নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধুলোধূসরিত পোশাক আর চোখে স্টিলের রিমওয়ালা চশমা পরিহিত একজন বৃদ্ধলোক রাস্তার পাশে বসে ছিল। পাশেই নদীর ওপর একটি ভাসমান ব্রিজ এবং তার উপর দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি, ট্রাক, পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা পার হয়ে যাচ্ছিল। ঘোড়ার গাড়িগুলো ঢুলতে ঢুলতে ব্রিজ পার হয়ে ওপাশের তীরের খাড়া জায়গায় পৌঁছুলে, সৈন্যরা সেগুলো ঠেলে উপরে উঠিয়ে নিতে সাহায্য করছিল। গাড়িগুলো তীরে উঠলে অপেক্ষমান ট্রাকগুলো হাঁটু পর্যন্ত ধুলোমাখা যাত্রীদের নিয়ে গড়গড়িয়ে ছুটতে শুরু করল। কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি সেদিকে ভ্রুক্ষেপমাত্র না করে অনড় হয়ে বসে থাকল রাস্তায়। সে এতটাই ক্লান্ত ছিল যে আর একচুলও নড়তে পারছিল না।
ব্রিজের ওপারে গিয়ে শত্রুদের অবস্থান ও গতিবিধি সম্পর্কে খবর নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল আমার উপর। আমি যথাকর্তব্য সমাপন করে ফিরছিলাম। দেখলাম, এখন রাস্তায় গাড়ি তেমন একটা নেই। আর হেঁটে ব্রিজ পার হওয়া লোকের সংখ্যাও কমে এসেছে। তবু বৃদ্ধ লোকটি এখনো পূর্বের জায়গাতেই বসে আছে।
আমি লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কোথা থেকে এসেছ?'
সে হাসল এবং বলল, ‘স্যান কার্লোস থেকে’।
ওটা ছিল তার নিজের শহর। তাই শহরের কথা বলতে গিয়ে তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। সে বলল, ‘আমি সেখানে পশুপাখিদের দেখাশোনা করতাম’।
আমি তার কথা পুরোপুরি না বুঝতে পারলেও ঘাড় নেড়ে বললাম, ‘আচ্ছা’।
সে আবার বলতে লাগল, ‘হ্যাঁ, আমি পশুপাখিদের দেখাশোনা করতাম। আর আমিই সর্বশেষ ব্যক্তি হিসেবে স্যান কার্লোস ছেড়ে এসেছি’।
আমি তার ধুলোমাখা কালো পোশাকের দিকে দেখলাম। এবং তার ধূসর মুখ ও স্টিলের রিমওয়ালা চশমার দিকেও। বৃদ্ধ লোকটি দেখতে রাখলের মত নয়; এমনকি পশুপালক বলেও তাকে মনে হয় না। বললাম, ‘তুমি কী কী পশুপাখি দেখাশোনা করতে?’
‘বিভিন্ন ধরনের’ সে ডানে বায়ে মাথা নেড়ে উত্তর দিল, ‘তাদেরকে ছেড়ে আমাকে চলে আসতেই হল’।
আমি ব্রিজটার দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আফ্রিকার মত এই এব্রো ডেলটা দেশটার দিকে তাকিয়ে ভাবলাম - আর কতক্ষণ সময়ই বা আছে শত্রুর মুখোমুখি হবার। প্রায় সাথে সাথেই শুনতে পেলাম শত্রুর আক্রমনের সেই চিরবিস্ময়কর আগমন সংকেত। এবং তখনও বৃদ্ধ লোকটি নির্বাকারভাবে সেখানে বসেই থাকল।
‘তুমি ঠিক কী কী প্রাণি দেখাশোনা করতে?’ আমি কৌতুহলবশত জিজ্ঞেস করলাম।
‘সব মিলিয়ে তিন রকমের’ সে বলল, ‘দুটো ছাগল, একটা বেড়াল আর চারজোড়া কবুতর’।
‘সবকিছুই তোমাকে ছেড়ে আসতে হল?’
সে বলল, ‘হ্যাঁ, কামানের গোলার কারণেই। ক্যাপ্টেন আমাকে খুব দ্রুত সরে যেতে বলেছিল’।
দূরে ব্রিজের শেষ মাথায় কিছু ঘোড়ার গাড়ি দ্রুততার সাথে পথ চলছে। সেদিকে তাকিয়ে থেকে আমি বৃদ্ধ লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমার পরিবারে কেউ নেই?’
সে উত্তর দিল, ‘না, শুধুমাত্র ঐ ক’টি প্রাণি ছাড়া আর কেউ নেই’। তারপর বলল, ‘বিড়ালটি অবশ্যই ঠিক থাকবে। একটি বিড়াল তার নিজের খেয়াল রাখতে পারে। কিন্তু বাকীদের কি হবে আমি ভাবতেই পারছি না’।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কী পলিটিক্স কর?’
‘আমি পলিটিক্সের বাইরে’ সে বলল, ‘আমি সত্তর বছরের বৃদ্ধ। বার মাইল পথ হেঁটে এসেছি এবং আর একটুও যাবার ক্ষমতা আমার নেই’।
আমি তাকে বললাম, ‘এটা থামার মত উপযুক্ত জায়গা নয়। তুমি যদি আর একটু দূরে যেতে পার তাহলে ট্রাকে করে টর্টোসার দিকে যাত্রা করতে পারবে’।
সে বলল, ‘খানিকটা বিশ্রাম নিই, তারপর আমি যাব। ট্রাকগুলো কোথায় যায়?’
‘বার্সিলোনার দিকে’
‘ওদিকের কাউকেই আমি চিনি না’ সে মৃদু স্বরে বলল, ‘তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমাকে সত্যিই অনেক ধন্যবাদ’।
ক্লান্ত এবং শূন্য দৃষ্টিতে সে আমার দিকে তাকাল। তারপর কারো কাছে দুঃখ শেয়ার করার জন্যেই হয়তবা বলল, ‘বিড়লটি ঠিক থাকবে, আমি নিশ্চিত। বিড়ালটির সম্বন্ধে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কিন্তু অন্যরা! বাকি প্রাণিগুলো সম্পর্কে তোমার কী মনে হয়?’
আমি বললাম, ‘তারাও সম্ভবত ঠিকঠাক থাকবে’।
‘সত্যিই?’
দূরে নদীর ওপারে, যেখানে এখন কোনো ঘোড়ার গাড়ি নেই, সেই তীরের দিকে তাকিয়ে আমি বললাম, ‘কেন নয় !’
‘কিন্তু কামানের গোলার সামনে তারা কীবা করতে পারবে, যেখানে আমাকেই কামানের গোলার কারণে চলে আসতে হয়েছে’।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কি কবুতরের খাঁচা খুলে রেখেছিলে?’
‘হ্যাঁ’।
‘তাহলে অবশ্যই তারা ঊড়ে যাবে’।
সে বলল, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই তারা উড়ে যাবে। কিন্তু অন্যরা। তাদের সম্পর্কে আর চিন্তা না করাটাই বোধহয় ঠিক’
আমি ব্যস্ত হয়ে তাকে বললাম, ‘তুমি যদি এখানে বসে থাকতে চাও, তো থাক; আমাকে যেতে হবে। নইলে তাড়াতাড়ি ওঠো এবং হাঁটার চেষ্টা কর’।
‘ধন্যবাদ’ বলেই সে উঠে দাঁড়াল। আর এদিকওদিক দুলতে দুলতে আবারো ধুলোর মধ্যে ধপ করে বসে পড়ল। তারপর খুব মৃদু স্বরে – আমাকে নয়, অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে বলল – ‘আমি পশুপাখিদের দেখাশোনা করতাম। আমি শুধুমাত্র পশুপাখিদেরই দেখাশোনা করতাম’।
আসলে তাকে নিয়ে কিছুই করার ছিল না। দিনটি ছিল ইস্টার সানডে এবং ফ্যাসিস্টরা এব্রোর দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছিল। এটা ছিল ধূসর, মেঘলা একটি দিন এবং আকাশে তাদের প্লেনগুলোও দেখা যাচ্ছিল না। এবং আসল সত্যিটা হলো – বিড়ালেরা জানে কিভাবে নিজেদের যত্ন নিতে হয়; আর শুধুমাত্র এটাই ছিল বৃদ্ধ লোকটির জন্যে চিরকালের সান্ত্বনা।
[ গল্পঃ ব্রিজের পাশের বৃদ্ধ লোকটি
মূলঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
অনুবাদঃ এস এম মামুনুর রহমান (ডি মুন) ]
আর্নেস্ট মিলার হেমিংওয়ে (জুলাই ২১, ১৮৯৯ -জুলাই ২, ১৯৬১) ছিলেন মার্কিন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। বিশ শতকের ফিকশনের ভাষার ওপর তাঁর নির্মেদ ও নিরাবেগী ভাষার ভীষণ প্রভাব ছিল। তাঁর অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ও জনপ্রিয় ইমেজও পরবর্তী প্রজন্মের ওপর ভীষন প্রভাব ফেলেছিল। বিশ শতকের বিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে তিনি তাঁর অধিকাংশ সাহিত্যকর্ম রচনা করেছিলেন এবং ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি সাতটি উপন্যাস, ছয়টি ছোট গল্প সংকলন এবং দুইটি নন-ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আরও তিনটি উপন্যাস, চারটি ছোট গল্প সংকলন এবং তিনটি নন-ফিকশন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের অনেকগুলোই আমেরিকান সাহিত্যের চিরায়ত(ক্লাসিক) গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। [উইকিপিডিয়া]
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ কালি শেষ ভাই
গল্পটা খুব ভালো লেগেছিল, তাই অনুবাদ করে ফেললাম।
অনেকদিন পর অনুবাদচর্চা করাও হল
২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১১
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে, আসলেই গল্পটি অন্যরকম, গতানুগতিকতার ঊর্ধ্বে অন্যরকম। +++
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, শুভকামনা রইল।
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪১
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বোকা মানুষ ভাই।
হেমিংওয়ের গল্পগুলোই এমন। অদ্ভুত সুন্দর।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪১
রিকি বলেছেন: অনেকগুলো অনুভূতির সংমিশ্রণ পেলাম হেমিংওয়ের এই গল্পটিতে.....বুড়োর সর্বস্ব হারানোর পড়েও কোথাও যেন একটা অব্যক্ত স্বান্তনা, আশা লুকিয়ে আছে..."বিড়ালটি নিজের যত্ন নিতে পারবে"...হ্যাঁ পারবে....পোস্টে ভাল লাগা রইল
০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১
ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।
সর্বস্ব হারানোর পরেও কিছুটা সান্ত্বনা পাবার অব্যক্ত আশা লুকিয়ে রয়েছে শেষটায়।
অনেক ধন্যবাদ
ভালো থাকুন।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমিও এটা অনুবাদ করে রেখেছিলাম। ভাবলাম কিছুদিন পর ব্লগে দেব। তার আগেই আপনি দিয়ে দিলেন। অবশ্য আপনার অনুবাদ আমার চেয়ে অনেক ঝরঝরে। আমার অনুবাদটা নিচে দিলাম-
স্টিলের চশমা আটা নোংরা পোশাকের বৃদ্ধটি রাস্তার ধারে বসে আছে। পাশেই নদীর উপর শুয়ে থাকা ব্রিজটি দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে ট্রাক, এক্কা আর অনেক অনেক মানুষ। একটা এক্কা টলতে টলতে ঢালু বেয়ে ব্রিজে উঠল। সৈন্যরা সেটাকে পারে উঠতে সাহায্য করছে- তারা এক্কাটার চাকা ধরে ধাক্কা দিচ্ছে। ট্রাকগুলো রাস্তায় নেমেই দূরে সরে যাচ্ছে আর কৃষাণেরা গড়ালি পর্যন্ত ধুলোয় ডুবিয়ে মন্থর গতিতে হেঁটে ফিরছে তাদের গন্তব্যে।
কিন্তু বৃদ্ধটি নড়াচড়া করছে না একটুও- বসেই আছে যেমন ছিল। ও বোধহয় অনেকদূর হাঁটার পর ক্লান্ত; সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তিটুকু অবশিষ্ট নেই আর।
আমার কাজ ছিল ব্রিজটি পার হয়ে দেখা যে শত্রুসৈন্যরা কতদূর এগুলো। আমি যখন দেখে ফিরে এলাম তখন খুব বেশি এক্কা ব্রিজটি পার হচ্ছিল না, পায়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া মানুষও খুব বেশি নেই। কিন্তু বৃদ্ধটি আগের মতোই বসে আছে।
“আপনি কোথা থেকে আসছেন?” জিজ্ঞেস করলাম আমি।
“সান কারলোজ থেকে” সামান্য হেসে বললেন তিনি।
নিজ শহরের প্রতি তার একটা মায়া আছে, তাই সে শহরের কথা বলতেই ছোট্ট হাসি তার ঠোঁটে চলে এল।
“আমি পশুপাখি দেখাশোনা করতাম” বলে চলেছেন তিনি।
“ওহ” বুঝিনি বলেই এই শব্দটা বের হয়ে গেল।
“আমি পশুপাখি দেখাশোনা করতাম! আর আমিই সাবার শেষে সান কারলোজ ছেড়েছি।”
তাকে দেখে আমার মোটেও রাখাল কিংবা চাষি মনে হচ্ছিল না। আমি তার ময়লায় কালো হয়ে যাওয়া কাপড় আর চশমাআটা ধুসর মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কি ধরনের পশু পালতেন আপনি?”
“অনেক ধরনের” বলে মাথা ঝাঁকালেন তিনি, “কিন্তু আমার সেসব ছেড়ে আসতে হয়েছে!”
আমি ব্রিজের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, তাকিয়ে ছিলাম এব্র ডেলটার দিকে। ভাবছিলাম আর কতক্ষণ আছে শত্রু আক্রমণের! কতক্ষণ আছে সেই রহস্যময় শব্দ শুনতে বাকি যেটা তাদের যাত্রা নিশ্চিত করবে!
কিন্তু মানুষটা তখনো বসে ছিল।
“কি কি পশুপাখি পালতেন আপনি?” আমি জিজ্ঞেস করি।
“অনেক কিছু পালতাম। আমার দুইটা ছাগল, একটা বিড়াল আর আর চার জোড়া কবুতর ছিল” বলেন বৃদ্ধ লোকটা।
“আপনি তাদের ছেড়ে এলেন কেন?” আমি জিজ্ঞেস করি আবার।
“গোলাগুলির জন্য। আমাকে মেজর চলে আসতে বললেন- গোলাগুলির জন্য”
“আপনার পরিবার?” ব্রিজের শেষ মাথা দেখতে দেখতে প্রশ্নটা করলাম। দেখলাম কয়েকটা এক্কা তাড়াহুড়ো করে ঢাল বেয়ে নেমে যাচ্ছে।
“আমার কেউ নেই” বললেন তিনি। “শুধু কয়েকটা পশু পালতাম আমি”।
“বিড়ালটার অবশ্য কিছু হবে না। বিড়াল ঠিকই নিজের ব্যবস্থা করে নিতে পারবে। কিন্তু ভাবতে পারছি না বাকিগুলো কি করবে” বলে চলেন তিনি।
আমি বৃদ্ধকে জিজ্ঞেস করি এবার, “কোন পার্টি করেন আপনি?”
“আমি কোন পার্টি করি না।” জবাব দিলেন। “ছেয়াত্তুর বছর বসয় আমার- বারো কিলোমিটার হেঁটে এসেছি।আর আমি একটুও এগুতে পারবো না”
“থামার জন্য এই জায়গাটা ভালো না” বললাম আমি। “যদি পারেন তো, রাস্তায় ট্রাক আছে কয়েকটা- ওরা আপনাকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে”
“আমাকে আরেকটু বিশ্রাম নিতে হবে। তারপর যাব” বলেন তিনি। “আচ্ছা, ট্রাকগুলো কোথায় যাবে?”
“বার্সেলোনা”
“সেখানে আমার কেউ পরিচিত নেই” বললেন তিনি। “কিন্তু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”
তিনি আমাকে বারবার ধন্যবাদ জানাতে লাগলেন।
তিনি আমার দিকে ক্লান্ত শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। বললেন, আসলে তিনি মনের কথা বলার কাউকে খুঁজছেন, “আমি জানি, বিড়ালগুলোর কিচ্ছু হবে না। কিন্তু বাকিগুলোর? আপনি কি মনে করেন বাকিগুলোর ব্যাপারে?”
“তারা ভালোই থাকবে মনে হয়” বলি আমি।
“আপনার তাই মনে হয়?”
“হুমম” দূরের ফাঁকা এক্কাহীন পথের দিকে তাকিয়ে বলি।
“কিন্তু ওরা এই গোলাগুলিতে কি করে বাঁচবে যখন আমাকেই চলে আসতে বলা হোল গোলাগুলির কারণে?”
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি কি ঘুঘুর খাঁচাটা খুলে দেননি?”
“হ্যাঁ”
“তাহলে তো তারা উড়ে যাবে”
“হ্যাঁ, অবশ্যই ওরা উড়ে যাবে। কিন্তু বাকিগুলোর কি হবে? বাকিগুলোর কথা না ভাবাই ভালো দেখছি” বিড়বিড় করে বলেন তিনি।
“আপনার বিশ্রাম করা হয়ে গেলে আমি উঠি” তাড়া দেই আমি। “এবার একটু উঠুন, হাঁটার চেষ্টা করুন একটু”
“ধন্যবাদ আপনাকে”। তিনি দাঁড়িয়ে একটু ঘুরে আবার ধুলোর উপর বসে পরলেন।
“আমি পশুপাখির দেখভাল করতাম”, নীরস বিষণ্ণ কণ্ঠে বলেন তিনি। কিন্তু আমাকে এবার বলছেন না তিনি।
“আমি পশুপাখির দেখাশোনা করতাম”
এই বৃদ্ধকে নিয়ে আর কিছুই করার নেই। আজ ইস্টার সানডে। ফ্যাসিস্টরা এব্র নদীর দিকে এগিয়ে আসছে। মেঘলা ধূসর এই দিনে আকাশে কোন যুদ্ধবিমান নেই। এটাই হয়তো তার একমাত্র সৌভাগ্য, বিড়াল নিজের পথ নিজেই দেখে নিতে পারে- সেটাও হয়তো!
মুলঃ- আরনেস্ট হেমিংওয়ে
আপনার অনুবাদ পড়িনি আগে। এখন মনে হচ্ছে আপনি মৌলিক গল্পে যেমন অনুবাদেও তেমন পারদর্শী।ভালো থাকুন অনেক, আর লিখতে থাকুন।
০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
ডি মুন বলেছেন: আপনার অনুবাদটি পড়লাম। বেশ ভালো হয়েছে।
ভালো গল্প অনুবাদ করেও বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়।
আমাদের অবশ্য অনুবাদের উপর সিলেবাসে একটা আলাদা কোর্সই সংযুক্ত আছে এ বছরে। তবুও নিয়ম-কানুন, হাবিজাবি মেনে অনুবাদ করলে অনেকক্ষেত্রে তা নীরস মনে হয়। আমি আক্ষরিক এবং ভাবানুবাদের মাঝামাঝি করার চেষ্টা করি সবসময়। পাঠক সহজে বুঝতে পারলেই আনন্দ পাই।
যাহোক, ভালো থাকুন আরণ্যক।
শুভেচ্ছা।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:০৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মুন এবং আরণ্যক ভাই দু জনের অনুবাদই ভালো লাগল।
০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ আল দিরহাম ভাই
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:১৪
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার মত করে কিছু বলি।
হেমিংওয়ের একটা বৈশিষ্ট্য হল তিনি তার ছোটগল্পগুলোকে এমন জায়গায় এনে ফিনিশ করতেন-
যেখানে অনেকগুলো অনুভূতির মিতস্ক্রিয়ায়, অন্তর্গত আলোড়ন মিশ্রিত আলাদা এক বোধের সৃষ্টি হয়।
এ জায়গাটায় কাজ করা খুবই কঠিন এবং এখানেই কেউ চমতকারভাবে উৎরান , কেউবা ভয়াবহ রকমের
ব্যর্থ হোন।বোধের জায়গাটায় হেমিংওয়ে অবলীলায় সফল হতেন।এমনভাবে সফল হতেন মনে হত এটা তার সহজাত দক্ষতা।
প্রথমবার খুব দ্রুত পড়েছি,হেমিংওয়ের গল্প বলেই তিনি কিভাবে শেষ করেছেন তা দেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না।
আরণ্যকের অনুবাদ পেয়ে আরো সোনায় সোহাগা হলো।
শেষটা দিয়েই বোঝা যায় তিনি কেন হেমিংওয়ে।
এ প্লাস অনুবাদ বললেও কম হয়।যথাযথ শব্দপ্রয়োগ,গল্পের মুডের দিকে লক্ষ্য রেখে অনুবাদ আগানো এবং
ফিনিশিং এ পরিপূর্ণভাবে হেমিংওয়ের গল্পের কারিশমা ফুটে উঠেছে।এখানে না উতরালে
আগের সব ভাল সত্ত্বেও আপনি ব্যর্থ হতেন।অভিনন্দন।
আরণ্যকের অনুবাদ ও ভাল হয়েছে।তার আর আপনার অনুবাদের মধ্যে পার্থক্য হলো -গল্পের ভেতরের অন্তর্গত
অ্নুভুতিরসপ্রবাহ - আপনার অনুবাদকৃত গল্পশরীরে স্বাভাবিকতা ও পরিমিতিবোধ সহযোগে সঞ্চারিত।এখানটায়
আরণ্যকের খামতি হয়েছে।
বিশেষ করে ‘আমি পশুপাখিদের দেখাশোনা করতাম। আমি শুধুমাত্র পশুপাখিদেরই দেখাশোনা করতাম’।শুধুমাত্র বা কেবলমাত্র
শব্দটি প্রয়োগে মনের ভেতর অনুররণ তৈরি হওয়ার সুযোগটির দিকে খেয়াল দিতে বলব।এসব ছোটোখাটো জিনিস গল্পের
অনুভবে বড় ধরণের তারতম্য ঘটিয়ে দেয়।
++++++++
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
ডি মুন বলেছেন: বোধের জায়গাটায় হেমিংওয়ে অবলীলায় সফল হতেন।এমনভাবে সফল হতেন মনে হত এটা তার সহজাত দক্ষতা।
- একদম ঠিক বলেছেন। হেমিংওয়ে অনবদ্য তার গল্পসমাপ্তিতে বিশেষ নৈপুণ্যতার কারণে। যা পাঠকের বোধে স্থায়ী অনুরণন সৃষ্টি করে। পাঠকে ভাবতে, এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিতীয়, তৃতীয়পাঠে বাধ্য করে। এই গল্পটিও তেমনই একটি। যুদ্ধের ভয়াবহতা কিভাবে মানুষকে নিঃস্ব করে দেয় - তার একটি অনবদ্য চিত্র।
পরিবারহীন এক মানুষ যে শুধুমাত্র পশুপাখি আঁকড়ে ধরেই বেঁচে ছিল; তাকেও অবস্থানচ্যুত, সংগীচ্যুত হতে হয়। এ গল্পের মধ্য দিয়ে যে করুণ এবং একই সাথে আশার চিত্র হেমিংওয়ে আঁকলেন, তা অভাবনীয়। আশা - এ কারণেই যে, বিড়ালটি নিশ্চয়ই নিজেকে সামলে নিতে পারবে। কেননা - বিড়ালেরা জানে কিভাবে নিজেদের যত্ন নিতে হয়; আর শুধুমাত্র এটাই ছিল বৃদ্ধ লোকটির জন্যে চিরকালের সান্ত্বনা।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই। এমন সব মন্তব্যেই বোঝা যায় আপনি কতটা নিবিঢ় পাঠক।
আরণ্যক রাখালের অনুবাদ প্রচেষ্টাও প্রশংসনীয়। সুন্দর।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
কিছু বুঝি নাই। তবে পড়তে ভালো লাগলো।
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫১
ডি মুন বলেছেন: আরেকবার পড়লে বুঝে ফেলবেন। আমি নিশ্চিত।
যুদ্ধের ভয়াবহতা কিভাবে মানুষকে নিঃস্ব করে দেয় - তার একটি অনবদ্য চিত্র এটি; এবং আরো বেশি কিছু।
ভালো থাকুন প্রিয় বড় ভাই, গোলাপ ভাই, আমিন ভাই
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
একলা চলো রে বলেছেন: হোমিংওয়ের গল্প অনুবাদ করলে যটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়, তা হলো- মূল গল্পের মতো অনুভূতিগুল পাঠককে সেভাব্বে গ্রাস করছে কি না! আপনার প্রচেষ্টা সেদিক থেকে বেশ প্রশংসনীয়।
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৩
ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, আপনি একদম ঠিক বলেছেন। আর এজন্যই হেমিংওয়ে অনুবাদে খুব সতর্কতা প্রয়োজন।
আমার অনুবাদ প্রচেষ্টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
শুভেচ্ছা।
১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
আলোরিকা বলেছেন: সুন্দর...... প্রাণবন্ত..... 'বিড়ালেরা জানে কিভাবে নিজেদের যত্ন নিতে হয়'..... এ লাইনটি পড়ে একটি প্রচলিত ধারণার কথা মনে পড়ে গেল - বলা হয়ে থাকে কুকুর প্রভুভক্ত প্রাণী সে সর্বাবস্থায় তার প্রভুর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করে , আর বিড়াল হচ্ছে স্বার্থপর সে নাকি প্রভুর চেয়ে আরাম আয়েশকেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং যেখানে তা পায় সেখানেই থেকে যায় .....
০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১১
ডি মুন বলেছেন:
বিড়াল ভীষণ আদুরে প্রাণি। আদর চায় সবসময়। কিন্তু মনিবের দিকে খেয়াল দেয়ার তার সময় নাই
মন্তব্যে আনন্দিত হলাম।
ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্যে।
১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষটা বড়ই বিষাদী। একটা মানুষ, যে সব হারিয়েছে, তারও ইচ্ছে করে নিজের মত করে বেঁচে থাকতে, অবলা জীবকে পুরোনো সম্পর্কগুলোর সাথে বদলে নিতে। চমৎকার গল্প নির্বাচন এবং অনুবাদ। অনেক ভালো লাগা রইলো।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই
ভালো থাকুন
১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: একই গল্প দুই জন অনুবাদ করেছেন, অথচ কয়েকটা শব্দের পার্থক্যের জন্য দুইটা অনুবাদই পড়তে ভালো লাগল।
ডি মুন ভাই, মামুন রশিদ ভাইয়ের খবর জানেন? কি করছেন তিনি? হাওয়া হয়ে গেলেন কেন?
০২ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪৫
ডি মুন বলেছেন:
মামুন রশিদ ভাই ব্যস্ততার কারণে ব্লগে সময় দিতে পারছেন না বলেই জানিয়েছিলেন।
ব্যস্ততার অজুহাতে একদম ছুটি নিলেন কিনা !!! - এটাই এখন দেখার বিষয়।
ব্লগে মামুন রশিদ ভাইয়ের শূন্যতাটা খুব সহজেই চোখে পড়ে। সবার সাথে খুব মধুর ব্লগীয় সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন উনি। আশাকরি, ব্যস্ততা পাশ কাটিয়ে আবার উনি ফিরে আসবেন এই প্লাটফর্মে।
ভালো থাকুন রায়ান ভাই
শুভেচ্ছা।
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,
যুদ্ধ মানুষকে তার শেকড় শুদ্ধ উপরে ফেলে , শুধু তার মনের গভীরে জমে থাকা দিনগুলোর ছবি উপরে ফেলতে পারেনা ---
অনুবাদ সুন্দর ।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ডি মুন। এই কর্ম জারি থাকুক।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই
চেষ্টা করব অবশ্যই।
অনেক ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: সাবলীল!!
ভালো লাগা। অনেক।
মন্তব্য অংশে আরণ্যক রাখালের অনুবাদ সংযুক্তি ভালো লাগাকে বাড়িয়েছে আরো।
অনিঃশেষ শুভকামনা।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনিও ভালো থাকুন সর্বদা।
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ করেছেন ভ্রাতা !
০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সুন্দর প্রয়াস ৷
নির্মোহ গদ্যের হৃদয়স্পর্শী পাঠ ৷হয়ত মানুষের সান্ত্বনাই শেষ ভরসা ৷ এবার হয়ে যাক বড়সর কিছু একটা ৷
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৪
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই
হয়ত মানুষের সান্ত্বনাই শেষ ভরসা। হয়ত !
ভালো থাকুন
আনন্দে থাকুন।
১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:১০
জুন বলেছেন: দারুন অনুবাদ ডি মুন আমার প্রিয় গল্পকারের গল্প নিয়ে । কোয়ায়েট ফ্লোজ দ্য ডন এর মতই যুদ্ধের কারনে শেকড় উপড়ে যাওয়া এক অসহায় বৃদ্ধের গল্প।সাবলীল অনুবাদ
+
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৫
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপি
হেমিংওয়ে আমারও ভীষণ প্রিয়। বিশেষ করে তার নির্মেদ ছোটগল্পগুলোর জন্যে।
অনুবাদ উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
পার্থ তালুকদার বলেছেন: দুজনের অনুবাদই পড়লাম।
চমৎকার হয়েছে।
শেষদিকে বিষন্নতা ভর করলো।
দুজনের জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা।
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থ ভাই
২০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
তুই দেখি দিন দিন অনুবাদক হয়ে উঠছিস। গুড ভেরী গুড।
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
ডি মুন বলেছেন: ভালো গল্প অনুবাদ করেও শান্তি
২১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
ফা হিম বলেছেন: বিড়ালেরা জানে কিভাবে নিজেদের যত্ন নিতে হয়
কথাটা মাথায় গেথে গেল। এর ইংরেজিটা কি ছিল একটু যদি বলতেন!
হেমিংওয়ের গল্প মানে অন্যরকম ব্যাপার, এ সম্পর্কে আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
ডি মুন বলেছেন: হেমিংওয়ের গল্প মানে অন্যরকম ব্যাপার --- ঠিক বলেছেন
গল্পটার লিংক দিয়ে দিলাম।
এই নিন - The Old Man at the Bridge
২২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এক পোস্টে দুই অনুবাদ, ভালই তো!
গল্প নির্বাচন ভাল হয়েছে। অনুবাদ সাবলীল ছিল, পড়ে খটকা লাগেনি।
চমৎকার কাজ, মুন
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৩
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার
ভালো থাকুন
২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল ...
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৪
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১১
আলম দীপ্র বলেছেন: গল্পটা চমৎকার লাগল । আপনার অনুবাদও চমৎকার ! আরও ভাল গল্প অনুবাদ করুন , পড়ি ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৭
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ্র।
অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে আরোও। দেখা যাক, হয় কিনা !
২৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৭
ইমরান নিলয় বলেছেন: আপনার অনুবাদের হাত ভালো। কিপিটাপ।
০৯ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪০
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
২৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
এহসান সাবির বলেছেন: অফ লাইনে পড়েছি।
অনুবাদ ভালো হইছে। যদিও গল্পের ভিতরে যেতে পারিনি...
অনুবাদ চলুক।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ সাবির ভাই।
গল্পটা যদিও জটিলতাবিহীন, চমকহীন; তবে সুন্দর।
২৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
শঙ্খচিল_শঙ্খচিল বলেছেন: গল্পটা দারুন! আপনার অনুবাদও বেশ ঝরঝরে। একটানে শেষ করলাম ।
শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৯
ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ
ভালো থাকুন।
২৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ওহে, মহান ব্লগার মুন, ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা রহিল।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪০
ডি মুন বলেছেন: ভাই, আমি আগের মত ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালাইতে চাই, কিন্তু ব্যাটে বলে হচ্ছে না - কি করাম। ঈদ মরাবক থুক্কু মোবারক
২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।
শুভ কামনা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪১
ডি মুন বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা সাবির ভাই
অনলাইনে আসতে না পারায় বিলম্বিত শুভেচ্ছা + সামনের কোরবানি'র ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
৩০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩১
হামিদ আহসান বলেছেন: সাবলিল অনুবাদ .....+++++
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০০
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ হামিদ ভাই
৩১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল বুঝি নাই।পড়ায় ভাল লেগেছে ।
ধন্যবাদ ডি মুন ভাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০২
ডি মুন বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই
৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে। যুদ্ধকালীন অবস্থা। যার যার প্রিয় জিনিষটির প্রতি মমত্ববোধ ,অতঃপর সেটা ছেড়ে চলে যাওয়া বা চলে যেতে হয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০২
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অনুবাদ ভাল লেগেছে । ছোট্ট একটা গল্পে কেমন অদ্ভুত ভাললাগা । এসব কিংবদন্তিদের গুণ বোধয় এইটাই ।
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে অনুবাদ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।