![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প নম্বর ১
প্রথমেই একটি দুর্দান্ত স্যাটায়ারের কথা বলা যাক। বলা যাক, আপনার কর্পোরেট জীবনের হৃদয়হীনতার কথা। শোনা যাক, শহরের নির্মমতার আদ্যোপান্ত। নাগরিক ব্যস্ততার কিংবা উপেক্ষার সাতসতের। মনে করা যাক, মায়ের কথা। মৃত্যুর বিরুদ্ধে একটু প্রতিবাদ করা যাক। শহুরে নিয়মের মুখে লাথি মেরে চলে যাওয়া যাক সবুজ গ্রামে। যেখানে এখনোও ভোর হলে পাখি ডাকে।
সব মিলিয়ে দারুণ একটি গল্প। লিখেছেন ব্লগার হাসান মাহবুব। গল্পের নাম ‘দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন’।
এটা কেমন কথা? বৃহস্পতিবারে কেন মরতে হবে? গল্পের কথাতেই বলা যাক,
কারণ এর পরে দুটো ছুটির দিন আছে। ফলে আপনি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে আপনার শোকসন্তপ্ত পরিবার/রুমমেট শোকের ধকল কাটিয়ে নেবার সময় পাবেন, অথবা হাসপাতালে সারারাত ছোটাছুটি করতে হলে তারা পরের দুইদিন বিশ্রাম নিয়ে সতেজ হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে পারবেন। এভাবে আপনার মৃত্যু বা অসুস্থতা বৃহস্পতিবারে সংঘটিত হবার ফলে রবিবার থেকে সবাই শোক এবং ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারবেন।
তাই শহরে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন। দেয়ালে দেয়ালে সেটে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। মৃত্যুর অথবা অসুস্থতার মতো একটি অনাকাঙ্ক্ষিত আকস্মিক বিষয়কেও সময়ের মধ্যে বেঁধে ফেলতে চায় নগর কর্তৃপক্ষ। কর্পোরেট নিয়মে মানুষের মৃত্যুকেও নির্দিষ্ট করে দিয়ে চায় একটি নির্দিষ্ট দিনে। অন্য কোনোদিন অসুস্থ হওয়া যাবে না। অসুস্থ হলেও তা প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয়। আপনাকে পুলিস এসে ধরে নিয়ে যাবে। জেল হবে। জরিমানা হবে। সমাজে আপনার সারফেস ভ্যালু কমবে। শহুরে জীবনে অভ্যস্ত মানুষ তাই নগর কর্তৃপক্ষের এ ধরনের চিন্তাকে একটা চমৎকার সুপারিশ হিসেবেই দেখছেন। গল্পের ভাষায়,
শহরের মানুষজন এই অদ্ভুত দীর্ঘ পোস্টার দেখে চমকে গেলেও কর্মজীবী মানুষেরা ধাতস্থ হয়ে ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করে এতে নগর কর্তৃপক্ষের প্রজ্ঞাই দেখতে পান। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দৈন্যের কথা চিন্তা করলে এটি চমৎকার একটা সুপারিশ। আর নগরায়নের সাথে সাথে সাম্পর্কিক বিচ্ছিন্নতা বাড়তে থাকার ফলে পরস্পরের প্রতি যে সামাজিক অনাস্থা তৈরি হয়েছে তার উপশমের জন্যে বৃহস্পতিবারকে মরণ বা অসুস্থতা দিবস হিসেবে পালন করলে সামাজিক দায়িত্ব পালনে কুণ্ঠা থাকবে না, উপরন্তু পারস্পরিক সম্পর্কটা ঝালাই করে নেবার একটা ভালো উপলক্ষ্য হতে পারে সেটা। অবশ্য বেকার এবং অকর্মণ্য মানুষেরা, মূলত বৃদ্ধেরা এই বিজ্ঞপ্তি দেখে ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করা শুরু করলেন। তারা এক ঝটিকা মিছিল করে মৃতবন্ত শ্লোগান দিয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানে তাদের উদ্যোক্তা বলেন,...
কি বলেন – সেটা জানতে হলে আপনাকে ঘুরে আসতে হবে গল্পটি থেকে। মাথা থেকে সবচিন্তা ঝেড়ে ফেলে ঘুরে আসুন অদ্ভুত এই গল্পের বাড়ি থেকে। যার প্রতিটি বাক্যের পরতে পরতে গতিশীল নাগরিক জীবনের নির্মমতার চিত্র। রুঢ় জীবনবাস্তবতা। প্রতিবাদ। আক্ষেপ। আর অবশেষে সব ছিঁড়ে ছেনে সবুজের দিকে ফিরে যাওয়া।
আবারো বলি, একটি দুর্দান্ত স্যাটায়ার। অবশ্যপাঠ্য।
গল্পের লিঙ্কঃ দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন
গল্প নম্বর ২
আচ্ছা ধরুন, আপনি একজন শিল্পী। একজন আঁকিয়ে। অথবা একজন কবি। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার কবিতা বা আপনার আঁকা ছবি কিংবা ভাস্কর্যটির যদি প্রাণ থাকতো তাহলে সে আপনাকে কিভাবে দেখতো?
মনে করুন গ্রীষ্মের কোনো এক রাতে আপনার আঁকা ছবিতে টেনে দিলেন তুলির শেষ আঁচড়। আর সঙ্গে সংগেই প্রাণ পেয়ে জীবন্ত হয়ে উঠলো ছবিটি। আমরা ছবি আঁকি এবং সেটি নিয়ে কথা বলি। বর্ননা করি। প্রকাশ করি। কিন্তু উল্টোটা যদি হয়। যদি ছবিটিই শিল্পীকে প্রকাশ করতে শুরু করে, ভালোবাসতে শুরু করে তখন?
‘কোন গ্রীষ্মের এক রাতে আমার চোখে কাজলের শেষ টানটুকু এঁকে দিলে। ধীরে ধীরে চোখ মেললাম। খুব কাছাকাছি একটি শুষ্ক মুখ। অনেকদিন শেভ না করা মুখে দাড়ি-গোঁফের প্রাবল্য। ভারি চশমার আড়ালে স্বপ্নময় একজোড়া শিল্পীর চোখ। সেই রাতে তীব্র বাতাস বইছিল, লু হাওয়ার মত, খোলা জানালা দিয়ে তপ্ত বাতাস ঘরের পাতলা শাদা পর্দাগুলোকে উড়াচ্ছিল খুব। তুমি ব্যস্ত ছিলে, গভীর মনোযোগে আমার চিবুকের নিচে গলার কাছাকাছি মুখ এনে তীক্ষ্ণচোখে কিছু দেখলে, তর্জনির নখ দিয়ে মৃদু খোঁচালে সেখানে, তারপর আঙুলের মাথার আলতো স্পর্শে মসৃণ করে দিলে। তোমার নিঃশ্বাসে আমার বুকের ভেতরের কোথাও কাঁপছিল। নিথর হয়ে ছিলাম, কিন্তু সোনালি চিবুকে একছুটে কিছু গোলাপী আভা এলো। তোমার মুগ্ধচোখ দেখলাম তখন- জানালা বেয়ে পিছলে আসা সোডিয়াম লাইটের আলো জোৎস্না বলে ভ্রম হয়, নিমগ্ন চন্দ্রমায় গালে আঙুল ছুঁয়ে বললে, "তুমি সুন্দর।" কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই, হঠাৎ করেই সেমুহুর্তে, তোমাকে অনুমতি দিয়ে দিলাম আমার মনের উপর দখলদারিত্বের।'
তারপর?
তারপরের ঘটনা জানতে হলে আপনাকে ঘুরে আসতে হবে ব্লগার বৃতির ‘তুমি কি কেবলই ছবি’ গল্পটি থেকে।
গল্পটিতে শব্দচয়নের মুন্সিয়ানা আছে। আছে অনুভূতির সারাৎসার। আছে কঠিন কঠিন কিছু বাক্য যা দ্বিতীয়পাঠ দাবী করে। এবং আছে খুবই সহজ অথচ হৃদয়ছোয়া কিছু বর্ননা। বাক্য বুনন মনোমুগ্ধকর। যেমন,
পৌরাণিক কাহিনী, প্রাচীন বইয়ের স্তবক অথবা একুশ শতকের গতানুগতিক ক্ষয়িষ্ণু এক শহরের প্রান্তসীমায় ছোট এক ঘর- যেখান থেকেই আমাদের নতুন পথ চলা শুরু হোক না কেন- আমি নিশ্চিত, অতীতে আমাদের কখনো দেখা হয়েছিল। কোনোকালে, কোন একসময় আমরা অবশ্যই একসাথে পথ চলেছি। শাদা ফেনা হয়ে উত্তাল সমুদ্র-তরঙ্গের সাথে, বালুময় মরুপথে কিংবা তারাখচিত সৌরপথে। এক নিরবচ্ছিন্ন সুরভিত পথে দুজন একসাথে হেঁটেছি কোন একদিন।
না, থাক। আর বলবো না। আপনি বরং গল্পটি পড়ুন আর অপার আনন্দ লাভ করুন। একটি ভালো গল্প দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পাঠে আরো চমৎকার একটি অভিনিবেশ নিয়ে পাঠকে মুগ্ধ করে – ‘তুমি কি কেবলই ছবি’ তেমনই একটি ভালো গল্প।
গল্পের লিংকঃ তুমি কি কেবলই ছবি
গল্প নম্বর ৩
ভেবে দেখুন, আব্দুর রউফের ছেলের ঘুষ নাই। কী মর্মান্তিক!
আমি জানি, আপনি অবাক হচ্ছেন। ঘুষ নেই এটা কোনো কথা হলো। আজকাল একটু আকটু উপরি না হলে কি আর চলা যায়? তাই এখন আপনি চান ঘুষ দিয়ে চাকরিতে ঢুকতে এবং চাকরিতে ঢুকে ঘুষ খেতে।
হ্যাঁ, বলছিলাম। ব্লগার আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলামের ‘ঘুষ’ গল্পটির কথা। তিনি শুরু করেছেন এভাবে,
ধরুন, চাকরি করতে করতে কোন কারণে আপনার চাকরি চলে গেল (আল্লাহ না করুন), তখন আপনি কী করবেন? আর একটা চাকরি জোগাড়ের চেষ্টা করবেন অথবা ব্যবসা বানিজ্য করার চেষ্টা করবেন। এই তো? নিশ্চয় কোন খারাপ কাজ করে রোজগারের চেষ্টা করবেন না। কেউ কেউ যে এমন খারাপ কাজ করেন না, তা’ নয়। অভাব অনটনে পড়ে ফেরেশতার মতো মানুষকেও আমি শয়তান হয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু আমার বন্ধু আব্দুর রউফ এই তিনটি কাজের একটিও না করে তিরিশ বছর বহাল তবিয়তে ছিল। কীভাবে, শুনবেন?
শুনতে হলে ঘুরে আসুন ‘ঘুষ’ গল্পটি থেকে।
একটি দারুণ গল্প। গল্পের আদলে বাস্তবতা। জীবনের রূঢ় অলিগলি। দূর্গন্ধময় ডোবা। গল্পটির বর্ননাভঙ্গি অসাধারণ। নাতিদীর্ঘ এই গল্পটার দারুণ একটা মোহ আছে। পাঠক আবিষ্ট হবেনই। আর সেই সাথে জানবেন কিভাবে -
১৯৮৩ থেকে ২০১৩ মাত্র ত্রিশ বছরে গণেশ উল্টে গেছে।
গল্পের লিংকঃ ঘুষ
গল্প নম্বর ৪
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আম গাছটা অনেক আগেই তার যৌবন হারিয়েছে । এক আকাশ বিস্তৃত ডালপালা আর ঘন কালচে সবুজ পাতার অরণ্যে মাত্র দু'চারটা আম লিকলিক করে ঝুলছে । পাড়ার দস্যু ছেলেদের ছোঁড়া মাটির ঢেলার নিখুঁত ঢিল ঝপাৎ করে শব্দ তুলে ব্যর্থ মনোরথে ভূ-পৃষ্ঠে ফিরে আসে, গাছের আম দেখার ভাগ্য তাদের কদাচিৎ হয় । বিশাল বেড়ের এই গাছ বেয়ে উঠাও কম ঝক্কি নয় । ভেজা মরা বাকলে শ্যাঁওলা জমে একেতো পিচ্ছিল, তার উপর গোছাগোছা পরগাছা আর মরা ফার্নের আড়ালে চোরাই কোটরে গিরগিটি আর সাপের বাসা । পক্ষীকুলের ঠোকর খাওয়া কোন আম যখন বাতাসে ঝরে পড়ে, ছেলেপুলেদের মাঝে শুরু হয় কাড়াকাড়ি ।
শুরুটা এমনই। শীতের সকালে কুয়াশামাখা পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার মতো মনোরম একটি আরম্ভ। স্পষ্ট চিত্রকল্প। গল্পের নাম ‘জীবনের সপ্তসুর’। লিখেছেন ব্লগার মামুন রশিদ।
শৈশবের দুরন্তপনার বর্ননাতে আপনি যেন নিজেকেই দেখতে পাবেন এই গল্পের প্রথমভাগে। মাঝহাটির মন্নার। আর আলোই নামের একটি মেয়ে।
শাঁকের ঝুড়িটা এক পাশে রেখে মেয়েটা মন্নারের দিকে খিস্তি ছুড়ে, 'ঐ হারামজাদা বিতলা পুলা, হের ঘুড্ডি নিছস ক্যান?' গালি শুনেও মন্নার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেনা, গলায় ঝুলানো চাকু দিয়ে একমনে পুরনো আমের আঁটি ঘষতে থাকে । আলোই সময় নষ্ট না করে দুহাতে থুথু ছিটিয়ে পাঞ্জা ঘষে লাফ দিয়ে গাছে চড়ে ।
নিখাদ শৈশব। দস্যিপনা। রাগ, ক্রোধ। নিস্পৃহতা। এক ধরণের চেনা অনুভূতি।
বর্ষায় গ্রামের শীর্ণ খাল নতুন পানিতে ভরে উঠে । ভরদুপুরে সেখানে আমরা দাপিয়ে বেড়াই । পায়ের কাছে গর্ত করে হাত দিয়ে পানি টেনে সেই গর্ত থেকে চ্যাং আর মিনি মাছ ধরি । খালের পানি শুকিয়ে এলে কাদা থেকে শিং মাছ ধরার উৎসব লেগে যায় । শিং মাছের কাঁটা ফুটলে খুব ব্যথা হয় । কিন্তু এই কাঁটায় আলোইর কিছুই হয়না, পাতিল ভর্তি শিং মাছ ধরে নাচতে নাচতে সে ঘরে ফিরে ।
ঘরে তার ল্যাংড়া বাপ জইল্যা।
কে এই জইল্যা? কি করতো সে? – এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে রোখ রাখতেই হবে জীবনের সপ্তসুর নামের অনবদ্য গল্পটিতে। আপনি চলে যাবেন অন্য এক সময়ে। অন্য এক জগতে। আবার যখন ফিরবেন, দেখবেন, কিশোরী আলোই এক সময় দস্যিপনা কমিয়ে ঘরের কাজে থিতু হয় । ঘরের প্রতিটা কাজ সে নিজেই করে, তাই বাপের উপরেও তার সমান দাপট ।
কিন্তু গল্পের নাম জীবনের সপ্তসুর কেন? কারণ
একটা ঘর থেকে ছোট বাচ্চার আর্তনাদ ভেসে আসছিল । সেখানে মেঝেতে রাখা হারমোনিয়ামের উপর মুখ থুবরে পড়ে আছে এক মহিলার লাশ । দুইতিন বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে তার মৃত মা'কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছে । মেয়েটাকে দেখে জইল্যার খুব মায়া হয় । বাচ্চাটাকে কোলে নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সে তার মৃত মা'কে কিছুতেই ছাড়বে না ।
থাক আর না বলি, তার চেয়ে বরং পড়ে ফেলুন গল্পটি।
গল্পের লিংকঃ জীবনের সপ্তসুর
গল্প নম্বর ৫
এই তেতে রোদ্দুরের ভরদুপুরেও খোকা যে আজ বাড়ি নেই !
খোকাকে এখনও পাওয়া যাবে মাঠে ।
কেন? খোকাকে এই ভরদুপুরের রোদ্দুরে মাঠে কেন পাওয়া যাবে? সেখানে কি?
বড় বাড়ির রবিন কাকুকে একমাস ধরে বলে একটা মস্ত লাল প্রজাপতি ঘুড়ি বানিয়ে এনেছে ও । সেটাই আজ উড়ানো হবে।
কিন্তু শেষমেষ আবহাওয়া প্রতিকুল।
একটুও বাতাস নেই। ঘুমটি দিয়ে আছে কেমন। না নড়ছে পাতাটি না উড়ছে কুটোটি। বরং সূর্যটা খিল খিল করে হাসছে তো হাসছেই।
প্রজাপতি ঘুড়িটা আর উড়ানো হলো না খোকার। ভোম্বল দা জানালেন যে,
আজ বাতাসের বিয়ে তাই আকাশ এমন থমথমে। ঘুড়ি উড়াবার জো নেই। অগত্যা তাই বাড়ির পথে খোকা পা বাড়ালো।
এখন আর রোদে পুড়ে লাভ নেই।
তারচেয়ে দুপুরে খেয়েদেয়ে আসা যাবেখন।
মাঠের পাশেই মস্ত একটা বিল। আলতা দিঘি নাম। তার পাড় ঘেসে আইলটা পেরিয়ে বড় রাস্তাটায় উঠতেই দেখে ওপাড়ার নজু একা একাই রাস্তার পাশে বসে মার্বেল খেলছে।
খোকাকে দেখেই নজু বলে , কিরে খোকা খেলবি নাকি ?
এই নজুই আবার খোকার প্রজাপতি ঘুড়িটা ছিড়ে দিল। আর তারপর থেকে গল্পের ভেতর শুরু হলো এক রূপকথা। যাহোক। গল্পটি সুপাঠ্য। বেশ একটা মিষ্টি আবহ আছে বর্ননায়। আছে ছন্দের মিত্রতা। এই যেমন,
ঝকঝকে ভাই রুপোর মত জল
এই নদীর আর নাম কি দেব বল
শীতল জলে নাইতে তুমি যদি
বলতে তুমি এ যে রুপোর নদী
আবার গল্পের একেবারে শেষে এসে আছে একটা চমক। থাক, আর কিছুই বলবো না। তারচেয়ে বরং পড়ুন ব্লগার মোঃ জাবেদ ভুঁইয়ার ‘খোকার সাথী প্রজাপতি’ গল্পটি।
গল্পের লিংকঃ খোকার সাথী প্রজাপতি
গল্প নম্বর ৬
জামালপুর তখন একটা জেলা শহর হলেও, যতটা না শহর, তার থেকে বেশী গ্রাম। একসময় ভাবতাম, স্টেশনের নাম ‘জামালপুর টাউন’ কেন, পরে বুঝলাম যে শহরটা এতোটাই গ্রামের মত, যে ‘টাউন’ বলে ঘোষণা দিতে হয়েছে।
এমনিভাবেই শুরু হয়েছে, না গল্প নয়, স্মৃতিকথা। শিরোনামঃ প্রেতালয়। লিখেছেন ব্লগার সিরাজ সাঁই । ১৯৮৮ সালে যখন হদ্দ বেকার অবস্থায় ঢাকায় থাকাটা রীতিমত কঠিন হয়ে পড়ছিলো তখন তিনি কিছুদিনের জন্য জামালপুরে তার বড়ো ফুফুর বাড়িতে যান। সেখানকার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। তারপর যান কলেজ রোডে মামার বাসায়। এভাবে নানা ভূতুড়ে অভিজ্ঞতার ঘাত প্রতিঘাতে জামালপুরকে আবিষ্কার করেন প্রেতালয় হিসেবে।
স্মৃতিকথার বর্ননাভঙ্গী যে কতোটা আকর্ষণীয় হতে পারে তা এই লেখাটি না পড়লে বোঝা দুষ্কর। ভূতুড়ে অভিজ্ঞতাও যে বর্ননার ছটায় হাস্যরসে পরিণত হতে পারে ‘প্রেতালয়’ তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কিছুটা তুলে দিচ্ছি,
মামাকে বললাম, ‘মামা সারারাত কালভারটের উপরে বসে মাছ মারলে কেমন হয়?’ মামা বললেন, ‘খুব ভালো হয় রে ব্যাটা, মামা-ভাগ্নে যেখানে, আপদ নাই সেখানে, রাতে একা একা মাছ ধরতে আজকাল ভয় লাগে, তুই থাকলে ভালোই হবে’। আমি বললাম, ‘সেকি, কিসের ভয়?’ মামা বললেন, ‘তেমন কিছু না, ঐ কয়রাত ধরে দেখতেসি, আমি কালভারটের এই পাশে মাছ ধরি, আর ঐ পাশে দুই তিনটা ছায়ার মত লোক কি মাছ ধরে কে জানে ! ছায়ার মত আসে যায়, ছায়া দেখি, বরশি দেখি, কিন্তু ওদের কাছে আলোও দেখিনা, মাছ ধরার শব্দও পাইনা, মাছ ধরে কিসে রাখে তাও দেখি না’। আমি কাঁপা গলায় জিজ্ঞাস করলাম, ‘কোথায় যায়, কোত্থেকে আসে বোঝা যায় না?’
মামা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘সেটা বুঝি, কালভারট থেকে পানিতে নামে, তারপর কালভারটের নীচে এপাশে ওপাশে শুধু সাঁতার কাটে, সাঁতারের শব্দ পাই, জোরে জোরে হাঁপানোর শব্দ পাই’। ভয়ে ঘামতে ঘামতে আমি বললাম, ‘ এতো জায়গা বাদ দিয়ে কালভারটের নীচে সাঁতার কাটবে কেন? কালভারটের নীচে নিশ্চয় মাছ লাফায়, সেই শব্দ পান!’ মামা আরও নির্লিপ্ত ভাবে বললেন, ‘তাইতো, এটা তো আগে ভাবি নাই ! তুই মনে হয় ঠিকই বলেছিস, কালভারটের নীচে ওগুলো মাছই হবে। শব্দ শুনে বুঝি, খুব বড় মাছই হবে ওগুলো, ধর ঐ হাঙ্গর বা তিমির সাইজের।‘ বুঝলাম, মামার সাথে কথা বলা বৃথা, এখানে থাকলে কপালে আরও ভয় তো আছেই, হার্টফেলও করতে হতে পারে। জামালপুরে কি ভূত প্রেত ছাড়া আর কিছু নেই ?
না পড়ে থাকলে এখুনি পড়ুন। নাহলে ভীষণ মিস করবেন।
লিঙ্কঃ প্রেতালয়
(আমার নিজস্ব ভালোলাগার ছ’টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে পোস্টটি। অনেকেই অনেক চমৎকার গল্প লিখছেন। তাদেরকে অভিনন্দন। আরো ভালো লিখে চলুন নিরন্তর।)
'জুন মাসে' আপনার ভালোলাগা গল্পগুলি সম্পর্কে মন্তব্য / আলোচনা করার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলাপে, সংলাপে, আলোচনা, সমালোচনায় মুখরিত হয়ে উঠুক পোস্টটি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৪৭
ডি মুন বলেছেন: আপনিও দারুণ লিখে চলেছেন।
আরো ভালো লিখে চলুন নিরন্তর।
মন্তব্যে ভালোলাগা জানবেন। শুভকামনা রইলো।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের আলোচনা পড়ে থ হয়ে গেলাম ।
সারারাত জেগে আজ আর পারছিনা, কাল রাতে আলোচনায় ফিরব ।
প্লাস+++
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫০
ডি মুন বলেছেন: গল্পের আলোচনা পড়ে থ হয়ে গেলাম।
প্রিয় মামুন ভাই কেন থ হয়ে গেছেন? আশাকরি আগামীকাল ফিরে এলেই জানা যাবে এর আসল রহস্য !!!!!
ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় ব্লগার।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ডি মুন ভাই পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার, লাইক আর প্রিয়তে নিতে গিয়ে আমি তৃতীয় হয়ে গেছি। এনিওয়ে পোস্টে দ্বিতীয় ভালো লাগা এবং প্রিয়তে। আর এই পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার পছন্দের ছয়টি গল্প ও গল্পের লেখকদের জন্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
ডি মুন বলেছেন:
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ভাই।
গল্পের রিভিউ টাইপ কিছু একটা লেখার ব্যাপারে আপনিই আমাকে উৎসাহিত করেছিলেন।
সেজন্য আপনাকে একগুচ্ছ গোলাপফুল থুক্কু এক গামলা ইফতারির শুভেচ্ছা।
ভালো থাকা হোক
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! আজকে ব্লগে ঢুকে এত দারুন সব পোষ্ট দেখছি, যে লগ ইন করতে বাধ্য হলাম। আপনার এবং প্রবাসী পাঠক ভাই এর পোষ্ট দেখেছি। দু পোষ্ট প্রায় একই রকম হলেও ব্যক্তিগত ভালো লাগা মন্দ লাগার ভিত্তিতে এই বিশ্লেষন করার প্রক্রিয়াটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এতে এই প্লাটফর্মের যারা স্বীকৃত গুনী লেখক আছেন, তারা যেমন উৎসাহিত বোধ করবেন, তেমনি নতুন হিসেবে অনেকেই আগ্রহ ও অনুপ্রেরনা পাবেন।
ব্লগের প্রকাশিত লেখার রিভিউ এর আগে পাই নি, ব্যতিক্রম ধর্মী এই উদ্যোগ অবশ্যই আশা করি নিয়মিতই করবেন।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল!
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৫৬
ডি মুন বলেছেন: আশাকরি এই রকম কাজ চলমান থাকবে।
এতে করে ব্লগাররাও উৎসাহিত হবেন আরো ভালো লেখার প্রতি।
ব্লগে আবার একটি চমৎকার বন্ধুসুলভ জমজমাট পরিবেশ ফিরে আসবে - তেমনটাই প্রত্যাশা।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো জাদিদ ভাই ।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার পরিবেশনা। পোষ্ট পড়ে গল্প গুলো এখনি পড়তে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু চোখে ঘুম এই জন্য পরে গিয়ে পড়ে আসবো।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৪৯
ডি মুন বলেছেন: একসময় পড়ে নেবেন না-পড়া-গল্পগুলো।
খুব সুন্দর প্রত্যেকটি গল্প।
আর ভালোলাগা মন্দলাগা দুটোই জানাতে পারেন এখানে , মন্তব্যে।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ভালো লিখে চলুন
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার পোষ্টের পরিবেশন পদ্ধতি দেইখা জাপানি খাবারের কতা মনে হইল ।
এমন ভাবে লিখছেন ডায়রেক্ট একশানে মানে গল্প পড়ার অভিযানে নেমে যেতে ইচ্ছে হয় ।
হাসান ভাই এই মাসে যে দুইটা লিখেছেন - অন্যরকম এবং অভিনব ।
দারুণ !! এই গল্পটাতে হাসান ভাই বড্ড ভাবিয়েছে ।
দেখার মত ব্যাপার হচ্ছে বলার কৌশল । অভিনব ।
বৃতি আপু সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই । আম্রা যারা
উনার গল্প নিয়মিত পড়ি তারা জানি উনি শব্দ দিয়ে নকশি কাথা বুনেন । এই গল্পে অ তার ব্যতিক্রম হয়নি । শব্দের কারুকার্যে
উনি আমার মনে মুগ্ধ - বেদনা অনুভূতির সঞ্চার করেছেন ।
মামুন ভাইয়ের একটা নিজস্ব বলার ভঙ্গি আছে ।
উনার এই গল্পের সুরটা খেয়াল করার মত । অলস , আপন , স্নিগ্ধ
শান্ত সুর ।গ্রামীণ পরিবেশের আঁচটা উনি শব্দ দিয়েই পাইয়ে দিতে পারেন ।
শুটকি মাছের গল্প যে কাউকেই ভাবাবে । বিস্তারিত উনার
ব্লগে লিখব আশা করছি । এক্তা বড় মন্তব্য করার ইচ্ছে আছে এই গল্পে ।
জাবেদ ভাই বড্ড মিষ্টি করে লিখতে পারেন।
স্মৃতিকথার বর্ননাভঙ্গী যে কতোটা আকর্ষণীয় হতে পারে তা এই লেখাটি না পড়লে বোঝা দুষ্কর।
- প্রেতালয় গল্পটির ব্যাপারে আপনার সাথে একমত ।
আর হেনা ভাই সবসময়েই প্রথম বাক্যে পাঠককে তার লেখায়
ইন করাতে পারেন । লেখা সাবলীল , সুখপাঠ্য ।
এই গপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি । ১৯৮৩ থেকে ২০১৩ মাত্র ত্রিশ বছরে গণেশ উলটাবার কাহিনী পাঠকদের
অবশ্যই জানা চাই ।
দারুণ মুন ভাই , চমৎকার একটা রিভিউ । আপনি এই প্রয়াস
অব্যাহত রাখবেন এই কামনাই রইল ।
অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।
ভাল থাকুন ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৪৪
ডি মুন বলেছেন: আপনার পোষ্টের পরিবেশন পদ্ধতি দেইখা জাপানি খাবারের কতা মনে হইল । (বোঝা যাচ্ছে জাপানি খাবারের প্রতি আপনার দুর্বলতা আছে
)
যাক, অবশেষে গল্প কে খাবারে রুপান্তিত করতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। সবাই গল্পগুলো চেখে দেখুক এটাই আমার প্রত্যাশা।
আর ব্লগার শুঁটকির 'উৎসবের শহরে দুমড়ানো নারীদেহ' গল্পটি বিশ্বকাপের একটি অন্ধকার দিককে তুলে এনেছে। নিঃসন্দেহে দারুণ একটি গল্প।
হাসান মাহবুব ভাইয়ের গল্প নিয়ে কিছু বলার নাই। অদ্ভুত এবং অসাধারণ।
ব্লগার বৃতির গল্পটি আমি বেশ কয়েকবার পড়েছি।
এখন অনেকেই অনেক ভালো লিখছেন। তাদের সবাইকে অকুণ্ঠ অভিবাদন।
আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে ভালো লাগলো মাহমুদ ভাই।
সেইসাথে এ কাজে উৎসাহ প্রদানের জন্য আপনাকে ও প্রবাসী পাঠক ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাববাহ আরেকটি চমৎকার পোষ্ট। ++++।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কবিতা কি দোষ করল ?
হে আল্লাহ কেন যে গল্প লেখার ক্ষমতা দিলানা আফসুস আর আফসুস
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
ডি মুন বলেছেন: এই কথার দ্বারা তুমি কি বুঝাইতে চাও - যে তুমি গল্প লিখতে পারো না।
তেব্র প্রুতিবাদ
তবে কথা সত্য - সামুতে কবিতা যেন কেমন অবহেলিত। তোমার প্রস্তাব যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখার জন্য সকল কবি ব্লগারকে আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।
আর আমি যদি কবিতা নিয়ে লিখতে যাই তাহলে তো পুরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কবিতায় নিয়ে চলে আসবো। তখন পড়তে পড়তে হাঁটুতে হাত দিয়ে বসে পড়া লাগবে।
তাই কবিতা নিয়ে আমাকে উত্তেজিত করিয়া কবিকুলের শিরঃপীড়া বৃদ্ধি করিও না।
ইউ নো আমি কিরকম গল্প দিয়ে কবিতা ব্যাখ্যা করতে পারি।
ভালো থাকো সবসময় ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইলো
৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
জুন বলেছেন: কান্ডারীর মত বলি " ভ্রমণ কি দোষ করলো "
তারপর ও আপনার প্রিয় গল্প গুলো যা জুন মাসে লেখা হয়েছে তা পড়ে চলেছি ডি মুন। সঠিক বাছাই ।
+
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
ডি মুন বলেছেন: জুন আপুর মতো বলি, ভ্রমণ কি দোষ করলো?
হাটে ঘাটে মাঠে এবং পথে ভ্রমণরত সকল ভ্রাম্যমাণ ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শুভেচ্ছা জানবেন জুন আপু। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সামু ব্লগের গুনী গল্পকারদের মধ্যে আমার নাম ও "ঘুষ' গল্পটি স্থান পেয়েছে দেখে সম্মানিত বোধ করছি।
ধন্যবাদ, ভাই ডি মুন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
ডি মুন বলেছেন: আপনার গল্পটি প্রিয় তালিকায় রাখতে পেরে আমিই সম্মানিত বোধ করছি।
এই সুযোগে জানিয়ে রাখি, আপনার গল্প আমার ভীষণ প্রিয়।
আরো ভালো ভালো গল্প আমাদের সবাইকে উপহার দেবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অন্যান্য সকল গল্পকারের প্রতি অভিনন্দন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
ডি মুন বলেছেন: যারা ভালো লিখছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন
১২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
সোহানী বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষেন.... সাথে গল্পও...+++++
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
ডি মুন বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও । ভালো থাকা হোক সবসময়।
১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: লিস্ট টা আসলেই ভাল হয়েছে। প্রিয়তে নিলাম।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাভিদ ভাই
ভালো থাকা হোক সর্বদা
১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
বৃতি বলেছেন: জুন মাসে ব্লগে অনিয়মিত ছিলাম বেশ, আপনার দেয়া লিঙ্ক ধরে এলাম। আমার গল্পটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগছে। গল্পগুলোর রিভিউ পড়ে ভাল লাগলো, খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো পড়ার ইচ্ছে রাখি। আর আপনি নিজেও একজন সুলেখক- শুভকামনা থাকল অনেক
থ্যাংকস ডি মুন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
ডি মুন বলেছেন: আশা করি এই মাসে আপনি নিয়মিত ব্লগে আসবেন।
পরবর্তীতেও আপনার একটি সুন্দর গল্প রিভিউতে নিতে পারব - এমন প্রত্যাশা রইলো।
কৃতজ্ঞতা জানবেন বৃতি আপু।
১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
আমি ইহতিব বলেছেন: হাজিরা মন্তব্য। পরে আবার আসছি।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
ডি মুন বলেছেন: অবশ্যই আসবেন। না আসলে কিন্তু হবে না।
গল্পগুলো পড়ে কোনটা কেমন লাগলো জানাবেন।
শুভেচ্ছা রইলো।
১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
চড়ুই বলেছেন: অসাধারন ভাবে গল্প গুলো বিশ্লেষণ করেছেন। আপনার বিশ্লেষণ দেখে মনে হচ্ছে ২ আর ৬ নাম্বার টা বেশ ইন্টারেস্টিং হবে ।পড়তে হবে।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
ডি মুন বলেছেন: সবগুলোই দারুণ।
৬ নাম্বার পড়ে খুব মজা পাবেন নিশ্চিত করে বলতে পারি।
আর ২ নাম্বারের শব্দচয়ন বাক্যনির্মান অসাধারণ।
১ নম্বর দুর্দান্ত একটা স্যাটায়ার। সবুজে ফেরার গল্প।
কোনটা থুয়ে কোনটার কথা বলবো। সবগুলোই পড়ে ফেলেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ব্লগ একটি আনন্দময় জায়গা হয়ে উঠুক সকলের অংশগ্রহণে - এই প্রত্যাশা সবসময়।
১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার কাজ করেছেন ৷ আপনি পারবেন ৷
ধারাবাহিকতার আশা থাকল ৷
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
ডি মুন বলেছেন: আশাকরি, মানসম্মত গল্প লেখার ব্যাপারে লেখকেরা সচেতন হবেন; আর সেসব ভালো গল্প পড়ে পাঠকেরা আপ্লুত হবেন।
সর্বোপরি ব্লগে সকলের অংশগ্রহণে একটি আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করবে - এটাই প্রত্যাশা।
ভালো থাকুন সর্বদা
১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারণ ব্যতিক্রমী পোস্ট।++++
সেরা গল্প এক পোস্টে পেলাম।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগা প্রকাশ করার জন্য।
আপনার জন্য আষাঢ়ের বৃষ্টিভেজা শুভেচ্ছা রইলো।
১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সব কটাতে আগেই মুগ্ধ হয়েছি, আপনাকে শুভেচ্ছা এগুলো একত্রিত করার জন্য!
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
২০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
সুমন কর বলেছেন: দারুণ পোস্ট। চমৎকার উপস্থাপন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: সংকলনের মত শ্রমসাধ্য কাজের জন্য ডি মুন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ব্লগার হাসান মাহবুব,ব্লগার বৃতি,হেনা ভাই,ব্লগার মামুন রশিদ,ব্লগার মোঃ জাবেদ ভুঁইয়া ও ব্লগার সিরাজ সাঁইকে অভিনন্দন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়।
২২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার পছন্দের তালিকার ৫ এবং ৬ নং গল্পটা পড়া হয় নি। এই গল্প দুটি পড়ে তারপর আবার মন্তব্যে জানাবো। বৃতি আপু আর মামুন ভাইয়ার গল্প দুটি আমার নিজের পছন্দের তালিকায় আছে আমার পোস্টে লিখেছি।
হাসান ভাইয়ার "দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন" গল্পটাও আমার খুব পছন্দের একটা গল্প। একজন লেখকের দুটি গল্প পোস্টে না দেয়ায় এই গল্পটি বাদ পরে গেছে। নাগরিক জীবনের রুঢ় বাস্তবতা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে।
আবুহেনা ভাইয়ার লেখা বরাবরই চমৎকার। উনার প্রকাশ ভঙ্গিটাই আলদা। জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো সহজ সাধারণ ভাষায় এত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন যে মুগ্ধ হয়ে গল্পে বাঁধা পরে থাকতে হয়।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
ডি মুন বলেছেন: প্রেতালয় পড়ে ভীষণ মজা পাবেন।
আর ৫ নাম্বারটাও খুব মিষ্টি একটা গল্প।
শৈশব শৈশব গন্ধ আছে। পড়ে ফেলুন।
শুভকামনা রইলো প্রিয় প্রবাসী পাঠক ভাই
২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: থ হয়েছি প্রথমত গল্প নিয়ে আপনাদের ডেডিকেশন-ভালোবাসা দেখে । দ্বিতিয়ত, গল্পের রিভিউ এবং বিশ্লেষন লেখার ক্ষমতা দেখে । টুকটাক লেখালেখি করেই অনেকেই লেখক হয়ে যেতে পারেন । কিন্তু সাহিত্যের ভিতর বাড়ি, অলি-গলি ঘুরে এর ভেতরের সৌন্দর্য বের করে আনা যথেষ্ট একাডেমিক এবং পড়াশোনা ছাড়া সম্ভব নয় ।
মনযোগ দিয়ে পাঠ করলে যে কেউ এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবে ।
গল্প নিয়ে গল্পামি চলতে থাকুক । নতুনত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় ব্লগ সাহিত্যে জোয়ার আসুক ।
শুভকামনা নিরন্তর ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২০
ডি মুন বলেছেন: নতুনত্ব আর সৃষ্টিশীলতায় ব্লগ সাহিত্যে জোয়ার আসুক - আমারো তেমনটাই প্রত্যাশা মামুন ভাই।
যারা গল্প লেখেন তারা আরো ভালো গল্প লিখুন। শব্দ, বাক্য , বানান , প্রকাশভঙ্গি , কাঠামো , মেজাজ এগুলো নিয়ে গল্পের ভেতর খেলা চলতে থাকুক। খেলতে খেলতে এগিয়ে চলুক গল্প।
আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে
২৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার ! চমৎকার অতি চমৎকার পোস্ট !
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৮
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর ভাই
২৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৫
খাটাস বলেছেন: শুধু মাত্র প্রথম টা পড়েছি। আপ্মনার এই পোস্ট চৎকার নতুনত্তে ভরা।
পরের গল্প গুলো ও পড়ে ফেলব।
আপনার পরিশ্রমে অশেষ শ্রদ্ধা।
প্রাণান্তর শুভ কামনা।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
ডি মুন বলেছেন: অবশ্যই পড়বেন।
সবগুলো গল্পই সুন্দর। অনেক আনন্দ পাবেন আশাকরি।
ধন্যবাদ
২৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার এই উদ্যোগ ব্লগকে আরো গতিময় করবে নিঃসন্দেহে। শুভকামনা মুন।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে হাসান ভাই
ভালো থাকুন সর্বদা আর আমাদেরকে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দিন।
২৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ৩,৫,৬ পড়া হয়নি।
বৃতির গল্পটা আমার খুব খুব পছন্দের একটা গল্প, আমার প্রিয়তে রাখা।
আপনার এই উদ্যোগ টা ভালো লাগলো। এখন ব্লগে বেশি গল্প বা কবিতা পড়া হয় না। যদি নিয়মিত হতে পাড়ি আগের মতো ,আমিও চেষ্টা করবো পছন্দের গল্প নিয়ে রিভিউ লিখতে।
শুভেচ্ছা আপনাকে
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভালো থাকবেন সবসময়
২৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো খুব। একটাও পড়া হয়নি কিন্তু এমনভাবে বর্ননা দিয়েছেন যে , যে কাউকে তা উসকিয়ে দেবে গল্পগুলো খুঁজে পেতে নিয়ে এখানে পাওয়া সারমর্মটাকে পুরো করে নিতে। এটা যেন ঘ্রাণে অর্ধভোজন !
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো
পড়ে ফেলুন সময় করে। সবগুলো গল্পই সুন্দর
২৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই কাজটা আপনি নিয়মিত করুন। গল্পে পাঠক বাড়বে, লেখক উৎসাহিত হবেন, এবং সর্বোপরি মানসম্মত লেখা স্পটলাইটে আসবে। এরকম পোস্ট মাসে মাসে দরকার।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নিয়মিত করার চেষ্টা থাকবে।
শুভকামনা রইলো।
৩০| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ২ টা পড়া, বাকি ৪টা পড়ারও ইচ্ছা আছে!
রিভিউ'র আইডিয়াটা দারুণ!
২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
ডি মুন বলেছেন: পড়ে নিন। গল্পগুলো খুব সুন্দর।
ভালো থাকা হোক সর্বদা।
৩১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৫
ইমরান নিলয় বলেছেন: জাস্ট অসাধারন মাপের পোস্ট ছিল। কিপিটাপ। দরকারে লাইন একটু কমিয়ে ১০ টি গল্প করেন। জাস্ট অসাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০০
ডি মুন বলেছেন: আসলে দশটি গল্প হলে বেশি হয়ে যায়। প্রথমে তেমনই চিন্তা ছিলো। তবে মনোমত গল্প না পাওয়াতেই গল্পসংখ্যা কমিয়ে এনেছি। এই পোস্টের ক্ষেত্রে গল্পের মানটাই আসলে মুখ্য।
সেজন্যই কম কিন্তু মানসম্মত(অবশ্যই আমার বিচারে ! , ভিন্নমত থাকতেই পারে) গল্পগুলোকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরে- ভালো লেখার প্রতি ব্লগারদের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে দেয়ার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস বলতে পারেন এটাকে।
এতোদিন পর এই পোস্ট যে পড়া হচ্ছে , তাতেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
ভালো থাকুন সর্বদা।
৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫
আলম দীপ্র বলেছেন: এই পোস্টগুলো থামিয়ে দিলেন যে মুন ভাই ?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২
ডি মুন বলেছেন: সময় পাচ্ছি না যে !
আবার অনেকদিন পর নতুন করে শুরু করা যাবে। ততদিন থাক এমনই। তাড়াহুড়ো করে কিছু করার চেয়ে না করাই ভালো। তাই নয় কি !!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: গল্পের নাম ‘দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন’।
এটা কেমন কথা? বৃহস্পতিবারে কেন মরতে হবে? গল্পের কথাতেই বলা যাক,
কারণ এর পরে দুটো ছুটির দিন আছে। ফলে আপনি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে আপনার শোকসন্তপ্ত পরিবার/রুমমেট শোকের ধকল কাটিয়ে নেবার সময় পাবেন, অথবা হাসপাতালে সারারাত ছোটাছুটি করতে হলে তারা পরের দুইদিন বিশ্রাম নিয়ে সতেজ হয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে পারবেন। এভাবে আপনার মৃত্যু বা অসুস্থতা বৃহস্পতিবারে সংঘটিত হবার ফলে রবিবার থেকে সবাই শোক এবং ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারবেন।
অসাধারণ। গল্পটি ও চমত্কার। তার সাথে আপনার পরিবেশনা পোস্ট টিও অসাধারণ।