নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখক যা যা পেলেন অথবা লেখক যা যা পাবেন

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২





তাই বলে ছেলেটা হুট করে লেখালেখি শুরু করে দিল? কি জানি, হয়তো ভেতরে ভেতরে একরকম প্রস্তুতি চলেছে বহুদিন ধরে। তা লিখবেই বা না কেন? ওমন আধপাগলা ছেলে; ওর তো লেখক হবারই কথা। জীবনের কাদাপানিতে লাফঝাঁপ দেওয়ার বদলে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা যার স্বভাব; তার তো লেখক হওয়া ছাড়া আর কোনো গতি নেই।



আচ্ছা, তোমার মনে আছে, ছোটবেলা থেকেই তো দেখে আসছি ছেলেটা যেকোনো একটা বই পেলেই ওমনি ঘাড় গুঁজে পড়া শুরু করে দিত। কেমন যেন চুপচাপ। নিরস। আবার কথাবার্তায়ও খুব একটা পটু না। হাঁদারামের মতো সারাদিন মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। তুমি আর যাই বলো, অকর্মণ্য লেখক হওয়া ছাড়া ও যে আর কিছু হতে পারতো আমার কোনোদিনও তা মনে হয়নি।



নাহ, তবু ভাবতেই কেমন যেন গা গুলিয়ে আসছে। শেষমেষ লেখক! শুনেছো, আমার বন্ধু নকিব হায়দার, আরে ওই যে সেবার ঈদে সপরিবারে আমাদের বাড়িতে এলো, তার মেয়েটা কি না এরই মধ্যে ডাক্তারি পাশ করেছে। অতো দূরেই বা কেন যাচ্ছি; তোমার বোনের ছেলে আমাদের রিশাদের কথাই ধরো, সেও কিনা মাস দুয়েক পর একেবারে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরোবে। আর তোমার ছেলেটা কিনা লেখক। আরে বাবা, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারিস এ্যাটলিস্ট ব্যাংকার হয়ে দেখা। তাও তো সমাজে মাথাটা বাঁচে। নাহ, শেষমেষ লেখক। ছিঃ



তোমার দোষেই তো ছেলেটার আজ এই দশা। সারাদিন অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকো। আমি একা মা হয়ে আর কতটুকু সামলাবো? বাবা হিসেবে নিজের কোন দায়িত্বটা পালন করেছো শুনি? ছেলেটাকে কোনদিনও একটু শাসন করতে পারলে না? সেদিন পাশের বাসার শিউলির মা আমাকে এসে কি বলল জানো? বলল, ভাবি, শুনলাম আপনাদের ছেলেটা নাকি লেখালেখি শুরু করেছে। তা ছেলেটাকে শেষমেষ লেখক বানিয়ে ফেললেন। ভবিষ্যতের কথাটা একবার চিন্তা করলেন না? - কি রকম লাগে বলো? লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল। সোসাইটিতে আর মান সম্মান বলে কিছু থাকলো না। ওকেও তো কিছু বলার উপায় নেই। কোনো উত্তর দেয় কথার? হাঁদারামের মতো শুধু মুখ বুজে শুনে মুচকি হেসে চলে যায়। রাগে গা রি রি করে জ্বলে তখন।



ইশ, আমার কপালে যে এই ছিলো - কে জানতো? কতো আশা ছিলো একটা মাত্র ছেলে নিশ্চয়ই বড়ো কিছু হবে। ওর পেছনে টাকা-পয়সা ব্যয় করতেও কোনোদিন তো কমতি করিনি। আর আজ কিনা তার এই ফল? লেখক? অফিসে মুখ দেখানোই দায় হয়ে পড়েছে। যারা আমাকে দেখে এতোদিন সবাই সমীহ করতো; তারাই এখন কেমন তাচ্ছিল্যের চোখে তাকায়। ছেলেটা এভাবে নিজের ভবিষ্যতটা শেষ করলো আর সেই সাথে আমার মুখেও দিলো চুনকালি। উফ।













শিউলির মা শুনছো?



হ্যাঁ, বলো।



আরে, শোনোই না। পাশের বাসার আব্বাস ভাইয়ের ছেলেটার নাকি বই বেরিয়েছে। এইবার হলো তো। ছেলেকে অমুক বানাবো তমুক বানাবো। এখন? বড়ো বড়ো লেকচার সব গেল কোথায়? আগেই জানতাম এমনই হবে। খেয়াল করে দেখনি, কেমন পাগল পাগল স্বভাব ছেলেটার। সারাদিন হাতে বই নিয়ে ওই লেকের পাড়ে গাছতলায় বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো। কতো রকম পাগল যে আছে দুনিয়ায়। আরে, তোর বাবা এতো বড়ো একটা সরকারি চাকরী করে আর তুই কিনা হতে গেলি লেখক? বাবার মুখের দিকে একবার তাকালি না? অকৃজ্ঞ ছেলে কোথাকার।



একদিক দিয়ে কিন্তু ভালোই হয়েছে শিউলির বাবা। ওরা আর আমাদের মুখের উপর চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলতে পারবে না। এতোদিনে মুখ বন্ধ হলো তো।



তা যা বলেছ। কথা বলার মুখ থাকলে তো বলবে। তুমি কিন্তু আমাদের শিউলির উপর নজর রেখো। ওদের ছেলেটার সাথে যেন আবার বেশি কথাবার্তা না বলে। কবি, সাহিত্যিক, লেখক এদের তো কোনো ভরসা নেই। কখন যে কি ঘটিয়ে ফেলে বোঝা মুশকিল।



ত্রিশ বছর ধরে সংসার করছি। এইসব কথা আর আমাকে শেখাতে হবে না। আমি অনেক আগেই শিউলিকে বলে রেখেছি, আব্বাস ভাইয়ের ছেলেটার ছায়াও যেন না মাড়ায়।



যাক, বাঁচালে।













চিশতী দ্যাখ দ্যাখ...



কি?



আরে ওই দেখ, হাঁদারামটা আসছে।



হা হা হা। হাঁদারাম নাম দিয়েছিস নাকি ওর?



তা নয়তো কি? কেমন ঠাণ্ডা আর চুপচাপ। সেদিন পার্টিতেও কোনো শব্দ করলো না। একেবারে কোণার একটা ডেস্কে বসে চুপ করে থাকলো। হাঁদারাম ছাড়া আর কী বলা যায় ওকে।



তা ভালোই বলেছিস। পুরো ভার্সিটি লাইফে কোনোদিন শালাকে কোনো কাজে লাগাতে পারলাম না। আস্তো রাবিশ। এখন শুনছি ও নাকি কবিতা, গল্প এইসব লিখে বেড়ায়।



তাহলেই হয়েছে। এইসব ছাড়া প্রোডাক্টিভ কিছু করার ক্ষমতা থাকলে তো করবে। সেদিন রুশনীর সাথে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি এক মুচির পাশে বসে তার সাথে গল্প করছে। জাস্ট একবার ভাব, কি রকম পার্সোনালিটিলেস একটা ছেলে? ওর জন্য এইসব গল্প কবিতাই ঠিক আছে। তা কি নিয়ে লিখছে? রাস্তার মুচি-মেথরদের নিয়ে?



কে জানে ছাই-ভস্ম। তবে লেখক যখন হয়েছে তখন আর সর্বনাশের বাকি নেই। মদ-গাঁজা-মেয়েমানুষ এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।



কেন কেন? এগুলোর সাথে লেখালেখির কি সম্পর্ক?



আরে দেখিস না। কবি সাহিত্যিকদের কাজই তো ওই। মদ, গাঁজা খাবে আর দিনরাত মেয়েমানুষের শরীর নিয়ে কলম চালাবে। নয়তো কোথায় কোন ক্ষেতমজুর কিংবা কামার-কুমোর-মুচিদের নিয়ে দিনকতক অহেতুক লাফালাফি। যত্তোসব ডার্টি ম্যাটার। যাকগে, ওদের থেকে যতো দূরে থাকা যায় ততোই ভালো।



ঠিক বলেছিস। আকাশ-বাতাস-পশুপাখি নিয়ে এতো আদিখ্যেতা করার কি আছে বুঝি না। এইসব লেখক প্রজাতির লোকজনরা ক্লাস, সোসাইটি, কালচার বোঝে না। ওর বাবা-মা’র জন্য দুঃখই হচ্ছে। ছেলেটা কি না শেষমেষ লেখক হয়ে গেল। ফ্যামিলি স্ট্যাটাসটা কোথায় নামলো একবার চিন্তা কর?



যাকগে। মরুকগে যাক। ফরগেট ইট। তার চেয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় চল। পেটটা চড়চড় করছে।



আচ্ছা, তাই বরং চল।













স্যার, আপনি তো অনেক বড়ো লেখক। আমার পাণ্ডুলিপিটা একটু পড়ে দেখবেন? বেশি না কয়েক লাইনের একটা মন্তব্য যদি দেন তো নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারতাম। বেশি সময় নষ্ট করবো না আপনার। আমি তো জানি, আপনি কতো ব্যস্ত মানুষ।



(পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি। এসেছেন গল্প লিখতে। কেন আর কোনো কাজ পেলি না করার মতো?) আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনি বইটা রেখে যান। আমি একসময় পড়ে নেব। আপনার মতো তরুণরা যে লিখছেন এটা জেনে তো ভীষণ ভালো লাগছে। আমরা আর কতোদিন। একদিন আপনাদেরকেই তো আমাদের জায়গাটা নিতে হবে। তা এর আগে কোনো বই বেরিয়েছে?



জী, না স্যার। এটাই হবে আমার প্রথম বই। তাই ভাবলাম, আপনি যদি একটু সমালোচনা করে দেন। অনেক উপকার হতো, স্যার। ভুল গুলো শুধরে নিতে পারতাম।



(সমালোচনা চাইতে এসেছে বেটা গর্দভ। তোকে যে কে অফিসে ঢুকতে দিয়েছে! নিজের লেখার চাপেই কুলিয়ে উঠতে পারছি না আর উনি এসেছেন উনার গল্প পড়াতে, রাবিশ) হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার সমালোচনা আপনার কোনো উপকারে আসলে আমি নিজেই আনন্দিত হবো। আচ্ছা, আমি আপনাকে জানাবো। আজ তাহলে আসুন।



জী, স্যার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এতোটা সময় দেওয়ার জন্যে। ভালো থাকবেন স্যার।











আরে, আরে, আমাদের লেখক সাহেব নাকি? এই ভর দুপুরবেলা কোত্থেকে? কতদিন পর! আয় ওঠ, ওঠ গাড়িতে ওঠ।



না ঠিক আছে। তুই যা, আমি হেঁটেই যেতে পারবো।



আরে ওঠ ওঠ। এ মাসেই গাড়িটা কিনলাম। এক্কেবারে ব্যান্ড নিউ মডেল। এবার অনেক টাকা শেয়ারে খাটিয়েছিলাম । ব্যাস, লেগে গেলো। কিনে ফেললাম গাড়ি। তোর ভাবি অবশ্য আরেকটা ফ্লাট কেনার কথা বলছে। ভাবছি, টেক্সটাইলের ব্যবসাটা আরেকটু গুছিয়ে উঠলেই ওর ইচ্ছেটা পূরণ করে দেবো। ঘর ঠাণ্ডা তো সব ঠাণ্ডা, বুঝলি। তা তোর কি খবর বল? হাতে ওটা কি? বই নাকি?



হ্যাঁ। পত্রিকা অফিসে গিয়েছিলাম। এইতো একজন লেখকের কাছ থেকে আসলাম। এখন বাসায় যাবো। তোর বাবা-মা ভালো আছেন?



বই? তা লেখালিখিটাকে একেবারে পেশা বানিয়ে নিয়েছিস নাকি? এটা কিন্তু ভালো কথা নয়। ক্যারিয়ার নিয়ে না ভেবে এইসব হাবিজাবি লিখে আর কদ্দিন? আমি তো বলি আগে ক্যারিয়ার তারপর লেখালিখি, বুঝলি? জানিস, আমার অফিসের এমপ্লয়িরাও না খুব করে ধরেছে। বলে, স্যার আপনি যা চমৎকার চমৎকার স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে, তাতে করে আপনার একটা বই বের হওয়া উচিত। বোঝ অবস্থা। ভাবছি, ওদের ইচ্ছেটা এবার বইমেলায় পূরণ করেই দেব। তা তোর দিনকাল চলছে কেমন? আরে, ওঠ গাড়িতে ওঠ। বাসায় চল। কথা বলি।



থাক, দোস্ত আজ না। অন্য কোনোদিন হবে। আজ যাই রে।



আচ্ছা, শোন। পারলে একদিন সময় করে পার্টি অফিসে আয়। সেদিন সঞ্জীব দা বলছিলো তোর কথা। পার্টির হয়ে কিছু লেখা যদি লিখতিস তো আমাদের খুব উপকারে আসতো রে। জানিসই তো, একটু দুঃসময় চলছে এখন। টাকা পয়সার ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। সঞ্জীব দা বলেছে পার্টির হয়ে কাজ করলে তোকে আর টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, বুঝলি? আসিস একদিন।



আচ্ছা, দেখি। আজ যাই দোস্ত। ভালো থাকিস।











বই বের করতে চান? সেতো খুব ভালো কথা। তা কিসের বই? পাণ্ডুলিপি এনেছেন সাথে। দেখি। এর আগে বই বেরিয়েছে?



বেরোয়নি? তাহলে তো মশাই আপনার বই ছাপা আর ট্রেনের নিচে গলা দেওয়া একই কথা। না, না, তাই বলে অতোটা বিচলিত হবেন না। আপনাদের মতো তরুণ লেখদের জন্যই তো আমরা। আমরা প্রকাশকরা যদি আপনাদের ফিরিয়ে দেই তাহলে কিভাবে হবে বলুনতো?



হ্যাঁ হ্যাঁ। মোটেই ভাববেন না। বই আপনার বেরোবেই। আর আপনারা না লিখলে লিখবে কে? আপনারাইতো নতুন প্রজন্ম। কিন্তু মশাই, জানেনই তো বাজার খারাপ। এখন কি আর কেউ বই পড়ে? গল্প কবিতায় এখন আর তেমন কারো আগ্রহ নেই। এখন তো ফেসবুকের যুগ। আপনার এতো মোটা দুটো বই বের করলে কে যে পড়বে! তার উপর আবার নতুন লেখক।



কোনো রসালো গল্প বা কবিতাও তো দেখছি না। বোঝেনই তো এখনকার পাঠকদের চাহিদা। স্যাটেলাইটের রঙিন যুগ এখন মশাই। শিলা, চিকনী-চামেলি আর বেবীডলে বাজার গরম। উত্তম-সুচিত্রার সাদাকালো এখন চলবে কেন বলুন?



না, না, তাই বলে নিরাশ হবার কোনো দরকার নেই। আমি তো আছি। আমার কাজই তো বই প্রকাশ করা। কিন্তু আপনি তো একেবারে আনকোরা লেখক। জানেনই তো এখনকার নামকরা লেখকরাও রয়্যালিটি ঠিকমতো পান না। আরে পাবেন কি করে; বই তো এখন খুব একটা বিক্রিই হয় না। আমরা যে খেয়েপরে বেঁচে আছি; সেও এক ইতিহাস।



এই দেখুন অমনি দুশ্চিন্তা করতে শুরু করলেন তো? না, মশাই। তাই বলে কি লেখালেখি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলুন। বই আপনার প্রকাশ হবেই। গল্প, কবিতা দুটোই হবে। রয়্যালিটির ব্যাপারটা তো খুলেই বললাম। আর দুটো বই হিসেবে বেশি না ‘কিছু’ যদি আপনি যোগাড় করতে পারেন, তো বই আমি অবশ্যই ছাপাবো।



কেন ছাপাবো না বলুন। তরুণরাই তো দেশের প্রাণ। আরে আপনারাই তো একদিন ঘুরিয়ে দেবেন সমাজের চাকা। এই যে চারপাশে এতো অন্যায় অবিচার। এতো বৈষম্য। নিপীড়ন। আপনাদের কলমের মাধ্যমেই তো সমাজ তা জানবে। একদম ভাববেন না মশাই। আমি তো আছি। আপনি একেবারে ঠিক যায়গাতেই চলে এসেছেন।



ও রে কই রে, নরেশ। মশাই এতোক্ষণ ধরে বসে আছেন, তাকে চা-বিস্কিট দাও। দু’দুটো বই প্রকাশ হবে উনার, বুঝলে। মস্তো লেখক হবেন একদিন। তাড়াতাড়ি একটু খাতির যত্ন করো।











ভাইয়া তুই কেন লেখক হতে গেলি বলতো? কি দরকার ছিলো এইসব বই-টই প্রকাশ করার। গতমাসে কতগুলো টাকা নিয়ে গেলি। বই ছাপাবি জানলে আমি দিতামই না। সেদিন পাশের বাড়ির মেয়েটা কি বললো জানিস, বলল তুই নাকি ঠিক মতো কথাই বলতে পারিস না। তোর বই আবার কে পড়বে? এসব শুনলে কেমন লাগে বল?



কি রে আবার মুচকি মুচকি হাসছিস কেন? আচ্ছা, আর কিচ্ছু বলবো না। তোর যা খুশি কর। ছাই ভস্ম লেখ আর তা প্রকাশ কর।



কিন্তু তোর কি ভবিষ্যৎ নিয়ে একদম ভাবনা হয় না। লেখক জানলে কি কেউ সহজে তোর কাছে মেয়ে বিয়ে দেবে? লেখকের জীবন কোনো জীবন হলো। দেখবি জীবনে তোর কিছুই হবে না। কিছুই পাবি না তুই। না টাকা-পয়সা। না মান-সম্মান। এই আমি বলে রাখলাম। শুধু শুধু কেন যে লিখিস বলতো? এই যে দুটো বই লিখলি কি পেলি? উলটো কতো দৌড়ঝাঁপ করলি এই ক’মাস।



আবার হাসছিস ভাইয়া। নাহ, তোকে নিয়ে আর পারি না। আমাদের কষ্টটা তুই কোনোদিনও বুঝবি না। থাক তুই তোর মতো।











-হ্যালো, কে বলছেন?



... আমি পিরোজপুর থেকে বলছিলাম।



- জি, বলুন।



... আপনার লেখা গল্পের বইটা পড়লাম আজ। একদম মন ছুঁয়ে গেছে। অসাধারণ। আমি আসলে আপনাকে বোঝাতে পারছি না যে বইটা আমার কতোটা ভালো লেগেছে। জীবনের অলিগলি নিয়ে এভাবেও লেখা যায়। আপনি সত্যিই দারুণ লেখেন।



- তাই! অনেক ধন্যবাদ।









(২২/০৬/২০১৪)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: চমতকার লেখা। খুব ভাল লাগলো।

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
শুভকামনা জানবেন গুণী পাঠক।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২০

বৃতি বলেছেন: যাক, লেখক সার্থক- একজনের মন অন্ততঃ ছুঁতে পেরেছেন তিনি :)

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

ডি মুন বলেছেন: এখানেই লেখকের সার্থকতা(!) বৃতি।



লেখকেরা (আমি ভালগার লেখকদের কথা বলছি না)ভয়াবহভাবে অবহেলিত উপেক্ষিত , তবু তারা কেন লেখেন? কারণ তারা লেখেন তাই তারা লেখেন। না লিখে থাকতে পারেন না বলেই লেখেন।

লেখককে লিখতেই হয়। কিছু পেলেও। কিছু না পেলেও। লেখালেখি একটা অনিরাময়যোগ্য ব্যাধি।

শুভেচ্ছা জানবেন বৃতি। ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

বৃতি বলেছেন: আমার কাছে কিন্তু লেখকদের অবহেলিত উপেক্ষিত মনে হয় না। তাঁদের সৃষ্টিশীলতাকে অনেকেই শ্রদ্ধার সাথে দেখেন- হয়ত সেভাবে প্রকাশ অনেকে করেন না।
হ্যাঁ, তাঁদেরকে লিখতেই হয়- এটা একটা অসুখ হয়ে দাঁড়ায় অনেকের জন্য।

শুভেচ্ছা রইল।

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

ডি মুন বলেছেন: তাঁদের সৃষ্টিশীলতাকে অনেকেই শ্রদ্ধার সাথে দেখেন- হয়ত সেভাবে প্রকাশ অনেকে করেন না।

আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে আকাশ অম্বর ভাইয়ের একটি কথা,

অসময়ে শব্দের মাথায় চন্দ্রবিন্দু ব্যবহারের কোনো অর্থ নেই।

আমার মৃত্যুর পর পৃথিবীর সবাই আমার সমাধিতে ফুল দিলেই বা কি না দিলেই বা কি!!! - আমার কি যায় আসে।

আসলে মৃত্যুর পর গুণী মানুষকে নতুন ব্যবসা শুরু হয়। প্রসঙ্গত মনে পড়ছে জীবনানন্দের 'সমারূঢ়' কবিতাটি।

যাহোক, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাজের অন্যান্য মানুষগুলো ভুলে যান যে কবি, লেখক বা সাহিত্যিককেও দু'বেলা খেতে পরতে হয়, তাদেরকেও ছেলে-মেয়েদের দাবী-আবদার পূরণ করতে হয়। তাদেরও সমাজ সামাজিকতা থাকে।

শ্রদ্ধা দিয়ে মন ভরে। ভালো লাগে। লেখকের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হয়তো এটাই - স্বীকার করি। কিন্তু অস্বচ্ছলতার ক্ষুদ্র যন্ত্রণাটুকুও তো কম নয়।

আপনার মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা রইলো। শুভেচ্ছা

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

is not available বলেছেন: দারুণ লেখা! আসলেই উঠতি কোন লেখককে দাম দিতে কেউ চায়না! কিন্তু,এরাই জাতির আত্মা!লেখালেখির মূল্য বাঙ্গালীরা বুঝবেনা!এক্ষেত্রে শিক্ষাব্যাবস্থার বিরাট ভূমিকার কথা কারোরই অজানা নয়! বাস্তবসম্মত একটা লেখা লিখেছেন! অনেক ভাল লাগল!

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যে ভালো লাগলো।

আপনি ঠিকই বলেছেন - লেখালেখির মূল্য বাঙ্গালীরা বুঝবেনা!এক্ষেত্রে শিক্ষাব্যাবস্থার বিরাট ভূমিকার কথা কারোরই অজানা নয়!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন চিন্তাশীল পাঠক

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ লিখছেন ইদানিং !
লেখকের সাথে বাস্তবতার তুলনা টা চমৎকার হয়েছে ।

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি ভাই

শুভকামনা জানবেন।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: লেখকদের খুব খারাপ অবস্থা দেখি! আধ বুড়ো বয়সে হঠাৎ করে লেখালেখি শুরু করেছি, তাই এসব অভিজ্ঞতা নাই । আর লেখালেখির খবর ব্লগার ছাড়া তেমন কেউ জানেও না, তাই হয়ত বেঁচে গেছি !

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৭

ডি মুন বলেছেন: খুব নামকরা লেখকরাও প্রকাশকদের কাছ থেকে ঠিকমতো সম্মানী পান না। আবার যা পান তা উল্লেখ করার মতো না। কোনো প্রফেশনালিজম নেই এই সেক্টরে। নতুন লেখকদের কথা তো বলাই বাহুল্য।

আমি এইসব সমস্যার বিষয়গুলো সম্প্রতি জানলাম । খুব মর্মাহত হলাম। তাই ভাবলাম একটা গল্পের মধ্যে ব্যাপারগুলোকে বন্দী করে রাখি। এজন্যই এই অসফল প্রচেষ্টা।

ভালো থাকুন নিরন্তর মামুন ভাই

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আজকাল ফেবুতে অনেককে দেখি চমৎকার রসালো এবং গোছানো স্ট্যাটাস দিয়ে হিট তোলে। আপনার চোখে কি তারা লেখক শ্রেনীর মধ্যে পড়ে?

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২০

ডি মুন বলেছেন: প্রশ্নের মধ্যেই এর উত্তর আপনি নিজেই দিয়েছেন। এরা লেখক নয় এরা 'ভালগার লেখক'। হিট বাড়ানোই এদের ধর্ম। পাঠককে সুড়সুড়ি দেওয়াই এদের প্রধান কাজ।

আপনি একটা ভালো কবিতা বা গল্প কিংবা এ সম্পর্কে আপনার চিন্তিত মন্তব্য ফেসবুকে পোস্ট করুন। দেখবেন দু'একজন ছাড়া কেউ ফিরেও তাকাবে না। অথচ রসালো কোনো জোকস পোস্ট করলে দেখবেন হিটের বন্যা বয়ে যাবে। খুবই দুঃখজনক।

আমাদের মানসিকতার উন্নয়ন হওয়া জরুরী।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সচেতন পাঠক।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) বলেছেন: অল্প লিখুন যাতে কাজ হবে

২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২১

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ , ভালো থাকুন নিরন্তর।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দারুণ! লেখক সত্ত্বাকে নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণগুলো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করছেন।

এ থেকে অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন পাঠক :)

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৫৭

ডি মুন বলেছেন: আশাকরি একদিন আমাদের দেশের লেখকদের এই দূরাবস্থার অবসান ঘটবে।


মন্তব্যে অনেক ভালোলাগা রইলো মইনুল ভাই
শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুব বেশি ব্যতিক্রম ছাড়া নতুন লেখকদের ভোগান্তি পোহানো ছাড়া উপায় নেই। আর আমাদের দেশে সিজনাল বই ক্রেতা ব্যাপারটি এই ভোগান্তিটা আরো বাড়ায়, তারা বই ব্যবসায়ীদের একটা সুযোগ করে দেয়। এরপরও লেখক যখন কারো কাছে পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী পান্ডুলিপি তে নামার সুযোগ পান, সেটাই আনন্দের।

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:০১

ডি মুন বলেছেন: আমাদের দেশে সিজনাল বই ক্রেতা ব্যাপারটি এই ভোগান্তিটা আরো বাড়ায়, তারা বই ব্যবসায়ীদের একটা সুযোগ করে দেয়।

ঠিকই বলেছেন আশরাফুল ভাই ।

আমাদের দেশের মানুষদের মনের উন্নয়ন হোক। সেই সাথে প্রকাশকদেরও - এটুকুই প্রত্যাশা।

এরপরও লেখক যখন কারো কাছে পাঠ প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী পান্ডুলিপি তে নামার সুযোগ পান, সেটাই আনন্দের।

আসলেই তাই। সেটাই আনন্দের।

কৃতজ্ঞতা রইলো। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৪

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ভালোই লাগলো। কিপ ইট আপ!

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪

আমি দিহান বলেছেন: নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। আসলেই কবি সাহিত্যিক সহ লেখকদের বিশেষ করে নতুনদের জীবন খুবই সংগ্রামের। প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে লাভের গুড় খাওয়ার প্রার্থীর আবার অভাব হয় না।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেলে লাভের গুড় খাওয়ার প্রার্থীর আবার অভাব হয় না। বাস্তবতা এটাই।

মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।

১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, কেউ তাও পড়লো, অনুভূতি জানালো। অনেক লেখক তো এটাও পায় না। অবশ্য ফরমায়েশ মানতে পারলে বেশ আয়েশ!

২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

ডি মুন বলেছেন: ফরমায়েশ মানতে পারলে বেশ আয়েশ! হা হা , ভালোই বলেছেন হাসান ভাই

শুভকামনা জানবেন।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্যি, কর্পোরেট ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে লেখক হবার খুব সাধ জাগে

২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:৩০

ডি মুন বলেছেন: তাই!

শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ২:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমি তাই কবি-লেখক কিছুই হইবার চাই না। হয়তো বলবেন কেন লিখি? আমার জবাব পরবাসে সময় কাটানোর উত্তম পন্থা হইল লেখা, পড়া, ব্লগিং আর ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করা। আমি সময় কাটাই।

যাই হোক প্রসঙ্গটা খুব মর্ম পীড়া দায়ক বলা যায়। তবু এই পীড়া মেনে নিয়েই বলছি, লেখালেখির জগতে এই যাতনার শিকার হয়েছেন অনেক বাঘা বাঘা লেখক।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রথম বই বিক্রি হয় নাই একটাও। বলেছেন লীলেন ভাই (মাহবুব লীলেন।)

কিংবদন্তী লেখক হুমায়ূন আহমেদ কাঁধে করে বাংলা বাজারের দোকানে দোকানে ঘুরে বিক্রেতাদের বলেছিলেন তাঁর কটা বই যেন তারা রাখেন। কিন্তু তারা পাত্তা দেন নাই।

তসলিমা নাসরিন প্রথম কবিতার বই গাঙিনার পাড় কোনো বইয়ের দোকানে নিজের বই দিয়ে এসে লজ্জায় আর সে মুখো হন নাই।

এ তো গেল একটা দিক। বাংলা বাজারে আমার প্রথম আলাপ রঞ্জন দার সঙ্গে। নন্দিতা প্রকাশ। সেখানে দুশ বই ছাপি নিজের খরচে।

আরেকজন চেয়ারম্যান বই ছাপাতে এসেছিলেন জমি বিক্রি করে।

আর মহা গল্প হচ্ছে আমাদের বারোয়ারি উপন্যাস ছেপেছিল অন্যপ্রকাশ। তারা বলেছিলেন আপনারা ৫০০কপি বই কিনে নেন। অর্থাৎ এতেই তাদের ঘাটতি পুষিয়ে যায় বলে।

আসলে প্রকাশকদের দোষ আমি দেই না। তারা তো করে কম্মে খেতেই পাবলিকেশনের ব্যবসা/দোকান দিয়ে বসেছেন। আমাদের মতন অতি উৎসাহী লেখক আছে বলেই প্রকাশনা ব্যবসা বাড়ছে। পাঠক নেই কে বলে। সত্যিটা যদি স্বীকার করি, তাহলে বলতে হয় আমরা পাঠকদের গেলাতে পারছি না। আমাদের লেখা খাওয়াতে পারছি না পাবলিককে।

আব্দুল মান্নান সৈয়দ ক্লাসে সাধারণত ব্যক্তিগত কথাবার্তা বলতেন না। আমরা প্রশ্ন করলেও এড়িয়ে যেতেন। তাই মাঝে মধ্যে এক আধটু বলে ফেল্লেও থেমে যেতেন। তাই জানা হলো না কিছুই মুখোমুখি দিনের পর দিন বসেও। তিনিই বলেছিলেন (পরে কোনো এক লেখায়ও এসেছিল) কোনো প্রকাশক তাঁর দুটো উপন্যাস অনুমতি ছাড়াই ঈদসংখ্যা থেকে মেরে বই বের করেছে এক প্রকাশক। স্যারের জন্য দুটো বই নিয়ে এসে নাকি বলছিল, বেচা-বিক্রি একদম নাই।

কাজেই লেখক (যে কোনো) হয়েছেন মানেই নিজেকে মোমবাতি, চেরাগ, হ্যারিকেন, লণ্ঠন গোত্রে ফেলে দিয়েছেন। এখন নিঃশেষ হবার আগ পর্যন্ত জ্বলতে থাকেন আর লিখতে থাকেন। প্রকাশক বা পাঠকের সুনজরে পড়তে হলে ঈশ্বর সহায় অথবা সেই প্রত্যাশা না করাই উত্তম। আর কর্ম কিছু যদি সত্যিই হয়ে থাকে তা মরার পর আলোচনা হইলে হইতে পারে ধরনের আশায় না থাকাই ভালো।

একটা জিনিস দেখেন পুরস্কার পাওয়া অনেক লেখকই লেখে দেখেন লেখার মান, দেখেন কারা কারা পায়, কী তাদের পরবর্তী ফসল। সেই তেল ফুরিয়ে গিয়ে সলতে জ্বলা চেরাগের মতো।

কাজেই আমি বলি কি, যা করছেন করতে থাকেন। কী পেলেন বা পেলেন না সেদিক তাকানোর কোনো প্রয়োজন নাই। শুধু একটা লক্ষ্যই যেন থাকে- কাজটা ভালো হওয়া চাই। মানোত্তীর্ণ হওয়া চাই। বাকিটা ছেড়ে দেন সময়ের হাতে।

২৬ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৪:৫০

ডি মুন বলেছেন: কাজেই আমি বলি কি, যা করছেন করতে থাকেন। কী পেলেন বা পেলেন না সেদিক তাকানোর কোনো প্রয়োজন নাই। শুধু একটা লক্ষ্যই যেন থাকে- কাজটা ভালো হওয়া চাই। মানোত্তীর্ণ হওয়া চাই। বাকিটা ছেড়ে দেন সময়ের হাতে।


চমৎকার। এই গল্পটা লেখা সার্থক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অনেক কিছু জানা হলো আপনার কাছ থেকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা জানবেন

১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: গল্পকে বিস্তৃত করতে পেরেছেন।

সাধুবাদ।

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই

১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:২৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: বই তথা লেখনি ছাড়া মানব সভ্যতার উৎকর্ষতা অসম্ভব।আর এর পিছনে যে মানুষটি থাকে তিনিই লেখক।একজন লেখক আত্মার টানেই লিখে থাকেন।লেখনিই তার আত্মার খাদ্য ও অক্সিজেন।আর তাই একজন প্রকৃত লেখক শত প্রতিকূলতাতেও লিখে চলেন,হয়ে উঠেন সভ্যতার কান্ডারি।

পোষ্টে+++++++

২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনি ঠিকই বলেছেন।

১৯| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার লেখাটা চোখে পড়লো এতোটা দেরীতে!!

আসলে গত ক মাসে ব্লগে আসা হয়েছে খুব কম, বেস্ততায় ...

যাহোক, দেখলাম লেখাটা এখন, শুধু একটা প্লাস এর জন্য যথেষ্ঠ না!
এমন চমৎকার আর্টের লেখায় সবরকম সাধুবাদ এবং ভালোলাগা জানাচ্ছি ...

শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও ...

২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:০৮

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যে ভালোলাগা জানানোর জন্য আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.