নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ রফিকবৃত্তান্ত

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫







রফিক অতীতে আমাদের বন্ধু ছিলো, বর্তমানে আমাদের বন্ধু নয় এমন পরিচিত-প্রিয়জন এবং ভবিষ্যতে হয়তো হয়ে যাবে - অবসরে বলা যায় -এমন একটি গল্প।





*

পঞ্চম শ্রেণী শেষে আমরা যেবার হাইস্কুলের খাতায় নাম উঠিয়ে নিজেদের এবং বাপ-চাচাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি বলে লেখাপড়া শিকেয় তুলেছিলাম, সেবারই রফিকের সাথে আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল। গোবেচারা রফিক তখন সর্ষে ভেজানো চুলে চিরুনি চালিয়ে , হাফ-প্যান্টের ভেতর নিজেকে সেঁধিয়ে, খালি গায়ে, গামছা কাঁধে স্কুলে আসত। ওর জামা, জুতো, ব্যাগ কিছুই ছিলো না। তাই লিকলিকে দুই হাতের মধ্যিখানে ছেঁড়া কিছু বই নিয়ে মাস্টার মশাইয়ের ‘বই এনেছিস?’- প্রশ্নের উত্তর খুঁজত।



অতঃপর রফিকের পিঠে সপাং সপাং শব্দ হলে, আমরা পেছনের বেঞ্চিতে ম্যাজিক দেখতাম। আমাদের হতদরিদ্র মাস্টারমশাই তার দারিদ্র্যের সচিত্র প্রতিবেদন রফিকের পিঠে দেখতে পেয়েই এমন উতলা হয়ে উঠতেন কি না – সে তথ্য আমাদের তখনো জানা হয় নি। তবে আমরা ভীষণ আনন্দ পেতাম। আমাদের আদিগন্ত অক্ষত পিঠ আর রফিকের মানচিত্রময় পিঠের বিভেদতলে যে চীনের মহাপ্রাচীর অবস্থিত, সে কথা আমরা তখনই টের পেয়েছিলাম।



পরিপাটি উজ্জ্বল ক্লাসরুমে রফিকের মতো এরকম ম্যাদামারা কাউকে না দেখতে পেলেই যেন বেঁচে যাই, এরমকই মনোভাব ছিলো আমাদের। দল পাকিয়ে আমরা ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াতাম, অট্টহাসিতে বিদ্রুপ মাখিয়ে বলতাম , একি রফিক ! তোর প্যান্টের পেছনে ফুটো কেন?



ভাবলেশহীন রফিকের চোখে কোনো বিব্রত চামচিকা অথবা খ্যাপাটে কুকুর দেখতে না পেয়ে আমাদের আয়োজন যখন ব্যর্থ হত; তখন আমরা ওর উদোম গায়ের দিকে তাকিয়ে ভ্রূকুটি করতাম। বলতাম, কিরে এরকম ল্যাংটো হয়ে ক্লাসে আশিস ক্যানো, তোর লজ্জা শরম নেই? ও মাথা নিচু করে থাকত। আমরা পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ‘এইবার জিতে গেছি’ ভেবে মুখে হাত চেপে হাসতাম। কিন্তু রফিকের মধ্যে গা-ছাড়া ভাব দেখে; আর ওর নিঃসঙ্কোচ ‘জামা নেই’- উত্তর শুনে আমাদের উৎসাহে ভাটা পড়ত। বিব্রত সৈনিকের মত কিংকর্তব্যবিমূঢ় উপলব্ধি নিয়ে, আমরা নিজ নিজ আসনে ফিরে আসতাম।



ক্লাসের বিরতিতে সবাই বাইরে গেলেও রফিক উদাস চোখে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে হা করে, একমনে কি যেন ভাবত। আমরা তখন ক্যাবলাকান্ত রফিকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে একটু আকটু খুনসুটি করতাম, কখনোবা চুপিচুপি পেছনে গিয়ে হালুম করে ভয় দেখাতাম। আর রফিকের সরলতা কোনো কোনোদিন নির্বুদ্ধিতায় বদলে গেলে ‘শালা একটা আস্তো রামছাগল’- বলে মনের মধ্যে অদ্ভুত এক আনন্দ পেতাম।



ওর গামছা ধরে টানাটানি করে, ছেড়া বইগুলো লুকিয়ে রেখে, আর পিঠের জমিনে বিচিত্র মানচিত্র দেখেই আমাদের স্কুলজীবন হয়ে উঠেছিল অপার আনন্দময় ।



শৈশবে ঘুড়ির মাঞ্জা দেয়া সুতোয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে, কিংবা ডানহাতের চিমটিতে ফড়িং ধরেও সে আনন্দ আমাদের কোনদিনও হয়নি। অন্যকে হেয় করার এমনই অপার আনন্দের সাথে রফিকের মাধ্যমেই আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল।







*

বছরের পর বছর অপরিবর্তনীয় রফিককে দেখে আমরা ভেবেছিলাম - জীবন এমনি যাবে, আমাদের চারদেয়ালে কোকিলের আনাগোনা বাড়লে, আমরা পায়রা হয়ে আকাশে উড়ব। রফিক চিরকাল মাটিতেই থাকবে আর আমাদের বিষ্ঠাগুলো মাথায় নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করবে। ভেবেছিলাম, এভাবেই রাতের পর রাত জেগে লেখা প্রেমপত্রগুলো রফিকের মাধ্যমেই আমাদের হবু প্রেমিকাদের হাতে গিয়ে পড়বে, আমরা পত্রদূত রফিককে একটু শুকনো হাসি উপহার দিয়েই আপন কর্তব্য সমাপণ করব। তারপর কোনো একদিন আকাঙ্ক্ষিত অর্ধাঙ্গিনীদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা চিরসুখী হব। ছেলেমেয়েদেরকে নামতা শেখাব, এক এককে এক, দুই এককে দুই,...; তখন রফিকের কথা কে আর মনে রাখবে !



কিন্তু একদিন - সে অনেকদিন পর - হাইস্কুলের গাড়ল ম্যাদামারা ছেলেটার হঠাৎ মেধাতালিকায় প্রথম হওয়ার সংবাদে, আমাদের মধ্যে বিস্ময়ের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আর মাস্টারমশাই, যাকে আমরা রফিকের জন্য সাক্ষাত জমদূত বলে ভাবতাম, রফিককে একজোড়া জামা-প্যান্ট উপহার দিলে - আমাদের বিস্ময় রীতিমত হিমালয় ছুঁয়েছিল। যার মানচিত্রময় পিঠ দেখতে দেখতে আমরা অষ্টমশ্রেণির বারান্দা অতিক্রম করে মাধ্যমিকের দিকে ছুটেছি, সে আমাদের ডিঙিয়ে যাবে, এমন দুঃস্বপ্ন আমরা কোনোদিনও দেখিনি।



রফিক এর আগে কখনোই আমাদের বন্ধু ছিলো না, বরং খেলার উপকরণ ছিলো; ছিলো অবসরের আনন্দ। আমরা বলতাম, ঐ দেখ রামছাগলটা আসছে। আর হা হা হা অট্টহাসি। সেই আমরাই হঠাৎ এই রামছাগলের সাথে সখ্যতা গড়তে তাকে ঘিরে ধরলাম। গালভরা হাসি নিয়ে বললাম, আমরা জানতাম তুই পারবি। তুই তো আমাদেরই বন্ধু।



ওর অন্তরে অবিশ্বাস ছিলো কিনা জানিনা, তবে চোখেমুখে বন্ধুসুলভ আন্তরিকতা ছিল। তাই আমরা রফিককে প্রয়োজনীয় বন্ধু তালিকায় স্থান দিয়ে পাটিগণিতের ‘থ্রি পয়েন্ট এইট’ চ্যাপ্টারটা উপহার দিয়েছিলাম। ওর নাটাইয়ের সুতোয় জটিল রাসায়নিক সমীকরণ বেঁধে দিয়ে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের ‘স্বদেশপ্রেম’ রচনাতে আমরা আশ্রয় খুঁজেছিলাম। রাদারফোর্ডের সাথে তাই আমাদের কোনোদিনই জানাশোনা হয়নি। প্যাসকেল কিংবা আর্কিমিডিসও তাই আমাদের বন্ধু ছিলেন না।



রফিক সেই আগেকার মতই মাথা নিচু করে সব আবদার মিটিয়ে যেতে লাগল। আমাদের প্রাণিবিজ্ঞানের প্রাকটিকাল কিংবা জ্যামিতির অতিরিক্ত উপপাদ্য রফিকের হাত ছুঁয়ে যৌবনে পৌঁছেছিল বলেই, আমাদের বাপ-চাচারা আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত হাতখরচে কোনদিনও রক্তচক্ষু রাখেননি।



কিন্তু যে রফিককে আমরা ভেবেছিলাম নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অমলকান্তি, সেই রফিকই আমাদের সামনে ধীরে ধীরে ফজলুল হক হয়ে উঠলো। মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পর যেদিন আমরা বাতাসবিহীন বেলুনের মতো চুপসে গেলাম, সেদিন রফিক - কপালে আশীর্বাদের পাত্র এঁকে - মাস্টারমশাইয়ের পা ছুঁয়েছিল।







*

তারপর একদিন পাঠ্যবইয়ের অংকের হিসেব বাদ দিয়ে আমরা পৈতৃক সম্পত্তির হিসেবে মনযোগী হলে রফিকের সাথে আমাদের একটা স্থায়ী বিচ্ছেদ হয়ে যায়।



তবু মনে পড়ে, সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের সাতান্ন নম্বর পৃষ্ঠায় হাজী মহসীনকে দেখিয়ে রফিক বলেছিল, ‘দেখিস, আমিও একদিন ইতিহাস হয়ে যাব’। আমরা বন্ধুরা গোপণে খুব হেসেছিলাম, কপটতা পেটে চালান করে দিয়ে মুখে বন্ধুসুলভ ভদ্রতা রেখে বলেছিলাম, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। তোকে দিয়েই হবে, বুঝলি।’



অথচ আমরা বিশ্বাস করতাম, রফিককে দিয়ে কিচ্ছু হবে না; ওর মা চিরকাল অন্যের বাড়িতে থালাবাসন ধোয়ার কাজ করে যাবে, ওর বাবা গাঁজার নেশায় বুদ হয়েই দিন কাটাবে, আর আমরা এইসব দেখে হা হা হা করে চিরকাল হেসেই যাব। আগাগোড়া ভণ্ডামী মগজে পুরে কথার পিঠে কথা সাজিয়ে, রফিকের অনাবৃত কাঁধে হাত রেখে বলব, ‘কিচ্ছুটি ভাবিস না রফিক, আমরা জানি তোর একদিন হবেই হবে’।



রফিক অন্তর্যামী নয় বলেই আমাদের কথা বিশ্বাস করেছিল। আর তাই হয়তো, মাধ্যমিকের বিচ্ছেদের পর রফিকের গল্প কেমন যেন রূপকথার মতো বদলে গেল। কোনো একদিন শোনা গেল, রফিক স্টার মার্কস নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক উতরে গেছে। কখনোবা জানা গেল, ওর গাঁজাখোর বাবা গাঁজার কল্কে সঙ্গে করে স্বর্গবাসী হয়েছে, এবং মাকে সঙ্গে নিয়ে সে ভাগ্যবিড়ম্বিতদের খাতায় নিজেকে স্ট্যাপলার করে নিয়েছে। আবার কখনোবা শুনলাম, রফিক এখন ভালোই আছে। উচ্চশিক্ষার জন্যে বৃত্তি নিয়ে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। অনেক নাম হয়েছে ওর। সেসব রূপকথার সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের মতো অনর্থক সময় আমাদের হাতে তখনো ছিলো না।



ততদিনে আমাদের গুরুজনে মতি হয়েছিল। উড়নচণ্ডী স্বভাবকে ঘরে থিতু করার অভিপ্রায়ে, পিতৃআজ্ঞা শিরোধার্য করে, আমরা বংশগতির ধারা সচল রাখতে সম্মত হয়েছিলাম।



রমণীর ষোলকলা প্রেমে নিজেদের সৌভাগ্যবান বিবেচনা করে কয়েক বছরের মাথায় আমরা বাবা হলে, সৃষ্টিকর্তার মতো আনন্দে তখন আমাদের সাময়িক অন্ধত্ব জেগেছিল। তারপর ঠিক কবে যেন একঘেয়ে রতিক্রিয়ায় আগ্রহ হারিয়ে আমরা জীবনের মানে খোঁজার দার্শনিক শখ করেছিলাম – তা আর মনে নেই।



সন্ধ্যা হলেই আমাদের আড্ডা জমে উঠত বাজারের আলোঝলমল বড়ো দোকানটিতে। তারপর রাতের আকাশ - ঘন মেঘে অবলুপ্ত – করে দিয়ে আমরা ওষুধের দোকান থেকে ঘুমের বড়ি কিনে বাড়ি ফিরতাম। রফিক তখন হারিয়ে গিয়েছিল অনেক দূরের অচেনা কোনো আকাশে। শুনেছিলাম, ওর মাও নাকি ডুবে গেছেন সময়ের অনিবার্য চোরাস্রোতে।



আমাদের তখন সংসারসম জ্বালা দুই কাঁধের উপরে ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন’ বলে দুরন্ত গতিতে ছুটেছিল বলেই আমরা রফিককে ভুলে গিয়েছিলাম অথবা ভুলে যেতে চেয়েছিলাম চিরতরে।





*

আমাদের গুরুজনেরা গত হলে এবং ছেলেমেয়েগুলো ক্রমশ পুরুষ আর নারী হয়ে উঠলে - পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির সত্যতা আমরা প্রথম উপলব্ধি করি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিজেদের তখন ভীষণ ক্লান্ত কোনো বৃদ্ধ মনে হয়। তারপর একদিন আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই হাতে নিয়ে স্বাবলম্বী হতে চাইলে আমরা সত্যিকারের বৃদ্ধ এবং অপাক্তেয় হয়ে উঠি। শর্করার আধিক্যে বিপর্যস্ত দেহটা তখন আকাশে ছায়াপথ খুঁজে ফেরে। আর বৃদ্ধমাত্রই ফেলে আসা শৈশবে সুখ খুঁজে বেড়ায় বলেই - আমাদের আবারো একদিন রফিকের কথা স্মরণ হয়। অথচ ততদিনে যোগাযোগের সকল সুত্র সুতোকাটা ঘুড়ি হয়ে কোথায় কোন চিলেকোঠার আড়ালে যে হারিয়ে গেছে – আমরা সে তথ্য আর খুঁজে পাই নি।



আমাদের ভাঙা টেপরেকর্ডার হেমন্তের সুরে ‘তুই ফেলে এসেছিস কারে, ও মন রে আমার’- বলে কেঁদে উঠলে, আমাদের তখন কেমন যেন লাগত।



রফিকের অনেক কথাই আমরা অসময়ে জেনেছি। আমরা জেনেছি, রফিকের মা চিকিৎসার অভাবে ধুকে ধুকে একদিন মরে গিয়েছে। জেনেছি, রফিক সারারাত ল্যাম্পপোস্টের আলোয় বসে এডিসনের সাথে সখ্যতা গড়েছে। শুনেছি, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবেই সেসব রাতে রফিকের মাথা ক্লান্তিতে, অবসাদে হাঁটুতে এসে এক হয়ে মিশেছে। তবু পরাজিত হয় নি রফিক। নিউটনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সে মাথা তুলেছে আকাশে। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন – এই প্রতিপাদ্যে রক্ততিলক কপালে এঁকে রফিক মন্ত্রসিদ্ধ হয়েছে। আমরা অসময়ে আরো জেনেছি, রফিক কুলি হয়েছে, হোটেলবয় হয়েছে, অনাহারে অর্ধাহারে থেকেছে। অপমান, অসম্মান আর ঘৃণার ব্যাকরণ পাঠ করে অনেকদিন ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকার পরও গোর্কির মতো নিজের বুকে গুলি চালাইনি। বরং পরাজিত হবার সকল সম্ভাবনা পকেটে নিয়ে অবশেষে বিজয়ীর শেষ হাসি হেসেছে। তবে রফিকের সেই হাসি আমরা দেখিনি।



অসময়ে দরকারী সবকিছু জানার পর রফিককে - যাকে এককালে আমরা নিজেদের প্রয়োজনে বন্ধু বানিয়েছিলাম - আমাদের এখন ভীষণ অচেনা-প্রিয়জন মনে হয়। মনে হয় কাছের মানুষ।





*

ছেলেমেয়েদেরকে স্বাধীন জীবন উপহার দেয়ার ফলাফল হাতে নিয়ে আমরা এখন যে বৃদ্ধাশ্রমে ভীড় করেছি - সেটা রফিকেরই বানানো। শুনেছি গতবছর সে শোক করার মতো কাউকে না রেখেই স্বর্গে পাড়ি জমিয়েছে; আর আমাদের নামে লিখে দিয়ে গেছে তার সমস্ত সঞ্চয়।









উৎসর্গঃ প্রিয় প্রবাসী পাঠকমাহমুদ রহমান কে

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
চমতকার।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এতো ভালো কিভাবে লেখেন ভ্রাতা ! +++++++++

রফিকের মতো ছেলেরা সবসময়ই আসুক আমাদের মতো বৃদ্ধদের জন্য একটুকরো আশ্রয় নিশ্চিত করে দিতে । তা না হলে আমাদের গতি কি !

ভালো থাকবেন সবসময় :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

ডি মুন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম ভ্রাতা।

রফিকেরা দু'একজন বোধহয় সবসময়ই থাকে। মৃত্যুর আগে তাদের চেনা যায় না বলেই আমরা খুঁজে পাই না।

শুভেচ্ছা সবসময়।
আপনিও ভালো থাকুন।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন গল্পকথা , ভাললাগা +

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ :)
ভালো থাকবেন।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ফেবুতে ট্রেলার পড়ার পর থেকে অপেক্ষায় আছি । যাই পড়ে আসি :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

ডি মুন বলেছেন: আচ্ছা :) :)

পড়ে জানান কেমন লাগল।

শুভেচ্ছা সতত।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ থিম নিয়ে কাজ করেছেন । প্লট বিন্যাস দুর্দান্ত, ডিটেইলিং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া । দিনশেষে রফিকের গল্পটা অপূর্ণই থেকে যায় । সবার আড়ালে থেকে এক জীবন সংগ্রাম আর তিতীক্ষার বুননে যে স্বপ্ন গড়ে যায় রফিক, তথাকথিত সুখী বন্ধুরা আজ সেই স্বপ্নছায়ায় নিজেদের খুঁজে ফিরে । খুঁজে ফিরে রফিককেও ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

ডি মুন বলেছেন: দিনশেষে রফিকের গল্পটা অপূর্ণই থেকে যায়

খুব চমৎকার বলেছেন শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই।

গল্পটা বেশ অনেকটা সময় নিয়ে লিখেছি। আগে ভাবতাম একটানা না লিখলে আমি বোধহয় কোনো লেখা শেষ নামাতে পারব না। কিন্তু শেষ দুটো গল্প আমি বেশ অনেকটা সময় নিয়ে ধীরে ধীরে তৈরি করেছি।

এমনকি গল্পের আদ্যোপান্ত কিছু না ভেবেই কীভাবে যেন গল্পটা শুরু করে একসময় শেষ করে ফেললাম। আর সে গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে। - এটা জেনে তাই ভীষণ আনন্দ হচ্ছে।

সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সর্বক্ষণ।
শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

কয়েস সামী বলেছেন: আগামী সংকলনের জন্য এই গল্পটা রাখতে পারেন।
চমৎকার একটা গল্প

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা লিংকে ক্লিক করে তো বোকা হয়ে গেলাম :) :) :)

ধন্যবাদ কয়েস ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়, এটাই কামনা।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ওরা থাকে -
ভাল হয়ে সরল হয়ে কাছেপাশে বটের মত
গাধা বলি গাধা বানাই নানা রঙয়ের হোলী খেলি
জীবন জূড়ে হরেক রকম হিসেব শেষে হঠাৎ দেখি
কেমন করে কখন যেন মহা গাধা বনে গেছি ।

রফিকরা বেঁচে থাকুক , জয়ী হয়ে।নিউটনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মস্তককে যেন নত হতে না হয়।
তাতে পৃথিবীরই লজ্জা।

লেখায়,অন্তর্নিহিত বক্তব্যে অনবদ্য হৃদয়ছোঁয়া এক গল্প।
গল্প বয়নের ক্ষেত্রে আপনার সাধারণ যে সব বৈশিষ্ট্য আমরা দেখি - কাহিনীর
সাথে সঙ্গতি রেখে কাব্যধর্মী ভাষা, উপমা , রুপক, ইঙ্গিতের যথাযথ ব্যবহার -এ গল্প ও তার বাইরে নয়।
সেই সাথে আপনার ভেতরের কবি মনটাও টের পাওয়া যায়।
চরিত্র চিত্রণ এবং মনস্তত্ত্বের নিপুণ পরিবেশনে গল্পের বহিরাঙ্গ শতভাগ সার্থক।

রফিক আমাদের আশেপাশেই আছে,থাকে।চেনা রফিকের যে অংশটুকু আমাদের অচেনা, কিংবা
সচেতনভাবে অচেনা রাখতে চাই, তার প্রতিসরিত অংশটুকু আপনি আমাদের
অনুভবে হাজির করিয়েছেন।শেষ বিচারে এটা তাই প্রশ্নমেশানো অনুভবের গল্প হয়ে রইল।

অনেক সময় ভাল লাগার কোন কারণ থাকে না।অকারণে ভাল লাগাই বোধ হয় সেরা ভাল লাগা।
আপনার লেখা এই গল্পটি আমার কাছে প্রিয় একটা গল্প হয়ে রইল।

ভাল থাকবেন প্রিয় মুন ভাই।উৎসর্গে কৃতজ্ঞতা ।
শুভকামনা রইল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ডি মুন বলেছেন: আপনার কথাই আবার বলি,

ওরা থাকে -
ভাল হয়ে সরল হয়ে কাছেপাশে বটের মত
গাধা বলি গাধা বানাই নানা রঙয়ের হোলী খেলি
জীবন জূড়ে হরেক রকম হিসেব শেষে হঠাৎ দেখি
কেমন করে কখন যেন মহা গাধা বনে গেছি ।


দারুণ বলেছেন মাহমুদ ভাই।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম :) :) :)
শুভেচ্ছা সতত।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১

 বলেছেন: +++++++ :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভকামনা

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

ডট কম ০০৯ বলেছেন: অসাধারণ লেখনী ডি মুন ভাই।

বাস্তবতার মুখোমুখি করে ফেলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকা হোক

শুভেচ্ছা রইলো

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার গল্প, বেশ ভাল লাগল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।
শুভেচ্ছা

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

আবু শাকিল বলেছেন: রফিকের গল্প পড়লাম।
অসাধারন লেখেন আপনি।বরাবরের মত ভাল।
লেখায় কোন এক বড় লেখকের মিল খোজে পেলাম।
:)

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা :)
ভালো থাকা হোক।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

হামিদ আহসান বলেছেন: কী বলব ভাই, আমার ভাষা নাই ........................++++++++++++++++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

ডি মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ হামিদ ভাই
ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ফটিক এর কথা মনে পড়ল

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
শুভেচ্ছা রইলো

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!!

যেন নিজেই সেই চরিত্রগুলোতে ডুব সাতার খেলছিলাম....কখনো নিজেই রফিক হয়ে যাচ্ছিলাম...

রফিকেরা এভাবেই জিতে যায়- আর যারা জিতেছে বলে সারাজীবন বেলূন হয়ে থাকে, শেষ বেলার সূচে ফুটো হয়ে সত্য দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়!!!!!!!!!!

+++++++++++++

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫১

ডি মুন বলেছেন:
রফিকেরা এভাবেই জিতে যায়- আর যারা জিতেছে বলে সারাজীবন বেলূন হয়ে থাকে, শেষ বেলার সূচে ফুটো হয়ে সত্য দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়!!!!!!!!!!


খুব চমৎকার বলেছেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

সুমন কর বলেছেন: পরিণত লেখা। শুরুটা ফেবুতেই পড়েছিলাম এবং বুঝে নিয়েছিলাম, কিছু ভাল একটা অাসছে। সময় নিয়েই পড়লাম।

শুরু, বর্ণনা, ধারাবাহিকতা, সমাপ্তি - সব একদম ঠিক। অনেক লাইন দুর্দান্ত হয়েছে। বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত মিলেয়ে বাক্য তৈরি করাটা পছন্দ হয়েছে। প্লাস।

রফিকরা সমাজে তখনো ছিল, এখনো অাছে। অাড়ালে, নিভৃতে এবং নি:সঙ্গভাবে। শুধু অামরাই তাঁদেরকে অবহেলা করে যাই। চিনি না, দেখি না কিংবা খুঁজে পাই না। কিন্তু তাঁরা অামাদেরকে মনে রাখে এবং শ্রদ্ধা করে।

এবং ৬ষ্ঠ ভাল লাগা।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

ডি মুন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম সুমন ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন রফিকরা সমাজে তখনো ছিল, এখনো আছে। শুধু আমরাই তাঁদেরকে অবহেলা করে যাই।

চমৎকার মন্তব্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন।

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১

আরজু মুন জারিন বলেছেন: ক্লাসের বিরতিতে সবাই বাইরে গেলেও রফিক উদাস চোখে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে হা করে, একমনে কি যেন ভাবত। আমরা তখন ক্যাবলাকান্ত রফিকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে একটু আকটু খুনসুটি করতাম, কখনোবা চুপিচুপি পেছনে গিয়ে হালুম করে ভয় দেখাতাম। আর রফিকের সরলতা কোনো কোনোদিন নির্বুদ্ধিতায় বদলে গেলে ‘শালা একটা আস্তো রামছাগল’- বলে মনের মধ্যে অদ্ভুত এক আনন্দ পেতাম। :(( :(( :(( :((

সুন্দর বর্ণনা ডি মুন। অনেক ভাললাগা গল্পে। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন কেমন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫

ডি মুন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পের শেষটা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে , আর আপনার লেখনীতে পুরো গল্পটি উপভোগ্য হয়েছে বেশ করে !
শুভেচ্ছা জানবেন !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৭

ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা অভি ভাই।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত হলাম
ভালো থাকা হোক। :)

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চমতকার গল্প।রফিকের মত ছেলেরাই শেষ পর্যন্ত জীবন যুদ্ধে জয়ী হয় আর এককালে যারা তার দারিদ্র্য নিয়ে উপহাস করত, তারাই একদিন 'রফিক হতে পারলাম না' ভেবে মাথা কুটে মরে।

শুভকামনা রইল :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

ডি মুন বলেছেন: বাহ, খুব সুন্দর করে বলেছেন তো :)

আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ভালো থাকা হোক।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

সকাল রয় বলেছেন:

আপনি অনেক ভালো লিখতে পারেন। ভালো লাগলো।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ভালো লাগায় ধন্য হলাম।
শুভকামনা রইলো সকাল দা।

২০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অপূর্ব ।
অধিক যত্ন নিয়ে লিখা গল্পটা আমিও যত্ন সহকারে পড়েছি ভাই ।
গল্পটিতে প্রতিটা শব্দের ব্যবহার, প্রকাশ ভঙ্গী, আমাকে মুগ্ধ করেছে ।

ভাল লাগা দিয়ে গেলাম !!!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

ডি মুন বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো পার্থ ভাই।
শুভেচ্ছা সবসময় :)

২১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: শেষের এই অল্পকটা লাইন হৃদয় ছোয়া । পুরো গল্পে মাধুর্যের ছোঁয়া । +++++++++

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
ভালো থাকুন সর্বদা।

২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৩০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: রফিকবৃত্তান্ত খব ভালো লাগল মুন ভাই।

রফিকরা আমাদের পাশেই ছিল, আছে এবং থাকবে। রফিকদের উপস্থিতিও যেমনি আমরা টের পাই না। ঠিক তেমনি তাদের অনুপস্থিতিও আমাদের মাঝে শুন্যতা তৈরি করে না। কিন্তু এই রফিকরা যখন সফল হয়ে উঠেন তখন আমরা তাদের কথা স্মরণ করি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

ডি মুন বলেছেন: রফিকদের উপস্থিতিও যেমনি আমরা টের পাই না। ঠিক তেমনি তাদের অনুপস্থিতিও আমাদের মাঝে শুন্যতা তৈরি করে না। কিন্তু এই রফিকরা যখন সফল হয়ে উঠেন তখন আমরা তাদের কথা স্মরণ করি।

খুব সুন্দর বলেছেন প্রবাসী ভাই।

ভালো থাকুন সবসময়।

২৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২১

রুবাইয়াৎ বলেছেন: "তবু মনে পড়ে, সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের সাতান্ন নম্বর পৃষ্ঠায় হাজী মহসীনকে দেখিয়ে রফিক বলেছিল, ‘দেখিস, আমিও একদিন ইতিহাস হয়ে যাব’।"
অনেক দিন পর অসাধারণ কোনো ছোট গল্প পড়লাম। বলতে হয় আটকে গেলাম। বিশেষ করে উপমার ব্যবহার গুলো তো একেবারে প্রত্যাশার বেলুন পুরোই ফুলিয়ে দিয়েছে।
অতএব, লেখকের সাথে কল্পনায় ভাসতে আর কি আপত্তি।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুবাইয়াৎ
কল্পনা আনন্দময় হয়ে উঠুক।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সর্বদা।

২৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



বাহ্ অনেক সুন্দর একটি গল্প। বিংশ শতাব্দির সামাজিক আবহে শরৎচন্দীয় শব্দবুনন।

শেষ অংশটুকু একটু অস্পষ্ট রয়ে গেলো। সেটি লেখকের ইচ্ছাকৃত হলে কোনই কথা নেই।

শুভেচ্ছা. ডি'মুন :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

ডি মুন বলেছেন: শেষটুকু অল্প কয়েক লাইনে অস্পষ্ট করে হলেও প্রয়োজনীয় সবকিছু বলে দিয়েছি। আসলে প্রথমদিকে বেশি ডিটেলিংটা প্রয়োজন ছিলো বলেই শেষটা কনডেন্সড আর সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃতই।

মনোযোগী পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় মইনুল ভাই
:)

২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ২৪ নাম্বার কমেন্টে লাইক।
উপমা বা গল্পের বর্ণনা খুব ভালো লাগছিলো পড়তে। আধুনিক জীবনে এরকম করে রফিকের খোঁজ মেলা ভার!

শুভেচ্ছা রইলো

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

ডি মুন বলেছেন:
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম :)
আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ভাল থাকুন সবসময়।

২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ এক গল্প লিখেছেন ------- অলস দুপুরে এই গল্পে প্লাস না দিয়ে পারি !!

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

ডি মুন বলেছেন:
পাঠে কৃতজ্ঞতা রইলো
ভালো থাকা হোক।

২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: ভয়ের গল্প নয়, তবুও পড়তে গিয়ে গায়ে কাটা দিচ্ছিল রীতিমত।





দারুন লিখেছেন ভাইয়া। ১১তম প্লাস।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

ডি মুন বলেছেন:
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ভালো থাকুন সর্বদা।

২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে...বৃত্তান্ত

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ১২ তম ভালোলাগা রইলো। ফেবুতে টুকরা টাকরা দেখেই মনে হয়েছিল ভালো একটা লেখা। পুরোটা এককথায় অসাধারন। পাঠকের ভালোলাগা পেয়ে লেখক সচরাচর সম্মানিত হন, কিন্তু এখানে ভালোলাগা জানাতে পেরে আমিই সম্মানিত বোধ করছি। অনেক শুভেচ্ছা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

ডি মুন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত হলাম আপু
ভালো থাকুন সবসময়
শুভেচ্ছা রইলো।

৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০২

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাই ডি মুন সামুর একজন প্রতিভাবান অনন্য সাহিত্যিক।তাঁর লেখা এ ধরণের গল্প পড়লে সে ধারণাটা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়।অভিনন্দন গ্রহণ করুন ভাই।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

ডি মুন বলেছেন: অভিনন্দন সানন্দে গৃহীত হলো মবীন ভাই
আপনাকেও অনেক অনেক শুভকামনা।
দায়িত্বশীল ব্লগিং এর মাধ্যমে এভাবেই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে চলুন নিরন্তর।
শুভেচ্ছা সতত।

৩১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

একজন সৈকত বলেছেন:
গল্প নয় যেন একটি গদ্যকাব্য পড়লাম। পড়া শুরু করতেই মোহগ্রস্ত হয়ে রইলাম অপূর্ব ভাষাশৈলীর কাছে- বিশেষ করে গল্পের প্রথম দুইটি ভাগ এত আবেগতাড়িত করেছে- বিমুগ্ধ হয়েছিলাম বহুক্ষণ। অনেক শুভেচ্ছা এমন একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য। ভালো থাকুন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ডি মুন বলেছেন: এতটা গুরুত্ব দিয়ে আমার লেখা পড়েছেন বলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুস্থ ও সুন্দর থাকুন সবসময়, এটাই প্রত্যাশা।
শুভেচ্ছা সতত।

৩২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০

এহসান সাবির বলেছেন: ‘দেখিস, আমিও একদিন ইতিহাস হয়ে যাব’



ভালো লাগা......!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই
:)

৩৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

তুষার কাব্য বলেছেন: অসাধারণ! চমত্কার শব্দ বুনন...১৩ তম ভালোলাগা রইলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য ভাই
ভালো থাকা হোক :)

৩৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার! সুলিখিত একটা গল্প। প্রতিটা বাক্যই খুব যত্ন নিয়ে লিখেছেন। তাই অনেকাংশে সেগুলো দীর্ঘ হলেও প্রাঞ্জল লেগেছে।

শুভেচ্ছা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৩৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

 বলেছেন: ভাললাগা ++++++++++++ :D

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭

মহান অতন্দ্র বলেছেন: পঞ্চম শ্রেণী শেষে আমরা যেবার হাইস্কুলের খাতায় নাম উঠিয়ে নিজেদের এবং বাপ-চাচাদের মুখ উজ্জ্বল করেছি বলে লেখাপড়া শিকেয় তুলেছিলাম, সেবারই রফিকের সাথে আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল। এরকম অসংখ্য পছন্দের লাইন পুরো লেখা জুড়ে । যত আপনাদের লেখা পড়ছি , তত যেন আমার হাতে খড়ি হচ্ছে ।

অনেক ভাল লাগা ভাই +++

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
ভালো থাকুন সবসময়।

৩৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার গল্প, অসাধারণ লেখনী... +++++

২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

সানোফি মহিন বলেছেন: স্কুল জীবনের শেষ বেঞ্চের একটি ছেলে
কিছু জানতে চাইলে মাস্টার মশাইরা তাচ্ছিলো করে বলতো, অনেক কিছু শিখে ফেলেছো এবার একটু শ্বাস নাও। মাথা নিচু করে স্কুল আর কলেজ শেষ করেছিলো। অনেকগুলো বছর পরে সেই ছেলেটি কিছু করে দেখানোর প্রত্যয়ে সবার থেকে সরে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। নিজের একটি পরিচয় তৈরি করে।
একই স্কুলে কোন একটি ক্লাসে শেষ বেঞ্চের ছেলেটি
কোন এক মধ্য দুপুরে সামনের বেঞ্চেরও সামনে দাঁড়িয়ে কিছু কথা বলার জন্য সুযোগ পায়।
লালটের কি লিখন... যে ছেলেটিকে একদিন থামিয়ে দিয়ে শিক্ষকরা মজা পেতো, তার মৌনতা শিক্ষকদের ব্যাকুল করে তোলে। রফিকদের মত ভাগ্য বিরম্বিতদের সাথে ভাগ্য সব সময় খেলা করে না। মানুষ ভুল করে কিন্তু ইতিহাস কখনো করে না। ইতিহাস তাই রফিকদের মতদের মনে রাখে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

ডি মুন বলেছেন:
রফিকদের মত ভাগ্য বিরম্বিতদের সাথে ভাগ্য সব সময় খেলা করে না। মানুষ ভুল করে কিন্তু ইতিহাস কখনো করে না। ইতিহাস তাই রফিকদের মতদের মনে রাখে।


খুব সুন্দর বলেছেন সানোফি ভাই।

ইতিহাস রফিকদেরই মনে রাখে।
শুভেচ্ছা রইলো।

৩৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৫

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই লেখকের আয়ত্তে ছিল ৷ বিন্যাসটুুকু অনেক পরিকল্পনা মাফিক ও মেদহীন ৷
লেখায় লেখক মনে হল পরিতৃৃপ্তি ষোলআনাই ভোগ করেছেন সাথে পাঠকও নিঃসন্দেহে ৷
শেষ প্যারাটা সংবাদের উপসংহারের মতন লাগলো ৷ মিলিয়ে দিতে পারেন ছোটগল্পের আবহ বজায় রেখে ৷ পুরো কৃতিত্বই লেখকের ৷

সুন্দর থাকুন ৷

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৩

ডি মুন বলেছেন:
শেষ প্যারাটা সংবাদের উপসংহারের মতন লাগলো ৷ মিলিয়ে দিতে পারেন ছোটগল্পের আবহ বজায় রেখে ৷

হয়ত ঠিকই বলেছেন। আবার একদিন ভাবা যাবে গল্পটা নিয়ে।

ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই

৪০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আলম দীপ্র বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখনি !
গল্পের থিম থেকে শুরু করে বর্ণনা সবেই অসাধারণ !
বাহ বাহ !

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
:)

৪১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অসাধারণ লেখা ।ভাল থাকুন সারাখন সারাবেলা ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩

ডি মুন বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্যে
ভালো থাকুন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.