নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
বিদ্যা সাগর আমার জীবনের আইকন । আমি মনে করি পৃথিবীর সমস্ত হিন্দু বাঙালিরা যদি তাদের শরীরের চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে দেয় । তবুও তাঁর ঋণ শোধ করা যাবেনা ।
বিদ্যা সাগর সমাজটাকে নিয়ে শুধুই ভাবেননি । নিজেন জীবন ও সারা জীবনের অর্জিত অর্থ ব্যয়ে চেয়েছিলেন হিন্দু সমাজের পরিবর্তন । কিন্তু আমি বিশ্বাস করি । আজও বিদ্যা সাগর যেমন সমাজটি দেখতে চেয়েছিলেন তা হয়ে ওঠেনি । হিন্দুরা এদিক থেকে ব্যর্থ ।
১৮৫৬ সালের ৭ই ডিসেম্বর উক্ত আইনের বলে নিজ তত্বাবধানে প্রথম হিন্দু বিধবা বিবাহ সম্পন্ন করেন । ১২৯ বছর হলো । তবুও আজ সমস্ত হিন্দু সমাজ মেনে নিতে পারল না বিধবাদের বিবাহের ব্যপারে । বাস্তবে সময় পরিবর্তন হলেও সমাজ ব্যবস্তার পরিবর্তন হয়নি । পুরনো ধ্যান ধারনায় চলছে সমাজ ।
কিন্তু তারা জানেন না যে , এই বিধবা বিবাহের জন্য তিনি অকাতরে অর্থব্যয় করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত কপর্দক শূন্য হয়ে পড়েন ।
জানা যায় ততকালি ৯৬ হাজার টাকা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য ব্যয় করেছিলেন ।
এমন কি তাঁর পুত্র নারায়নচন্দ্র কে এক বাল-বিধবাকে দিয়ে বিবাহ দেন । কিন্তু সেই দিন তাঁর আত্মিয় স্বজন এই বিবাহে আপত্তি জানিয়েছিলেন । পরে অবশ্য এই আত্মীয়রা পিতা পুত্রের মধ্যে একটা বিবাদ স্থাপন করেন ।
তাঁর পুত্র যখন তার বিবাহিত স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চাইল , কিন্তু ন্যায়নিষ্ট বিদ্যাসাগর তাতে প্রবল আপত্তি জানালেন এবং তাঁর উইলে পুত্রবধুকেই তাঁর নীজ সম্পত্তির অধিকার দিলেন । তবুও নিজ পুত্রকে এককানা কড়িও দেননি ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ঠিক বলেছ ৷ তবে পুরনো জঙ্গলগুলো না মরলে পুরোপুরি উঠবে না ৷ ভারত কিন্তু অনেকটাই নির্মল একটি রাজ্য ছাড়া, তা হলো উত্তরপ্রদেশ ৷
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
ইফতেখার রাজু বলেছেন: হিন্দুরা নিজেরাই নিজেদের সেলফ সেন্সরশিফ করে ফেলেছে। আমাদের দেশে যেমন, ভারতে তা আরো প্রকট। একটি কুসংস্কার নিরোধে পুরো ধর্ম ও যাপিত জীবন পরিবর্তন সম্ভব না। ইশ্বর চন্দ্ররা তাদের কাজ করে গেছেন, নতুন যুগের নতুন সমস্যগুলো কে প্রতিরোধ করবে। তদজন্যে পরিবার থেকেই শিশুদের ধর্মীয় সামাজিকিকরণ শিক্ষা দিতে হবে। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। হিন্দু ধর্মে কিছু গোঁড়ামি রয়েছে, যেগুলো ছেটে ফেলতে হবে। অন্য ধর্মে যে নাই তা কিন্তু না। আমি চাই ধর্মের ভিত্তিতে নয়, মানবিক চিন্তা চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্রযন্ত্র চলুক।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তোমার শেষের লাইনটাই শেষ কথা
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: বিদ্যাসাগর যা দেখিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে বিশাল ব্যাপার।
তুমি নিজে কি ব্যাপারটা এভাবে দেখ?
বিয়ে তো মনে হয় করনি। যদি না করে থাক একটা বিধবা বিয়ে করে দেখাও।
তুমি করলে সমাজ আর একটু এগোবে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: কি ভাবে বুঝলে আমি বিয়ে করিনি ৷৷৷৷
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
ইফতেখার রাজু বলেছেন: ব্যাক ট্রেইলের সঙ্গে সহমত
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪০
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: সে আর বলতে!!!
খালি বিয়ে করতে যাওনা, তখন বলবে বিদ্যাসাগর এইটা কি করলেন?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বিধবাদের বিয়ে হবে এটাই চেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর ৷ তুমি বিদ্যাসাগরকে বুঝতে পারনি ৷ লেখাটা বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য ৷
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: সে জানি তো, কেউ একজন বিধবা হলে তার বিয়ে অন্তত হওয়াটা অনেক কঠিন। কারণ কি জান? তোমাদের মত ছেলেরা বিধবা বিয়ে করতে রাজী না।
তাহলে বিদ্যাসাগরের এই মহৎ কাজের কি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে?
বুঝলে তো বুঝছ, না বুঝলে নাই। আর বোঝাতে পারবোনা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি বুঝি কম
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫
রাজীব বলেছেন: এই কাজটি একজন করেছিলেন ১৪০০ বছর আগে। ভেবে দেখুন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: হুম
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এতো সহজ নয়। ব্যক্তিক পরিবর্তন হলেও সেই পরিবর্তনটাকে সমষ্টিকরণ করা কঠিন। তাই হিন্দু ধর্মে বিধবা বিবাহ সার্বজনীন হয় নি।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সম্পূর্ন নয় ৷ তবে ইণ্ডিয়াতে অনেকটাই হয়েছে
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জোর্তিময় একজন মানুষ।
সমাজ পরিবর্তনের যে ধারার পথিকৃত তিনি, সে ধারাস্রোতে সমাজ এগিয়েছে অবশ্যই। হয়তো সেটা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের প্রত্যাশা অনুসারে নয়।
তবে বিধবা বিবাহ নিয়ে সনাতন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী এখন অনেক পরিবর্তিত।
শুভকামনা থাকছে। অনেক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বাংলাদেশে কতটুকু হয়েছে জানিনা ৷ তবে ভারতের যেসব বিধবা মনে করেন বিয়ে করব আবার তাদের বিয়ে হয়েছে ৷ বহু প্রমান আছে
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮
প্রামানিক বলেছেন: বিদ্যা সাগর মানুষের মূল্যায়ন করতে চেয়েছিলেন, বিধবারা যে মানুষ এবং সাধারণ মানুষের মতই তাদের নানা রকম চাহিদা আছে এটা বিদ্যাসাগর বুঝলেও হিন্দু ধর্মের লোকজন এখনও বুঝতে চায় না, তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বিধবাদের মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে থাকে।