![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন আসন্ন সন্ধ্যার বিদঘুটে ম্লান অন্ধকারে শূন্য উঠোন পেরিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই, দেখি আমার মাটির বারান্দায় একটা বাঁশের খুঁটির গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে একজন মানুষ; যার বয়স গিয়ে ঠেকেছে জীবনের আঁকাবাঁকা সরুপথের একেবারে প্রান্তসীমায়। আমার অনভ্যস্ত চোখ অপ্রত্যাশিত আগন্তক আবয়ব দেখে কিঞ্চিত অপ্রতিভ হয়ে গেল। সারাদিনের কর্মক্লান্তি পায়ের তলায় শক্ত করে চেপে ধরে আমি থমকে দাঁড়ালাম, এলোমেলো অন্ধকারে জাজ্বল্যমান দুটি অশ্রুভেজা চোখের স্থির শান্ত অচঞ্চল ঘোলা চাহনির সম্পূর্ণ বিপরীতে। লোকটির জটবাঁধা দীর্ঘ চুল, চামড়ার কোঁচকানো ভাঁজ, আর শরীরের রুগ্নতা আমার মনের মধ্যে যে একটা অনুরণন ঘটিয়ে দিলো, তাতে করে আমার বিপর্যস্ত মস্তিস্ক মুহুর্তেই লোকটির যায়গায় নিজেকে বসিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্যপটে চলে গেল।
যে প্রাণবন্ত চোখ দুটি আমার ম্লান চোখের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে তাকেও একদিন আমারই মতো জীবনের অলিগলি ঘুরে শেষমেষ এই মাটির উপরে স্ত্রী-সন্তান-পরিবার হারিয়ে, জীর্ণ বস্ত্রে, জমাট চুলে, রুগ্ন শরীরে একেবারে একা হয়ে যেতে হবে; যদি সে আমারই মতো দীর্ঘ জীবন পায়। দীর্ঘ জীবন লাভের এই অনিবার্য ক্ষতির কথা ভেবেই কি বৃদ্ধের ছানিপড়া চোখ ক্রমশ ঘোলাটে হয়ে আসছে নোনাজলে?
আমার বাড়ির টালিতে ছাওয়া চালের ওপরে যে বড়ো চালকুমড়াটা গাছের পুষ্টি শোষণ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে, এই আবছা অন্ধকারেও যেটা তার সাদা অস্তিত্ব নিয়ে আমার চোখের সামনে প্রতিভাত, যেটা কেটে ফেললে গাছটার কিছুই হবে না বরং কেটে ফেলাটাই ওটার নিয়তি; পৃথিবীর সাথে আমার সম্পর্কের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই বলে মনে হলো হঠাৎ। বয়স্ক মানুষ দেখলে আমার ভেতরের সরল চিন্তার জাল একেবারে ওলোট পালোট হয়ে পাঁকিয়ে যায়।
দীর্ঘজীবন লাভকারী কোনো মানুষ দৃষ্টিগোচর হলে আমার ধমনী ও শিরার ভেতরে প্রবাহিত রক্তের চঞ্চল স্রোত আকস্মাৎ ভয়ে একেবারে সংকুচিত ও স্থির হয়ে আমাকে এমন একটি অনুভূতি দান করে যে, আমি অহেতুক প্রলম্বিত জীবনের প্রতি ভীষণ করুণাবোধ করতে শুরু করি।
তবু আকাশে শেষরাত্রির জ্যোৎস্নার আলো আমার গৃহিনীর কমনীয় মুখের উপরে একটি রূপালী আবহ তৈরি করলে, আমি সেটুকু ঠোঁটে শুষে নিয়ে যখন দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করি, তখন আমার কামনার পশ্চাতে কোনো বৃদ্ধের ঘোলাটে চোখ বাঁধ সাধে না। কী আশ্চর্য মানুষ আমি !
(২৯/০৬/২০১৪)
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০০
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ। আপনি ঠিকই বলেছেন।
আমি ইচ্ছে করেই এই পোস্টটি অতিদীর্ঘ বাক্যে সাজিয়েছি। বাক্য নিয়ে খেলা করতে ভীষণ আনন্দ পাই।
পাঠে যে ব্যাঘাত ঘটবে সেটা বুঝতে পারছিলাম। সেজন্য লজ্জিত।
আমি একসময় আরো একটু ভেবে যতিচিহ্নগুলো উপযুক্ত স্থানে দিয়ে এ সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হবো।
আপনার মন্তব্যে সম্মানিত বোধ করছি। ভালো থাকুন সর্বদা।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
আকিব আরিয়ান বলেছেন: বেশ!!!
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০১
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । ভালো লেগেছে ।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১২
ডি মুন বলেছেন: শুভেচ্ছা মামুন ভাই। রমজান কেমন উপভোগ করছেন?
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বপ্ন, কামনা গুলো এমনই সুবিধাবাদী
শুধু সূখের লাগিয়া সকল বাসনা- দু:খ বিরহ কষ্টে পালাই পালাই....
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৩
ডি মুন বলেছেন: স্বপ্ন, কামনা গুলো এমনই সুবিধাবাদী দারুণ বলেছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন চিন্তাশীল পাঠক।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক।বার্ধক্য রিক্তের সামনে দাঁড়িয়ে সংবেদ মনে এসব চিন্তা আসে অনেক সময়ই। তারপরেও তো বেঁচে থাকা...বড় সুন্দর
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
ডি মুন বলেছেন: আসলেই এতোকিছুর পরও আমরা বেঁচে থাকি। বেঁচে থাকা সত্যিই সুন্দর।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা জানবেন সংবেদনশীল পাঠক।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৯
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ... যেটা কেটে ফেললে গাছটার কিছুই হবে না বরং কেটে ফেলাটাই ওটার নিয়তি; পৃথিবীর সাথে আমার সম্পর্কের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই বলে মনে হলো হঠাৎ।--- অসাধারণ লিখেছেন ভাই। লিখে যান নিরন্তর।
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৯
ডি মুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভালো লাগলো।
এমন যত্ন নিয়ে পড়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সর্বদা যত্নশীল পাঠক।
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৬
জুন বলেছেন: কর্মহীন, স্বাস্থ্যহী্ জরা জীর্ন এক দীর্ঘ জীবন বড়ই আতংকজনক।
অনেক ভালোলাগলো আপনার লেখাটি ডি মুন।
+
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩০
ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা ভালোলাগা প্রকাশ করার জন্যে।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শব্দখেলা দারুণ।
'সেদিন আসন্ন সন্ধ্যার বিদঘুটে ম্লান অন্ধকারে শূন্য উঠোন পেরিয়ে ঘরের দিকে পা বাড়াতেই, দেখি আমার মাটির বারান্দায় একটা বাঁশের খুঁটির গায়ে হেলান দিয়ে বসে আছে একজন মানুষ; যার বয়স গিয়ে ঠেকেছে জীবনের আঁকাবাঁকা সরুপথের একেবারে প্রান্তসীমায়।'
প্রথম লাইনকে ভেঙে চার-পাঁচ লাইন করা যায়, কিন্তু এরকম বাক্য সৃষ্টিতেও আনন্দ আছে। তবে সমস্যা হল, বিরামচিহ্ন না দিলে মনে হয় কেউ এক দমে কথাটা বলছে। একটা কমা দিলে পড়তে হয়তো আরও ভাল লাগত।
'তবু আকাশে শেষরাত্রির জ্যোৎস্নার আলো আমার গৃহিনীর কমনীয় মুখের উপরে একটি রূপালী আবহ তৈরি করলে আমি সেটুকু ঠোঁটে শুষে নিয়ে যখন দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করি তখন আমার কামনার পশ্চাতে কোনো বৃদ্ধের ঘোলাটে চোখ বাঁধ সাধে না।'
একই রকম, বিরামচিহ্নের ছোঁয়া পেলে এরা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে পাঠকের কাছে। বিশেষণের ব্যবহার যথাযথ ছিল।
সব মিলিয়ে এক্সপেরিমেন্ট ভাল লাগল।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
ডি মুন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি সাধারণত ছোট ছোট বাক্যেই লিখি। এখানে সচেতনভাবেই দীর্ঘ বাক্যে লিখেছি। মাঝে মাঝে এমন বাক্য নিয়ে খেলতে ইচ্ছে হয়।
বিরামচিহ্নগুলো শুধরে নিচ্ছি।
মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো। ভালো থাকুন নিরন্তর।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
আরজু পনি বলেছেন:
খুব সুন্দর ।
পড়তে পড়তে নিজেকে নিয়েও ভাবছিলাম।
রমজানের শুভেচ্ছা রইল, মুন।।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
ডি মুন বলেছেন: যাক, লেখাটি তাহলে সফল হলো।
আমি এটাই চাইছিলাম। যা আমরা সবসময় এড়িয়ে যায়, সেই বাস্তবতা নিয়ে পাঠক একটু ভাবুক।
আপনাকেও রমজানের শুভেচ্ছা। ভালো কাটুক সবসময়।
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ডি মুন, আমি সাহিত্য কম বুঝি। কিন্তু যে জিনিসটা এই লেখায় আমার মনোযোগ ব্যাহত করেছে তা হল 'বিশেষণ'এঁর আধিক্য। আপনার লেখা ভালো লাগে বলে কথাটুকু বললাম। আশা করি পজিটিভলি নিবেন।
শুভকামনা রইল।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৯
ডি মুন বলেছেন: অবশ্যই , এটা ইচ্ছা করেই জটিল করা হয়েছে। বলতে পারেন এক্সপেরিমেন্ট। সেজন্য লেখার আয়তনটাও আমি কম করেছি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:০৮
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: যে উজ্জ্বল আশাবাদী প্রাণবন্ত চোখ দুটি আমার ম্লান চোখের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে তাকেও একদিন আমারই মতো জীবনের অলিগলি ঘুরে শেষমেষ এই মাটির উপরে স্ত্রী-সন্তান-পরিবার হারিয়ে, জীর্ণ বস্ত্রে, জমাট চুলে, রুগ্ন শরীরে একেবারে একা হয়ে যেতে হবে; যদি সে আমারই মতো দীর্ঘ জীবন পায়। দীর্ঘ জীবন লাভের এই অনিবার্য ক্ষতির কথা ভেবেই কি বৃদ্ধের ছানিপড়া চোখ ক্রমশ ঘোলাটে হয়ে আসছে নোনাজলে?
জীবন পথের বাক গুলো যেন জীর্ণ হবার আগেই শেষ হয় সেই প্রত্যাশা নিজের জন্য , সকলের জন্য
লেখায় +++
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৮
ডি মুন বলেছেন: জীবন পথের বাক গুলো যেন জীর্ণ হবার আগেই শেষ হয় সেই প্রত্যাশা নিজের জন্য , সকলের জন্য
সুন্দর বলেছেন।
ধন্যবাদ। রমজানের শুভেচ্ছা রইলো।
১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:২৮
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: শব্দচয়ন বেশ ভালো লেগেছে।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বার্ধক্য আর যৌবনের মাঝে কি শুধুই কামনার পার্থক্য ? ইচ্ছে পূরণ গল্পটার কথা ভাবতে পারেন। সেখানে দেখুন কি চমৎকার ভাবে এই ব্যবধানটাকে বোঝান হয়েছে।
লেখালিখি চলুক। শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
ডি মুন বলেছেন: প্রথমত বার্ধক্য আর যৌবনের মাঝে কামনাই একমাত্র পার্থক্য নয়।
আসলে এখানে কামনা বলতে শুধু কামনা বোঝানো হয় নি। একটা সূচনা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। একটা প্রক্রিয়া যা সভ্যতাকে সচল রাখে।
যেমন সারাদিনের কর্মক্লান্তি পায়ের তলায় শক্ত করে চেপে ধরে । - লাইনটি লোকটির ক্ষুধার নিবৃত্তির ব্যাপারটির প্রতি ইংগিত করছে। তার মানে লোকটিকয়ে বেঁচে থাকার জন্য কাজ করতে হয়।
জীবনের সবচেয়ে প্রধান বা মৌলিক দুটি চাহিদা খাদ্য ও যৌনতা। এবং মোটা দাগে , এ দুটিকে ঘিরেই আবর্তিত হয় মানব জীবন। পেটের চাহিদা মিটে গেলেই আসে জৈবিক ব্যাপারটা। নির্মিত হয় সম্পর্ক। সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বন্ধন।
আরো অন্য অন্য চাহিদা যোগ হয়। পৃথিবীর সাথে আমাদের বন্ধন তৈরি হয়। বেঁচে থাকাটা অর্থবহ মনে হয়। আমরা দীর্ঘ জীবন প্রতাশ্যা করি অথচ, দীর্ঘ জীবন লাভের একটা ক্লান্তিকর ব্যাপারও যে আছে; সেটা বিস্মৃত হই।
যেহেতু আমরা জানি না পরবর্তী জীবন আসলে কেমন(যদিও আমরা অনেক কিছুই বিশ্বাস করে নেই; সেটা অন্য ব্যাপার)। তাই লোকটি আচমকা একদিন এক বৃদ্ধের মুখোমুখি হয়ে ভাবছে,
আমার বাড়ির টালিতে ছাওয়া চালের ওপরে যে বড়ো চালকুমড়াটা গাছের পুষ্টি শোষণ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে, এই আবছা অন্ধকারেও যেটা তার সাদা অস্তিত্ব নিয়ে আমার চোখের সামনে প্রতিভাত, যেটা কেটে ফেললে গাছটার কিছুই হবে না বরং কেটে ফেলাটাই ওটার নিয়তি; পৃথিবীর সাথে আমার সম্পর্কের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই বলে মনে হলো হঠাৎ।
মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো কান্ডারি ভাই ।
রমজানের শুভেচ্ছা।
১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবু আকাশে শেষরাত্রির জ্যোৎস্নার আলো আমার গৃহিনীর কমনীয় মুখের উপরে একটি রূপালী আবহ তৈরি করলে, আমি সেটুকু ঠোঁটে শুষে নিয়ে যখন দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করি, তখন আমার কামনার পশ্চাতে কোনো বৃদ্ধের ঘোলাটে চোখ বাঁধ সাধে না। কী আশ্চর্য মানুষ আমি!
চমৎকার বিষয়ের উপর একটা অসাধারণ উপলব্ধি। আমার খুব ভালো লেগেছে।
লেখার ব্যাপারে একটু বলতে চাই। লেখাটা কোথাও খুব সাবলীল, আবার কোথাও খুব জটিল হয়েছে। বিশেষণের আধিক্য পরিহার করা গেলে লেখা আরও স্মার্ট ও আকর্ষণীয় হবে। দীর্ঘ বাক্য একটা আর্ট, যদি তা কমপ্রিহেনসিভ হয়; এজন্য বিরামচিহ্নের সঠিক ব্যবহার অপরিহার্য।
যে উজ্জ্বল আশাবাদী প্রাণবন্ত চোখ দুটি আমার ম্লান চোখের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে-- এ অংশকে যদি এভাবে পড়া যায় ‘যে প্রাণবন্ত চোখ দুটি আমার ম্লান চোখের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে---’ তাহলে লেখা আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ বাক্যে মেদ সৃষ্টি করে। মেদ পরিত্যাজ্য। সঠিক প্রয়োগের ফলে মামুলি শব্দও বলিষ্ঠ রূপ ধারণ করে।
সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে লেখা।
শুভ কামনা।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
ডি মুন বলেছেন: এমন মন্তব্যই সবসময় আশাকরি। দারুণ।
আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা সোনাবীজ ভাই।
আমি বিষয়গুলো একটু ভেবে শুধরে নিচ্ছি। শুভকামনা জানবেন গুণী পাঠক।
১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: 'তবু আকাশে শেষরাত্রির জ্যোৎস্নার আলো আমার গৃহিনীর কমনীয় মুখের উপরে একটি রূপালী আবহ তৈরি করলে আমি সেটুকু ঠোঁটে শুষে নিয়ে যখন দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করি তখন আমার কামনার পশ্চাতে কোনো বৃদ্ধের ঘোলাটে চোখ বাঁধ সাধে না।'
এটা একটা উপলব্ধির গল্প । এটা মানুষের বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষার গল্প ।
ভাল থাকবেন প্রিয় মুন ভাই
শুভকামনা রইল ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
ডি মুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে মাহমুদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ
১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১২
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগলো...
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ লিখে চলেছেন , ইদানিং আপনার লিখা নিয়েই সময় কাটে !
মুগ্ধপাঠ্য রচনায় চমৎকার করে কিছু অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন ।
মাঝে মাঝে অতিদীর্ঘ কিছু বাক্য আর কাছাকাছি ধরনের উপমা গুলোর মাঝে যতিচিহ্ন না থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন পাঠে কিছুটা ব্যাঘাত এসেছে !
পোষ্টে ভালোলাগা।