নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
সমাজ আজ অনেকটা পথ অতিক্রম করে সুসভ্যতার প্রথম আলোতে চোখ মেলেছে মাত্র ৷ এই পৃথিবীতে দুটি জাতি হিসেবে যারা, তাঁরা হলেন নারী ও পুরুষ ৷ আর এই সমাজে পুরুষকে বলা হয় সোনার আংটি, আর নারীকে বলা হয় জল ৷ জল এত প্রয়োজনীয়, যার নাকি কোনো মূল্যই নেই ৷ তবুও আমি নারীকে সোনার মত মূল্যবান বস্তু বলব না ৷ যেহেতু জলের আরেক নাম জীবন, সেহেতু জল নামেই নারীর নাম করণ করবো ৷ হ্যাঁ, যার জন্য জীবন, তাঁকে জল না বলে সোনা বলতে পারিনা ৷
সেই নারী ৷ হ্যাঁ, তাদের আজ এই ধর্ম ও সমাজ কোথায় টেনে হ্যাঁচরে নামিয়েছে ৷ চারিদিকে হাঁহাঁকারের মত চিৎকার নারী স্বাধীনতা চাই বা দিতে হবে ৷ তার জন্য চারিদিকে মিছিল, মিটিং, আলোচনা, সংযদ কতকিছু ৷ কিন্তু এই স্বাধীনতা কে দিবে ৷ শাসক, সমাজ না সংস্কৃতি ৷ না ৷ এরা কেউই বোধহয় দিবে না ৷ কেননা এরা ধর্মের বসে ফুলেফেপে পুরিপুষ্ট ৷
চীনদেশের একটা প্রচলিত প্রবাদ আছে- জ্ঞানে যেমন পুরুষের শোভা বৃদ্ধি করে অজ্ঞানে তেমনী স্ত্রী লোকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ( মাদাম কুরী, ইন্দ্রাগান্ধী, বেগম রোকেয়া, লতা, এঁনাদের সৌন্দর্য জ্ঞানে, অজ্ঞানে নয়) ৷
আসল কথা স্ত্রীলোককে অজ্ঞান বানাতে পারলে ৷ নিজেদের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা যায় ৷ স্ত্রীলোককে অশিক্ষিত রাখার জন্য শাস্ত্রে হুকুম দিয়েছে ৷ মোজেজ, পল, শ্লোক বেঁধেছে, শাস্ত্র তৈরী করেছে ৷ তারা বলেছে স্বাধীনতা পুরুষের জন্য, স্ত্রীলোকের জন্য নয় ৷ নারীত্বের মূল্য পুরুষ মানুষ কখনও বোঝার চেষ্টা করেনি ৷ তোমরা ( স্ত্রীলোকেরা) যাদের ঈশ্বর ভেবেছো ৷ সেই ঈশ্বর তোমাদের কে অপমান, অত্যাচার ও ঘৃনা উপহার দিয়েছে ৷ তা না হলে ভগবান শঙ্কারাচার্য বলতে পারতেন -' নারী নরকের দ্বার '৷ ( সেই দ্বারে প্রবেশ করছে সমস্ত পৃথিবীর পুরুষ) বাইবেলে বলেছে- rood of all evil অর্থাৎ- সমস্ত অহিতের ( অমঙ্গলজনকের) মূল ৷ ৫৭৮ খৃষ্টাব্দে আহুত ওসিয়ায় ক্রীশ্চান ধর্মসঙ্গে স্থির করেন স্ত্রীলোকের আত্মা নেই ৷ ( তবে কি স্ত্রীলোক জড় পদার্থ? ) না ৷
এহলো পৃথিবীর সভ্যতা ও সমাজ বিকাশের নোংরা ইতিহাস ৷
( লেখাটা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে ৷)
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১
টোকাই রাজা বলেছেন: ছুয়ুনা ছুয়ুনা ছি !! ও সে চন্ডালীনির ঝী !!
এই যুগ থেকে আমরা আজো বের হতে পারিনি। এটাই হাতাশার ।
নারীদের তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে এবং নারীদেরও পুরুষকে সম্মান করতে হবে।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: ইসলাম কি বলে একটু দেখুন ।
ত্রীদের প্রতি দয়া ও কোমলতা প্রদর্শন করা এবং হিংস্রতা থেকে দূরে থাকা
দুনিয়ার কোন মানুষই ভুল-ত্রুটির উর্ধে নয়। আপনার স্ত্রীও একজন মানুষ, তারা কোন রোবট নয় সুতরাং আপনি যেমন ভুল করতে পারেন, আপনার স্ত্রীও ভুল করতে পারে। আপনি নিজে চিন্তা করুন, আপনি দিনে-রাতে উঠতে বসতে কত ভুল করছেন কিন্তু আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করছেন ও সুযোগ দিচ্ছেন – তাহলে আপনি কেনো অন্য আরেকজনের সূক্ষ্ম ভুলকে পাহাড় সমান বানাচ্ছেন? স্ত্রীদের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করতে শিখুন, তাদেরকে উত্তম ভাষায় উপদেশ দিন, নিজে ভালো হয়ে তার সামনে সুন্দর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরুন। এতে করে যেমন আপনি নিজে মানসিকভাবে শান্তি পাবেন, স্ত্রী আপনার কটু কথার অত্যাচার থেকে রেহাই পাবে – এবং এইরকম ভালো আচরণ ও কোমলতার অভ্যাসের বিনিময়ে আশা করা যায় আপনার স্ত্রীর কোন ভুল থাকলে সে সংশোধন করতে আগ্রহী হবে।
পক্ষান্তরে আপনি যদি কোমলতা না দেখান, সামান্য ব্যপার নিয়ে স্ত্রীর সাথে বাধাবাধি করেন তাহলে জেনে রাখুন – এতে হিতে বিপরীত হবে। বেশি সমালোচনা দুনিয়ার সবচাইতে ভালো মানুষটাকেও খারাপ বানিয়ে দেয়, এতে তার মাঝে খারাপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়, ফলে সে নিজের ভুল সংশোধন না করে উলটো বেকে বসে। এইজন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষদেরকে খুব বেশি নসীহত করেছেন তাঁর উম্মতদেরকে, তারা যাতে করে তাদের স্ত্রীদের জন্য কল্যানকামী হয়, তাদের সাথে ভালো আচরণ করে।
আ’মর ইবনুল আহ্ওয়াস থেকে বর্ণিত। তিনি বিদায় হাজ্জে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে উপস্থিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করেন এবং ওয়াজ-নসীহত করেন। এরপর তিনি বলেনঃ
“তোমরা নারীদের সাথে উত্তম ব্যবহারের উপদেশ শুনে নাও। কেননা তারা তোমাদের নিকট আবদ্ধ আছে। এর অধিক তাদের উপর তোমাদের কর্তৃত্ব নাই যে, তারা যদি প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়, সত্যিই যদি তারা তাই (প্রকাশ্য অশ্লীলতা) করে, তবে তোমরা তাদেরকে পৃথক বিছানায় রাখবে এবং আহত হয় না এরূপ হাল্কা মারধর করবে। অতঃপর তারা তোমাদের অনুগত হয়ে গেলে তাদের উপর আর বাড়াবাড়ি করো না। স্ত্রীদের উপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, তোমাদের উপরও তাদের অধিকার আছে। তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার এই যে, তারা তোমাদের শয্যা তোমাদের অপছন্দনীয় লোকদের দ্বারা মাড়াবে না এবং তোমাদের অপছন্দনীয় লোকেদেরকে তোমাদের ঘরে প্রবেশানুমতি দিবে না। সাবধান! তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, তাদের ভরণপোষণ, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সজ্জার ব্যাপারে তোমরা তাদের প্রতি শোভনীয় আচরণ করবে।” (সুনানু ইবনে মাজাহ্, নিকাহ বা বিবাহ অধ্যায়ঃ ১৮৫১, তিরমিযী ১১৬৩, হাদীসটি হাসান সহীহ, ইরওয়াহ ১৯৯৭-২০২০।)
আপনি নিজে আল্লাহকে মানেন না, আপনার চরিত্র যদি ফেরাউনের মতো হয় তাহলে আপনি কি করে আশা করেন আপনার স্ত্রী আসিয়ার (আঃ) এর মতো উত্তম হবে? আপনি মুহা’ম্মাদ সাঃ এর আদর্শকে অনুসরণ করুন – তাহলে আপনি আশা করতে পারেন আপনার স্ত্রী খাদিজাহ (রাঃ), আয়িশাহ (রাঃ) এর মতো হবে।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কোনদিন নিজের স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলেনি নি, তাদেরকে গালি দেন নি – অন্যায়ভাবে কটু কথা বলে তাদেরকে কষ্ট দেন নি। বরং, তিনি কোমলতা প্রদর্শনের জন্য কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।
হাদীসগুলো দেখুনঃ
• আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “আমার কাছ থেকে মেয়েদের সাথে সদ্ব্যবহার করার শিক্ষা গ্রহণ কর। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টা সর্বাপেক্ষা বাঁকা। অতএব তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখ তবে বাঁকা হতেই থাকবে। অতএব, নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার কর।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীনঃ ২৭৩।)
• আয়েশা (রাযিঃ) থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ দয়ালু, তিনি কোমলতাকে পছন্দ করেন। তিনি কোমলতার বিপরীতে দেন যা তিনি সহিংসতার বিপরীতে দেন না, কোমলতা ব্যতীত অন্য কিছুর বিপরীতে দেন না।” (সহীহ মুসলিম।)
• আয়েশা (রাযি থেকে আরেকটি হাদিসে এসেছে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ কোমলতাপূর্ণ, তিনি সকল বিষয়ে কোমলতাকে পছন্দ করেন।” (বুখারি ও মুসলিম।)
• জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযি থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, “যাকে কোমলতা থেকে বঞ্চিত করা হল তাকে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত করা হল।” (সহীহ মুসলিম।)
• ইমাম আহমদ আয়েশা (রাযি হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাকে খেতাব করে বলেছেন, হে আয়েশা! তুমি কোমলতা অবলম্বন করো; কেননা আল্লাহ তাআলা যখন কোনো পরিবারের কল্যাণ চান তখন তাদেরকে কোমলতার পথ দেখান, অন্য এক বর্ণনা মতে- আল্লাহ যখন কোনো পরিবারের কল্যাণ চান, তিনি তাদের মধ্যে কোমলতার প্রবেশ ঘটান।” (মুসনাদে আহমদ।)
দুনিয়াবাসীর মাঝে আপনার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনই আপনার কোমলতা পাওয়ার সবচেয়ে বেশি দাবীদার।
সর্বশেষ, আপনি যদি আপনার ঘরের নারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন – আপনার পরকাল নষ্ট হবে, সাথে সাথে আপনি দুনিয়ার জীবনে থার্ডক্লাস নিম্নশ্রেণীর পুরুষ হিসেবেই গণ্য হবেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“শুধুমাত্র সম্মানিত লোকেরাই নারীদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করে। আর যারা অসম্মানিত, নারীদের প্রতি তাদের আচরণও হয় অসম্মানজনক।” সুনানে আত-তিরমিযী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
মুক্ত সকাল বলেছেন: মহিলা ও গরিব শ্রেণীকে ধর্ম শোষন করে যাচ্ছে তা আমি ও আপনি অনায়েশেই বলতে পারি কেন জানেন?
- কারণটা হলো আমরা ধর্মতে অজ্ঞ