নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: মিথির সেই ওয়ালপেপারটা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

মিথির ওয়ালপেপারটা এখনো ডেক্সটপ-স্ক্রিন থেকে সরায়নি মাহিন। যদিও মাহিনের জীবন থেকে মিথি অনেক আগেই সরে গেছে। আর সরে যাবেইবা না কেন? কি আছে মাহিনের?



আমি অবশ্য আগে থেকেই জানতাম যে মাহিন আর মিথির সম্পর্কটা টিকবে না। কারণ ততোদিনে আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে শুরু করেছি ‘ক্লাস স্ট্রাগল’। বুঝতে শুরু করেছি স্যোসাল ক্লাস কিভাবে একটা দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরি করে দেয় মানুষের মধ্যে। কিভাবে পারস্পারিক সম্পর্কগুলো সামাজিক অবস্থানের বিচারে বদলে যায়।



তাই যেদিন রাতে ফোন করে মাহিন বললো, ‘তুই ঠিকই বলেছিলি কৌশিক। মিথি শেষ পর্যন্ত আমাকে ছেড়েই গেলো। কেমন যেন সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে রে।’



আমি সেদিন শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলাম আকাশের দিকে তাকিয়ে। আর ভেবেছিলাম একই আকাশের নিচে একই রক্তেমাংসে গড়া এই আমরা মানুষেরা কতো বিচিত্র। আজ আরো একটি নক্ষত্র পতন হলো আকাশে।





২.

মাহিন আর মিথির একটা সুন্দর সম্পর্কের নিদারুণ অসুন্দর ও অশুভ সমাপ্তির পর যেদিন আমি প্রথম মাহিনের রুমে ঢুকেছিলাম সেদিন দেখেছি মাহিন এক মনে বসে ডেক্সটপ স্ক্রিনে মিথির ওয়ালপেপারটার দিকে তাকিয়ে আছে। আমার আসার শব্দে হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়েই চোখের জল গোপন করলো মাহিন। কেমন যেন অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম আমি। আমাকে দেখে মাহিন বলে উঠলো,



-‘আমি এখনো ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না কৌশিক যে, মিথি আমার পাশে নেই। কোনদিন আর থাকবেও না। আচ্ছা এমন হয় কেন রে? অনেকেই তো সবকিছু ভুলে আবার নতুন করে শুরু করে। দূর্ঘটনা ভেবে ভুলে যায় সব। মিথিও তাই করলো। আমি তবে পারছি না কেন রে?’



ভাবনায় পড়ে গেলাম মাহিনের কথাগুলো শুনে।এই প্রশ্নের কি উত্তর দেওয়া যায়? সত্যিই তো, কেউ তো খুব সহজেই ভুলে যায়। ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু করে। সেই যে নজরুলের একটা গান আছে না, -

কেউ ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি

কেউ দুঃখ লয়ে কাঁদে কেউ ভুলিতে গায় গীতি।



আমার বন্ধু তারেক তো সেই কবে ভুলে গিয়েছিলো কলেজ জীবনের বীথিকে। তারপর ওর জীবনে এলো স্নিগ্ধা। বেশ চপল চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে। ভালোই চলছিল ওদের। কিন্তু মাসখানেক আগে শুনলাম স্নিগ্ধার সাথেও নাকি ব্রেক-আপ হয়ে গেছে। তা হতেই পারে। ইন্টারনেট স্পিডের চেয়ে প্রেমের গতিই নাকি এখন দ্রুততর। তাই বুঝি এখন রিলেশন গড়তেও সময় লাগে না আবার ভাঙতেও না। তারেকও তাই স্নিগ্ধার শূন্যস্থানে আরেকজনকে বসিয়ে পূরণ করে নিয়েছে। শোভা না কি যেন নাম মেয়েটার- এই মূহুর্তে ঠিক মনে পড়ছে না। কই, ওকে তো মাহিনের মতো এতো কষ্ট ফেরী করে ফিরতে হচ্ছে না। কষ্টের সাথে বেশ ভালো সখ্যতা হয়ে গেছে নাকি তারেকের? নাকি অনুভূতিগুলো ভোতা হয়ে গেছে? তা যাই হোক, আবার তো নতুন করে শুরু করেছে তারেক। নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। মাহিন তবে তা পারে না কেন? মাহিন কেন এতটা কষ্ট পাচ্ছে?



নাহ, আমি আসলে ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না। মনে হচ্ছে মাহিন বোধহয় ওভার-রিএ্যাক্ট করছে। এতটা ভেঙে পড়ার তো কিছু নেই। এমনটা তো এ যুগে হরহামেশাই হচ্ছে। আদর্শ রিলেশন বলতে আসলেই তো কিছু নেই। আমি বললাম, -

‘চিন্তা করিস না দোস্ত, দেখবি আস্তে আস্তে সব ভুলে যাবি । আর ভুলে না গেলেই বা কি! হেলাল হাফিজের ওই লাইনগুলো শুনিস নি তুই,-



আমি না হয় ভালবেসেই ভুল করেছি

নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে,

পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি,

কি আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,

এক মানবী কতটা আর কষ্ট দেবে।’



মাহিন বললো-‘হেলাল হাফিজ খুব ভুল কথা লিখেছে রে কৌশিক । নিজেকে মিথ্যে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য লিখেছে ওসব।

এক মানবী অনেক কষ্ট দিয়ে জীবনের অনেকখানি নষ্ট করে দিয়ে গেছে রে, বুঝলি কৌশিক।’



আমি মাহিনের এই ব্যাপারগুলো একদম বুঝি না। একটা মানুষের জন্য এতটা কষ্ট পাওয়ার কি আছে? এতটা ভেঙে পড়ারই বা কি আছে? জীবন তো আর থেমে নেই। নাকি জীবন কারো জন্য থেমে থেকেছে কোনদিন?





৩.

তারপর অনেক অনেক বছর কেটে গেছে।

মাহিনের জীবন কিন্তু সত্যিই থেমে থাকে নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করলো। তারপর স্কলারশিপ পেয়ে চলে গেলো ক্যামব্রিজের এম আই টি’তে। রাডার সিগনাল প্রোসেসিং এন্ড ফ্রিকোয়েন্সি মডুলেশনের উপর বিস্তর গবেষণা শেষ করে বছর তিনেক আগে ঐ একই ডিপার্টমেন্টে জয়েন করেছে রিসার্স-ইনস্ট্রাকটর হিসেবে। কি নেই এখন মাহিনের। অর্থ সম্মান খ্যাতি। এগুলোই তো চায় মানুষ। যাতে সমাজের অন্য মানুষের ভীড়ে নিজেকে একটু উজ্জ্বল দেখা যায়। সবার মধ্যে থেকে সহজেই আলাদা করে চোখে পড়ে।



ক্যামব্রিজের লায়ন ইয়ার্ডস শপিং সেন্টার থেকে বের হচ্ছি আমি আর রুনু। রুনু আমার স্ত্রী। তিন দিনের একটা কনফারেন্সে এসেছি আমরা। বিকেলে কিছুটা সময় পেতেই একটু শপিং করার জন্য বেরিয়েছি দুজনে। কিছু ভালো লাগলে কিনছি। এমন সময় হঠাৎ দেখি মাহিনের মতো কে যেন পাশ কেটে চলে গেল। ঠিক দেখছি তো! মনে দ্বিধা থকলেও সাহস করে ডেকেই ফেললাম- ‘মাহিন’।



ঘাড় ঘুরাতেই দেখলাম না ভুল করিনি। মাহিন আমাকে দেখে তো একেবারে অবাক। জাপটে ধরে বললো-‘কেমন আছিস কৌশিক? তুই এখানে কতদিন হলো? আমাকে একবার খবর দিস নি কেন?’

কতবছর পর দেখা। আনন্দে মাহিনের চোখ টলমল করছে। রুনুর দিকে চোখ পড়তেই পরিচয় করিয়ে দিলাম।



-ও হৃদিতা কৌশিক রুনু। তোর ভাবি। আমরা একটা সেমিনার এটেন্ড করতে এসেছিলাম। কালই চলে যাবো।



-সেসব পরে হবে আগে তোরা গাড়িতে গিয়ে ওঠ। আর বিয়ে করেছিস তা আমাকে একবার জানালিও না। কত বছর পর তোকে দেখছি বলতো? ভাগ্যিস!! তোর চেহারাটা আগের মতোই আছে। না হলে তো চিনতেই পারতাম না।





৪.

আমি আর রুনু গাড়িতে উঠে বসলাম। সত্যিই, বেশ অন্যায় হয়ে গেছে। সেই যে মাহিন চলে এলো ক্যামব্রিজে তারপর থেকে আর যোগাযোগ নেই আমাদের। এর মধ্যে জীবন অনেকদূর অগ্রসর হয়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া জীবন থেকে দশটা বছর ব্যবহার করে ফেলেছি। কতো কতো গল্প যে জমা হয়ে আছে বলার মতো। গাড়িতে পাশাপাশি বসে আমার সেই গল্পগুলোই শুনাচ্ছি মাহিনকে। কিভাবে আমার আর রুনুর পরিচয় হলো। কিভাবে প্রথম রুনুর বাসায় আমার কথা জানাজানি হলো।



-ওহ! সেই ভয়াবহ দিনগুলো। রুনুর বাবাকে যেন মনে হতো যমদূত। আমাকে ডেকে নিয়ে কিসব কঠিন কঠিন কথা শুনালো। রুনুকে বিয়ে করার কি যোগ্যতা আছে আমার? আমি কি করি? আমার স্বল্প আয়ে ওকে কিভাবে সুখী রাখবো? সাতসতের আরো কতো কি?



সেদিন মনে হচ্ছিলো স্বপ্নের পৃথিবী থেকে যেন এই প্রথম আমি বাস্তব পৃথিবীতে পা রাখলাম। আমি তো ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম সেদিন। মাথা নিচু করে মুখ বুজে সব শুনলাম। ভেতরে ভেতরে রুনুকে হারানোর ভয় কাজ করছিলো। কিন্তু কি হলো জানিস মাহিন, হঠাৎ করে রুনুর বাবাকে বলে বসলাম-

‘দেখুন, যোগ্যতার প্রশ্ন যদি তোলেন তো শুধু এটুকুই আমি বলতে পারি যে যোগ্যতার মানদণ্ডে পরিমাপ করে আর ক’জন কাকে ভালোবেসেছে আমার জানা নেই। তা জানার বোধকরি প্রয়োজনও নেই।

তবে আমি আর রুনু পরস্পরকে ভীষণ ভালবাসি। আপনাকে ধরে নিতে হবে এই ভালবাসতে পারাটুকুই আমার যোগ্যতা। আমার মনে হয় রুনুকে সুখী করতে আর কোন যোগ্যতার আমার প্রয়োজন নেই।’



মাহিন এবার নড়েচড়ে বসেছে। বললো- ‘তুই বললি এই কথা!!! তারপর... তারপর কি হলো?’

বললাম,- তারপর আর কি! কথাগুলো একেবারে ওষুধের মতো কাজে দিলো। আমি ভাবতেও পারিনি রুনুর বাবার মতো লোক এমনভাবে একেবারে গলে যাবে মুহূর্তেই। আমার ভাগ্যও বলতে হবে। পরে শুনেছি আসলে আমার মুখ থেকে ওরকম কথাই তিনি শুনতে চেয়েছিলেন।



যাহোক তারপর আর কি, বিয়ে হয়ে গেলো। একটা মেয়ে আছে আমাদের। ছ’বছর বয়স। ওর নাম পুষ্পিতা। ওকে বাবা-মা’র কাছে রেখে এসেছি। কিন্তু পুষ্পিতাকে দেখার জন্য মনটা কেমন অস্থির লাগছে রে। তাই তো কাল বিকেলে মিটিং শেষ হলেই রাতের ফ্লাইটে সোজা দেশে ফিরে যাবো।

‘আচ্ছা, সেই কখন থেকে আমার কথাই বলে যাচ্ছি। তোর কথা কিছু বল? বিয়ে করেছিস কাকে? ছেলে মেয়ে ক’জন?’-বলেই আমি মাহিনের দিকে তাকালাম। দেখলাম ওর চোখ দুটো যেন জ্যোতিহীন নিষ্প্রভ হয়ে গেল। কেমন যেন একটু মিয়িয়ে গেলো মাহিন।





৫.

আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই সিলভার স্ট্রিটে একটা প্রকান্ড গেটের সামনে এসে গাড়িটা থেমে গেলো। গেট পেরোতেই দেখি দু’পাশে সারি সারি লাল গোলাপ ফুটে আছে। হাতের ডান পাশে সবুজ লনের উপর বিচিত্র রঙের সব অচেনা অজানা ফুলের শেড আর ঠিক মাঝখানটায় গোল একটা বসবার যায়গা করা। উপরের ছাউনিতে ঝুলছে ব্রেসিয়া আর আংগুয়াসের মতো নয়নভোলানো চমৎকার সব অর্কিড। বামপাশে একটা সুইমিং পুল যার চারপাশ বেষ্টন করে রেখেছে অজস্র টিউলিপ। বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই চারপাশে এই ফুলেল অভ্যর্থনা দেখে আমি আর রুনু অভিভূত হয়ে গেলাম।



কে বলবে এ সেই মাহিনের বাড়ি যাকে দিনের পর দিন একই শার্ট পরে ক্লাসে আসতে দেখেছি। সবগুলো বই কেনার টাকা ছিলো না বলে যকে আমার বইগুলো শেয়ার করতে হতো। তবে মাহিন ছিলো আমাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী আর ব্রিলিয়ান্ট । আর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। ওকে কখনো দমে যেতে দেখিনি। ও বলতো-দেখিস একদিন সব হবে। সত্যিই তো আজ সব হয়েছে মাহিনের। অন্তত যতটুকু দেখলে লোকে বাইরে থেকে সফল আর সুখী ভাবে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশিই হয়েছে মাহিনের।



ড্রয়িং রুমে ঢুকতেই মাহিন বললো, তোরা একটু বস আমি জামাকাপড় ছেড়ে এক্ষুনি আসছি। আমি সোফায় বসা। ডেইলি টেলিগ্রাফের পাতায় চোখটাকে একটু বুলিয়ে নিচ্ছি। রুনু ঘুরে ঘুরে ড্রয়িং রুমটা দেখছে। ওয়ালজুড়ে নানা রকম পোট্রেট, পেইন্টিং আর এন্টিকে ছেয়ে আছে। রুনু একটা পোট্রেট এর সামনে স্থির হয়ে বললো,



-কৌশিক, দেখো। এটা মনে হয় ভাবীর ছবি।



আমি আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যেতেই হঠাৎ চমকে উঠলাম। এ তো সেই মিথির ওয়ালপেপারটা যেটা মাহিনের ডেক্সটপ-স্ক্রিনে দেখেছিলাম আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে। আমি কথা হারিয়ে ফেললাম। আমাকে বজ্রাহতের মতো স্থির থাকতে দেখে রুনু জিজ্ঞেস করলো,



-কি হলো তোমার,কথা বলছো না কেন? এটা নিশ্চয়ই ভাবীর ছবি?



সম্বিৎ ফিরে পেতেই রুনুকে বললাম, ‘এটা মিথির ছবি। সানজিদা সুরভী মিথি। একদিন মাহিনের কিছুই ছিলো না বলে মিথির বিয়ে হয়ে যায় ক্রিয়েটিভ কর্পোরেশন এর চিফ-এক্সিকিউটিভ অফিসার কায়সার হামিদের সাথে। রুনু, তুমি যেন এ নিয়ে মাহিনকে কিছু জিজ্ঞাসা করো না। পরে তোমাকে সব বলবো।’





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাল লাগলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

মোঃ নজরুল ইসলাম বলেছেন: অদম্য তারুণ্যতে প্রকাশিত প্রতিটি কবিতার জন্য প্রত্যেক কবিকে শর্তসাপেক্ষে ১৫টি কবিতার বই সরবরাহ করা হবে। তাই এখনো যারা কবিতা পাঠাতে চান পাঠিয়েদিন লেখার সাথে ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিতে ভুলবেন না। লেখা অবশ্যই sutonnyMJ ফন্টটি ব্যবহার করবেন। সর্বশেষ তথ্য জানার জন্য আমাদের পেইজের সাথে থাকুন। https://www.facebook.com/SristyProkashony

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩

ডি মুন বলেছেন: হুমমমম

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৭

চেঙ্গিস খাঁন বলেছেন: ভাল, বেশ ভাল... :(

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২২

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.