নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
ইতিহাসের এতটা অবিকল পুনরাবৃত্তি কি ঘটে?
ইসলামাবাদের মসনদে সেই নওয়াজ শরিফ। নয়াদিল্লির রাজদণ্ড সেই বিজেপির হাতে। কূটনীতির ছক ভাঙা পথে এগিয়ে আবার সেই ভারত-পাক মৈত্রীর চেষ্টা। আর তার অব্যবহিত পরেই আবার আক্রান্ত ভারত।
সেটা ছিল ১৯৯৯ সাল। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলাতে বাজপেয়ী শরিফের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও এল। চালু হল শ্রীনগর-মুজফ্ফরাবাদ বাস পরিষেবা। কাশ্মীরের বহিরঙ্গে যখন এই মৈত্রী-বাসের সুখী যাতায়াত চলছিল, ভিতরে ভিতরে তখন ছুরি চালানোর প্রস্তুতি। পরে জানা গিয়েছিল সে কথা। কাশ্মীরের পাহাড়ে পাহাড়ে গোপনে বাঙ্কার তৈরি করে আচমকা এক দিন ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণ শুরু করেছিল প্রতিবেশী দেশের বাহিনী। বাজপেয়ীর মৈত্রী-বিভ্রমের প্রায়শ্চিত্ত করেছিল সেনা। রক্তক্ষয়ী কার্গিল যুদ্ধের মূল্যে ভারত ফিরে পেয়েছিল নিজের বেদখল হওয়া ভূখণ্ড।
এই ২০১৫ সালে এসে ভারত আর পাকিস্তানের ক্ষমতার অলিন্দে স্থান-কাল-পাত্র ফের অনেকটা সেই ১৯৯৯ সালের মতোই। শুধু নয়াদিল্লির বিজেপি সরকারের ব্যাটনটা হাতবদল হয়ে বাজপেয়ীর বদলে এখন মোদীর কাছে। অনেক দিন পর আবার ছকভাঙা পথে ইসলামাবাদকে কাছে টানার চেষ্টায় নয়াদিল্লি। আর এ বারও ভারত-পাক মৈত্রীর লক্ষ্যে কয়েক পা এগোতেই হামলার মুখে ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের জায়গায় পঞ্জাব। কার্গিলের জায়গায় পাঠানকোট।
কিন্তু পরিস্থিতি কি ঠিক একই রকম? মনে হচ্ছে না। ইতিহাসের অবিকল পুনরাবৃত্তি এটা নয়। কার্গিলের যুদ্ধ আর পাঠানকোটের আত্মঘাতী হানার প্রাবল্যের মধ্যে কোনও তুলনা হয়ই না। সে তুলনা বাদ দিলেও এ বারের চিত্রপট বেশ খানিকটা আলাদা। পাক বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে ভারতে এই জঙ্গিহানার নিন্দা করেছে। ভারত সরকার বার বার বলছে, এই হামলা পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরাই করেছে। কিন্তু ইসলামাবাদ এই হামলাকারীদের পাশে রয়েছে বলে কোনও ইঙ্গিত নয়াদিল্লির মন্তব্যে নেই। দু’দেশের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ নেই। মোদীর পাক-নীতিকে বিরোধী দলগুলি গোড়া থেকেই আক্রমণ করছে। পাঠানকোট হামলার পরও করছে। ১৯৯৯-এর পুনরাবৃত্তি হল বলে ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু সেই সমালোচনার সুরও যথেষ্ট নরম, সংযত।
আসলে দু’দেশই এ বার অনেক সতর্ক, অনেক সংযত। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের হিমবাহ খুঁড়ে যেটুকু পথ অগ্রসর হওয়া গিয়েছে, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করতে মরিয়া আত্মঘাতী উগ্রবাদের জন্য সেই পথে আবার বরফ বিছিয়ে দেওয়ার যে কোনও অর্থ হয় না, আমরা এ বার বোধ হয় তা বুঝতে পারছি।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তাহলে ভারত-পাক মৈত্রী চাই না যে তৃতীয় পক্ষ সে কি কংগ্রেস ? হতেই পারে !!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট