নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৭



বিডিনিউজ২৪ এর খবর অনুযায়ী রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে ঢাকার হেয়ার রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দরের পথে গাড়িতে ওঠার আগে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি সিনহা।

তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ না। আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি। আবার ফিরে আসব। বিচার বিভাগ যেন বিব্রত না হয়। আমার ধারণা, সরকারকে ভুল বোঝানো হয়েছে।”

তাঁর এই বক্তব্যের পর আর সন্দেহ রইলো না আইনমন্ত্রী যে ছুটির দরখাস্ত জাতির কাছে উপস্থাপন করেছিলেন সেটা ছিল ভূয়া। আরও প্রমাণ হলো সেটাতে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর নকল করা হয়েছিল।

বুঝলাম এটা সরকার তথা আওয়ামী লীগের চাল। তাই বলে এতটা মিথ্যাচার করতে হবে? আইনমন্ত্রী কীভাবে এই মিথ্যাচারে রাজি হলেন? উনার বিবেক কি মারা গিয়েছে? শুধুমাত্র সরকারের পদ ধরে রাখতে আর আওয়ামী লীগ করেন বলে এভাবে একটা ভূয়া খবর তিনি কীভাবে জাতিকে শোনালেন?

আজকের পর এই মিথ্যা নিয়ে তিনি কীভাবে রাতে ঘুমাবেন। তিনি তো ছাত্র নেতাদের মধ্যে চুরি চামারি করে মন্ত্রী হননি। তাহলে তিনি কীভাবে এই ছোটলোকি কাজ করেছেন? এই মিথ্যাকে সত্য করতে গিয়ে হয়তো আরো অনেক মিথ্যা কথা তিনি বলবেন। পরকালের ভয় নেই মনে হয় উনার।

পুনঃশ্চ - আবার প্রধান বিচারপতিও বলেছেন, সরকারের চাপে ছুটিতে যাচ্ছেন না। তিনি আবার ফেরত আসবেন। দেখা যাক কী হয়। নাকি তিনিও আইনমন্ত্রীর মত একটা মিথ্যা কথা(আসলে সরকারেরই চাপে) বলে ভেগেছেন কে জানে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০০

কুহুক বলেছেন: সরকার বিচার বিভাগকে ধংস করে দিচ্ছে । একদিন জাতি এদের কাঠগড়ায় দাড় করাবে । বাংলাদেশের মানুষ জানে এস কে সিনহার সাথে অন্যায় করা হইছে । সমস্ত বাংলাদেশ একটা
নাটকের মঞ্চ সরকার অভিনেতা আর জনগণ দর্শক হয়ে থাকলো । এস কে সিনহার মতো
এতো প্রজ্ঞ বিচক্ষণ আর কোন বিচারপতি বাংলাদেশে আসবে না ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এটা একটা বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। পরবর্তী সরকারগুলোও এভাবে প্রধান বিচারপতিকে চাপে রাখবে। ফলাফল, দেশ আরো অরাজকতার দিকে যাবে।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুধু আইনমন্ত্রী না,
পুরো সরকারকেই পদত্যাগ করে দেশকে খাম্বাচোরাদের হাতে দিয়ে দেয়া উচিত!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এই কাজ বি এন পি করলে আওয়ামী লীগ বি এন পি'র পতন ঘটিয়ে দিত। কে এম হাসানের সময় কী করেছিল মনে আছে?

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কথায় কথায় পদত্যাগ দাবি করাটাও একটা সমস্যা!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৫

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দাবী করলাম না। কিন্তু তিনি যে ভূয়া আবেদন দেখিয়ে প্রধান বিচারপতির ভূয়া স্বাক্ষর দেখিয়েছেন সেটার কী হবে?

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:০৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: যে দলের প্রধান ব্যক্তি উচ্চ আদালত স্বীকৃত রংহেডেড সেই দলের অন্যদের নিয়ে মন্তব্য করা নিরর্থক মনে করি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: তাই বলে এই যুগে এভাবে মিডিয়ার সামনে প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চিঠি দেখানো?

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এস কে সিনহা বললেন, আমি স্ব ইচ্ছায় বিদেশ সফরে যাচ্ছি, কারো সাথে কোন বিবেদ নাই।(bdnews24 এর ইংরেজি ভার্সন খবরে ভিডিওটি সংযুক্ত আছে, আরেকবার দেখে আসতে পারেন।)

আপনি বললেন, ছুটির আবেদন মিথ্যে, অথচ বিচারপতি সাহেব একমাস ছুটি থাকার পরও আর কিছুদিন ছুটির আবেদন করেছেন বলে বলছে bdnews24 .com

"এদিকে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার তার বাসায় যান স্বজনরা। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে যান তারা।

স্বজনদের মধ্যে ছিলেন প্রধান বিচারপতির ভাই এন কে সিনহা, ভাতিজি জামাই রাজমন সিনহা, সুজিত সিনহা ও রাম কান্ত সিনহা ও শ্যালিকা শিলা সিনহা।

সকাল ১০টা ২২ মিনিটে প্রবেশ করেন ভাতিজি জামাই সুজিত সিনহা ও রাম কান্ত সিনহা, ১০টা ২৩ মিনিটে বাসভবনে প্রবেশ করেন শিলা সিনহা, ১২টা ৪৫ মিনিটে প্রবেশ করেন ভাতিজি জামাই রাজমন সিনহা।

প্রধান বিচারপতি ছুটিতে যাওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ও স্বজনরা তার বাসায় যাচ্ছেন। গত সপ্তাহেও তার বেয়াই-বেয়াইন, ভাইসহ স্বজনরা দেখা করতে প্রধান বিচারপতির বাসায় গেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর একমাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চান বলেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রীর জন্য টিকিট কাটা হয়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ইসমাইল হোসেন দেখা করতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে প্রবেশ করেন। এর পরে সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ওই বাসায় প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সহকারী আনিসুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির আবেদনে এর আগে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

কিন্তু বিচারপতি সিনহা যেহেতু আরও বেশি দিন বিদেশে থাকবেন, সেহেতু রাষ্ট্রপতি নতুন আদেশ দিয়েছেন।' " bdnews24 থেকে সংগৃহীত।

আপনি ছুটির আবেদন মিথ্যা বানোয়াট বলে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করলেন!!
এটা কেমনে কি বুঝলাম না কিছু

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: তিনি অসুস্থ ছিলেন(ক্যান্সার) বলে যে কথা লেখা হয়েছিল ঐ আবেদনে সেটার ব্যপারে বলেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.