ্ট নয়। তবে কাহিনী বিন্যাস ও ঘটনাপ্রবাহ লেবাননকেই ইঙ্গিত করে। খ্রীষ্টান তরুনী নাওয়াল একজন শরনার্থীকে ভালোবেসে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু তার ভাইয়েরা তার প্রেমিককে হত্যা করে, অথচ নাওয়ালের পেটে সন্তান। গভীর গোপনীয়তার মধ্যে এই সন্তানের জন্ম হয়, জন্মের পরই নাওয়ালের নানী তার পায়ে তিনটি উল্কির ফোটা দিয়ে দেন, যেন সন্তানের মা ভবিষ্যতে সন্তানকে চিনে নিতে পারে। তারপর সেই সন্তানকে পাঠিয়ে দেয়া হয় এতিমখানায়। ঘটনাপ্রবাহে দেশে সিভিল ওয়ার শুরু হলে নাওয়াল তার ছেলেকে খুজে ফেরে এবং একসময় চরমপন্থী এক দলের সাথে যুক্ত হয় ও পরিকল্পনা মোতাবেক বিপক্ষ খ্রীষ্টান দলনেতাকে হত্যা করে। তারপর শুরু হয় জেলখানায় তার দুর্বিষহ জীবন।
পলিটিক্যাল আবহে নির্মিত এই সিনেমা পলিটিক্যাল নয়, পুরোটাই ফিকশন। কিন্তু নাওয়ালের এই অধ্যায়টুকু মিলে যায় সুহা বেচারার জীবনের সাথে। সুহা বেচারা একজন লেবানিজ মেয়ে যে একুশ বছর বয়সে সাউথ লেবানন আর্মির জেনারেলকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় এবং ধরা পরে। তারপর কুখ্যাত খিয়াম জেলে চরম নির্যাতন আর বঞ্চনায় কাটে দীর্ঘ দশটি বছর। তার এই যন্ত্রনাকাতর জীবন নিয়ে তিনি দুটো অটোবায়োগ্রাফি লিখেছেন।
নাওয়াল মারওয়ান চরিত্রে অভিনয় করেছেন লুবনা আজাবাল, প্যারাডাইস নাউ সিনেমায় তার সাথে আপনাদের পরিচয় হবার কথা। অসাধারণ এই কাহিনীর সাথে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে স্কর্চহেড নামের একটি নাটক থেকে। গল্পের প্রতিটি বাঁকে নতুন আর চমকপ্রদ ঘটনাবলী সিনেমাটিকে টানটান উত্তেজনাময় করে তুলেছে। পরিচালক Denis Villeneuve এই উত্তেজনাকে দর্শকের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য অবশ্যই বাহবা পাবেন। দর্শককে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য যে গল্পকে তিনি বেছে নিয়েছেন তা কতটা বাস্তবসম্মত সেই প্রশ্ন অবান্তর হয়ে দাড়ায় দর্শকের কাছে, কারণ সিনেমা শেষ হতে হতে নাওয়াল মারওয়ানের জীবন ছুয়ে গেছে সব দর্শককেই, ছুয়ে যাবে আপনাকেও। বাজি
আমন্ত্রন দারাশিকো'র ব্লগে
ফেসবুকেও সাথে থাকুন
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:০৩
দারাশিকো বলেছেন: ধন্যবাদ জামাই
রোজার পরেই দেখুন - কিন্তু দেখে ফেলুন। ভালো লাগবে ইনশাল্লাহ।
থ্যাঙ্কস
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
rudlefuz বলেছেন: এটি একটি অবিশ্বাস্য মুভি। এটি দেখার পর আমার কি অনুভূতি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। অনেক সময় লেগেছিল আমার স্বাভাবিক হতে। মৃত্যুর আগে সবার একবার এই মুভিটি দেখা উচিত।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১১
দারাশিকো বলেছেন: জটিল এক্সপ্রেসন
পাঠক rudlefuz এর মন্তব্যটাকে গুরুত্ব দিয়েন
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
জটিল বলেছেন: ভালো লাগলো, ডাউনলোড লিস্টে যুক্ত হল
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৬
দারাশিকো বলেছেন: অতিসত্বর দেখা উচিত।
প্রোপিকটা ভালা পাই - কারন আমার ব্লগিং এর শুরুতে এই প্রোপিকের ব্লগে অনেক যাওয়া আসা হইছে
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:
রোজার পরে দেখার ইচ্ছে আছে। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৭
দারাশিকো বলেছেন: রোজার পরে দেখার আগ্রহটা ভালো লাগল।
কারনটা কি বলা যাবে? ইনবক্স করতে পারেন যদি বলতে চান।
ধন্যবাদ স্বপ্নবিলাসী
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪১
rudlefuz বলেছেন: দারাশিকো ভাই মুভির অনেক খানি স্পয়েল করে দিয়েছেন।
স্পয়লার ছাড়া রিভিউ দেন।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১৯
দারাশিকো বলেছেন: অ্যা? এই একই রিভিউ ফেসবুকের এক গ্রুপে শেয়ার দেয়ার পর একজন বলছিল - কোন স্পয়লার ছাড়াই লিখেছি।
সাধারণত আমি কখনোই স্পয়লার দিই না, যদি একটু আইডেন্টিফাই করে দেন তো শুধরে নিতাম। ধন্যবাদ rudlefuz
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সেভেরাস স্নেইপ বলেছেন: এই মুভি দেখার পর মনে হয়েছিল মাথার উপর অ্যাটম বোম পরছে!!
মারাত্মক একটা মুভি।
ওয়ান প্লাস ওয়ান ইস ইকুয়াল ওয়ান
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২১
দারাশিকো বলেছেন: অ্যাটম বোমের পরও আপনি বেচে আছেন দেখে কনগ্রাচুলেশন্স
ওয়ান প্লাস ওয়ান ইস ইকুয়ালটু ওয়ান
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:০০
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: সামুতেই রিভিউ দেখে নামাইসিলাম। দেখুম আজ। থেংকু!
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৫
দারাশিকো বলেছেন: অয়েল্কাম শাওন। দেখার পরে আপনার মন্তব্য আশা করছি
ভালো থাকুন
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১১
রনি ০৪৪ বলেছেন: কেউ দেখতে চাইলে ........................। সিন্গেল লিন্ক
Click This Link
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩২
দারাশিকো বলেছেন: কাজের জিনিস দিছেন
থেংকু
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৬
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: মুভিটা অনেকদিন ঘোর গ্রস্থ করে রেখেছিলো...
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৩
দারাশিকো বলেছেন: সেরকমই একটা সিনেমা
ভালো থাকুন মুন্সী
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৭
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: মুভি দেইখা দশ মিনিট থ হইয়া ছিলাম।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:১৭
দারাশিকো বলেছেন: হু। তব্দা খাওয়ার মুভি এইটা
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৪৩
শহিদুল বলেছেন: আপনার রিভিউ আর উপরে কমেন্ট পইড়া যা বুঝলাম
এই মুভি না দেইখা শান্তি নাই
২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:০৫
দারাশিকো বলেছেন: হা হা হা
স্যরি শহিদুল আপনার শান্তি নষ্ট করার জন্য
দেখে ফেলুন, ঠকবেন না
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০০
রাতুল_শাহ বলেছেন: একবার মনে হচ্ছে এইটারে দেখছি, আবার মনে হচ্ছে দেখি নাই,
তাহলে আরেকবার বা ১মবার দেখা যায়, কি বলেন???
২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:০৬
দারাশিকো বলেছেন: অবশ্যই আরেকবার কিংবা প্রথমবার দেখার মত সিনেমা - দেখে ফেলুন
ভালো থাকবেন রাতুল শাহ
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ডিভিডি কিনেছিলাম অনেক আগে। দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে ভুল হয়ে গেছে। শীঘ্রই দেখব।
২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:০৮
দারাশিকো বলেছেন: কিঞ্চিত ভুলই হইছে, তবে এখনো শুধরাবার সময় আছে
দেখে ফেলুন
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৩
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ডাউনলোডাইতাছি
২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:১৫
দারাশিকো বলেছেন: দেখে জানিয়ে যাবেন কেমন লাগল
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৩
উৎস১৯৮৯ বলেছেন: ডাউনলোড দিলাম।
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
দারাশিকো বলেছেন: দেখার পর জানাবেন কেমন লাগল।
ধন্যবাদ।
১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৮০র দশকের প্রথম দিকে লেবানননের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ সংঘাতপুর্ন ছিল। তিনটি সাম্রাজ্জবাদি-সামন্তবাদি পক্ষের চাপে বহু ঘটনার, বহু রক্তপাতের শাক্ষী এই লেবানন।
এই মুভিটি দেখতেই হবে ..
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
দারাশিকো বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা আগ্রহ উদ্দীপক। লেবাননের সেই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানাবেন? হয়তো সিনেমাটা বুঝতে আরও বেশী সহজ হবে সেক্ষেত্রে।
ধন্যবাদ হাসান
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪১
তানভীর আহমেদ সজীব বলেছেন: Incendies ছবিটা আমি দেখেছি। তখন যতটা না ভাল লেগেছিল-আপনার লেখা পড়ে এখন ছবিটা আরো বেশী ভাল মনে হয়েছে, এই কৃতিত্ব আপনার লেখার গুন।
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৭
দারাশিকো বলেছেন: সিনেমাটা লেখার চেয়ে কম ভালো লাগছে? অদ্ভুত। আমি আরও আফসোস করতেসিলাম যে সিনেমাটা যত ভালো ততটা বোধহয় ফুটিয়ে তুলতে পারলাম না।
ভালো থাকুন সজীব। ধন্যবাদ।
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪২
পানকৌড়ি বলেছেন: দেখতে হপে,আজকেই নামাবো
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৩৮
দারাশিকো বলেছেন: দেখার পরে জানাবেন কেমন লাগল
অকে পানকৌড়ি?
১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪৫
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: মনে হয় ভালো মুভি
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৭
দারাশিকো বলেছেন: মনে হয় আবার কি ভাই? :পি
২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: তব্দা খাওয়া ছাড়া উপায় নাই এই মুভি দেইখ্যা। যে খাইবো না, সে তব্দা হরমোনের স্বল্পতায় ভুগতেছে
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৪৯
দারাশিকো বলেছেন: :/
হক কথা।
২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫২
কাউসার রুশো বলেছেন: পুরাই মাথা নষ্ট মুভি
+++
২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫২
দারাশিকো বলেছেন: :পি
২২| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:২৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: নামায়া ফেলছি ..... রাতে দেখতে হবে
....... আপনার বর্ননা পড়ে লোভ সামলাতে পারছি না ...।
২৪ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:১৯
দারাশিকো বলেছেন: দেখে ফেলছেন? কেমন লাগল?
২৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৪
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: দেখলাম ভাইরে। না দেখলে জীবন মিস। ইনসেপশন দেখার পর এমন ঘোর নিয়ে বসেছিলাম। উফ!
২৫ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:২২
দারাশিকো বলেছেন: উফ!
২৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৯
স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:
প্রথমেই বলি, এই ব্লগে আমার পছন্দের হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন আছেন যাদের মুভি রেকমেন্ডেশন খুবই সিরিয়াসলী নিই এবং তাদের মধ্যে আপনি একজন!!! আর তাই এই মুভিটা কিছুক্ষনের মধ্যেই ডাউনলোড কিউ তে চলে যাবে আশা করছি!!!
রোজার পরে মুভিটা দেখতে চেয়েছি কিছু বিশেষ কারনে!!! যদিও সারা বছরই টুকিটাকি ইবাদত বন্দেগী করি, তারপরও রমজান মাসে আরেকটু বেশী কিছু করার চেষ্টা করি। আমার এন্টারটেইনমেন্ট আওয়ার শুরু হয় রাত ১২ টার পরে থেকে। এর মধ্যে আছে মুভি দেখা, গেম খেলা, গান শোনা। তবে রমজান মাসে কেমন জানি রাতের বেলা খুবই শারিরীক ও মানসিক ক্লান্তি ভর করে। যে কারনে রাত জাগাটা আর হয়ে উঠেনা। আর দিনের বেলা তো টুকিটাকি ইবাদত বন্দেগী আর ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যস্ততা চলে আসে। এসব কারনে রমজান মাসে মুভি দেখাটা তেমন হয়ে উঠেনা!!!
টরেন্টে এই মুহূর্তে আপাতত Cape Fear, A Better Life, Traitor, Dr. Seuss The Lorax, Reservoir Dogs, A History of Violence, Goodfellas, Dark City, The Machinist এই কয়টা মুভি ডাউনলোড কিউতে আছে।
জানতে চাইলেন, তাই জানালাম।
ভালো থাকবেন আশা করছি।
২৫ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:২৫
দারাশিকো বলেছেন: আপনার ইবাদত বন্দেগীর বিষয়টা ভালো লাগল। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন।
আমীন।
ভালো থাকুন স্বপ্নবিলাসী
২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:৩০
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: দারাশিকো ভাই, আপনের কথা মোটেও মানতে পারলাম না। এই মুভির রেকমেন্ড কইরা বলসেন, দেখেন, ভালো লাগবে !! এই মুভি দেখার পর যেই অনুভূতি টুকু আসে, সেইটারে আর যাই বলা যায়, ভাল লাগা বলা যায় না।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখার পর তবদা খেয়ে বইসা ছিলাম। অনেকখন কিছুই ভাল লাগে নাই, এমন কি কিছুই করতে মন চায় নাই। এমন ভাবে মনের উপর একটা হাতুড়ির বাড়ি খাইসি যে ব্যথা বোধের আগে বহুক্ষন কেমন নাম্ব হয়ে আসিলাম !!
২৫ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
দারাশিকো বলেছেন: sorry boss
২৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:১১
জেমস বন্ড বলেছেন: DEKUM IIIIIIIIIIIIIIEEEE
২৭ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৮
দারাশিকো বলেছেন:
২৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩২
মুনতা বলেছেন: আমার পোস্টটা
২৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:২১
চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: দেখবো আশাকরি।
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
দারাশিকো বলেছেন: কুইক দেখেন। ভালো জিনিস বেশীদিন ফ্যালায়ে রাখতে নাই
২৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫৬
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ডাউনলোড দিছিলাম, ১ এমবি বাকি থাকতে অটো অফ হয়ে গেল। আর হলো না
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
দারাশিকো বলেছেন: আহারে
আবার দেন, কি আর করা
৩০| ২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ৮০র দশকের প্রথম দিকে লেবানননের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ।
চারটি ধর্ম ভিত্তিক গ্রুপ
দ্রুজ মুসলিম,(নন সুন্নি, সংখাগরিষ্ট)
খ্রিষ্টান ফালাঞ্জিস্ট দল,(ম্যারোনাইট খ্রিষ্টান)
শিয়া আমাল(বর্তমানে হিজবুল্লাহ)
সুন্নি (খুব ছোট)
নিজেরা মিলিশিয়া বাহিনি তৈরি করে পরস্পর ভয়াবহ সঙ্ঘাতে লিপ্ত। বৈরুতে ২৪ ঘন্টাই গুলির শব্দ শোনা যেত।
সংঘাতের মুল কারন - আশ্রিত রিফিউজি ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কার করা, না করা। সবাই মুসলিম ভাতৃত্ব বলে গলা শুকিয়ে ফেললেও ফিলিস্তিনিদের কোন দেশ আশ্রয় দিতে চায় না, (অনেকটা রহিংগা স্টাইল) ইসরাইল থেকে বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনিরা প্রথমে মিশর,সিরিয়া, ইরাক আশ্রয় দিয়েছিল, পরে তারা আবার বহিষ্কৃত হয়ে জর্ডনে ঠাই হয়। জর্ডনে অনেক বছর থাকার পর বাদশা হোসেন ইসরাইলি ঘুস খেয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
লেবানন তাদের আশ্রয় দেয়। রিফিউজি ক্যাম্প হয় পশ্চিম বৈরুতে, বেকা ভেলিতে ও টায়ার বন্দরের কাছে।
এই সংঘাতকে উষ্কে দেয়ার জন্য জনপ্রিয় ফালাঞ্জিস্ট নেতা বশির জামায়েল কে হত্যা করা হয় এক গাড়ীবোমার মাধমে। পরে ফালাঞ্জিষ্টরা ইসরাইলিদের সহায়তায় এই হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিল ফিলিস্তিনি রিফিউজি ক্যাম্পে ভয়াবহ গনহত্যা চালিয়ে। যদিও বশির হত্যাকান্ডে ফিলিস্তিনিরা মোটেই জরিত ছিলনা।
এই লেবানিজ সংঘাতের আলোকে সম্ভবত একটি জনপ্রিয় গান হয়েছিল।
১৯৮৪ এ ডায়ার স্টেইটস এর সুপার হিট "ব্রাদারস ইন আর্মস"
এই নামেই এলবামেরও নামকরন করা হয়। গানগুলো আমার অসম্ভব প্রিয়।
মুভি তে এইসব এসেছে কিনা দেখতে হবে। মুভিটা নামাতে পারবোনা, স্লো নেট।
বাজারে ডিভিডি পাওয়া যাবে হয়তো।
ধন্যবাদ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
দারাশিকো বলেছেন: দেরীই হয়ে গেল রিপ্লাই দিতে গিয়ে , স্যরি বস
দারুন ইনফরমেশন দিলেন। এই ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানা থাকলে সিনেমাটা দেখা বোধহয় আরেকটু মজার হত
থ্যাঙ্কস
৩১| ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি বলবো ! এমন শক খাবো কল্পনাও করতে পারিনি। মুভিটা দেখার পর সারারাত অস্থিরতায় কেটেছে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
দারাশিকো বলেছেন: ওহ
শক দেয়ার মত মুভি বটে - না হয়া উপায় কি
৩২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:২৪
লাজ মাহমুদ বলেছেন: পাগল হইয়া গেলাম.।.।.।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
দারাশিকো বলেছেন: .।.।.।
৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুভ্যি দেখার পর যে প্রতিক্রিয়া সেটাকে সঠিক বাংলায় হতভম্ব বললে বোধকরি কম বলা হয়। এটা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
দারাশিকো বলেছেন: বোঝানো সম্ভব নয়। এটাই সত্যি।
ভালো থাকুন মহামহোপাধ্যায়
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আদরের জামাই বলেছেন: ভাল লাগলো।দেখতে পারি,তবে রোজার পরে।