নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

mom\'s boyfriend - আমেরিকান মেন্টালিটি - জানতে মন চায়

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৮

আমি আমেরিকাকে যতটুকু জানি তা হলো তাদের নাটক, সিনেমার মাধ্যমে। অন্য অনেক দেশের মতই তাদের নাটক, সিনেমা আসলেই তাদের সত্যিকারের নাগরিক জীবনের প্রত্চ্ছিবি কিনা আমি জানি না। তাই এই পোস্টের অবতারণা।

নাটকে প্রায় সময় দেখা যায় কোন পরিবারে যদি বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়, তাহলে নাবালক বাচ্চারা মায়ের সাথে থাকে। তারা নিয়মিত বাবার সাথে দেখা করে কিন্তু স্থায়ীভাবে থাকে মায়ের সাথে। মা ও বাবা দুইজনের সাথেই তাদের খুব হৃদ্যতা থাকে। এর মাঝে আবার দেখা যায় মায়ের সাথে বয়ফ্রেন্ড এর সম্পর্ক। এটাকে বাচ্চারা স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেয় আমরা দেখি। বাচ্চারা মায়ের বয়ফ্রেন্ড এর সাথে টাইম পাস করে। আবার মা-ও বাচ্চাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ঘুরতে যায়। এমনকি মায়ের বেডরুমে বয়ফ্রেন্ড এর রাত্রিযাপনকেও বাচ্চারা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়।

এটা কেন তাদের মনে কোন প্রভাব ফেলেনা?

এটা কোন ধরনের নৈতিকতা?

তাদের স্কুলে এ ব্যপারে কী ধরনের শিক্ষা দেয়া হয় বা আদৌ দেয়া হয় কিনা?

এসব ব্যপারে জানতে চাই তাদের কাছে যারা দীর্ঘদিন আমেরিকাতে আছেন কিংবা এ ব্যপারে জানেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি কানাডা প্রবাসি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্লেষন করছি ব্যাপারটাকে।

প্রথমত কানাডায় সিংগেল মাদার বা সিংগেল ফাদার বলে একটা কথা আছে। যেটা শুনে প্রথমে চমকে গিয়েছিলাম, ডিভোর্সি/উইডো এসব শব্দের চেয়ে সিংগেল শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়? ওয়েল কেননা এখানে মানুষ বিশ্বাস করে সম্পর্ক ভাংগলেই জীবন থেমে থাকেনা। হয়ত বিয়ের পরে মনোমালিন্য হলো বা মারাই গেলেন সাথীটি কোন দূর্ঘটনায়, তখন নতুন করে জীবন শুরু করা উচিৎ। বাচ্চারা সারাজীবন সাথে থাকবে না, জীবনসংগীর প্রয়োজনীয়তা আছে।

শুধু ওয়েস্টার্ন না পৃথিবীর প্রায় সব কালচারেই এভাবে দ্বিতীয় বার জীবনে সংগী খোঁজাটা জাস্টিফাই করা হয়ে থাকে। আবারো সংগী খোঁজার জন্যে বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ডের সম্পর্কে জড়ানো। এখানে পারিবারিক বিয়ের সিস্টেমটি একেবারেই নেই। যখনই বিয়ে হোক, যে বয়সেই হোক, যততম বারের জন্যেই হোক না কেন বাকায়দা ডেট করে, অনেক বছর চিনে বুঝে তারপরে জীবনসংগী বাছাই করেন সবাই।

আচ্ছা সেটাও বোঝা গেল কিন্তু বাচ্চাদের সামনে সেটা প্রকাশ্যে কেন আনা? এখানে কেউ লুকানোতে বিশ্বাসী না, বাচ্চারা নতুন পছন্দ করা মানুষটিকে স্টেপ ফাদার/মাদারকে হিসেবে পছন্দ করছে কিনা এটা বড় একটা পরীক্ষা। এমন অনেক সম্পর্ক আছে যা ভেংগে ফেলা হয় যদি বাচ্চারা সম্মতি না দেয়, নিজের চোখের সামনেও এমনটা হতে দেখেছি।
বাচ্চারাও চেষ্টা করে পরিবারের নতুন মানুষটিকে বোঝার, একে বাবা/মা বানানো যায় কিনা সেটা মিশে দেখতে চায়। মা/বাবার সাথে সাথে তারাও যেন ডেটিং প্রক্রিয়ার একটি অংশ! এটাকে ওরা অনৈতিক নয় বরং জীবনেরই অংশ মনে করেন।

উপরে যা বলেছি ওয়েস্টার্ন কালচারের মানুষজন এভাবেই ভাবেন। এই কৃষ্টি, ভাবনা, জীবনদর্শন ভুল/ঠিক, খারাপ/ভালো সেটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। আমি শুধু যা হয় তা বলেছি।

ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমি ভাবছিলাম আপনার কাছ থেকে কোন মন্তব্য পাব। কারণ, ব্লগে আপনার অনেক লেখা আছে কানাডার সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে। আমার কথা হলো, এই ব্যপারটা নিয়ে কি স্কুলে কোন কাউন্সেলিং করা হয়? পারিবারিক মূল্যবোধ বিষয়ক?

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:১২

মহা সমন্বয় বলেছেন: এটা উক্ত সমাজের জন্য হয়ত সঠিক। এটা তাদের কাছে অতি সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তুু তাই বলে এটা আমাদের সমাজের সাথে মেলানো মোটেও ঠিক হবে না।
প্রতিটি দেশ, প্রতিটি জাতির মধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন কিছু প্রথা থাকে যা এক সমাজে গ্রহণীয় অন্য সমাজে তা আস্তাকুরে নিক্ষেপীত।

@সামু পাগলা০০৭, ভাইয়ের মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমাদের দেশে খুবই নগন্য ভাবে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য সন্তানের অনুমতির প্রচলন শুরু হয়েছে। অবশ্যই ধনী পরিবারে। তবে এখনো মেলামেশা বা এক সাথে থাকা (সন্তানদের সামনে) শুরু হয়নি।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @মহা সমন্বয়ঃ সহমত

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

অনন্যা ইসলাম বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.