নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
১৯২৬ সাল ২৩ ডিসেম্বর , দিল্লিতে নিজের বাড়িতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন আর্য সমাজের নেতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ । ডাক্তারের নিষেধ ছিলেন কথাবার্তা বলার । আর্য নেতার ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিং তাঁর দেখ-ভাল্ করতেন । ২৩ ডিসেম্বর বিকালে স্বামী শ্রদ্ধানন্দের সাথে দিল্লির বাসভবনে আব্দুল রশিদ নামে এক যুবক এসে হাজির হলেন । স্বামীজির ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিংকে ওই যুবক জানায় , ইসলাম ধর্মের কিছু বিষয় নিয়ে তার কিছু আপত্তি আছে । সেই ব্যপারেই স্বামীজির সঙ্গে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । কিন্তু ধর্ম সিং যুবকটিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্বামীজির সঙ্গে এখন দেখা হবে না ।
ধর্ম সিংহের এই কথা শুনার পরও যুবকটি না গিয়ে দেখা করার জন্য জোড়াজোড়ি করতে থাকেন । খবরটা স্বামী শ্রদ্ধানন্দের কাছে যায় । শ্রদ্ধানন্দের আদেশে যুবকটিকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হয় । স্বামীজি যুবকটিকে বলেন- অসুস্থ একটু কাটলে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে । এরপর যুবকটি স্বামীজির ব্যক্তিগত সহকারী ধর্ম সিংহের কাছে জল খেতে চায় । ধর্ম সিং ভিতরে জল নিয়ে আসতে গেলে যুবকটি জামার ভিতর থেকে রিভলবার বের করে স্বামী শ্রদ্ধানন্দকে লক্ষ করে দু'বার গুলি চালায় । ( ঠিক যেনো লিলয় নীলের মত ঘটনা ) ঘটনার স্থলেই স্বামীজির মৃত্যু হয় । গুলির শব্দ শুনে শ্রদ্ধানন্দের সহকারী ধর্ম সিং ছুটে এলে তাঁকে লক্ষ করেও একটি গুলি চালায় । পরে অনুসন্ধান করে জানা যায় , আব্দুল রশিদ একটি মৌলবাদী ইসলামিক গোষ্ঠীর সদস্য ।
মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যাকাণ্ডকে কোনো রকম সমর্থন না করেই বলছি-গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পিছনে যাঁরা সর্বদা হিন্দু মৌলবাদ , রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ইত্যাদীর যারা ছায়া খুঁজে বেরান তাঁরা কিন্তু স্বামী শ্রদ্ধানন্দের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বরাবরই নীরব থেকেছেন । অথচ স্বামী শ্রদ্ধানন্দের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিচলিত ব্যথিত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর একটি নিবন্ধে ( 'স্বামী শ্রদ্ধানন্দ ' প্রবাসী 'মাঘ' /১৩৩৩ সালে লিখেছিলেন ,………………… । ' তোমরা ক্রর হোয়োনা , তোমরা ভালো হও , নরহত্যার উপরে কোন ধর্মের ভিত্তি হতে পারে না ।'………………………।
এই ভাবেই ভারতের সেকুলারবাদীদের ভণ্ডরূপ ফোটে ওঠে । তাঁরা বারবার প্রমাণ করেছে যে , ভারতের ইসলামিক মৌলবাদকে এড়িয়ে চলার । এমন কী এইসব সেকুলারবাদীদের চলাফেরাতেও সন্দেহের গন্ধ আঁচ করা যায় । আমরা মাঝে মাঝেই গুজরাটের দাঙ্গা নিয়ে মাতি । প্রতিবাদি হতেও ছাড় দেয়না । কোন দাঙ্গাকে সমর্থন না করেই বলছি , এই ভণ্ড সেকুলার লেবেরল কে যদি প্রশ্ন করা হয় । বাবরির জন্য মুম্বাই ব্লাস্ট হয়েছে খুব সত্য কথা , তবে বলছেন না কেনো গোধরার জন্য গুজরাট দাঙ্গা হয়েছে । এই ভণ্ড সেকুলাররা গোধরা নিয়ে কোনো কথা না বললেও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তাঁরা ঢের প্রতিবাদি ।
তবুও বলব ভারত যেহেতু সহিষ্ণুর দেশ , সেই কারণে গুজরাট দাঙ্গা কখনই সমর্থন যোগ্য নয় ৷
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি একচোখা লেখা লিখিনি । তারপর তোমার খারাপ লাগার ব্যপারটা বুঝলাম না । আঘাতটা তো মানুষের উপরে পরেনি । পরেছে বিভাজনের উপরে
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণটা বোধগম্য নয়। অনেক জটিল হয়ে গেছে সংক্ষিপ্তকরণের দিকে যাওয়াতে। সেক্যুলারদের ভন্ড বলার হেতু কী সেটাও পরিস্কার নয়।
একটা ঘটনা দিয়ে আরেকটি ঘটনা জাস্টিফাই করাটা সভ্যতার প্রগতির অন্তরায়। এটা মানব সভ্যতার পিছুটানও বটে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভারতের একটা চুরান্ত সমস্যা আছে । সেটা হল যারা সেকুলার বলে দাবি করে তারা সমান আলোচক নয় । খারাপের বিপক্ষে কথা বলবে এইটাই কাম্য কিন্তু সেটি তারা করেন না । যেহেতু তারা কোন না কোন রাজনৈতীক অন্তরভুক্ত সেহেতু তারা ভোটের জন্য একটা সাইড নিয়ে নেয় । এই জন্যই তাদের আমি ভণ্ড বলেছি । মহাত্মাগাঁধীকে হত্যা করাটা যতটুকু অন্যায় বলে যারা ভাবছেন এবং প্রতিবাদী হচ্ছেন তবে শ্রদ্ধানন্দ হত্যাকারিও একই দোষে দুষ্ট ? সমান আলোচনাটাই সমলোচনা ।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
মুখ ও মুখোস বলেছেন: তোমার লেখা তুমি এক সাপ্তাহ পরে পড়লে, নিজেই বিরক্ত হয়ে বলবে, কি সব ছাইপাশ লেখা!
যাও, ভালো করে পড়াশোনা করো।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন:
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: গোধরার দাঙ্গা যে উগ্রপ্নথী মুসলমানরাই করছে এটার প্রমান কি আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারছে? অনেকে তো তথ্য প্রমান সামনে আনেন এইটাকে মোদীর নির্বাচনী চাল হিসেবে। উগ্রবাদকে উস্কে দেয়ার সুক্ষ পরিকল্পনা ধর্মান্ধদের দিয়ে। আমিও বলবো, আসলে কি বলতে চান ওইটা আয়নার সামনে দাড়াইয়া প্যাকটিস করেন। এরপর নিজে সন্তুষ্ট হইলে লিখতে বইসেন। লেখার পরেও বার কয়েক রিডিং দিয়েন।
আপনার জন্য এক আকাশ শুভকামনা রইলো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি মৌলবাদের বিপক্ষে । সে যে কোন মৌলবাদের বিপক্ষে । ধর্মকে আমি অশান্তের কারণ হিসেবে দেখি । আমি আলোচনা বা কোন লেখা লিখি তা যেনে লিখি বা বলি ।
তুমি কি মৌলবাদের বিপক্ষে না ?
গুজরাটটা যেমন লিখেছি ,গোধরাও তেমন লিখেছি । যে গোধরা দাঙ্গা লাগিয়েছিল সে মাসখানেক আগে ধরা পরেছে । নামটা লিখলাম না ।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: স্যার, অাপনর লেখা সসময় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অনেক তথ্যবহুল আপনার লেখনি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪
কল্লোল পথিক বলেছেন: আপনি কি বলতো চান?
মুসলমানেরা শুধু মৌলবাদী
আর বর্ণ হিন্দুরা ধোয়া তুলসী পাতা।
একটু ঝেড়ে কাশুন মশাই
এ সব সাম্প্রদায়িক সেন্টিমেন্টে সুরসুরি দেয়া বাদ দেন।