![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
সারাদিন আপত্তিকর হিন্দি গান শুনে সন্ধ্যাবেলা আমাদের ধর্মবোধ জেগে ওঠে। নামাযের হাত বাঁধা নিয়ে খুব একচোট হয়ে যায়। গুগলে তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে আপন মতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে বন্ধুদের বলি, এইবার দেখ শালারা, আমার কথা ঠিক কিনা। ওদিকে মুয়াজ্জিন ডাক দেয় ‘হাইয়া আলাস সালাহ’। আমরা বলি, দাঁড়াও বাবা আগে ফয়সালা শেষ করি তারপর আসছি।
নিজেদের খিস্তি-খেউড়ের শব্দে মুয়াজ্জিনের ডাক নিভে গেলে মসজিদের দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে যেতে থাকে, তবু ধর্মের পাকা জহুরী হয়ে উঠছি- এই গর্বে আমাদের বুক দশ হাত ফুলে যায়। সেই ফোলা বুকের সামনে দিয়ে প্রতিবেশী আহমেদ সাহেবের বড় মেয়ে সুরাইয়া, কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার সময়, আমাদের চোখে আগুন ঢেলে দেয়। মুখে কামভাব ফুটিয়ে আমরা ফিসফিসিয়ে বলে উঠি, আহ, খাসা ফিগার মাইরি, একদম খাপে খাপ। তারপর সুরাইয়ার শরীরের জ্যামিতি-পরিমিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে রীতিমত গবেষণা শুরু হয়। রাতের সুখস্বপ্নে সেদিন আমরা সুরাইয়াকে বিবস্ত্র করে, সকালে গোসল করে পবিত্র হই।
সাড়ে আটটায় নজরুলের চায়ের দোকানে তুমুল আড্ডা জমে। আমরা নানা বিষয়ে কথা বলি। অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য সবকিছু চায়ের কাপে ঢেলে দেই। তবুও যখন চা তেতো মনে হয় তখন চোখে পড়ে- ইউনিফর্ম পরে সুরাইয়া ওর মায়ের সাথে রিকশা করে কলেজে যাচ্ছে। আমাদের চা তখন সরবত হয়ে যায়, আমরা নজরুলকে গালাগাল দেই, হারামজাদা, চায়ে এত চিনি দিস কেন? নজরুল বিব্রত ভঙ্গিতে ঘাড় চুলকাতে থাকে। আমরা বলি, চারটা বেনসন দে হারামজাদা।
ধোঁয়ার রিং উড়িয়ে আবার সংলাপে মেতে উঠি। কলেজ জীবনে পড়া প্রাণিবিজ্ঞানের ‘প্রজননতন্ত্র’ চ্যাপ্টারটা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি। উদাহরণ সল্পতায় সুরাইয়ার মাকেও অন্তর্ভুক্ত করে ব্যবচ্ছেদ করতে হয়। তবে আমরা আগাগোড়া খারাপ ছেলে নই, ভালো ছেলে বলে আমাদের যথেষ্ট সুনাম ছিল। গুরুজন দেখলে আমরাও শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে ল্যাম্পপোস্ট হয়ে যেতাম, সালাম দিতাম, আদিখ্যেতা করে বলতাম – চাচা, ভাল আছেন?
বেকার দিনগুলো আমাদের মগজে পাথর না ভাঙলে, এবং মেধার চেয়ে দলালির মূল্য অধিক না হলে, ভদ্রতার ব্যাকরণ আমরা কোনোদিনই শেলফে তুলে রাখতাম না; বরং চোখ-নেই ভিক্ষুক দেখে বিনা জিজ্ঞাসায় মাদার তেরেসা হয়ে উঠতাম। কিন্তু ভাগ্যের চাকা খাঁদে আঁটকে পড়ায় আমরা এখন সুরাইয়ার বুকের উচ্চতা মাপি, উঠতে বসতে চা-দোকানদার নজরুলকে গালমন্দ করি, সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরপাক খাই। তারপর এক আকাশ ধোঁয়া বুকে জমিয়ে লাল চোখ নিয়ে গভীর রাত্রে বাড়ি ফিরি। বাবা কৈফিয়ত চাইলে দরজায় লাথি মেরে বলি, ধুত্তোরি, ভাল্লাগে না। অথচ একসময় এই আমরাই জব-সল্যুশনের দাগানো পৃষ্ঠায় স্বপ্ন গেঁথে প্রেমিকাকে বলেছিলাম - আর মাত্র কিছুদিন, তারপর সব হবে।
দুই
টাকা?
নেই।
সুপারিশ ?
নেই।
বিদেশী ডিগ্রী?
নেই।
প্রতিযোগিতায় হারব না বলে বাজারের সবগুলো বইয়ের পাতায় আমরা তর্জনী ঘুরিয়েছি। যে ঐকিক নিয়ম আর শতকরা হিসেবের ভয়ে-আমরা শৈশবে রবীন্দ্রনাথ হতে চেয়ে স্কুল পালিয়েছিলাম, সেগুলো আবার হারানো মানিকের মতো বুকে তুলে নিয়েছি। প্রোবাবলিটির জটিল চ্যাপ্টারে আমাদের ঢুলু ঢুলু চোখ রাখব বলে- প্রেমালাপ সংক্ষিপ্ত করে প্রেমিকাকে বলেছি, এখন রাখি, কাল আবার কথা হবে।
সেসব নিষ্ঠুর রাতে আমাদেরকে জানতে হয়েছিল - কে কোথায় কখন মরে গিয়ে ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে, কোন রাজার প্রাসাদে জন্ম নিচ্ছে ফুটফুটে মানবশিশু, কতবার কারা ছিঁড়ে খেল প্রতিবেশীর মানচিত্র, কোথায় পাওয়া যায় দ্রুততম পতঙ্গের দেখা, কিংবা ওজনস্তর কতটুকু ফুটো হলে পৃথিবী তলিয়ে যাবে অতলে। আমরা মরুভূমির উটের মতো ক্যাকটাস মুখে পুরে সে সব তথ্য চিবিয়ে খেয়েছিলাম, সুবোধ বালকের মতো আঁখিপল্লবে কাঁচামরিচ ঘষে কণ্ঠস্থ করেছিলাম সবকিছু। ভেবেছিলাম, আর তো মাত্র কিছুদিন, তারপর সব হবে - আমাদের স্বপ্নগুলো পাখা গজিয়ে উড়তে শিখবে, আমাদের প্রেমিকারা সে পাখার নিচে অভিমানী বউ হয়ে খুনসুটি করবে আর আমরা প্রাণ খুলে গাইব, আহা, আজি এ বসন্তে।
একদিন সেই আকাঙ্ক্ষিত দিনে, সকালে স্নান সেরে মায়ের পায়ে হাত ঠেকিয়ে আর বাবার আশীর্বাদ নিয়ে আমরা নজরুলের চায়ের দোকান পিছনে ফেলে সগর্বে সোনার হরিণ আনতে স্বপ্নভবনে ছুটেছিলাম। তারপর একান্ত বৈঠকে বসে ‘কোনো সুপারিশ আছে কিনা ?’ – এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রথম আবিষ্কার করেছিলাম, আমাদের এতদিনের সব ভাবনায় শুভঙ্করের ফাঁকি ছিল। এ যাবত শুধু ভুল তথ্যাদি মগজে পুরে রাতের ঘুম নির্বাসনে পাঠিয়েছি, বাবার পেনশনের টাকায় বোতলের পর বোতল ফুরিয়েছি নিদ্রাকুসুম। শহরের স্বপ্নভবনগুলো সেদিন আমাদের গলা ‘সুপারিশ নেই?’ - বলে টিপে ধরেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত দু’টুকরো কাগজ হাতে করে সেদিন আমাদের বুঝতে হয়েছিলো জীবন আসলে কতটা বাস্তব। কচ্ছপ পায়ে বেঁধে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়েছিল সেদিন এবং তারপর থেকেই আমাদের সব মন-খারাপেরা মূল্য হারিয়ে ‘ন্যাকামো’ উপাধি পেয়েছিল।
বিত্তহীন স্বদেশী ডিগ্রীধারী এই আমরা হতাশায় পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনেক আগেই আমাদের প্রেমিকাদের বাড়িতে সরকারী উচ্চপদস্থ অফিসারদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। এবং আমাদেরই একসময়ের প্রেমিকারা -যারা চিরকাল পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছিল – আমাদেরকে বখাটে অকর্মণ্য ছেলে বলে চারিত্রিক সনদপত্র পাঠায়। আমাদের কেউ কেউ ন্যাকামো করে আত্মহত্যা করতে না পারার ব্যর্থতা বুকে নিয়ে হাসপাতালে রাত কাটাতে থাকে। আমরা খালি হাতে হাসি মুখে দেখতে যাই, কান মলে দিয়ে বলি, শালা রামছাগল, মরতেও জানিস না! মরতে না পারার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে এভাবেই বাধ্য হয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। তবু অবসরে আমরা ডেল কার্ণেগি, শিব খেরা, অথবা শ্রেষ্ঠ মনীষীদের জীবনী পড়ে নিজেদের সাহস দেই, বলি, ইউ ক্যান উইন।
তিন
বইয়ের লেখার সাথে জীবনের লেখা মেলে না বলেই আমরা ক্রমাগত হেরে যাই, পিছিয়ে যাই, ভড়কে যাই। বাসের হেলপার, পার্কের বাদামওয়ালা, কিংবা রাস্তার রিকশাওয়ালার সাথেও কথা বলতে ভয় পাই। আড়ষ্ট থাকি। আমাদের আত্মবিশ্বাসে পলি জমে। নিজেদের অকিঞ্চিৎকর মনে হয়। চারপাশে কেবলই জীবনানন্দ দাশের অন্ধকার ঘন হতে থাকলে আমরা মাথা নিচু করে আবুল হাসানের মতো শেষমেশ বলে উঠি, ‘আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি।’
এই আত্মসমর্পনে শহরের রুই কাতলারা খুশি হয়ে বুকে টেনে নিলে আমাদের বেশভূষা বদলে যায় জুয়েল আইচের ম্যাজিকের মতো। ফুলহাতা-শার্ট হাফহাতা টি-শ্যার্ট হয়ে যায়, হাতে স্টিলের বেসলেট ঘড়ির জায়গা দখল করে নির্লজ্জের মতো হাসে। আমরাও মুখে বেনসন ধরিয়ে নিয়ে হো হো হো করে হেসে উঠি। চা-দোকানদার নজরুল কিছু বুঝতে না পেরে প্যাঁচার মতো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।
আমাদের সাহস বাড়তে বাড়তে আকাশ স্পর্শ করলে তখন কাউকে আর তোয়াক্কা করি না। হাতে অস্ত্র নিয়ে দেশ উদ্ধারে রাস্তায় নামি, আর কিভাবে যেন আমাদের পুষ্টিহীন মানিব্যাগ রাতারাতি স্বাস্থ্যবান কলাগাছে পরিণত হয়। রাস্তার সকলে ভয়ে কেমন সিটিয়ে যেতে থাকে যেন আমরা সুন্দরবনের বাঘেরা হরিণ শিকারে নেমেছি। সোনার হরিণ ধরতে পেরেছি ভেবে বাড়িতে ফিরে দেখতে পাই মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছছে। আর সেদিন থেকেই আমরা বাবার চোখে চোখ রাখার অধিকার হারিয়ে ফেলে ভীষণ একা হয়ে যেতে থাকি।
নিজের বাড়িতে বহিরাগত হয়ে যাবার পর থেকে নজরুলের চায়ের দোকানের কাঠের অনুচ্চ বেঞ্চগুলোকেই আমাদের বেশি আপন মনে হয়। আমরা সকাল সন্ধ্যা রুটিন করে চায়ের কাপে ঝড় তুলি। প্রতিবেশী আহমেদ সাহেবের বড়ো মেয়েটা কোচিং সেরে বাড়ি ফেরে। আমরা হা করে সে দৃশ্য গিলে শিস দিয়ে প্রকৃত বখাটে হওয়ার চেষ্টা করি। ওদিকে মোয়াজ্জিন ডাক দিয়ে যায়, ‘হাইয়া আলাস সালাহ’।
চার
বেকার দিনগুলো আমাদের মগজে পাথর না ভাঙলে, এবং মেধার চেয়ে দলালির মূল্য অধিক না হলে, ভদ্রতার ব্যাকরণ আমরা কোনোদিনই শেলফে তুলে রাখতাম না; বরং চোখ-নেই ভিক্ষুক দেখে বিনা জিজ্ঞাসায় মাদার তেরেসা হয়ে উঠতাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
ডি মুন বলেছেন: কি যে হলো, ঠিক বুঝতেছি না। দম বন্ধ করে পড়ে ফেলেন।
শুভেচ্ছা সতত।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++ অসাধারণ । আপনার কাছে থেকে একেবারেই ভিন্নধর্মী একটা লেখা ।
চাঁছাছোলা শব্দে সামাজিক ক্ষতগুলো ব্যাবচ্ছেদ করলেন । পুরনো ঘাগুলো আবার কাঁচা করে দেখিয়ে দিলেন ।
বেকার দিনগুলো আমাদের মগজে পাথর না ভাঙলে, এবং মেধার চেয়ে দলালির মূল্য অধিক না হলে, ভদ্রতার ব্যাকরণ আমরা কোনোদিনই শেলফে তুলে রাখতাম না; বরং চোখ-নেই ভিক্ষুক দেখে বিনা জিজ্ঞাসায় মাদার তেরেসা হয়ে উঠতাম। এই লাইনগুলো উপরের গল্পের মতো না । পুরো লেখাটার একটা প্রাবন্ধিক সারসংক্ষেপ ।
ভালো থাকবেন ভ্রাতা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
ডি মুন বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অপূর্ণ রায়হান ভাই।
ভালো ছেলেরা জীবনের কাছে মার খেতে খেতে একদিন সমাজের টিস্যুপেপার হয়ে যায়। তাদের রাফখাতায় কেবলি কাটাকাটি আর যন্ত্রণার শূন্যতা।
আপনিও ভালো থাকবেন ভ্রাতা।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: এ টু জেড পড়লাম।
আপনার লিখার ভঙ্গিমা খুবই আকর্ষণীয়। মুগ্ধ।
ভাল থাকবেন, জনাব।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৯
ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। আপনিও ভালো থাকবেন।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: পুনুশ্চঃ উপন্যাস লেখা শুরু করেন। :-&
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
ডি মুন বলেছেন: উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে। আরো একটু জীবনটাকে জানি, তারপর লিখে ফেলব একসময়।
আবারো শুভেচ্ছা।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৩
খেলাঘর বলেছেন:
আসল খাতা কত বড়?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
ডি মুন বলেছেন: তাই তো !!!! আসল খাতা কত বড়
শুভেচ্ছা।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৭
মুহিব জিহাদ বলেছেন: স্বজাতি ভাই, ইহা যদি রাফখাতা হয় তবে নোট খাতাটা দেখার ইচ্ছা কিছুতেই মাথা থেকে নামাতে পারছিনা
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
ডি মুন বলেছেন: স্বজাতি ভাই --- হা হা হা দারুণ সম্বোধন। ভালো লাগছে
নোট খাতাও একদিন লেখা হবে আশাকরি
ভালো থাকুন, থাকার চেষ্টা করুন স্বজাতি ভাই
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৯
জাফরুল মবীন বলেছেন: খুবই জীবনভিত্তিক লেখা।
ধন্যবাদ ভাই ডি মুন কথা ও ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা জানবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।
ভালো কাটুক আপনার প্রতিটি দিন।
শুভকামনা।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৭
তুষার কাব্য বলেছেন: কোনটা রেখে কোনটা বলি...শুধু বলি অদ্ভুত সুন্দর প্রতিদ্ধনি আপনার প্রতিটা শব্দের ভাজে..জীবন নামের রেল গাড়িটার দ্রুত বহমানতায় যেমন নিচ্ছদ্র নিরঙ্কুশ অধিপত্ততার অভাব তেমনি মাঝে সাঝে বাজে ছন্দময় ঝঙ্কারে...যাপিত জীবনের এক চমত্কার শব্দ ছবির সংমিশ্রন...+++
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
ডি মুন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম প্যারায়ই বাজিমাৎ করে দিয়েছেন । আক্ষেপ আর বিষাদের সুর অবাক তেজী ঘোড়ার মত টগবগিয়ে চলেছে যেন! দুঃখগাঁথার বদলে বেরিয়ে এসেছে সুপ্ত উত্তপ্ত লাভা, পরাজিত যুবকের মিহিকন্ঠ বেয়ে ।
দুর্দান্ত! অসাধারণ লিখেছেন ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
ডি মুন বলেছেন: " দুঃখগাঁথার বদলে বেরিয়ে এসেছে সুপ্ত উত্তপ্ত লাভা, পরাজিত যুবকের মিহিকন্ঠ বেয়ে । "
বাহ, দারুণ বলেছেন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম প্রিয় মামুন ভাই।
সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। শুভকামনা।
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
হামিদ আহসান বলেছেন: চরম সত্য কথাগুেলা বলেছন অসাধারণ দক্ষতায় ........
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৪
ডি মুন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা হামিদ আহসান ভাই
ভালো থাকুন সর্বদা।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার লেখ! সত্যিই....!
খুব ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই।
আপনাকেও শুভকামনা জানাই
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
আবু শাকিল বলেছেন: হতাশায় নিমজ্জিত তরুনদের বাস্তব সত্য কথা বলেছেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩১
ডি মুন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা আবু শাকিল ভাই।
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিভূত হলাম। বিশেষ বিশেষ ফ্রেজগুলো আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। আপনার আগের কোনো লেখায় আমি এত মুগ্ধ হয়েছি বলে মনে পড়ে না। খুব সাবলীল ও পরিণত লেখা, বর্ণনায় পরিমিতি বোধ আরেকটি বিশেষ দিক।
বিত্তহীন স্বদেশী ডিগ্রীধারী এই আমরা হতাশায় পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনেক আগেই আমাদের প্রেমিকাদের বাড়িতে সরকারী উচ্চপদস্থ অফিসারদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। এবং আমাদেরই একসময়ের প্রেমিকারা -যারা চিরকাল পাশে থাকবে বলে কথা দিয়েছিল – আমাদেরকে বখাটে অকর্মণ্য ছেলে বলে চারিত্রিক সনদপত্র পাঠায়।---- চমৎকার লাগলো এই অংশ।
৪ নম্বর সিকোয়েলটি পুনরাবৃত্ত হয়ে লেখাকে অনেক বাঙ্ময় করেছে।
শুভেচ্ছা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
ডি মুন বলেছেন: আপনার ভালোলাগায় অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় সোনাবীজ ভাই।
সুস্থ ও সুন্দর থাকা হোক।
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৮
পাজল্ড ডক বলেছেন: অনবদ্য!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ !!! দারুণ !!!
জীবনের চমৎকার রাফখাতা।
বেকার দিনগুলো আমাদের মগজে পাথর না ভাঙলে, এবং মেধার চেয়ে দলালির মূল্য অধিক না হলে, ভদ্রতার ব্যাকরণ আমরা কোনোদিনই শেলফে তুলে রাখতাম না; বরং চোখ-নেই ভিক্ষুক দেখে বিনা জিজ্ঞাসায় মাদার তেরেসা হয়ে উঠতাম।
যেন অনেক যুবকের অমীমাংসিত জীবনের ছবি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৬
ডি মুন বলেছেন: যুবকের অমীমাংসিত জীবনের ছবি
বাহ দারুণ বলেছেন।
শুভকামনা শোভন ভাই
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
পার্থ তালুকদার বলেছেন: আমাদের সমাজের কঠিন সত্যটি দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মুন ভাই ।
আমরা শুধুই বকাটে ছেলেদের বাহিরের রূপটাই দেখি, কিন্তু পুড়ে যাওয়া হৃদয়ের ছাই চাপা আগুনের খবর রাখি না !
অসাধারন লিখেছেন ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২২
ডি মুন বলেছেন: আমরা শুধু বাহির দেখি ভেতর দেখি না, কারণ ভেতর বাইরে থেকে দেখা যায় না। ছাই চাপা আগুনের খোঁজ ক'জন রাখে বলুন।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো।
শুভেচ্ছা সতত।
১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
মুকতোআকাশ বলেছেন: সুন্দর লেখনী, সুন্দর গাঁথুনি। বাস্তব বিষয়ের শক্তিশালি প্রকাশ। খুব ভালো হয়েছে লেখাটা। ধন্যবাদ প্রাপ্য।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ মুকতোআকাশ
সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সবসময়। শুভকামনা।
১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্পে ছয় নং ভালো লাগা রইল।
বিস্তারিত পরে কমেন্ট করব।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০২
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী পাঠক ভাই
১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
ফা হিম বলেছেন: সামাজিক বাস্তবতা খুব সুন্দর রূপে ফুটে উঠেছে। প্লাস জানিয়ে গেলাম।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
সামস্ সোহান বলেছেন: নোট লেখার দরকার ছিল এ কাহিনী সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কারোর সময়ের সাথে মিলে গেলে সব দায় ....আপনিই বলেন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
ডি মুন বলেছেন: হা হা হা ভালোই বলেছেন।
তবে গল্পকার তো ঐতিহাসিক নন , তাই পাঠকের কর্তব্য সবকিছু কাল্পনিক ভেবে নেয়া
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। ভালো থাকুন।
২১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারন ভাবনা আপনার ------ নীচের প্যারায় এসে তীরের মত বিধতে লাগলো --চালিয়ে যান ---শুভকামনা রইল
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনার প্রতিও রইলো শুভকামনা।
২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বেকারসমগ্র । সামাজিক বেকারত্বকে ঘিরে বহুজাতিক সমস্যাগুলোকে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । পড়ে অনেক ভাল লাগলো ডি মুন ভাই ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
ডি মুন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দিত হলাম কবি।
ভালো থাকা হোক।
২৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
একলা ফড়িং বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ! একটানে পড়ে ফেললাম। প্লাস!
টাকা?
নেই।
সুপারিশ ?
নেই।
বিদেশী ডিগ্রী?
নেই।
নিজের বাড়িতে বহিরাগত হয়ে যাবার পর থেকে নজরুলের চায়ের দোকানের কাঠের অনুচ্চ বেঞ্চগুলোকেই আমাদের বেশি আপন মনে হয়।
আমার তো নজরুলের চায়ের দোকানও জুটবে না! নিজের রুমে রুমবন্দী হয়ে দিন পার হবে!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ডি মুন বলেছেন: নিজের ভেতরে রুদ্ধ জীবন মুক্ত আকাশ খুঁজে পাক
শুভকামনা নিরন্তর।
২৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: রাফখাতায় মহাকাব্য ভালই লাগল ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু
২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১২
আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: শব্দচয়ন !!!!!! আহা!!!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
ডি মুন বলেছেন: শব্দচয়ন !!!!!! আহা!!!
দারুণ মন্তব্য। মনযোগী পাঠের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকা হোক।
২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জীবনের উপপাদ্য মিলে না কেন? এগুলো কি সব পরীক্ষার খাতার রাফ পাতায় লেখা হয়েছে...
চমৎকার লেখনীতে অজস্র ভালো লাগা। জীবনঘেঁষা লেখা আমার বরাবরই প্রিয়, তা যদি হয় ডি মুনের লেখা, তো কথাই নেই।
শুভকামনা রইলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৪
ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা প্রিয় বোকা মানুষ ভাই
প্রশ্নটা আমারো, জীবনের উপপাদ্য মেলে না কেন?
রাফ খাতায় হিজিবিজি এঁকে যাই। কিছু কথা ভুলে যাই, কিছু মনে গেঁথে থাকে। জীবন এগিয়ে চলে যতোদূর হেঁটে গেলে একদিন মৃত্যুকে পাওয়া যায় তত দূরে।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, '' মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে' ই বোধহয় আমরা জীবন বয়ে বেড়াই। তবু জীবনের রাফখাতায় অসংগতি জমিয়ে রাখি। বেঁচে থাকি।
শুভকামনা রইলো।
২৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জীবন এগিয়ে চলে যতোদূর হেঁটে গেলে একদিন মৃত্যুকে পাওয়া যায় তত দূরে। কথাটা খুবই পছন্দ হয়েছে, খুব বেশী.... +++++
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০০
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
২৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি কি মানুষ ? ব্লগে নাইলে ছিলাম না তাই বলে তোকে অন্তত ফোন করে তোর একটা খোঁজ পর্যন্ত নিলাম না, আজীব !!!
তোর ভার্সিটিও চিনি। সেখানেও যেতে পারতাম। যেয়ে জানতে পারতাম তুই কেমন আছিস ?
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৭
ডি মুন বলেছেন: রাগ করছি, কথা বলবো না।
২৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তাইলে লেখ।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪২
ডি মুন বলেছেন: কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা কথা ........ লিখলাম
৩০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
সুমন কর বলেছেন: অ-সা-ধা-রণ একটি লেখা পড়লাম।
১৩তম ভাল লাগা।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই
৩১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২০
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আমি এর আগে বেশ কয়েকবার আপনার ব্লগে এসেছি। কিন্তু বেশিভাগ সময়ই কিছুই পড়িনি। কবিতা বরাবরই আমার মাথার উপর দিয়ে যায়, এই কারনেই মনে হয়; বেশ কিছু কবিতা দেখে পড়া হয়ে ওঠেনি আপনার লেখাগুলোর কোনটাই।
আজ পড়লাম। মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। বলতে পারেন আমি যেন ছেলেগুলোকে নিজের চোখের সামনে দেখছিলাম। এক এক জনের খারাপ ছেলে হয়ে ওঠা, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম আমি।
বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর ভাইয়া। সত্যিই।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। সত্যি বলতে একসময় শুধু কবিতাই লিখতাম, গল্প লিখতে পারতাম না। এখনো যে খুব পারি তা নয়, তবু এলেবেলে কিছু লেখার চেষ্টা আর কি!!!
আপনাকে পাঠক হিসেবে পেয়ে আনন্দিত হলাম।
আর আপনি ঠিকই বলেছেন, বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর।
শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
৩২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেকার জীবনের মনস্তত্ব, ঢেউয়ের চূড়া থেকে তলায় গমনাগমন, উণঅস্তিত্বের চক্র, জীবনের এইসব অনিচ্ছুক পতনোন্মুখতা চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার অন্যতম সেরা লেখা এটা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসান ভাই।
এ গল্পটা লিখে আমিও ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম অনেক।
শুভকামনা রইলো।
৩৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব খাঁটি কিছু কথা। আরো লিখুন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা
৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: উলে অ অ উলে অ মুক্কা হালা মুকাবিলা টেট টেট
শুভ কাউয়া দিন
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৪
ডি মুন বলেছেন: আইছেন আরেকজন !!! আপনারে এক বস্তা মাইনাস (- - -- - - - - -)
অটঃ থ্যেংকু মাহমুদ ভাই, এত্তোগুলা ধইন্যা পাতা গ্রহণ করেন
৩৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০২
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুভ জন্ম রাত ডি মুন ভাই।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৮
ডি মুন বলেছেন:
ফরমালঃ থ্যাংক ইউ প্রবাসী ভাই, আমি অনেক অনেক খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ।
ইনফরমালঃ ধুরো মিয়া, ধইন্যা পাতা দিবার পারুম না, আপাতত পুদিনা পাতা গ্রহণ করেন।
৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: মাথার ভেতরটা এলোমেলো হয়ে গেল। আমি মাঝে মাঝে মনে করি নষ্টদের অধিকারে চলে যাবো। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠে না। জীবনের চর্কা আমাকে তার গতিতে আবর্তিত করছে। তাই ঐ জীবনটা আমার দেখা হয় নি। আমি জানি লেখাটিও আপনার ভাবনা থেকে লেখা, কিন্তু আমার ভাবনা কখনো এত গভীরে যাই নি। তাই অনুভব করতে পারিনি।
গল্প গুলো পড়ে মনে চাচ্ছে এই গল্পগুলো যেহেতু আমি পড়েছি সেহেতু বিশাল একটা মন্তব্য আমার কাছে আপনার প্রাপ্য হয়ে গেছে। কিন্তু এত পরে এসে কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অভিভূত হলাম। বিশেষ বিশেষ ফ্রেজগুলো আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। আপনার আগের কোনো লেখায় আমি এত মুগ্ধ হয়েছি বলে মনে পড়ে না। খুব সাবলীল ও পরিণত লেখা, বর্ণনায় পরিমিতি বোধ আরেকটি বিশেষ দিক।
আমারও ঠিক একই কথা মনে হল।
বইয়ের লেখার সাথে জীবনের লেখা মেলে না বলেই আমরা ক্রমাগত হেরে যাই, পিছিয়ে যাই, ভড়কে যাই। বাসের হেলপার, পার্কের বাদামওয়ালা, কিংবা রাস্তার রিকশাওয়ালার সাথেও কথা বলতে ভয় পাই। আড়ষ্ট থাকি। আমাদের আত্মবিশ্বাসে পলি জমে। নিজেদের অকিঞ্চিৎকর মনে হয়। চারপাশে কেবলই জীবনানন্দ দাশের অন্ধকার ঘন হতে থাকলে আমরা মাথা নিচু করে আবুল হাসানের মতো শেষমেশ বলে উঠি, ‘আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি।
চমৎকার এবং অসম্ভব ভালোলাগা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৪
ডি মুন বলেছেন:
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুব আনন্দিত হলাম মৃদুল ভাই।
আর চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক অনেক শুভকামনা।
৩৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছস, সুন্দর কাটুক আগত দিনগুলো। অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ব্লগারের জন্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫২
ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় বোকা মানুষ ভাই।
সুন্দর ও আনন্দময় হোক আপনার সময়গুলো।
শুভেচ্ছা
৩৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২০
খাটাস বলেছেন: অপূর্ব। বাস্তবতা এক টানে ধরে রাখা কঠিন ব্যাপার।
আপনি সেটি হেসে খেলে সহজ ভাবে করে ফেললেন।
আমি একজন কে চিনি, গল্প টা পড়ার সময় তাকেই দেখলাম।
একটু ও অমিল নেই।
++++++++++++++
আপনার নিজস্বতার ধারা টা অদ্ভুত লাগে, কবিতা আর দুঃখমুলক গদ্য টাইপ লেখা ছাড়া। :!>
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
ডি মুন বলেছেন: আমি একজন কে চিনি, গল্প টা পড়ার সময় তাকেই দেখলাম।
একটু ও অমিল নেই।
যাক, আপনার কথায় অনেক আশ্বস্ত হলাম প্রিয় খাটাস ভাই। আমার কল্পনার রাস্তা তাহলে ঠিক পথেই চলছে।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভেচ্ছা
৩৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,
অনবদ্য বাক্য শৈলীতে ঠাসা রাফখাতার এই গল্পখানি নষ্টালজিক করে দিয়ে গেলো । সাথে মনে পড়ে গেলো অনেক আগে আপনার সুরেই নিজের লেখা কবিতার কিছু লাইন , যা তুলে দিচ্ছি আপনারই করকমলে -
শুধু আমরা ক'জন বেকার যুবক অস্থির সময় হাতে নিয়ে
একুশের মেলায় ভীড় করা যুবতী মেয়েদের এক লহমায়
গুনে ফেলি, বাদাম চিবুই উদ্দেশ্যহীন, খোঁসা ছুঁড়ে দিই বাতাসে
অর্থাৎ অন্যকিছু করার থাকেনা আমাদের । সময় বয়ে যায়
দিনের ভেতর, দিন বৎসরে । চীবুকের চরে নীলাভ শশ্রু
কঁচি ঘাসের মতো বাড়ে শুধু,
শার্টের বুক অহেতুক খোলা পড়ে থাকে,
নষ্ট মেয়েমানুষের মতো খরচ করে ফেলি দরকারী সময় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৫
ডি মুন বলেছেন: সময় বয়ে যায়
দিনের ভেতর, দিন বৎসরে । চীবুকের চরে নীলাভ শশ্রু
কঁচি ঘাসের মতো বাড়ে শুধু,
শার্টের বুক অহেতুক খোলা পড়ে থাকে,
নষ্ট মেয়েমানুষের মতো খরচ করে ফেলি দরকারী সময় ।
অসাধারণ লিখেছিলেন। দারুণ।
আপনার কবিতার লাইনগুলো কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করলাম।
৪০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খাটাস বলেছেন: অপূর্ব। বাস্তবতা এক টানে ধরে রাখা কঠিন ব্যাপার।
আপনি সেটি হেসে খেলে সহজ ভাবে করে ফেললেন।
+++++++++++++++++++++
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকা হোক।
৪১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
বহুদর্শিত প্রথাগত জীবনকর্ষিত আত্মদর্শন ৷ কিছু দীর্ঘ লাইন লেখার অন্যতম দিক ৷ বর্ণনায় সকরুণ বৃত্তায়নও নানান ভিন্নার্থ বহন করে ৷ আরো অনুসঙ্গ ও বিস্তৃতি হয়ত ভেবে দেখা যায় ৷ নিরীক্ষাধর্মী উপস্থাপনায় বহুমাত্রিকতা ফুঁটে উঠুক পাঠকমনে ৷ নাড়া দিক মননে ও দ্রোহে ৷
ভাল থাকবেন ৷
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
ডি মুন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। মনযোগী পাঠের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকা হোক সর্বদা।
৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮
সানোফি মহিন বলেছেন: অদূর ভবিষ্যতে নিজের কি হবে তার সমীকরন মিলাতে বসছি
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
ডি মুন বলেছেন: অদূর ভবিষ্যতে যা হবে ভালোই হবে। সমীকরণে সুখী জীবনের সবটুকু মিলে যাক।
গল্প পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা সানোফি ভাই
ভালো থাকুন সবসময়।
৪৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
আলম দীপ্র বলেছেন: কিছুদিন ব্লগে খানিকটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম । কোনোভাবে কেন জানি লেখাটা দেখার পরও এড়িয়ে গেছি ।
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা ।
ভালো থাকা হোক ।
শুভকামনা নিরন্তর !এক্স
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
ডি মুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন দীপ্র
শুভকামনা
৪৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
নীল লোহীত বলেছেন: ডি মুন ভাই, আপনার রাফখাতা পড়ে আমার এই ব্লগে আইডি টা খোলা। এতদিন কমেন্ট করার জন্য চটপট করেছি কিন্তু কমেন্টের অধিকার পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাস খানিক। আজ সুযোগ পেয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মারলাম আপনার গল্পে। সত্যি চমৎকার, অসাধারণ বললে ভুল হবে ভাই। আপনার লেখার হাত মারাক্তক। কিন্তু আপনার গল্প এত কম আসে কেন? দোয়া করি দিনে একটা গল্পের জন্মদাতা হন।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল লোহীত।
আপনার মন্তব্য আমার জন্যে অনেক বড়ো একটা প্রাপ্তি হয়ে থাকল। এতোটা সম্মান পাবার যোগ্য হয়তো আমি নই, তবু আপনার আন্তরিকতা কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করছি।
একটু ব্যস্ততায় সময় যাচ্ছে বলে গল্প লেখা হচ্ছে না। তবে আপনার মন্তব্যে খুব ভালো লেগেছে। এতটা যত্নশীল পাঠক যখন আছে, তখন আর আমার ভয় কি! লিখে ফেলব আরো গল্প।
সুন্দর কাটুক আপনার প্রতিটিদিন।
ভালো থাকুন সবসময়, এটাই কামনা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: ইহা কি রাফখাতার মহাকাব্য হইল না দাদা ?