নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
আইন অনুযায়ী তাসকিনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে ঠিক করেছে আইসিসি?
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের ক্রিকেটে সবথেকে আলোচ্য বিষয় সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন। আর এ ক্ষেত্রে যে দুটো নাম জড়িয়েছে, তা হলো বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ এবং আরাফত সানি। তবু, সানির নামের থেকে অনেক বেশি আলোচনা করা হচ্ছে তাসকিন আহমেদকে নিয়ে। এর কারণও খুব পরিষ্কার। তার কারণ, মাত্র অল্প সময়ের কেরিয়ারেও বাংলাদেশ দলের অন্যতম শক্তি হয়ে উঠেছে তাসকিন আহমেদের বোলিং। বাংলাদেশ খেলছেও টি২০ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে। এরকম একটা বড় প্রতিযোগিতায় খেলার মাঝপথেই যদি দলের অন্যতম সেরা বোলারকে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নির্বাসন করা হয়, তাহলে তো বাংলাদেশের লাগবেই। এমন ঘটনা যেকোনও দেশের ক্ষেত্রে ঘটলে, তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতো। এবার আবেগের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে আসল প্রসঙ্গে চলে আসা যাক।
তাসকিনের বোলিং অ্যাকশান দেখে উপর উপর বোঝার খুব একটা উপায় নেই যে, তিনি বল ছুঁড়ছেন। বরং, লসিথ মালিঙ্গা, জশপ্রীত বুমরাহ, আনসারিদের বোলিং অ্যাকশন দেখেই সন্দেহজনক মনে হয়, কখনও কখনও সাদা চোখেই। কিন্তু তাসকিনের ক্ষেত্রে মোটেই এরকম নয়। বরং, বলা যেতে পারে, তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন তুলনায় অনেক বেশি পরিষ্কার। তার আরও একটা বড় কারণ, তাসকিন বল করার সময় যখন ছোটেন তখন তাঁর হাতের বল, তাঁর শরীর থেকে অনেকটা দূরে থাকে। এবং সিমের কোন জায়গায় তিনি আঙুল রেখেছেন, সেটাও পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকে। মানে, আপনি যদি কপিল দেবের বোলিং অ্যাকশনকেই আদর্শ মানেন, তাহলে তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন একেবারে উল্টো কথা বলবে।
কিন্তু বল কীভাবে ধরা হল, সেটা দিয়ে বোঝা যায় না, বল ছোঁড়া হচ্ছে নাকি হচ্ছে না। এরজন্য আইসিসির একদম পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে নিয়ম করা আছে। আইসিসি-র সেই নিয়মটাই একবার দেখে নেওয়া যাক। তার বড় কারণ, বাংলাদেশ শুরু থেকেই বলার চেষ্টা করছে, যে তাসকিনের সঙ্গে একেবারেই ঠিক করেনি আইসিসি। এবং এক্ষেত্রে ভারতীয় বোর্ডেরও কলকাঠি দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। অবশ্য এই বক্তব্যগুলো সবটাই বাংলাদেশের আম ক্রিকেটপ্রেমীদের। কোনও অফিসিয়াল বক্তব্য নয়। দুই, কোনও দেশই তাদের অন্যতম সেরা বোলারের এমন আচমকা নির্বাসন মেনে নিতে পারবে না। তাই বাংলাদেশী ক্রিকেটপ্রেমীদের এই আবেগ এবং বক্তব্য বোধগম্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও, কোনও কিছুকে ঠিক বা ভুল বলতে গেলে, তার যুক্তিগুলোও দেখে নেওয়া দরকার। আর এটা অবশ্যই হাস্যকর যে, তাসকিনের বিষয়েও বিসিসিআই কলকাঠি নেড়েছে!
এবার আসি আসিসি-র নিয়মে। আইসিসি-র Law 24.3 (Definition of fair delivery — the arm) এ বলা রয়েছে, 'A ball is fairly delivered in respect of the arm if, once the bowler’s arm has reached the level of the shoulder in the delivery swing, the elbow joint is not straightened partially or completely from that point until the ball has left the hand. This definition shall not debar a bowler from flexing or rotating the wrist in the delivery swing.'অর্থাত্ যদি কোনও বোলার তাঁর বল ডেলিভারি করার সময়, যখন সে তাঁর কনুই, কাঁধের সমান উচ্চতায় তুলে ফেলেছে, সেই সময় তাঁর কনুই বেঁকে থাকে। ওই কাঁধের উচ্চতায় কনুই বাঁকা অবস্থায় থাকা থেকে, বলটি ছাড়া পর্যন্ত কোনও সময়ই যেন তাঁর হাত একেবারে সোজা না হয়ে যায়। অর্থাত্ কাঁধের সমান উচ্চতায় যদি হাত বেঁকে থাকে, তাহলে সেই থেকে বলটা ছাড়ার সময় পর্যন্ত হাত যেন একেবারে সোজা না হয়ে যায়।
এই নিয়ম মানলে আপনাকে সবার আগে তাসকিনের বল করার ছবি দেখতে হবে খুঁটিয়ে। সেই ছবি ভিডিও হতে হবে। তারপর সেগুলোকে স্লো করে দেখে নিতে হবে। বিশেষ করে এই টি২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ড ম্যাচেই তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন দেখুন। সেখানে কিন্তু যদি আপনি খুঁটিয়ে দেখেন, তাহলে বলতেই হচ্ছে, তাসকিন সন্দেহের উর্ধে নয়। অর্থাত্ আইসিসি অকারণে তাঁকে বল করা আটকাচ্ছে না। এই বিষয়ে আরও একটা পরামর্শ দিতে হবে। বোলিং সন্দেহজনক লাগাটা কিন্তু দৃষ্টিনন্দন বোলিং ডেলিভারি কিংবা একটু বদখত ডেলিভারি অনুযায়ী হয় না। কারণ, কিছু বোলারকে বল করতে আপনি যেমন দেখেই মনে করেন যে, ইস বোলিং ডেলিভারিটা কেমন যেন। মানে, সুন্দর নয়। এর মানে, এই নয় যে, সে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বল করছে। আপনাকে সঠিক নিয়ম অনুযায়ীই বল করতে হবে।
ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে অবশ্যই চাইবো, তাসকিন যেন তাড়াতাড়ি তাঁর বোলিং অ্যাকশন সামান্য শুধরে নেন। এবং নির্বাসন কাটিয়ে এসে ফের নিজের দল এবং দেশের হয়ে ভালো বল করেন। সাফল্য পান। কিন্তু তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন একেবারে সন্দেহের উর্ধে এমনটা মোটেই নয়। তাই এই ছবিগুলো দেওয়া হল। আপনাদের আবেগে ধাক্কা লাগলে, তা বোধগম্য। সেইজন্য প্রার্থনাও থাকলো, তাসকিনের জন্য। কিন্তু এই কথাগুলো বলারও দরকার।
:
সংগ্রহ-24 ghanta
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমার ভাবনাটা অন্য জায়গা । বিসিসি এই নিয়ে কথা বলছে না কেন । বিসিসির কথা বলা উচিৎ
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
নিশির আলো বলেছেন: মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ভাইয়ের সাথে একমত।।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯
আইএমওয়াচিং বলেছেন: হে ধুরন্ধর ভারতে জন্মানো বাঞ্চোত লেখক, তুমি এত বুঝদার হইলে ভারতের কোন বোলারের বোলিং একশন লইয়া গুবেষণা করনা কেন ? আর প্রথম মন্তব্যকারীর কথা আমিও রিপিট করলাম ঃ
কেন আজ পযর্ন্ত তিন মোড়লদের কোনো বোলারের নামে প্রশ্ন উঠেনি? কেন সব চাকার শুধু ওয়েস্টইন্ডিজ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০০
মার্ক টু বলেছেন: কি আইন দিলা নিজে বুঝছ তো? এরথিকা একটা আইন প্রস্তাব কর যে ভারতীয় মাঠে কোন বাংলাদেশী প্লেয়ার বায়ু ত্যাগ করিতে পারিবে না। এরপর ঘোষণা দাও যে এই প্রস্তাবিত আইনের ব্যত্য্য ঘটাইবার কারণে অথবা ঘটাইবার আশংকার কারণে পুরা টিম নিষিদ্ধ। আইনে এই ফাক রাইখ যে কেবলমাত্র বাকী দুই মোড়লের দ্যাশের প্লেয়াররা ইন্ডিয়ান প্লেয়ারের মুখের উপর বইসা হাগতেও পারিবে যেহেতু তোমাগো দ্যাশে টয়লেটের সংকট ভয়াবহ।
অফটপিকঃ তুমিও কি মাঠে গিয়া হাগো নাকি ঝোপে যাও?
৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০২
বিজন রয় বলেছেন: তাসকিন আবার ফিরে আসবে।
সবাই বলছে টুর্নামেন্টটা হয়ে গেলে এসব করতে পারতো অথবা আরো আগে করতে পারতো।
আই সি সি তো শ্রীনিবাসন ভূত আছে কিনা ভাবছি।
কালকে অষ্ট্রেলিয়ার সাথে তাসকিন আর সানি থাকলে আমরা জিততাম।
@ আইএমওয়াচিং, অনেক জায়গায় আপনার মন্তব্য দেখেছি, মন্তব্য করার সময় মাথায় রাখা জরুরী যে আমরা প্রত্যেকে প্রিয় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। ভদ্র ভাবে আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে পারি।
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি যতদিন হল এই ব্লগে লিখছি তাতে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি কারু সাথে খারাপ আচরণ ও মুখখিস্তি দিয়েছি । বরং আমার সাথে অনেকেই খারাপ ব্যবহার করেছে ।। যা আমার সংস্কৃতির মধ্যে পরে না । আমি বুঝি ও জানি মুখখিস্তি দিয়ে কোন সমাধান আসে না ।
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বিজন রয় বলেছেন
অনেক জায়গায় আপনার মন্তব্য দেখেছি, মন্তব্য করার সময় মাথায় রাখা জরুরী যে আমরা প্রত্যেকে প্রিয় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। ভদ্র ভাবে আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে পারি।
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তোমরা কি আমার কাছ থেকে কোন খারাপ আচরণ পেয়েছ ? আমার সংস্কৃতিতে এইটি পরে না । বরং আমার সাথে অনেকেই খারাপ আচরণ করেছে ।
৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
অন্তহীন রাকিব বলেছেন: ভাই দেবোজ্যতি কেউই আপন হাগু গন্ধ বলেনা
কার্তেসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সে তো অবশ্যই , আমি হাগু করে আমার হাত দিয়েই আমি ছুচু করব , তোমাকে কেন আমি ছুচু করে দিতে যাব ।
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
রেজা এম বলেছেন: হোহোহহোহোহোহোহোহোহো । বানচোত ###
২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: খেপে যাওয়ার বহিঃপ্রকাশ । এভাবে খিস্তিদিয়ে হবে না । চেষ্টা করে দেখতে পার ।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: যারা ওনাকে অশালীন ভাষায় আক্রমন করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, একটি ব্যাপারে একজন মানুষের ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে।ওনি যেটা বিস্বাস করেন সেটাই প্রকাশ করেছেন। এখন ওনার সেই মতামত যদি আপনার বা আমার অনুভূতিতে আঘাত দেয় তাহলে আমরা অবশ্যই তার প্রতিবাদ করবো। তবে প্রতিবাদের একটি সার্বজনীন ভাষা আছে।গঠনমূলক সমালোচনা শালীন ভাষায় হয়। নোংরা ভাষা ব্যবহার করলে সেটা আর সমালোচনা থাকেনা, সেটা ব্যাক্তিগত আক্রমণ হয়েযায়। আশাকরি সবাই একে অন্যের মতামতের প্রতি এবং একে অন্যের ব্যক্তিসত্ত্বার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এটা ভুলে গেলে চলবেনা যে,দল,মত,জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই একটি পরিবারের মত। সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আপনার সব যুক্তি আমি মানলাম কিন্তু তাসকিন কে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে আইসিসির অভিমত ছিলো যে,তার সব ডেলিভারী ঠিক আছে শুধুমাত্র কিছু বাউন্সারে তার সমস্যা হয়। অথচ তাসকিন নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে একটি বাউন্সারও সেদিন করেনি। সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক! বিসিসিআই বা অন্যকারো হাত নেই এটা এতটা নির্ভার হয়ে আপনি কি ভাবে বলতে পারলেন? গত বিশ্বকাপে ভারতের সাথের ম্যাচটি কি এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন? আচ্ছা এসব কিছুই বাদ দিলাম। শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর দিন, কেন আজ পযর্ন্ত তিন মোড়লদের কোনো বোলারের নামে প্রশ্ন উঠেনি? কেন সব চাকার শুধু ওয়েস্টইন্ডিজ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
নাকি এটাকে কাকতালীয় বলে চালিয়ে দিবেন? আছে কোনো যুক্তিসংগত উত্তর?
ধন্যবাদ।