নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগের সময় অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিমরা। তখনকার শেরে বাংলা, শেখ মুজিব, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী সবাই পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা ছিলেন। সেই পাকিস্তান আমাদের সাথে অন্যায় করা শুরু করে যার ফলে যুদ্ধ শুরু হয় আর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি।
বিজয়ের আগ পর্যন্ত অনেকেই স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে গিয়েছিলেন। সরকারী চাকুরেরা শেষ দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের অধীনেই চাকুরি করেছিলেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীও পাকিস্তান সরকারের ভাতা পেয়েছিলেন যুদ্ধকালীন সময়ে। কবির চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, সর্দার ফজলুল করিম সহ অনেক শিক্ষক, শিল্পী বা অন্য পেশাজীবি যারা যুদ্ধ করেননি কিন্তু পাকিস্তান সরকারের অধীনেই ইচ্ছেয় হোক আর অনিচ্ছেই হোক চাকুরি করেছিলেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে শিক্ষিত বা প্রগতিশীল অংশ তখনও দ্বিধান্বিত ছিল দেশ স্বাধীন হবে কিনা এ ব্যপারে। আবার জীবনের তাগিদে চাকুরি করে অর্থ উপার্জনও বন্ধ করেননি কেউ। এই প্রগতিশীল অংশের সবাই ১৬ই ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করেননি কিংবা পাকিস্তানের পক্ষালম্বন করেননি। তাই ১৬ ই ডিসেম্বরের আগে তাদের চাকুরির কারণে তাদের রাজাকার বলা যাবেনা। কারণ, 'রাজাকার' নামে আলাদা একটা বাহিনী ছিল। যার সদস্য এরা কেউ ছিলেন বলে জানা যায়নি। আবার এদের কেউ পাকিস্তানীদের বাঙালী নিধনে সহায়তাও করেননি। যদিও ঐতিহাসিকভাবে তারা পাকিস্তান সরকারের কর্মচারী ছিলেন যখন বাংলাদেশ যুদ্ধে লিপ্ত। এ কারণে ৪০/৪৫ বছর পর হঠাৎ হঠাৎ কাউকে কাউকে 'রাজাকার' বলা বোকামি বা জ্ঞানপাপীর পরিচায়ক।
৩০ লাখ মানুষ হত্যা আর ২ লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসার পরও সেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট-এর সাথে মাত্র ৩ বছর পরের সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু হেসে হেসে কথা বলেছিলেন আর কোলাকুলি করেছিলেন। অনেকে বলবেন রাষ্ট্রীয় নিয়ম মানতে গিয়ে সৌজন্যতা করেছিলেন। কিন্তু ফ্যাক্ট হলো, মাত্র ৩ বছর আগেই একই দেশ ছিল আর উনারা ছিলেন একই দেশের দুই নেতা/সহকর্মী। ভূট্টোও 'বেঈমান' মুজিবকে আলিঙ্গন করেছেন আবার মুজিবও 'কসাই' ভূট্টোকে।
খান আতাউর রহমান যখন 'জীবন থেকে নেয়া' তে অভিনয় করেন তখনও পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধেই ছিল ছবিটি। যদিও বাংলাদেশ তখনও স্বাধীন হয়নি। তাই পাকিস্তান নিয়ে কবিতা বা গান লেখাও বন্ধ থাকেনি। আবার দেশ(স্বাধীনতার পর) নিয়ে গান, কবিতাও বন্ধ থাকেনি। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পাকিস্তান বন্দনা করে থাকলে সেটা হবে অন্যায়।
আসল রহস্য হলো, খান আতাউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের প্রশংসা করে গান লিখেছিলেন(সেটাও চাপে পড়ে নাকি নিজের ইচ্ছায় জানিনা)। এই অপরাধের জন্য তাকে অন্য কোন অপবাদ দেয়া যেতে পারে, তবে 'রাজাকার' নয়। আর তিনি যদি আওয়ামী লীগ করতেন তাহলে তো এত কথাই হত না! 'রাজাকার' তো দূরের কথা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:১৬
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন:
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:২৭
কৃষ্ণকবি বলেছেন: জানি না আসল ঘটনা কি আর কতটুকি ই বা এর ব্যাপ্তি।তবে আমি কোথাও শুনিনি খান আতাউর রহমান বঙ্গবন্ধুদের খুনিদের নিয়ে প্রশংসা করে গান লিখেছেন।সোর্স টা দিলে খুশি হতাম,ধন্যবাদ
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৭
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: কয়েক বছর আগে প্রথম সারির এক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। লীগাররা এখন এটাকে বেশী হাইলাইট করছে।
view this link
view this link
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: সবচেয়ে বেশি প্রতারনা করে ছবি।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ছবি শুধু ছবি নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: তিনি যদি আওয়ামী লীগ করতেন তাহলে তো এত কথাই হত না! 'রাজাকার' তো দূরের কথা।