নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কর্কশ সুর

ফারহান দাউদ

খুব সাধারণ মানুষ ..পড়েছি পুরকৌশল এ, কাগজে-কলমে বেকারত্ব ঘুচলেও স্বভাবে রয়ে গেছে। মাথা একটু গরম,একটু বোকাও,তবে মানুষটা মনে হয় আমি খারাপ না।

ফারহান দাউদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রাজুয়েশন পার্টির পর: বিদায়বেলায় বন্ধুদের জন্য

১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:০০

[আমার বন্ধুদের জন্য,আমার প্রিয় মুখগুলোর জন্য]

এই প্রথমবার লিখতে গিয়ে লেখা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে,চিন্তাগুলো দৌড় দিয়েছে এদিক-সেদিক,ধরে আনতেও ইচ্ছা করছে না।মাথা না,বুকের ভিতরটাই তো ফাঁকা হয়ে গেছে। কার জন্য লিখবো,কিসের জন্যই বা? যাদের নিয়ে বাঁচতাম,সবাই চলে যাবে আজ থেকে,একটু দূরে,তারপর অনেক দূরে।কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পার হয়ে গেছি অনেকটা পথ একসাথে,ভুলেই গিয়েছিলাম একদিন পথ বেঁকে যাবে,অনেকদিকে। শেষবেলায় একটু আনন্দ করবো বলে গেলাম গ্রাজুয়েশন পার্টিতে,ফিরতে হলো কাঁদতে কাঁদতে। ভিতরটা ৩ দিন ধরেই জ্বলছিলো,যেদিনটা থেকে বুয়েট থেকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। চেপে ছিলাম,এত আনন্দ চারদিকে,হইহল্লা,খানাদানা,কনসার্ট,ছবি,নাচানাচি,হাত মেলানো,কাঁধ মেলানো আরো একবার,এর মাঝে বিষাদের জায়গাটাই কোথায়? শেষ মুহূর্তেও সবার মুখে হাসি,গেম শো টাও ভালই গেলো। কিন্তু গত ৫ বছরের ছবিগুলো দেখিয়ে সবার শেষ ছবিটা যখন গ্রে-স্কেলে ধূসর করে দিলো,ভেতরটাও যেন কেউ জ্বালিয়ে বর্ণহীন ছাইরংয়ে ঢেকে দিলো। কোন বদমাশের মাথায় যে শেষে "গুডবাই ব্যাচ ০২" লেখাটা এসেছিলো কে জানে,দেখামাত্র চোখে কিছু পড়ার অভিনয় করতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। প্রজেক্টরের আলোটা নিভে যেতেই এক অবাক দৃশ্য,খুব কঠিন মনের বলে ভেবে আসা ছেলেগুলোর চোখ ভেজা,একজনের,তার থেকে সবার,আমার,ওদের,তাদের। ঐটুকু হলেও ভালো ছিলো,পরের পর্বটা খুব খারাপ,একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে কান্নার সমাবেশ। যে ছেলেটার সাথে হয়তো জীবনে ২-১ বারের বেশি কথাও বলিনি,সেই ছেলেটা যখন এসে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে,ভালো থাকবি,দেখা হবে,কান্না কি খুব ছেলেমানুষি হয়ে যায়?

একদফা কান্নাকাটি শেষে ভাবলাম,কেটেই পড়ি,যা ধরে রাখতে পারবো না তার জন্য মাথা নষ্ট করে কি লাভ? বের হয়ে এলাম ক্যাফে থেকে। যাওয়া হলোনা এত সহজে। চারদিকে কত কত প্রিয় মুখ,চেনা মুখ,আমার বন্ধুদের মুখ। ৫টা বছর ধরে এই একা মানুষটাকে দু'হাতে আগলে রেখেছে যারা,কিভাবে যাবো তাদের ছেড়ে? ক্লাস থেকে ক্যাফেতে যাবার পথে "আরে বেংস" বলে হুংকার শুনবো না ১০টা ছেলের,হাত বাড়িয়ে দেবে না আরো কতজন,ভাবতেই কেমন কেমন লাগে।

প্রথম যেদিন এসেছিলাম,নিতান্তই এক বাচ্চা ছেলে,স্কুল আর কলেজের বন্ধুরা অন্য ডিপার্টমেন্টে যাওয়াতে মন খারাপ একা এসে,শেষ এই দিনে মেলাতেই পারছিনা কিভাবে এক বিশাল পরিবারের অংশ হয়ে গেছি এইটুকু সময়ে,যাবার সময় মনে হচ্ছে নিজের ঘর,নিজের আত্মীয় ছেড়ে কোথাও চলে যাচ্ছি,যাদের ছেড়ে নিজের অস্তিত্বের কথা কল্পনাও করটে পারতাম না গত কয়টা বছর।

কতজনের কথা বলবো? চুলপাকা রাসেল,যাকে প্রথম দিনেই স্টেজে গলাবাজি করতে দেখে ভেবেছিলাম ব্যাটা ইঁচড়ে পাকা? রোকন নামের মোটা ছেলেটা,প্রথম দিনেই কাঁধে হাত রেখে কথা বলায় মনে মনে যাকে অসভ্য বলেই ধরে নিয়েছিলাম?রাহাত,হু,ভাব বেশি। মাশুক,রাশেদ,ইমতিয়াজ,সুযোগ পেলেই যাদের কাজ বাঁশ দেয়া? মামা হাফিজ? হাসান,যার আসল নাম হারিয়ে গেছে আক্কু মামা নামের আড়ালে? ডিসকো মোল্লা রিয়াল? সুমন মুনশি? আদনান,ফার্স্ট বয় হয়েও যার নাম হয়ে গেছে আদু

ভাই? তালগাছের মত লম্বা মাহফুজ? নেতা রাসেল? রাজু? ব্যাড বয় সুরন্জ্ঞিত? রোমিও রোমেল? টাক্কু বরিশাইল্যা দোলন? গুড বয় সুপন আর মতিউর? অথবা মেকানিক্যালের মাজহার,জাহিদ,সামিন,ইলেকট্রিক্যালের সুমিত,রাজু আর পারী,আইপির জুবায়ের,ওয়াটারের বাদল,নাহ্,নাম তো শেষ হবেনা। ৫টা বছর,কম কথা তো না। বড় হয়েছি ৫ বছরে,বদলাইনি অবশ্য কেউই তেমন,কিন্তু বদলে গেছে আমাদের সম্পর্কের রেখা। টুংটাং করে গিটারিস্ট হয়ে যাওয়া রাসেলের গান না শুনলে এখন ছুটির দিনটা কাটে না,মোটা রোকনের ঘাড়ে হাত না রেখে আমিই এখন আর হাঁটতে পারিনা,ক্যাফের সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার সময় বিশালদেহী দীপের "ইয়ো মামা সিতা,মুহাহাহাহাহাহা" বলে বিকট হাসি না শুনলে সব নীরব লাগে। রাহাতের ভাব নিয়ে বলা "তুই আমার দেশী ভাইদের কলংক" শুনলেও স্বাভাবিকই লাগে,সুরনজিতের "তুই একটা চরম ফাউল পোলা" শুনে দাঁত বের করে হেসে নিজেকে আরেকটু ফাউল প্রমাণ করে দিই, মাশুকদের সাথে বাঁশ খাওয়া আর দেয়ার খেলাও নিত্যকার রুটিন হয়ে গেছে। কতবার মামা হাফিজ বলেছে আমার রুমে যাতে তুই না ঢুকিস সেজন্য ভাবছি ৩ তলায় ১টা নোটিশ কালকেই লাগাবো,সেই নোটিশ আর লাগেনি,৫টা বছর মনের আনন্দে সব ক'টা হল ঘুরে আড্ডা দিয়ে সবার পড়া নষ্ট করে গেছি। পরেরদিন সকালে পরীক্ষা বলে পড়তে গেছি,রুমে ঢুকেই মেহরাব আর আমিনের আর্জেন্টিনা খেলতে পারেনা শুনে পরীক্ষার খেতা পুড়ি বলে তর্কে নেমে বাকি রাত পার করে দিয়েছি।



সমস্যা,বিপদ,ঝামেলা,শব্দগুলোর অস্তিত্ব খুব ১টা টের পাইনি যতদিন প্রিয় মুখগুলো চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে। পরীক্ষা নিয়ে ঝামেলা? চিন্তা নাই,আমি পাস করলে তোকেও করাবো। টিউশনির পয়সা দিচ্ছেনা রে,বলতেই মানিব্যাগ থেকে বের করে দিলো কেউ একজন। বাসায় ঝগড়া করেছি,সমস্যা নাই,হলে থেকে যা ২-৪ দিন,ঠিক হয়ে যাবে। ছ্যাকাঁ খেয়েছিস? ব্যাপার না,কে না খায়? কিভাবে শোধ করবো এত ঋণ? কান্নায় ভেঙে পড়ে এদের কাঁধে মাথা রেখে আরেকবার মনে হলো,একটা শেকড় বোধহয় আমার এখানেও গেড়ে বসেছিল,এদের সবার মাঝে।

ভাবছি। অঝোর বৃষ্টি হচ্ছে। ছেলেগুলো ভিজছে বৃষ্টিতে,ভিজছি আমিও,দ্বিতীয় দফা কান্নাকাটি দেখছি,আর ভাবছি,অথবা ভাবছি না,শুধু দেখছি,জলে ভেজা আর কান্নায় ভেজা আপন মুখগুলো,আপনের চেয়েও আপন।অডিটোরিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় যে ছেলেগুলো চোখ মুছতে মুছতে

বিদায় নিয়ে গেলো আমার কাছ থেকে,মুখগুলো চেনা,কিন্তু কতজনেরই তো নাম জানিনা।তবুও আপন। ভিজছি। দেখছি। একটু দূরে কেমিক্যালের সোহান আসর জমিয়ে ফেলেছে,দরাজ গলায় চলছে "হায় চিল,হায় সোনালি ডানার চিল"। সোনালি স্বপ্ন নিয়ে আমরা ধূসর ডানার চিলেরা একটু পরেই উড়ে যাবো একটা জন্মকে পিছনে ফেলে। জীবনটাকে ঘুরিয়ে নিতে পারলে হয়তো আবার এখানে ফিরে আসতে চাইতাম,ঈশ্বরের কাছে স্বর্গ চেয়ে নেবার ক্ষমতা থাকলে সেখানেও এই বন্ধুর ভালোবাসা নিয়ে যেতাম,কিন্তু এখন উড়ে যাবো নতুন কোন জীবনে,একা,বন্ধুর হাতের রক্ষাকবচ ছাড়া। আমাকে কি বন্ধুরা মনে রাখবে? যদি কেউ রাখো,একবারের জন্য হলেও আমার নাম মনে পড়ে,আমার দরজায় একবার খটখট করে জিজ্ঞেস করো,বন্ধু কি বাড়ি আছ? আমার দরজা তোমাদের জন্য খোলা থাকবে,আমার হাত তোমাদের জন্য বাড়ানো থাকবে।

পুনশ্চ: লেখাটা লেখার সময় বারবারই চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে,ভাবনা হয়েছে এলোমেলো,বিদায়ের ১ দিন পরে যখন এক জুনিয়রকে শোনাচ্ছিলাম একের পর এক গল্প,বলেছে,ভাইয়া আপনি এখনো ঘোরের মাঝে আছেন। তা আছি,কখনো কাটবে কিনা,জানি না। ঘোরের মাঝে লেখা এলোমেলো কথাগুলোর মাঝে ভালো মানের কিছু খুঁজে না পেলে,ক্ষমাপ্রার্থী।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৫/-৪

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:০৬

রাশেদ বলেছেন: কয়েক বছর আগে আমারো একই অনুভুতি হয়েছিল।


ঐ ৫ টা বছর আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আমাকে আরেকটা সুযোগ দিলে আবার ভার্সিটি লাইফেই ফিরে যেতে চাইতাম। বন্ধুত্ব কি জিনিষ, ঐখানে যেয়েই শিখেছি। ভোলার না ভার্সিটির পাঁচটা বছর। কিভাবে যে শেষ হয়ে গেলো সময়টুকু টেরও পাই নাই।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৪

ফজল বলেছেন: চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ। আমারও একই অবস্থা ছিল মনের ঐ সময়টায়। সয়েলের সেশনালে যে পাভেলের সাথে চরম যুদ্ধ ৩টি বছর- যাওয়ার সময় তার জন্যেও গলা ধরে যাওয়া! বড় বিচিত্র সে অনুভূতি।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: একি ব্যাপার রাশেদ ভাই,যার গেছে সেই খালি বুঝে। মনটা বড় খারাপ রে ভাই,নিজেরে এইরকম একলা আর কখনো লাগে নাই,৩ দিন ধরে স্থির হইতে পারতেসিনা।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: ফজল ভাই,যে ছেলেগুলিকে সারাজীবন গালি ছাড়া কিছু দেই নাই,শেষবেলায় ওদের সাথেও গলা ধরে কান্নাকাটি করসি,আমরা মানুষ কি আজব।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৮

রাশেদ বলেছেন: এখনো যখন কারো সাথে কথা হয়, কি যে ভালো লাগে বুঝানো যাবে না।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:১৯

জোনাকি বলেছেন: আমি এখনও ভার্সিটি লাইফে যায় নাই। কিন্তু আপনার এই পোষ্ট পড়তে গিয়ে আমার নিজের চোখই ঝাপসা হয়ে আসছে।
ভালো থাকবেন!!

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:২২

ফারহান দাউদ বলেছেন: রাশেদ ভাই,৩ দিন আগেও বুঝতাম না,এখন বুঝি।
জোনাকি,অনুভূতিটা বুঝতে পারার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:৩৭

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কে বলে ইঞ্জিনিয়াররা যন্ত্রমানব? ... এইতো কি সুন্দর মানুষগুলোকে কল্পনা করা যায় ...
আপনার লেখাটা অসাধারন হয়েছে
এখন আপনাকে ডিসিশান নিতে হবে কোন পথে যাবেন -- ইঞ্জিনিয়ার? নাকি সাহিত্যিক?

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:১০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: কি আর বলবো , লেখাটা জটিল হইছে ।
আমি এখনও এইভাবে ভাবি নাই ব্যাপারটা , তবে কয়েকদিন পর ভাবতেই হবে , আমার মনে হয় কেস
আরও খারাপ ,ভার্সিটিতে স্কুলের ফ্রেন্ডরাই রয়ে গেছে , অনেক বেশি দিনের চেনাদের ছেড়ে যেতে কষ্ট লাগবেও বেশি।
৫ দিলাম

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:১৭

লগ বলেছেন: ভালো লেখেছেন, ভাই।
এট ভাল করে সবাই লেখলে আমি যখন লেখা শুরু করব তখন কি হেব!

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৮:৫১

ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: ওয়েলকাম টু প্রোফেশনাল লাইফ।
শুভ কামনা।

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৯:২৯

সু-শান্ত বলেছেন: ''এখনো যখন কারো সাথে কথা হয়, কি যে ভালো লাগে বুঝানো যাবে না।'' কথা ঠিক রাশেদ ।
এই সুদূর লন্ডনে এসে ও ভার্সিটির ছেলেমেয়েদের খোঁজতে ভালো লাগে। অথচ ভার্সিটি ছেড়ে এসেছি ৫ বছর হলো।

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:০৬

বিহঙ্গ বলেছেন: "যেতে নাহি দিবো হায়, তবু যেতে দিতে হয়,তবু চলে যায়।"৫৫৫

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:২৪

মোহাম্মদ বলেছেন: আমি যদিও ভার্সিটি লাইফ মাত্র শুরু করেছি,তবে
অনুভুতিটা বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৬

তানভীর বলেছেন: ০২-তে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলাম; সেদিন যারা নতুন এসেছিল, সেই ব্যাচ-০২ আজ বেরুচ্ছে! জীবনের রংগমঞ্চে এভাবেই পাত্র-পাত্রীরা আসে, চলে যায়।

ফারহান, অনাগত জীবনের জন্য শুভ-কামনা রইল। আজকের এইদিনগুলো অচিরেই একদিন মধুর স্মৃতিতে পরিণত হবে। গুছিয়ে লেখার জন্য ৫।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৩৭

মানবী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট... মন ছুঁয়ে যাওয়া বর্ণনা!

ধন্যবাদ ফারহান দাউদ।

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ১০:৪০

রাগিব বলেছেন: সেশন জট বেশ কমেছে মনে হয়, অন্তত ১ বছর কমেছে বোঝা যাচ্ছে। আমরা ৯৬ ব্যাচ বিদায় নিয়েছিলাম ২০০২ সালে ...

অবশ্য আমাদের বিদায় বেলায় এতো সব কাণ্ড ঘটেছিলো, এতো বার হল ভ্যাকান্টের, পুলিশি পিটার ঘটনা ঘটেছিলো যে, মনের দুঃখ এতোটা টের পাইনি।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১:০৮

আলী বলেছেন: চলমান জীবনের বহমান নিয়তি

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৩৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: জ্বিনের বাদশা,বস্ আমরাও মানুষই,মাঝে মাঝে বুঝা যায় আরকি। লেখার কথা বইলা লজ্জা দিয়েন না,পড়সেন,অনেক কৃতজ্ঞতা।
মেহরাব,আশায় আছি স্কুল ফ্রেন্ডদের সাথে যোগাযোগ আরেকটু বেশি থাকবে।
তানভীর ভাই,নতুন যারা ক্যাম্পাসে আসছে ওদের দেখলে কেমন অবাক লাগে,এইভাবে আমিও একদিন আপনাদের দিকে তাকায়া থাকতাম। দোয়া রাখবেন আমাদের জন্য।
রাগিব ভাই,সেশন জট একটু কম,ওয়ার্ল্ড কাপের সময় ঐ গোলমালটা না হলে আরো কমতো।বেশ কিছু ঠ্যাঙানি আমাদের উপর দিয়েও গেছে:(
মানবী,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঝড়ো হাওয়া,এতদিন তো আরামে ছিলাম,এখন খবর আসে মনে হয়,দোয়া রাখবেন।
বিহংগ,লগ,মোহাম্মদ,আলী,সু-শান্ত,সবাইকে ধন্যবাদ।

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:২৫

তানজিলা হক বলেছেন: আপনার কি তখন খুব কান্না পাছ্ছিল?কিন্তু স্কুল বা কলেজ যখন ছারি তখন আমাকে ধরে সবাই কেদেছিল কিন্তু আমার কান্না পায় নি।ভারসিটি ছারতেও বোধে হয় কাদবো না।তবে মন খারাপ হয় যখন মনে পরে।

২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:০৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: তানজিলা হক,আমি একটু ইমোশনাল টাইপের,প্রায় বেকুব রকমের ইমোশনাল,কান্না পাচ্ছিল বললে ভুল হবে,আমিও কানসি সবার গলা ধরে,স্বীকার করতে লজ্জা নেই।

২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আমার তো একটাই গ্র্যাজুয়েশন হলো... এইচ এস সি... কেঁদেছি মানে! খুব বুঝতে পারলাম কি বলছেন। কিন্তু ইউনি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের সময় মনে হয় না এমন হবে। সব গুলো সাবজেক্ট এক সাথে করছি, এমন একজনও জুটে নি। প্রতি সেমিস্টারেই নতুন নতুন বন্ধু। যারা কনস্ট্যান্ট, তারা হয় হাই স্কুলের বন্ধু, না হয় ইউনিতেই পরিচয়, অন্য ফ্যাকাল্টির। ইউনির আগে পরে মাঝে এক সাথে কাটাই। এইটা পড়ে আমার খারাপ লাগল কারণ আমার মনে হলো ইউনির মজার অনেকটুকু আমি মনে হয় মিস করছি (আম্মাআআ)।

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৫৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: সন্ধ্যাবাতি,৫টা বছরে একবারো মনে হয়না ভার্সিটি ক্যাম্পাসে বা হলে থাকা অবস্থায় একা কিছু খেয়েছি,একা কোথাও গিয়েছি। এখন হঠাত করে একা হয়ে যাবার অনুভূতিটা কেমন জানি। তবে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবি,এমন মানুষ,এমন বন্ধুদের পাবার জন্য।

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৪:৫৫

কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলেছেন: ফারহান, তোমাদের ফেয়ারওয়েলের ফটো দেখলাম ফেইসবুকে ... ভালই মজা করছ বোঝা গেল ... আমাদের বিদায়ের সময়টার কথা মনে পড়ল ... দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেল সেইটার ...

পোস্টটা অসম্ভব ভালো হইছে ... এই অনুভূতি এভাবে ধরে রাখা যায় বিশ্বাস হয় না ...

কি আর বলব ... খালি একটা কথাই বলি, চাকরি-বাকরি শুরু কর, কয়েকটা মাস যাক, তারপরে বুঝবা একাকীত্ব কারে কয় ... আমাদের সাথের ছেলেদের দেখি, সবাই এক বছরে এস্টাবলিশড হয়ে গেছে খুব ভালভাবে, কিন্তু যারেই জিজ্ঞেস করি কেমন আছ, তারই উত্তর ভাল নাই ... একা হয়ে গেছি সবাই ...

শুধু এইটুকুই আশা করি তোমরা এমন না হও ...

২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৫:০৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: কিংকর,কতটা একা আমরা সবাই হয়ে গেসি সেটা তোমরা বুঝবা,কারণ এই জিনিস তোমরাও এখন দেখতেসো,কয়েক মাস লাগবে না,শেষ দিনই বুঝছি।কঠিন স্বভাবের মানুষ আমরা,আমাদের চোখে পানি আসা খুব সোজা ব্যাপার না,তুমি বুঝবা,তুমি জানো এইটার অনুভূতি,হলে থাকসো,আরো বেশিই জান। বাস্তবতা মানতেই হবে,সবাই যার যার দিকে ছুটবো,দুনিয়া তো আর থামে না কিসুর জন্য,কিন্তু আগের মত ভালো আর আমরা থাকবো না,কেউই থাকেনা। পড়সো,বুঝতে পারসো,কৃতজ্ঞতা থাকলো।

২৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৭:০৬

বিহঙ্গ বলেছেন: ফারহান ভাই,
বন্ধুর ভালো লাগা কাদাঁয়,
বন্ধুর কষ্ট দেয়াও কাঁদায়।
এখনো ফেলে আসা বন্ধুদের জন্য কাঁদি, দুর্বল মনের মানুষ তো।৫৫৫৫

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:২৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: বিহংগ,বলতেই হবে,আপনি আমার মতই ভাগ্যবান,ফেলে আসা বন্ধুর জন্য কাঁদতে পারেন। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাশেদ বলেছেন: ঈদ মোবারক।

২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৩৩

বায়েজীদ বলেছেন: এমন একটা অনুভূতি লেখায় তুলে ধরেছেন, যেটা আমারও হয়তো কখনো হয়েছিল, তবে এভাবে বলা হয়ননি কাউকে। আপনার বর্ণনাটা শুনে কিছুটা হলেও নিজের স্মৃতির একটা প্রতিবিম্ব যেন দেখতে পেলাম। লেখাটা কষ্টের হলেও খুবই জীবন্ত হয়েছে।

৩০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৬:০৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: বায়েজীদ,আপনাকে একটু হলেও সেটা মনে করাতে পারলে অনেক পেরেছি বলতে হবে।

৩১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৫:৩৮

ইরতেজা বলেছেন: ভাই আপনার লিখা হ্রদয় ছুঁয়ে গেল

৩২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৭ ভোর ৫:৪৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: ইরতেজা ভাই অনেক কৃতজ্ঞতা পড়ার জন্য।

৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৯:১২

অজানা অচেনা বলেছেন: ভাই খুব ভাল লিখেছেন। আমার নিজেকেও খুব শীঘ্রই এধরনের অনুভূতি নিতে হবে। খারাপ লাগছে।
আপনি কি শাখাওয়াত ভাইকে চিনতেন? আমার ব্লগে যাকে নিয়ে পোস্ট দিসি।
বুয়েটের সূত্রেই মনে হয়।

৩৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:১৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: অজানা অচেনা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শাখাওয়াত ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতামনা,৯৯ ব্যাচের ২ জন সিনিয়রের চেনা,তাদের কাছে আমরা প্রথম খবর পেয়েছি।

৩৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৮

অজানা অচেনা বলেছেন: ও, আচ্ছা।

৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:০৬

ম্যাক্সিমিলিয়াস বলেছেন: বিশেষ কারনে গ্রাজুয়েশন পার্টিতে যেতে পারিনি। তাই এটা মিস করেছি। সত্যি খুব খারাপ লাগছে। এত বছর একসাথে থাকার পর ছেড়ে যাওয়াটা খুব বেদনাদায়ক।

সবাই ভাল থাকুক এই কামনাই করি। আশা করি আমাদের ব্যাচের সকলের সম্পর্ক অটুট থাকবে।

৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:০৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: ম্যাক্সিমিলিয়াস,থাকবেই।

৩৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:৩০

অমর বলেছেন: এত চমৎকার লিখেছেন। চোখে ভেসে উঠল এইতো আমাদের দিনগুলো। ভালো লাগলো।

৩৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: অমর,শেষ দিনগুলি কিভাবে কাটছে বুঝাতে পারবোনা,খালি মনে হচ্ছে সবাইকে ছেড়ে যাচ্ছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪০| ২২ শে মে, ২০০৮ রাত ১০:০০

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম...আমি দেশে ইউনিভার্সিটিতে পড়িনি তবে, স্কুল, কলেজের বন্ধুদের খুব মিস করি। স্কুলের শেষ দিনে সেকি কান্না। আহা। কত স্মৃতিরে। কলেজে প্রথম দিকে একটু বোকা টাইপের ছিলাম। পরে অনেক বন্ধু জুটে গিয়েছিল। আমার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হয়। শুধু একজনের সাথে হয় না। নজরুল নামের এক বন্ধু ছিল। পুরা আমার মত। কবিতা লিখত, ছবি আঁকত, গিটার বাজিয়ে গান গাইত। ওর বাবা আর্মিতে হওয়ায় ওদের সবসময় এক জেলা থেকে আরেক জেলাতে যেতে হতো।
কলেজ ছেড়ে যাবার পরেও চিঠি দিয়ে যোগাযোগ হত। পরে আমি লন্ডনে আসার পরে কোন যোগাযোগ নেই। আমি হুট করে চলে আসছিলাম তাই অনেক বন্ধুদের বলেও আসতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এই বন্ধুকে আমি আর খোঁজে পাইনি। ওকে খুব মিস করি। চিন্তান করছি ওকে নিয়ে প্রথ, আলোর ছুটির দিনে'তে একটা লেখা দিবো হয়ত ওর চোখে পড়ে যোগাযোগ করবে।
তোমার লেখাটি আমি অনেক পরে পড়লাম কিন্তু আমার জন্য নতুন ই। লেখাটি ছুঁয়ে গেলো।

২৩ শে মে, ২০০৮ রাত ১:১১

ফারহান দাউদ বলেছেন: আবার বুয়েটে এমএস এ ভর্তি হইসি,পোলাপানের অনেকের সাথেই দেখা হয়,এমনভাবে ধরে একেকজন মনে হয় এক জীবন পরে দেখলাম,আহা জীবন:)

৪১| ২২ শে মে, ২০০৮ রাত ১০:১১

অ্যামাটার বলেছেন: এই তো জীবন...
বহমান এক নদী...

২৩ শে মে, ২০০৮ রাত ১:১১

ফারহান দাউদ বলেছেন: এভাবেই যাবে,যাচ্ছে।

৪২| ২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:২৮

বিবেক সত্যি বলেছেন: এই লেখাটা আগেও দুইবার পড়েছি... অসম্ভব ভালোলাগা একটা লেখা.. অনেকের নাম পরিচিত... কান্নার ব্যাপারটা পড়ে আসলেই ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম.. :)

২১ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:৩৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: যেদিন বের হবেন,টের পাবেন,কান্নার ব্যাপারটা বিশ্বাস করতাম না আমিও,কিন্তু নিজেকে দেখে পরে নিজেই অবাক হইসি,এত বেশি খারাপ লাগবে ভাবি নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.