নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েক বছর ধরে একটা নতুন বিষয় তৈরি হয়েছে। হয়তো আগেও ছিল। কিন্তু এখন ৭১ টিভি, মিথিলা ফারজানা, ব্লগ সহ অনেক জায়গায় এই মতবাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এ ব্যপারে সহমত নন। বিষয়টা হল - মুসলমানদের জাকাত, কোরবানী, হজ্জ্বের খরচ থেকে অর্থ নিয়ে বিকল্প পথ বের করা।
জাকাত, কোরবানী, হ্জ্জ্ব সকল মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র সামর্থ্যবানদের জন্য এবং তা ফরজ। ইসলামে এগুলোর বিকল্প, মানে এসবের খরচ দিয়ে অন্য কোন ইবাদত আছে বলে জানা নেই। 'গরুপ্রেমী' দের প্রিয় টপিক হল - কোরবানীর মাধ্যমে হাগার হাগার গরু হত্যা না করে তার টাকা যদি গরীবকে দেয়া যেত তাহলে কতই না উপকার হত!
ঠিক একই ভাবে হজ্জ্ব না করে তার টাকা দিয়ে দান করা, জাকাত - জাকাতের যোগ্য প্রাপককে না দিয়ে অন্য কোন খাতে ব্যয় করার মতবাদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর সুক্ষ্মভাবে ঢুকিয়ে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকে তা গিলছেও! অথচ কোরবানী দিলে এবং হজ্জ্ব করলে তার সাথে প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে অনকে পরিবারের আয়ও জড়িত। সেটা তেনারা মাথায় রাখে না।
এসব মতবাদ আপাতঃদৃষ্টিতে খুব মহৎ বলে মনে হলেও, আদতে এটা একটা ভুল পদক্ষেপ। কারণ, ধর্মীয় বিষয়ে নতুন আর কোন কিছুই তৈরি করা যাবে না। ইসলামী সরকার থাকলে এসব প্রশ্ন করার সাহসও কেউ পেত না। সারা বছর ধরে ইসলাম নিয়ে তুচ্ছ/তাচ্ছিল্য করা হবে, মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ করা হবে, হিজাব/দাড়ি নিয়ে সমালোচনা করা হবে আর ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, করোনার সময় খোঁজা হবে জাকাত, কোরবানী, হজ্জ্বের অর্থ - এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৬
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: নাম বললে চাকুরি থাকবে না। তাই এই পোস্ট।
২| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা নতুন সমস্যার সৃষ্টি করেছে, ইহার সমাধান করাই ধর্মের বড় কাজ হওয়া উচিত নয় কি?
৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫১
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সেটা সরকারের চিন্তার বিষয়। ব্যক্তির চিন্তা নয়।
৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোরবানি দিতে হবে । মাংস ফ্রিজে না ভরে সাধ্যমত গরীবের মাঝে বিলিয়ে দিন। যে লোক কোরবানির টাকা বিলিয়ে দিতে বলেছেন তিনি এই করোনায় চার মাসে নিজের এলাকায় কত শত লোককে খাবার কিংবা টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন সেটাও জানা দরকার । কারণ মানুষ খালি বন্দুকে ফায়ার করে বেশী।
আমি গরীব মানুষ । তবুও নিজের ইউনিয়নে দুইশত লোককে দুই মাসের খাবার দিয়ে এলাকার বড় ছোট সবাইর সাহায্য নিয়ে।
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মাশাআল্লাহ। ব্যপারটা হচ্ছে, কথাগুলো যারা বলেন, কেউই ইসলামপন্থী না। বেশীরভাগই ধর্ম নিয়ে থাকে উদাসীন। সব সময় অসাম্প্রদায়িক বলে নিজেদের প্রচার করে। তাহলে তাদের জাকাত, কোরবানী, হজ্জ্ব বিষয়ে বলার অধিকার কেন থাকবে?
৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
জাদিদ বলেছেন: মাফ করবেন মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তা কি ধর্ম অবমাননা হবে?
ইসলামী সরকার থাকলে - কোন কিছু নিয়ে কেন প্রশ্ন তোলা যেত না? উনারা কি সবাইকে গলা কেটে ফেলত?
তাতে কি জবাব দিহীতা নিশ্চিত হতো? ইসলাম কি আদৌ এমন কিছু বলেছে?
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কথা বললে ধর্ম অবমাননা হবে না। আমি নিজেই এত ধারাতে বিরক্ত। আমি মিন করেছি, মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করা নিয়ে যারা বলেন তাদের ব্যপারে। মানে যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের একটা শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো বন্ধ করতে চায় তাদের ব্যপারে।
ইসলামী সরকার থাকলে ইসলামের বুনিয়াদী বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন/আপত্তি করা যেত না। বিশেষ করে মিথিলা ফারজানা বলেছেন, কোরবানী না করে তার বিকল্প যদি টাকা দেয়া যায় তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে না প্রকাশ্যে পশু হত্যা বন্ধ হবে ইত্যাদি! আবার করোনার কারণে মৃতদের দেহ পোড়ানো যায় কিনা সে ব্যপারে প্রস্তাব দিয়েছেন ফারজানা রূপা। এসব কথা ইসলামী সরকার থাকলে তোলা যেত না। আর ইসলামী সরকার থাকলেই সবাইকে গলা কেটে ফেলত তাও ঠিক নয়। বর্তমানে ইসলামী সরকার বলে কোন দেশেই কেউ নেই। তবে ইসলামপন্থী সরকার থাকলে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যেত না। কারণ, ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী ফতোয় বিষয়ে কথা বলবেন শুধু শরীয়াহ বোর্ড। ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
জাদিদ বলেছেন: আমি মনে করি মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট ইজমের দোহাই দেয়াটা খুবই ভুল। আজকে ইসলামপন্থী সরকার আসার পর যদি তাদের কোন কাজে প্রশ্ন না করা যায় তাহলে পরবর্তীতে যদি নাস্তিকপন্থি কোন সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন আপনি আমি কি যৌক্তিকভাবে তাদের কাজের ব্যাপারে প্রশ্ন আরোপ করতে পারব?
বিষয়টা ইসলামিক নন ইসলামিক নয়। এইগুলো বললে বিভ্রান্ত হবার সুযোগ থাকে। আমি মনে করি, মিথিলা ফারজানা বা অন্য যারা বলছেন তাদের কথায় এত সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই। উনারা উনাদের মত প্রকাশ করেছেন, যেহেতু ইসলামের রীতি রেওয়াজ বিষয়ে আমাদের চোখের হিসাবে আমরা যা বুঝি তাতে তিনি ততটা জ্ঞানী নন। বা ইসলামিক স্কলার হিসেবে উনার কোন স্বীকৃতি নেই। ফলে এই ধরনের মানুষ কে কি বলেছে না বলেছে সেটা নিয়ে মাথা না ঘামানোই শ্রেয়।
বরং যার ধর্মীয় পোষাক পড়ে, ধর্মের নামে দিন দিন মানুষের ভেতর বিভ্রান্তি, অনৈক্য, বিভাজন সৃষ্টি করছে, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সর্তক হওয়া উচিত। কারন এদের কথায় হাজার হাজার মানুষ নাচে।
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। শেষের কথাগুলো ভাল বলেছেন। সহমত।
৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০
জাদিদ বলেছেন: যদি সম্ভব হয় ভাইয়া আমাকে পারলে লিংকটা দিয়েন তো ফারজানা রুপা যেখানে মানুষ পোড়ানোর কথা বলেছেন।
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: view this link
view this link
আপনি হয়তো বলবেন, ফারজানা রূপা কোন দাবী করেননি, প্রস্তাব দিয়েছেন মাত্র!
৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: প্রথম লিংকে ২৫ সেকেন্ড পর উনার বক্তব্য পাওয়া যাবে।
৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
জাদিদ বলেছেন: দেখলাম, এটা হচ্ছে এক ধরনের বেশি পন্ডিতি আর কি!
৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩১
রাশিয়া বলেছেন: আমাদের এই ব্লগেও দু'জন বিজ্ঞ পন্ডিতের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা কিনা সারা বছর হানাহানির জন্য, মানুষের অজ্ঞতার জন্য ধর্মকে দায়ী করে আসছেন - এখন আসন্ন কোরবানীকে মানবতার মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।