নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষিত বেকার রেখে মেয়েদের চাকুরি দেয়া কতটুকু যৌক্তিক

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ফরিদ বি.এ. পাস। নানা ঝামেলার কারণে মাস্টার্স করা হয়নি। মাস্টার্স না থাকার কারণে বড় কোন চাকুরির আবেদন করতে পারে না। অবশ্য বড় চাকুরির আশাও সে করে না। তারা ৩ ভাই। বড় ভাই ভালো চাকুরি করে, ছোট ভাই পড়ছে । সে মেজ। আত্মীয় লিংক দিয়ে কোন মতে একটা চাকুরি পেয়ে যায়। বেতন ২০ হাজার। কিন্তু কয়েক বছর পর হঠাৎ তার কোম্পানী বন্ধ হয়ে যায়। তার চাকুরি চলে যায়। নতুন চাকুরি পেতে আবার চলে এ অফিস থেকে ও অফিস। এ আত্মীয় থেকে ও আত্মীয়। হয়তো কোন একটা চাকুরি সে পাবে একদিন...

রফিক এইচ. এস. সি. পাস করার পরই বিদেশ চলে যায়। কম্পিউটার কোর্স করা থাকায় ডাটা এন্ট্রির জব পেয়েও যায়। অনেক বছর বিদেশ থাকার পর দেশে ফেরত আসে। কিন্তু সার্টিফিকেটের কারণে কোন চাকুরি হয় না তার। অথচ তার ছোট খাটো একটা চাকুরি হলেই চলে। কারণ, তার বিদেশের টাকা দিয়ে তার গ্রামে বাড়ি করা শেষ। কিন্তু বউ নিয়ে সংসার করতে গেলে তো একটা কিছু করতে হবে। বউ, সন্তান রেখে আর বিদেশ করতে তার ভালো লাগে না। শেষমেষ দেশে চাকুরি না পেয়ে আবার বিদেশ গমন। ২ বছর বছর পর পর দেশে আসবে সে...

শফিক, বড় ভাইয়ের সাথে থাকে মা সহ। পড়ালেখা এস. এস. সি. পর্যন্ত। শফিকের বিয়ে হয়েছে। সব সময় ছোট খাটো চাকুরি করে। পিতার রেখে যাওয়া টাকা আর বড় ভাইয়ের চাকুরির কারণে তার ৮-১০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি হলেই চলে। কিন্তু সেটাও সে পায় না। হয়তো একদিন পাবে...

ফরিদ, রফিক, শফিকের মত অসংখ্য বেকার যুবকের দরকার নূন্যতম সম্মানজনক একটা চাকুরি। কিন্তু তারা সেটা পায় না। কারণ, তারা চাকুরি খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করেছে -

* প্রায় প্রতিটি অফিসে বড় বসদের একটা মেয়ে সেক্রেটারি আছে
* প্রায় প্রতিটি অফিসে টেলিফোন অপারেটর, রিসিপসনিস্ট, কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মেয়ে আছে
* প্রায় প্রতিটি সুপার মার্কেটে মেয়েদের প্রাধান্য
* এই মেয়েদের বেতন ১০-১৫ হাজারের মধ্যে
* এই মেয়েগুলো বেশীরভাগেরই ঘরে অর্থনৈতিক সমস্য নেই
* এই মেয়েগুলো বিয়ের পর স্বামীর টাকাতেই সংসার করবে

এই লেখাতে উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের চাকুরি কিংবা নিম্ণ শিক্ষিত (যেমন-গার্মেন্টস) মেয়েদের চাকুরি নিয়ে কিছু বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে মধ্যম মানের নূন্যতম সম্মানজনক চাকুরি নিয়ে। একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ২ ভাই যদি ১৫ হাজার টাকার চাকুরি পায় তাহলে সে পরিবার ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভালো মতই চলতে পারবে। কিন্তু এই মধ্যম মানের চাকুরিগুলো যদি মেয়েরা দখল করে রাখে তাহলে রফিক, শফিক রা কোথায় যাবে? আমাদের দেশে তো বিয়ের পর ছেলেদেরই দায়িত্ব নিতে হয়, কোন মেয়েই তো বেকার ছেলেকে বিয়ে করে তার দায়িত্ব নিবে না(ছেলেরা সেটা চায়ও না)। তাহলে সমাজের নাগরিক কিংবা প্রশাসনের কি নতুন করে চিন্তা করা উচিত না যে, লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার রেখে মেয়েদের চাকুরি দেয়া উচিত কিনা...

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: বেকারদের সাথে মেয়েরা প্রেমও করেনা। অথচ চাকরীর স্থানগুলো মেয়েরা দিনে দিনে দখল করছে। ধন্যবাদ

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝতে হবে। চাইলেই ছেলেদের জন্য অনেক চাকুরির খাত বের করা যায়।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

আসাদুল ইসলাম আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভাববার মতোই একটি বিষয় উথাপন করেছেন। লেখাটি ভালো লেগেছে। কিন্তু প্রশাসন তো এ কথা কানেই তুলবে না, পদক্ষেপ গ্রহণ তো পরের কথা।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ভাই যে দেশে জনসংখ্যার তূলনায় কর্মসংস্থান কম, সে দেশে বেকার ছেলেদের রেখে কেন মেয়েদের চাকুরি দেয়া হবে?

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: মেয়েরাও পরিবারের দ্বায়িত্ব নেয় না কথাটা ভুল। আজকের যুগে নারি পুরুষ সবাই সমান। আপনি যেমন কিছু জায়গায় মেয়েদের প্রাধান্যর কথা লিখেছেন তেমনি পুরুষ প্রাধান্যর জায়গার উদাহরনও হাজারটা দেয়া যাবে। বাংলাদেশের মুল সমস্যা এসব নয়। মুল সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, কর্মসংস্থানের অভাব, চাকুরি পেতে বড় আত্মীয় বা রাজনৈতিক কানেকশান, ঘুস ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই দেশের কোন সরকারই জনগনের কথা ভাবে না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: যেসব পরিবারে ছেলে নেই সেসব পরিবারের ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রাধান্য দেয়া যেতেই পারে। তবে আমি যেসব সেক্টরের কথা বলেছি, সেগুলোতে জেনে শুনেই, মেয়েদের নিয়োগ দেয়া হয়।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

রাফা বলেছেন: বাহ্ মেয়েরা মনে হয় অন্য গ্রহের ...তাদের খেতে হয়না ,পড়তে হয়না ।এই মনোবৃত্তিটাই বিপদজনক আজকের বাংলাদেশে।মেয়ে বা ছেলে এটা বিবেচনার বিষয় নয়।যোগ্যতার বিবেচনাই বেশি প্রযোজ্য।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মধ্যম মানের চাকুরি গুলোতে মেয়েদের যোগ্যতা শুধুই 'মেয়ে'।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কারে দ্যাহামু মনের দুস্কগো আমি...............

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অন্তরে তূষেরই আগুন........

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: যে মেয়েরা এই স্থানগুলি নিচ্ছে, তারা বুঝি অশিক্ষিত হয়?

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বেশীর পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় ছেলেদেরই। সেই মেয়েগুলো বিয়ের পর স্বামীর টাকাতেই চলবে। তাহলে কেন একটা বেকার ছেলের স্থান দখল করে রাখবে? যে পরিবারে ছেলে নেই, সেই পরিবারকে সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

বনসাই বলেছেন: 'শিক্ষিত বেকার' শব্দটি একটি অপমানজনক পরিচয়। শিক্ষিত ব্যক্তি বেকার থাকে কীভাবে! এটা মানসিক দৈন্যতার কারণে হয়ে থাকে; কাজ নয় চাকরির সন্ধান এদের অকর্মণ্য করে রাখে। আমি তো কোনো অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত মানুষকে বেকার থাকতে দেখি না। কিছু না কিছু করে চলছে। সালাম তাদের।

পার্সোনাল সেক্রেটারী, টেলিফোন অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, সেলস গার্ল- এগুলোতে সাধারণত আমাদের দেশে মেয়েদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়। বলা যায় এই পদ্গুলো মেয়েদেরেই জন্যে। কিন্তু অন্য সকল পদে পর্যায়ে মেয়েরা টিকে আছে নিজেদের যোগ্যতার মাধ্যমে। 'শিক্ষিত বেকার' দের বিএ, এমএ পাশ ডিগ্রী দিয়ে চাকরির বাজারে কোনো যোগ্যতা এখন আর নির্ধারণ হয় না। ভুড়ি ভুড়ি পথে ঘুরছে। আমরা চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে দেখি, কতটা কাজে আগ্রহী, কতটা শারীরিক-মানসিক সামর্থ আছে, পাঠ্যের অতিরিক্ত কী জানে, কী শিখেছে। কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে আমরা সব সময় ইন হাউজ জবে মেয়েদের বেছে নিতে পছন্দ করি। মেয়েদের কর্তব্যনিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, কর্মস্পৃহা, সময় সচেতনতা সম পর্যায়ের একজন ছেলের চেয়ে বেশিই পেয়ে থাকি।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: কোনই আপত্তি থাকতো না যদি বেকার ছেলেদের সংখ্যা কম হতো। কিন্তু এত বেশী ছেলেকে বেকার রেখে মেয়েদের চাকুরি দিলে পরিবারগুলো আর ছেলেগুলোর সামাজিক অবস্থান কী হবে তাও তো বুঝা উচিত।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: কোম্পানির কিছু কিছু জায়গা আছে যা সাধারণত মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত। সেক্রেটারি এমন একটা পোস্ট। যদিও সব কোম্পানিতে না। এটা একটা প্র্যাকটিস। এতে খারাপ কিছু দেখছিনা, কারন অনেক পোস্ট আছে যাতে বেশিরভাগ পুরুষ মানুষকেই নেওয়া হয়। এটা নির্ভর করে ঐ কোম্পানির কাজের ধরন এবং প্রার্থীর যোগ্যতার উপরে।

যখন কোন কোম্পানি কাউকে নিয়োগ দেয়, তখন চিন্তা করে ঐ প্রার্থী ঐ কাজের যোগ্য কি না, প্রার্থীর চাকরির দরকার আছে কি নেই- সেটা কোম্পানির বিবেচ্য বিষয় না।

আপনি যেইভাবে লিখছেন যে "শিক্ষিত বেকার রেখে মেয়েদের চাকুরি দেয়া কতটুকু যৌক্তিক"- যে মেয়েটা আপনার কথা অনুযায়ী সুপার মার্কেটে ১০-১৫ হাজার টাকার চাকরি করে করে সে কি শিক্ষিত না? সেও একসময় শিক্ষিত বেকার ছিল। চাকরী পাবার পরে হয়েছে শিক্ষিত চাকরিজীবী। নাকি শিক্ষিত বেকার বলতে শুধু ছেলেদেরই বুঝেন?

এই মেয়েগুলো বেশীরভাগেরই ঘরে অর্থনৈতিক সমস্য নেই- হাসালেন। কি করে জানেন? অনেক পরিবার আছে যারা শুধুমাত্র ঐ মেয়ের চাকরির টাকার উপর নির্ভরশীল। আচ্ছা, ধরেন তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ঐ মেয়েদের কোন আর্থিক সমস্যা নেই। সে জন্য সে চাকরী করবেনা? সে আপনার জন্য যোগ্যতা থাকা সত্বেও ঘরে বসে থকবে? এই ক্ষেত্রে আপনি কি করতেন?

চাকরির ইন্টারভিওতে একটা কমন প্রশ্ন প্রায়ই করি? why should we hire you?

আপনার লেখার ধরনই আপনার শিক্ষার গভীরতা বলে দেয়।

বি;দ্রঃ এখানে "আপনি""/আপনার"- বলতে শিক্ষিত পুরুষ বেকার কে বুঝানো হয়েছে। কোন নিদৃস্ট কোন ব্যাক্তি কে নয়।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সবই মানি। আমিও জানি এ রকম মন্তব্য আসবে। আমার কথা হলো, সংসার চালানোর জন্য একটা ছেলেকে যতটা কথা শুনতে হয় বা ত্যাগ করতে হয়, ততটা তো মেয়েদের বেলায় হয় না। আমি মেয়েদের চাকুরির বিরোধী না। তবে কিছু কোম্পানীতে অনেকটা স্টাইল হিসেবে মেয়েদের নিয়োগ দেয় এটার বিরোধী। আগে বেকার যুবকের সমাধান করা উচিত, পরে নারীর ক্ষমতায়ন।

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

তাসজিদ বলেছেন: কি আর করা । বাস্তব হচ্ছে যে, নারীরা সুবিধাভোগী শ্রেণি।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমি ওভাবে বলতে চাই না। তবে কিছু সেক্টরে আসলেই তাদেরকে 'লিঙ্গের' ভিত্তিতেই সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: চাকরিতে সম সুযোগ থাকলে বিয়ে ও সংসারের দ্বায়িত্বের ব্যাপারেও সম চিন্তা থাকা উচিত।
একটা ছেলে চাকরি পেয়ে খুব সহজে একটা বেকার মেয়েকে বিয়ে করে আর্থিক দ্বায়িত্ব নেয়।
অথচ সেই একই পদে যদি একটা মেয়ে চাকরি পায় সে কি একটা বেকার ছেলেকে বিয়ে করে আর্থিক দ্বায়িত্ব নেবে?
বরং তার জন্য আরো উচু পদের ছেলে খোঁজা হবে। তখন দেখা যাবে এক পরিবারের দুজই উপার্যন করছে আর অন্য পরিবারে কার চাকরি নাই।

০১ লা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চাচ্ছি। একটা বেকার ছেলে চাকুরি না পেলে যে কী পরিমাণ মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায় তা শুধু সেই জানে।

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:২৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদঃ এক্কেরে মোক্ষম বচন মাগার বাঙ্গাল মোর শিটগো বুঝাইবো কেডা?

০২ রা আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: :-B :D

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: 'শিক্ষিত বেকার' শব্দটি একটি অপমানজনক পরিচয়। শিক্ষিত ব্যক্তি বেকার থাকে কীভাবে! এটা মানসিক দৈন্যতার কারণে হয়ে থাকে; কাজ নয় চাকরির সন্ধান এদের অকর্মণ্য করে রাখে। [/sb

শিক্ষিত মেয়েরা তাহলে কি করবে? তারা কি ঘরে বসে বসে রান্না,বান্না করবে আর সন্তান উৎপদন করবে?

ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের চাকরির প্রয়োজন আরও বেশী, ছেলেরা যে কোন কাজ করতে পারে কিন্তু মেয়েরা তা পারে না।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের পর ছেলেদেরকেই সংসার চালাতে হয়। মেয়েদের কারণে ছেলেরা বেকার বেশী থাকছে। সংসারে টানাটানি ছোট একটা চাকুরির জন্য। উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা ভালো জব করবে। মধ্যম শিক্ষিতরা ঘরের কাজ করাই ভালো।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

চোরাবালি- বলেছেন: শুরুটা হয় সামান্য কিছু লোকের স্বার্থ জড়িয়ে। যেমন কারো বোনের চাকুরী দরকার ছিল, কারো শালির চাকুরী দরকার, কারো প্রেকিকার চাকুরী দরকার। তারাই মূলত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে নারী স্বাধীনতার নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা মাত্র। এখন বেশিরভাগ বেসরকারী ব্যাংকে যে সকল মেয়েরা চাকুরী করে তাদের চাকুরীর দরকার নাই তারা চাকুরী করে শুধু মাত্র ফ্যাশনে; নিয়োগ পায় বিশেষ সুপারিশে আর বিশেষ ব্যবস্থায় তো আছেই।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দিন শেষে পুরুষ মানুষকেই পরিবারের খোঁটা শুনতে হয়। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবিরা নারীর ক্ষমতায়নের নামে অগোচরে কর্মক্ষম পুরুষদের বঞ্চিত করে যাচ্ছেন।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

চোরাবালি- বলেছেন: অযোগ্য পুরুষরাই নারী ক্ষমতায়নের ধোয়া তুলে নিজেদের অযোগ্যতা ঢেকে রাখে। মানুষ ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়; সেখানে যখন অন্যের ক্ষমতার জন্য লড়াই হয় তখন বুঝতে হয় তাদের অযোগ্যতা সেটা। কি করব আমরা তো আজ অযোগ্যদের পাদাতলে শ্বাসিত।

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

চোরাবালি- বলেছেন: আমার অভিজ্ঞতাই আমি হলফ করে বলতে পারি করপোরেট গার্লদের অধিকাংশের চাকুরী দরকার নাই। যদি সমাজে যে কোন একজন চাকুরী পাবে নিয়ম থাকত তবে এত চাকুরীর প্রবণতা আর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রবণতা থাকত না। আমি যেখানে জব করি সেখানকার ১/২জন ছড়া কারো চাকরীর দরকার নাই, তারা চাকুরী করে স্ট্যাটাস এর জন্য। ফ্যাশনের জন্য। রংতামাশা করে সময় কাটানোর জন্য।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমারও একই মত। বড় বড় কর্পোরেট হাউজে মেয়েরা চাকুরি কতটা নিজের যোগ্যতায় আর কতটা রিকমেন্ডশানে পেয়েছে তা যাচাই করলেই বোঝা যায়। বেশীরভাগেরই আবার স্বামী বেকার নেই(প্রশ্নই আসে না!)। একই দেশে বেকার যুবকের আত্মহত্যা আর সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, সত্যিই সেলুকাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.