নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
খাগড়াগড়: জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল ভারত, বাংলাদেশে আত্মঘাতী হামলা চালানো, জানান এনআই
কলকাতা: আত্মঘাতী হামলার জন্য একেবারে প্রস্তুত ছিল খাগড়াগড়ের জঙ্গিরা। দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এমনই হাড় হিম করা তথ্য পেশ করেছে খোদ এনআইএ!
সোমবার আদালতে ৬৬ হাজার ৭৫৩ পাতার নথি পেশ করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র রিক্রুটের যাবতীয় প্রক্রিয়া চলত পশ্চিমবঙ্গে। প্রথমে নতুনদের মগজধোলাই, তারপর জেহাদি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করা হত। পাশাপাশি চলত অস্ত্র প্রশিক্ষণ, আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ।
এপ্রসঙ্গে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে বর্ধমানের কাটোয়ার শিমুলিয়া ও মুর্শিদাবাদের লালগোলার মুকিমবনগর মাদ্রাসার কথা। সেখানেও এধরনের প্রশিক্ষণ চলত বলেই এনআইএ সূত্রে দাবি। ভারতে নাশকতার পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশেও ক্ষমতা কায়েমের ছক কষেছিল জঙ্গিরা। চার্জশিটে বলা হয়েছে, বর্ধমান বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাকে যুক্ত করে বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের।
দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এনআইএ-র দাবি, প্রস্তাবিত এই বৃহত্তর বাংলাদেশে শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠা করা ছিল জেএমবি-র মূল লক্ষ্য। তার জন্য যে কোনও পথে হাঁটতে প্রস্তুত ছিল তারা। এই কারণে এনআইএ-র চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। বস্তুত,
ভারতের মাটি ব্যবহার করে এশিয়ার কোনও দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হলে এই ধারা প্রয়োগ করা হয়।
শুধু তাই নয়, খাগড়গড়ে বসে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে বাংলাদেশে বসে থাকা সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের টেলিফোনিক কথপোকথনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণও এনআইএ-র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দেওয়া রয়েছে। চার্জশিট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসে থাকা জেএমবি-র শীর্ষ নেতারা ফোনে যোগাযোগ রাখত পশ্চিমবঙ্গে বসে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে নির্দেশ যেত পার্শ্ববর্তী অসম এবং ঝাড়খণ্ডেও! বাংলাদেশে বসেই জেএমবি-র শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্ক রেখে চলত পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে।
সেখান থেকে প্রাপ্ত নির্দেশ আবার ফোন মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হত পশ্চিমবঙ্গে। এইভাবেই দিনের পর দিন, মাসের পর মাস নির্বিঘ্নে, অবাধে নিজেদের কাজকর্ম চালাত জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এনআইএ সূত্রে খবর, জেএমবি তাদের প্রশিক্ষিত আট থেকে দশজনকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছিল। কয়েকজন মাঝেমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করত। আর গুটিকয়েক জেএমবি নেতা বাংলাদেশে বসেই যাবতীয় ছক কষত।
এনআইএ-এর তথ্য অনুযায়ী এদের মধ্যেই অন্যতম ছিল সইদূর রহমান! জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষনেতা।
যার হাত ধরেই ২০০৮ সালে বাংলাদেশের আরও পাঁচটি কট্টর মৌলবাদী সংগঠন জামাতের ছাতার তলায় চলে আসে। আর শক্তিশালী হয়ে ওঠে জেএমবি।
এনআইএ-র দাবি, এর মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গি একাধিকবার বাংলাদেশ ঘুরেও এসেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়কাণ্ডে ধৃত নঈম ওরফে নুরুল হক মণ্ডল বাংলাদেশের যাত্রাবাদী ও মীরপুর এলাকায় বেশ কিছুদিন ছিল। সেখানে সে তলহা ওরফে বশিরের কাছে বোমা বানানো শেখে।
নঈমের কাছ থেকে পাওয়া নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সে ওসামা-বিন-লাদেন, মোল্লা ওমর, বাংলা ভাই এবং লস্কর ই তৈবার ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হত। চার্জশিটে এনআইএ-র দাবি, নঈমকে এসব ভিডিও দেখাত সুমন নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশি নাগরিক সুমন মাঝে মাঝে মুর্শিদাবাদের প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে জেহাদি ভাষণ দিত। শেখাত অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির মারপ্যাঁচও।
এনআইএ-র বক্তব্য, সেই নঈমও বাংলাদেশে গিয়ে এই সইদূর রহমানের কাছেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সঈদূর রহমানের ছেলে তলহা ওরফে বশির বাবার মতোই জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা।
জেএমবি-র জঙ্গি কার্যকলাপের অন্যতম মধ্যমণি! টেলিফোনে আড়ি পেতে এদের প্রত্যেকের কথপোকথন, ছক, নির্দেশ– এসবের হদিশ পেয়েছে এনআইএ।
এমনকি, হাতকাটা নাসিরুল্লা, বুরহান শেখ, ইউসুফের মতো খাগড়াগড়কাণ্ডে পলাতকরাও যে এখনও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছে এবং গ্রেফতারি এড়াতে প্রতি মুহূর্তে ডেরা বদলাচ্ছে, তার সন্ধানও পেয়েছে এনআইএ। খোঁজ চলছে তাদেরও।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। যদি না খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ ঘটত, তাহলে কী হত! ভেবে শিউরে উঠছেন অনেকে ৷
সূত্র- ABP আনন্দ নিউজ চ্যানেল
http://abpananda.abplive.in/state/khagragarh-blast-case-terrorists-were-ready-for-suicide-missions-claims-nia-160446
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সে তো তোমার ব্যক্তিগত ব্যপার ।
তবে এনআই মিথ্যা কথা বলে না ।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যাটাদের থেতলে দেয়া হোক
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮
প্রামানিক বলেছেন: চিন্তার বিষয়
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভীষণ চিন্তার ব্যপার । শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয় বাংলাদেশের জন্যও
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২
কল্লোল পথিক বলেছেন: দুঃখিত মশাই, খবর টা আমি মোটেও বিশ্বাস করতে পারলাম না।
আমার কাছে তোতা পাখির শেখানে বুলির মত মনে হল।
গতানুগতিক আনন্দ বাজার গোষ্টী যেমন লেখে আর কি!