নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
নেহরুর রাজত্বকালে একসময় হিন্দি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তখন ভারতের দক্ষিণদিকের রাজ্যগুলি সংবিধান বিরোধী এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এবারেও তারাই সোচ্চার। তুলনায় পূর্বভারতের বৃহত্তম ভাষাগোষ্ঠী বাঙালিদের কোনও হেলদোল নেই।
সারা দেশ জুড়ে এমন একটা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে, হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা বা ন্যাশনাল ল্যাঙ্গোয়েজ। বলা বাহুল্য, দেশের হিন্দিভাষী অঞ্চল থেকে উদ্ভূত এই রটনার কোনও ভিত্তি নেই। কেননা, ভারতীয় সংবিধানে কোথাও বলা হয়নি, হিন্দি এদেশের রাষ্ট্রভাষা। বরং সংবিধানের ৩৪৩(১) ধারায় স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে, হিন্দি ভারতের সরকারি ভাষা (অফিশিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজ)। সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে ইংরেজিকে। অর্থাত্, ভারত সরকারের সরকারি কাজকর্মের ভাষা দু’টি- হিন্দি ও ইংরেজি। সংবিধান এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে, ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলির ক্ষেত্রে সরকারি ভাষা হিন্দি হতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। রাজ্যগুলি ৩৪৫ ধারা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে তাদের নিজস্ব ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা, মহারাষ্ট্র মরাঠি, গুজরাত গুজরাতি ইত্যাদি। ভারতের মতো একটি বহু ভাষা-ভাষী দেশে কোনও একটি ভাষার আধিপত্য যে সুদূরপ্রসারী সংঘাতের সৃষ্টি করবে, তা সংবিধান প্রণেতারা তাঁদের দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন।
হিন্দি যেখানে রাষ্ট্রভাষা নয়, সেখানে এই ভাষা নিয়ে কোনও গুজব বা আদিখ্যেতায় কান দেবেন না বললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কিন্তু কেন্দ্রে নতুন সরকার এসেই হিন্দি নিয়ে এক অলিখিত হুলিয়া জারি করে বলেছে, যোগাযোগের ভাষা হিসেবে ইংরেজি নয়, হিন্দির ওপরই জোর দিতে হবে। হিন্দির ব্যবহার সরকারের কাজে-অকাজে আবশ্যিক। ‘যথা আজ্ঞা তথা কর্ম’ নীতি অনুসরণ করে সর্বত্র হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া, চারিয়ে দেওয়ার রাজনীতি শুরু হয়েছে।
নেহরুর রাজত্বকালে একসময় হিন্দির প্রচার-প্রসার নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তখন ভারতের দক্ষিণদিকের রাজ্যগুলি সংবিধান বিরোধী এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদ করেছিল। এবারেও তারাই সোচ্চার। দ্রাবিড়ী তথা মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় দক্ষিণের সব ক’টি রাজ্য এককাট্টা। কন্নড়, তেলুগু, মলয়লম এবং তামিলভাষীরা হিন্দির এই আগ্রাসন রুখে দিতে বদ্ধপরিকর। তাঁদের রণহুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। তুলনায় পূর্বভারতের বৃহত্তম ভাষাগোষ্ঠী বাঙালিদের কোনও হেলদোল নেই। বাম আমলে যেমন, তেমনই এখনকার বঙ্গভাষী সাংসদরা দিল্লিতে অন্য নাটক নিয়ে ব্যস্ত। হিন্দি ভাষার দাসত্ব যেন আগেই এঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন! তবে শুধু এই জনপ্রতিনিধিদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা বাঙালিরা, সেই কবে থেকে ভাঙা, ফাটা, খোঁড়া, ভুলে ভরা হিন্দি কপচিয়ে আত্মশ্লাঘা অনুভব করি! বঙ্কিমচন্দ্রের মুচিরাম গুড় আদালতে পেশকারের চাকরি পেয়ে কালেক্টর হোম সাহেবকে জোড়হাতে হিন্দিতে বলেছিল, ‘বান্দা লোককে ওয়াস্তে হুজুর লার্ড হেঁয়।’ হিন্দি নিয়ে বাঙালির এই নির্লজ্জ বান্দাগিরির আপাতত শেষ সংযোজন- ইদানীং স্কুলে বাংলার পরিবর্তে ছেলেমেয়েকে হিন্দি পড়তে প্ররোচিত ও বাধ্য করা। হিন্দির ‘লর্ডশিপ’কে প্রশ্রয় দেওয়ার কাজে বাঙালির এই অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে
:
তথ্য সংগ্রহ- দেশ পত্রিকা
৩০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বুঝলাম না
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫
কালনী নদী বলেছেন: ভালো একটা সংগ্রহ দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষতক বাঙলা বাংলাদেশেই টিকে থাকবে, ভবিষ্যতবানী করলাম, যদিও এটা চাই না