নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই ছোটবেলা থেকে জুমা'র নামাজের রাকাত নিয়ে সমস্যায় আছি। নামাজ শিক্ষার বইয়ে কোথাও ২০ রাকাত, কোথাও ২২ রাকাত লেখা ছিল। আমিও পড়তে লাগলাম সেভাবে। কিশোর বয়সে স্যার বললো, জুমার নামাজ কমপক্ষে ১০ রাকাত(ক্বাবলাল জুমা - ৪, ফরজ - ২, বাদআ'ল জুমা - ৪)। পড়তে লাগলাম সেভাবে। আরো পরে জানলাম বাবার কাছে জুমার নামাজে ১০ রাকাতের সাথে অর্থাৎ বাদআ'ল জুমার পর ওয়াক্তিয়া সুন্নত ২ রাকাত পড়তে হবে! হয়ে গেল ১২ রাকাত। তাও পড়তে লাগলাম।
গেলাম সৌদি আরব। ওখানে গিয়ে জানলাম, জুমার নামাজের প্রধান আদব হলো মসজিদে প্রবেশ করেই দাখলুল মসজিদ ২ রাকাত নামাজ। এবার পড়তে লাগলাম ১২ রাকাত (দাখলুল মসজিদ - ২, ক্কাবলাল জুমা - ৪, ফরজ - ২, বাদআ'ল জুমা - ৪)। আরো কিছুদিন পর টিভিতে সওয়াল জবাবে শুনতে পেলাম, রাসুল(সাঃ)এর নিয়ম অনুসারে জুমার নামাজ ৮ রাকাত। তা হলো, দাখলুল মসজিদ - ২ রাকাত, ফরজ - ২ রাকাত, বাদ জুমা ২+২ = ৪ রাকাত। অর্থাৎ ক্বাবলাল জুমা নেই। পড়তে লাগলাম সেভাবে।
ইন্টারনেট সহজ হলো। আমার অনুসন্ধান চলতে লাগল। এক ইসলামী ব্লগে জানতে পারলাম, জুমার নামাজ ৮ রাকাত (ঠিক যেভাবে টিভিতে বলেছিল)। তবে ফরজ ২ রাকাতের পর বাসায় গেলে ২+২=৪ রাকাত সুন্নত আর মসজিদে পড়লে ৪ রাকাত সুন্নত! এবার এভাবেই ফাইনালি পড়তে লাগলাম। মানে, দাখলুল মসজিদ - ২, ফরজ - ২, বাদআ'ল জুমা - ৪। ক্বাবলাল জুমা ৪ রাকাত বাদ।
আরো কিছুদিন পর এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারলাম, ৮ রাকাত ঠিক আছে। তবে ক্বাবলাল জুমা ৪ রাকাত সুন্নত পড়লেও সমস্যা নেই। আবার কনফিউজড। যাক, এখন সর্বশেষ যেভাবে পড়ছি তা হলো, দাখলুল মসজিদ - ২, ক্বাবলাল জুমা - ৪, ফরজ - ২, বাদআ'ল জুমা - ৪ মোট ১২ রাকাত। এবার আপনারা কিছু জানলে জানান। ধন্যবাদ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ। বোঝা গেলা ইমাম আসার আগ পর্যন্ত যত খুশী নামাজ পড়া যাবে। তবে ফরজের পর দুই রাকাতের পর চার রাকাত পড়া যাবে(এটা নতুন) অথবা শুধু ৪ রাকাত। এই ৪ রাকাত না পড়লেও কি গুনাহ হবে কিনা এ ব্যপারে পরিস্কার হতে পারলাম না।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: জুম্মার দিন ২ রাকাত দাখলুল মসজিদ আর জুম্মার ফরজ ২ পড়তেই হবে | জুম্মা শুরু হবার পর মসজিদে ঢুকলে দাখলুল মসজিদ পড়তে হবে না সরাসরি জুম্মা পড়তে হবে | রাসূলুল্লাহর থেকে সরাসরি নির্দেশ হিসেবে এই চার রাকাত -এর কথাই সহী হাদিস থেকে জানা যায় | এর বাইরে ম্যান্ডেটরি সুন্নত বা নফল নামাজ নেই | সাহাবীরা সবসময়ই অনেক বেশি দ্বীনদার ছিলেন | তারা সবাইতো আমাদের মতো লেট্ টাইমার ছিলেন না মসজিদে | তাই তাঁরা আরো নামাজ পড়তেন জুম্মার আগে আগে যেতেন বলে | কিন্তু সবাই একভাবেই তা পড়তেন এমন কথা কিন্তু কথা কিন্তু বলা নেই কথাও |তার মানেই হলো সুন্নত/নফল পড়া নিয়ে কোনো সুনির্ধারিত নিয়ম নেই |এটা ব্যক্তির সামর্থের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে |মোহেবুল্লাহ অয়ন যে রেফারেন্সটা দিয়েছেন সেটা সঠিক একটা রেফারেন্স |
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১২
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এখন আপনার কথা অনুযায়ী ফরজের পরের ২ বা ৪ রাকাত নামাজ(যেটা অয়ন ভাইয়ের রেফারেন্সে এসেছে) ছেড়ে দিলেও কোন সমস্যা হবে না নিয়ম অনুসারে।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ওটা ম্যান্ডেটরি নয় তাই কিন্তু বললাম | ফরজ ছাড়া হাদিসে তাগিদ দিয়ে দাখলুল মসজিদের দুই রাকাতের কথাই বলা আছে |অন্য নামাজগুলো সামর্থের উপরে ভিত্তিতে করে যে যতটুকু পারে পড়বে | কেউ বাসায় এসেও দুই রাকাত পড়তে পারবে জুম্মার পরের নামাজ মসজিদে চার রাকাত না পরে | সেভাবেই হাদিসে বলা আছে | সেটাই আমি বলেছি |আমার ইন্টারপ্রিটেশনের কোনো ব্যাপার নেই এখানে |আপনি যখনি নামাজে কোনো সেজদা করেন তখনি আল্লাহর কাছে আপনার মর্যাদা বেড়ে যায় | নামাজে অতিরিক্ত সুন্নত বা নফল পড়লেতো কোনো ক্ষতি নেই |
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। তাহলে আমরা খামাখা এতদিন যারা ফরজ পড়েই উঠে চলে যেত তাদের মন্দ বলতাম।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনি যখনই মসজিদে ঢুকবেন তখন দুই রাকাত সালাত না পড়ে বসতে পারবেন না। ইমাম যদি আরবি খুতবা দিতেও থাকে তাও পড়তে হবেই। তারপর ফরজ তো পড়বেনই। আপনার ফরজ পালন হয়ে গেল। এরপর মসজিদে সুন্নাহ পড়তে চাইলে ৪ রাকাত পড়তে হবে। বাসায় পড়লে দুই।
নিচে দুইজন আলিমের ভিডিও দিচ্ছি। এরা নির্ভরযোগ্য।
মুহাম্মাদ সালাহ
আসিম আল হাকিম
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দুই রাকাত না পড়ে বসার ব্যপারে একটা হাদীসও আছে। এখন মনে হয় সব ভ্রান্তি দূর হবে ইনশাআল্লাহ। অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সর্বশেষ যেটা পড়ছেন সেটাই ঠিক আছে।
তবে দুখুলুল মসজিদ ২ রাকাত নফল!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দাখলুল মসজিদ নফল নয় সুন্নত। কারণ একবার কোন এক সাহাবী খুতবা চলাকালীন বসে গিয়েছিল। তখন রাসুল(সাঃ) তাকে বলেছিল ২ রাকাত নামাজ পড়ে বসতে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ। জাজাকাল্লাহ।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৫
রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী সুন্নাত। ভুল বলে ফেলেছিলাম!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: check it