নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখ (অনুবাদ গল্প)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪







আমি বছরের পর বছর ধরে এটাকে লুকিয়ে রেখেছি। কখনো গোল করে গুটিয়ে রেখেছি আমার জিমের ব্যাগটাতে। কখনোবা বিছানার নিচে। আর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে লুকিয়ে রেখেছিলাম, প্লাস্টিকে মুড়ে তিন ভাঁজ করে আমার ওয়ারড্রবের ড্রয়ারে। এভাবেই দিনের পর দিন আমার পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখটাকে আমি লুকিয়ে এসেছি।



তবে মাঝে মাঝে ভাঁজ খুলে এটা মুখে লাগিয়ে নিয়ে আমি অতীতাশ্রয়ী হই। এবং পুরোনো যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতির দহন অনুভব করি। এটা নিরন্তর আমাকে আমার ভেতরকার বৃদ্ধ সত্ত্বাটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তখন নিজেকে সত্যিই ভীষণ বৃদ্ধ মনে হয়। অথচ এটা আমি কখনো চাইনি। আমি চেয়েছি এখনকার মতোই সবসময় যৌবনদীপ্ত আর শুভ্র ভাবে বেঁচে থাকতে।



অথচ এই একটি যায়গা ছাড়া আর সবখানেই আমি সফল হয়েছি, আপাতদৃষ্টিতে যেগুলো ছিলো প্রায় অসম্ভব। আমি দীর্ঘদিন পর পুনরায় স্কুলে ফিরি এবং ভালোভাবেই মানিয়ে নেই। প্রায় দশ বছর আগে আমার এক জুনিয়রের হাতে চলে যাওয়া চাকরিটা আমি পুনরুদ্ধার করি। খুব সুন্দরী এক মেয়ের সাথে পরিচিত হই। তার আয়তলোচনা মদির আঁখিতে সে আমাকে মুগ্ধ করে। পরবর্তীতে সে মেয়েটিই আমার স্ত্রী হয়। আমাদের এখন সুখের সংসার। একজন ভালো বাবা হতেও আমার চেষ্টা ছিলো আপ্রাণ। এবং এখানেও আমি সফল হয়েছি। আমার সন্তানেরা আমাকেই তাদের সবচেয়ে আপনজন মনে করে। ভালোবাসে। শ্রদ্ধা করে।



কিন্তু তারপরো অদৃশ্য ভূতের মত আমার এই পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখটি পিছু ছাড়েনি কখনো। এটা আমাকে দিনে দিনে ভীত ও সন্দিহান করে তুলছে। সারাক্ষণ মৃত্যুর দূতের মতো যেন আমার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে আমার বাইরের চেহারাটা আসল নয়। আসলে আমি একজন পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক বৃদ্ধ মানুষ।



আমার স্ত্রী অনেকটাই ভুলো মনের কিংবা বলা যায়, বেখেয়ালি। তাই সে কোনদিন ব্যাপারটা ঠিক ধরতে পারে নি। সে ভেবেছে, আমার এই যৌবনদীপ্ত উজ্জ্বল চেহারা যেটাতে এখনো বয়সের ছাপ পড়েনি, এটাই বুঝি আমার একমাত্র চেহারা। এবং সে এটা ভীষণ ভালোও বাসে। কিন্তু সে জানে না আমি আমার পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক চেহারাটাকে এতোদিন ধরে তার কাছ থেকে আড়াল করে চলেছি। দোমড়ানো মুচড়ানো একটা লজ্জাজনক অপরাধী মুখ লুকিয়ে রেখেছি গোপনে।



গতকাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই ছিলো। গতদিন আমার স্ত্রী আমাকে সারপ্রাইজ দিতে নতুন একটা বিছানার চাদর কিনে নিয়ে আসে। সেটা বিছাতে গিয়েই সে পুরোনো চাদরের নিচে আবিষ্কার করে আমার পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখটাকে। আমিই বোধহয় একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। কিংবা আমি চাইছিলাম যে এটা প্রকাশ পাক। অফিস থেকে ফিরে এসেই দেখি আমার দোমড়ানো কুচকানো পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখটিকে নিয়ে সে সোফায় বসে আছে।



‘শোন, আমি সব খুলে বলছি’ - তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি বললাম।



তার চোখ ঘৃণা আর সন্দেহে ভরে উঠলো। আমি এতোদিন ধরে তার কাছ থেকে কেন লুকিয়ে এসেছি – এই জিজ্ঞসায় সে আমার দিকে একবার তাকালো। আর বলল- ‘বলো’



আমাদের মাঝখানে আমার সেই মুখটি পড়ে আছে। দুজনের মাঝখানে যেন একটা দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে ওটা। আমি এক দৃষ্টিতে সে দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমার মানসপটে অতীত-স্মৃতি ভেসে উঠলো। বলতে শুরু করলাম,



দিনটি ছিলো ১৯৭১ সালের ২১ জুলাই। আমার বাবার পঞ্চাশতম জন্মদিন। তিনি তখনও শৈশবের সেই বাড়িটাতেই থাকতেন যেটা আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমাকে আর আমার ভাইকে নিয়ে মা সে বাড়ি থেকে অনেক দূরে একটা শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছিলেন বেশ আগেই। যেখানে আমার বাবার চিৎকার-চেঁচামেচি কিংবা আমাদের দুঃখ-যন্ত্রণা এসব কিছুই ছিলো না। মোটামুটি শান্তি ছিলো।



কিন্তু আমার মা ছিলেন অত্যন্ত সহৃদয় মহিলা। তাই বাবার পঞ্চাশতম জন্মদিনে আমরা ঠিক করি বাবার সাথে দেখা করতে যাব। আমার ভাই যেতে রাজি না হলে আমি আর মা দুজনে যাবো ঠিক করলাম। একটা কার্ডের দোকানে ঢুকে আমি বেছে বেছে বাবার জন্য কিছু কার্ড নিলাম। যেগুলোতে লেখা ছিলো ‘সবচেয়ে ভালো বাবা’, ‘তোমাকে পেয়ে আমি ধন্য’ কিংবা ‘বাবা, আমি তোমাকে ভালোবাসি’- এরকম কথামালা।



আমরা যখন গাড়িতে করে যখন বাড়ির আঙিনায় পৌছুলাম তখন শুনতে পেলাম বাড়ির ভেতর থেকে গানের সুর ভেসে আসছে। পড়ন্ত বিকেল। আমি আর মা হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলাম। দেখলাম সামনের ঘরে শুয়ে আছে একজন অদ্ভুত মহিলা। সে অবশ্য ঘুমাচ্ছিল না। বরং গানের সাথে তাল মিলিয়ে গান গাইবার চেষ্টা করছিলো। আর আমারই মতো একটা ছেলে পাশে মেঝেতে বসে একটা খেলনা ট্রাক নিয়ে খেলছিলো।



মা আমার বাবার ডাকনাম ধরে কাঁপা কাঁপা স্বরে ডাক দিলেন, ‘পাগ?’



ঘরের কোণ থেকে বেরিয়ে এলেন বাবা। আর আমি তাকে দেখেই চিনে ফেললাম। তবে এটা আমার বাবার মুখ ছিলো না বরং এটা ছিলো একজন মদ্যপ উগ্র মানুষের মুখ। আমাদের অপ্রত্যাশিত আগমনে তিনি ক্রোধে লাল হয়ে গেলেন। চিৎকার করে বললেন, ‘দূর হও আমার সামনে থেকে।’



মা নিশ্চুপ দাঁড়িয়েই থাকলেন। বোধহয় তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে আমিও সেখানে আছি। তিনি শুয়ে থাকা মহিলাটির দিকে একবার তাকালেন। তারপর ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলেন। মহিলাটি মাথাটা একটু উঠিয়ে কটাক্ষ করে বলল, ‘এটা আবার কে?’ আর সেই ছেলেটা আরো একটু দূরে গিয়ে সেই খেলনা ট্রাকটা নিয়ে তখনও খেলায় মশগুল।



বাবা তখন রাগে অগ্নিমূর্তি। মুখে যা এলো তাই বললেন। মাগি, বেশ্যা, ইত্যাদি কটুবাক্যে মাকে অসম্মান করে তারপর আমার দিকে এগিয়ে এলেন। আমি তখন বাবার জন্মদিনের কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি আমার হাত থেকে কার্ডগুলো নিলেন আর কার্ডের লেখাগুলো উচ্চস্বরে ব্যঙ্গ করে পড়তে শুরু করলেন। হা হা হা করে হাসলেন। তারপর সেগুলো টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলে বললেন, ‘আমি আর তোকে ভালোবাসি না। যা দূর হ এখান থেকে।’



আমি কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে গাড়িতে এলাম। চোখে তখন অবিরাম জলের ধারা। সেগুলো গড়িয়ে গড়িয়ে আমার চামড়ার ভেতরে কোথায় যেন ঢুকে যাচ্ছে। আমার মুখের চামড়া ঢিলা হতে শুরু করলো। এবং একসময় তা আমার হাতে উঠে আসলো।





এ পর্যন্ত শুনেই আমার স্ত্রী আমার দিকে হতবিহ্ববল চোখে তাকালো। আমি দেখলাম তার চোখে জলের শ্রাবণ। সে পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখটি তুলে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে ধরলো এবং বললো, ‘পরো। তুমি তো তোমার বাবার মতো নও।’



আমি সেই বয়স্ক মুখটির দিকে তাকালাম। ভাবলাম আহা, যদি এটার মুখে একটু হাসি এঁকে দিতে পারতাম! চোখ বন্ধ করে মুখের চামড়ার উপর সেটাকে চেপে ধরলাম। হাতদিয়ে একদম মিলিয়ে দিলাম মুখের সাথে। তারপর আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘খুশি হয়েছ?’



হ্যাঁ, বলেই সে আমার মুখে চুমু দিলো। এবং আমি সেই আগের মতো একইরকম ভালোবাসা অনুভব করলাম। আমার মুখের বয়সী-রেখার উপর সে তার হাত বুলিয়ে দিল। যেন এটা একটা ম্যাজিক। সে বলল, এটা সত্যিই অন্যরকম। তার আচরণে আমি মুক্তি পেলাম। সে যে আমাকে ঘৃণা করছে না – এ ভাবনাটাই আমাকে তৃপ্ত করলো। সে মুচকি হাসল। কিন্তু তার ভেতরের দুঃখবোধকে সে আড়াল করতে পারলো না।



আমার হাত ধরে সে বেডরুমে নিয়ে গেল। নতুন বিছানার উপর আমরা পরস্পরকে আগের মতোই সারারাত ভালোবাসলাম। তারপর আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠলাম। দেখলাম পুরনো জিনিসপত্রের ভেতর আঁতিপাঁতি করে অবিরাম কী যেন খুঁজে চলেছে সে।



সকালে খাবার টেবিলে আমরা একসাথে বসলাম। ডিম আর পাউরুটি দিয়ে নাস্তা করলাম। তারপর দুজনে দু কাপ কফি নিয়ে নানারকম আলোচনায় মত্ত হলাম। গল্প করলাম রাজনীতি আর দুর্দশাময় এই পৃথিবী নিয়ে। এবং শেষমেশ সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের এই সুখী সংসারের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম। আর তখন আমার স্ত্রী ভান করছিলো যেন কিছুই হয় নি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে আর এমনটাই সবসময় থাকবে। আর আমিও এমন ভান করছিলাম যেন আমি লক্ষই করি নি এই একরাতে সে কতোটা বুড়িয়ে গেছে।







---









পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক মুখ

মূলঃ কার্ট নিউটন

অনুবাদঃ ডি মুন (এস এম মামুনুর রহমান)





লেখক পরিচতিঃ কার্ট নিউটন(Kurt Newton) বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটে বসবাস করেন। তার প্রথম গল্প ‘দ্য প্রমিজ অব দ্য সি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো, দ্য বারিনপান কনসার্টো, দ্য উইশনিক, পাওয়ার লাইনস, দ্য আলটিমেট পারভারসিটিস ইত্যাদি। এছাড়া এ পর্যন্ত তার প্রায় ৩০০টি কবিতা ও ২০০টি ছোটগল্প ইউরোপ ও অ্যামেরিকার বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ‘পঞ্চাশ-বছর-বয়স্ক’ মুখ গল্পটি ‘ফ্লাশফিকশন ডট কম’ ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। এবং মূল ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।



মূল গল্পঃ Click This Link







আমার এই ক্ষুদ্র অনুবাদ প্রচেষ্টাটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী কে উৎসর্গ করা হলো, যার অকৃত্রিম উৎসাহে ও অনুপ্রেরণায় আমি অকৃতি অধম গল্পটি অনুবাদের দুঃসাহস করেছি।



অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাইয়ের প্রতি।



মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।

উৎসর্গ করে তো দিলেন আমারে।

কিন্তু ভালো গল্পকার, ভালো কবি পাওয়া কিন্তু কঠিন। আমাদের দেশে গল্প-কবিতা লেখবার লোকের অভাব নাই। তার মাঝেও আরো কেউ ভালো লিখলে আমি খুশি হই। এবং চাই তারা এমন ভালো লিখুক, প্রতিটা লেখায় যেন আমার ঈর্ষা প্রকাশ করতে পারি।

এ গল্পটা অন্যের কাছে কেমন লাগবে আমার জানা নাই। কিন্তু এটাই বলবো যে, আপনার হাতে এগল্পটি আবার প্রাণ পেলো। মুখোশের আড়ালে থাকে আমাদের জীবন। আমরা তাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠি। আসলটাকেই তখন মেকি মনে হয়।

শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

ডি মুন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে খুব খুশি লাগছে জুলিয়ান ভাই।

আপনি উসকে না দিলে গল্প অনুবাদের সাহস হতো না। এমনিতেই সবসময় দ্বিধায় থাকি। মাঝে মাঝে মনে হয় যা লিখছি সব যেন রাবিশ, এগুলোর কোনো মানে নেই। তবুও লেখার সময়কার সুখটুকুর জন্য, নতুন কিছু তৈরির আনন্দের জন্য লিখি।

আর তাই আপনাদের মতো গুণী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষের ছোট্ট এক টুকরো মূল্যায়ন কিংবা পরামর্শ আমার জন্য অনেক বড়ো পাওয়া।

সুস্থ ও সুন্দর কাটুক আপনার সময়। শুভকামনা সতত।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫১

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: শ্রদ্ধা জুলিয়ান ভাইকে --যার নামে উৎসর্গ করেছেন। আর আপনার প্রশংসা করতেই হয় এত সুন্দর একটা অনুবাদের জন্য। বেশ আগ্রহ নিয়েই পড়লাম। গল্পটাও বেশ--আসলে মুখোশ দিয়ে কি আর নিজেরে আড়াল করে স্বস্তি আছে? ভালবাসার কাছে বয়স চেহারা সেসব মূখ্য নয়। দুজনার ভালবাসা সত্য প্রকাশেই আরও নিবিড় ---

ভাল থাকবেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

ডি মুন বলেছেন: " দুজনার ভালবাসা সত্য প্রকাশেই আরও নিবিড় "--- খুব সুন্দর বলেছেন। আর এই গল্পটার শেষ লাইনটাও কিন্তু ভীষণ সুন্দর ও আবেগপ্রবণ। অনেকটা ভাবনার খোরাকও আছে।

কারণ, আমরা এভাবেই ভেতরে ভেতরে বুড়িয়ে যায়, যদিও বাইরে থাকে একটা জ্বলজ্বলে বাহ্যিক আবরণ। মেকি ।


পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: হুম শেষ লাইনটাই বেশি ছুঁয়েছে --আমি বেশ কবার পড়েছি ওই লাইনটি ।
অনেক ভাল লিখেন আপনি। আর ও ভাল ভাল লেখা উপহার দেবেন সে প্রত্যাশায়-----

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

ডি মুন বলেছেন: সত্যি বলতে আমিও শেষ লাইনটা পড়েই অনুবাদে অনুপ্রাণিত হই। নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি গল্প।

আবারো শুভকামনা। ভালো থাকা হোক।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ, পড়ার সময় একবারও মনে হয় নাই যে কোন অনুবাদ গল্প পড়ছি। আর গল্পর কথা প্রিয় শিল্পীর এটা প্রিয় গানের কলি দিয়েই বলি,

"আমার গল্প শুনে
হয় আলোকিত উৎসব,
গল্প শেষে আমি
আঁধারের মত নীরব....
...............................
.....আমার মাঝে যেন আমি শুধু লুকাই।"

মুখোশের আড়ালে লুকোনো কতশত কষ্ট, কত আজানা নীল বেদনার কাব্য।

ভালোলাগা, গল্প এবং অনুবাদ, দুটোতেই।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

ডি মুন বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন বোকা মানুষ ভাই, -- মুখোশের আড়ালে কতশত কষ্ট, কত অজানা নীল বেদনার কাব্য।

সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সবসময়। আর আপনার ভ্রমণ সংকলন ঘুরে এলাম। খুব ভালো লাগলো। :)

৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বলার ভাষা নাই , চমৎকার কাজ হয়েছে ।

মনেই হয় নাই অনুবাদ । অনেক ভাল লেগেছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না । নিশ্চয় আপনি একদিন অনেক বড় হবেন ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশি হলাম।

ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের ভেতর ডুবে গিয়েছিলাম । মেকি আর কৃত্রিমতায় ভরা মুখোশটা ফেলে আসল মুখায়বে নিজেকে উপস্থাপন দারুণ লাগলো । চমৎকার সাবলীল অনুবাদে গল্পটা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ।

মৌলিক লেখালেখির পাশাপাশি অনুবাদ কর্মও চলতে থাকুক । শুভকামনা ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় মামুন ভাই।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চষৎকার কাজ করেছেন । অনেক সাবলীল লাগলো । কারো আরোপিত কারো স্বইচ্ছায় মুখোশবন্ধী মানব জীবন সারাক্ষণ ৷ ভালবাসায় স্বরূপ উন্মোচন ৷


আরো প্রয়াস চলতে থাকুক ।

মঙ্গল হোক ৷

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর আলম ভাই

গল্পটা সহজ এবং সুন্দর। এজন্যই আমাকে বেশি আকর্ষণ করেছে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

শুভকামনা

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেটাফরটা যদিও বেশ কমন, তবে ভালো লেগেছে অনুবাদকর্ম।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন। তবে গল্পটার ভেতর কেমন একটা মায়া আছে। মূল ইংরেজিটাও পড়ে দেখতে পারেন হাসান ভাই। ছিমছাম নিরিবিলি একটা গল্প।

শুভেচ্ছা সতত।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার ধরনটা আমার ভালো লেগেছে। তাছাড়া গল্পটার মাঝেও একটা শান্ত ভাব আছে, যা পড়ার সময় ভালো লেগেছে। অনুবাদ বেশ ভালো হয়েছে। চেষ্টা করুন এটা নিয়মিট করা যায় কিনা। পাঠক হিসেবে আমার মনে হয়েছে অনুবাদে সামান্য অল্প কিছু জড়তা আছে, তা হয়ত অনুবাদ করতে করতেই কেটে যাবে।

অনেক শুভেচ্ছা রইল মুন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কা_ভা ভাই

অনুবাদে একেবারেই নতুন আমি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ভুলত্রুটি অনেক থাকবে। আর জড়তা তো ছিলোই। তাই আপনার পরামর্শ সাদরে গৃহীত হলো। আশাকরি ধীরে ধীরে জড়তা কাটিয়ে উঠব।


শুভেচ্ছা আপনাকেও :)

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: চমৎকার গল্পের সাবলীল অনুবাদ হয়েছে। অভিনন্দন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: যে কোন অনুবাদ এমন হওয়া উচিত যেন পড়লে মনে হয়না অনুবাদ পড়ছি। যদিও অনুবাদ দুই রকম ভাবেই করা যায়। আক্ষরিক এবং ভাবানুবাদ। গল্পের ক্ষেত্রে ভাবানুবাদ অনেক বেশি প্রাঞ্জল হয়। পাঠক প্রিয়তা এনে দেয়। এখানেই একজন অনুবাদকের সার্থকতা। আপনার এই অনুবাদটা ঠিক ভাবানুবাদ হয়নি।

যেমন ধরুন আপনি লিখেছেন;

তবে মাঝে মাঝেই আমি এটা বের করি। তারপর ভাঁজ খুলে মুখে লাগিয়ে নেই। যদিও তা সবসময়ই ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। এটা নিরন্তর আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় আমার ভেতরের বৃদ্ধ মানুষটার কথা। তখন নিজেকে সত্যিই ভীষণ বৃদ্ধ মনে হয়, যা আমি কখনোই চাই না। আমি এখনকার মতোই সবসময় যৌবনদীপ্ত আর শুভ্র থাকতে চাই।

কিন্তু যদি এভাবে লিখতেন;

মাঝে মাঝে ভাঁজ খুলে মুখে লাগিয়ে পুরনো স্মৃতিতে ফিরে যাই। পুরনো স্মৃতিগুলো সবসময়ই ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক কিন্তু তারপরেও আমার ভেতরের বৃদ্ধ মানুষটার কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাকে সেই অতীতে ফিরিয়ে নেয়। নিজেকে তখন সত্যিই ভীষণ বৃদ্ধ মনে হয়। অথচ এমনটাতো আমি চাইনি কখনও। আমি চেয়েছি এখনকার মতোই সবসময় যৌবনদীপ্ত আর শুভ্র ভাবে বেঁচে থাকতে।

আসলে অনুবাদ হলেও গল্পটা গল্পের মত হলে পড়ে ভাল লাগে খুব।

তবে শেষের দিকে এসে আবার গল্পটা জমে গেছে পুরোপুরি।

কিছু মনে করবেন না অনধিকার চর্চা করে ফেললাম।
এগিয়ে চলুক অনুবাদ।
শুভ বিকেল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান পরামর্শের জন্য।

আপনার বক্তব্য মেনে নিচ্ছি, আসলেই এটি যথার্থ ভাবানুবাদ হয় নি। ভাবানুবাদ করতে গেলে কেবলি দ্বিধায় থাকি যে মূল গল্পটা নষ্ট করছি না তো! তাই মাঝামাঝি কিছু একটা করতে গিয়ে গল্পের বহমানতা নষ্ট হতে পারে।

যাহোক, আপনার পরামর্শ মনে থাকবে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনেক সুন্দর অনুবাদ হয়েছে । বুঝতেই পারলামনা যে আমি অনুবাদ করা গল্প পড়ছি ।

অনেক ধন্যবাদ অনুবাদকারীকে এবং অনুপ্রেরনাদানকারীকে । :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ,

ভালো থাকুন সবসময়। :)

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সাবলীল অনুবাদ, প্রিয় মুন।

তবে জানেন কি, আমি নিজেও টুকটাক অনুবাদ করি, এবং এ ক্ষেত্রে লেখকের মূলভাবের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারাটাকেই সর্বশেষ সতর্কতাবিন্দু হিসেবে ধরি। এর থেকে বেশী চিন্তা করলে নিজের যে একটা স্বাভাবিক ফ্লো, তা বিনষ্ট হয়ে যায়।

অন্যের লেখা যখন অনুবাদ করছি, তখন মনের আনন্দেই করি, কি বলেন?

শুভকামনা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।

ধন্যবাদ সাজিদ ভাই।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনুবাদ প্রাঞ্জল হয়েছে ভ্রাতা । ৫ম ভালোলাগা +

ভালো থাকবেন সবসময় :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

ডি মুন বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

নিরন্তর ভালো থাকা হোক :)

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৩

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার অনুবাদ গল্পে আমি মুগ্ধ।
দারুন কাজ করেছেন ।সাহসের প্রশংসা না করে পারলাম ডি মুন ভাই।
এগিয়ে যান।

জুলিয়ান দা কে সালাম জানাইলাম।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই,

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

ভালো থাকুন সর্বদা।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১০

বৃতি বলেছেন: গল্পটা খুব সুন্দর। অনুবাদও সাবলীল হয়েছে। অনেক শুভেচ্ছা থাকল একজন হবু বড় সাহিত্যিকের জন্য।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

ডি মুন বলেছেন: হাহাহা :)

পাঠে ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

সুস্থ ও সুন্দর থাকুন আপুমনি

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভাল অনুবাদ হয়েছে!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

ভালো থাকা হোক সর্বদা।

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি আপনার অনুবাদ দক্ষতায় স্তম্ভিত!মুগ্ধ!

জুলিয়ান সিদ্দিকী একজন পাকা জহুরী নিঃসন্দেহে।

দু’জনকেই আমার অনেক অনেক মোবারকবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই

আর জুলিয়ান ভাইকেও শ্রদ্ধা।

ভালো থাকা হোক।

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পটি দারুণ। অনুবাদটিও চমৎকার। কার্ট নিউটনের খুব সামান্য কাজের সাথে পরিচয় হয়েছে। এরকম প্রচেষ্টা অব্যহত থাকলে পাঠক সমাজ নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে।

"আর আমিও এমন ভান করছিলাম যেন আমি লক্ষই করি নি এই একরাতে সে কতোটা বুড়িয়ে গেছে। "

অনবদ্য।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

ডি মুন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আসলেই গল্পটি খুব চমৎকার।

ভালো থাকুন সর্বদা। মঙ্গল হোক।

২০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: আপনি বেশ ভালো অনুবাদ করেন। আপনার দ্বিতীয় অনুবাদ গল্প পড়লাম। অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ডি মুন বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

এই অনুবাদ গল্পটি "সম্পাদক"- এর চতুর্থ সংখ্যায় (অক্টোবর ২০১৪) প্রকাশিত হয়েছিল।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.