নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাওয়াইন স্ট্রীল গীটার , কবিতা , উপন্যাস , প্রবন্ধ-নিবন্ধ , ভোকাল ও আর্ট • এসব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে

দেবজ্যোতিকাজল

আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com

দেবজ্যোতিকাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুড়ো ঈশ্বরের সাথে কিছুক্ষণ

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯



তিরোভূত প্রচ্ছায়ায় একটা চাঁদ উঠল
উঠল পাতকী জ্যোস্না
করকর করছে হনহন করছে বিদ্বান বিদ্বেষ্টা
কখনও মুখ তুলে , আলো দেখে
আলোতে চোখ বুজে
চোখ বুজে গর্ব করে
মৎস বর্ষের ঘাঁ-এর রোগ
আমরাই প্রথম ধরেছি ।

ভাই বিধাতা তখন জংগলে ঘুড়ে বিধিবৎ
আঙ্গুলে খোঁচা দেয় ডাক্তার কাকু
কোন পরাগে যেনো মিশাবে নশ্বর ভাবে
নশ্বর এখনও কাঁদে

ছেলে হয়ে প্রবাল পাথরের বালা পড়ে ঘুড়ে
পাগল পাগল ব'লে কাকে যেন ধাওয়া দেয়
তখন চিৎকার করে
ওর পিছু পিছু যায়
বুড়ো নিলম্বিত ঈশ্বরটা

ঈশ্বরটা আগের চাইতে এখন
বেশী কথা বলে । বিকৃত হাসি দেয়
হাসি থামে না
ফুলের গন্ধ থেমে যায়
ভোর হতে না হতে
ঠোঁট চিরে রক্ত ঝড়ে ।

বুড়ো ঈশ্বর এখন শুধুই দেখে ।
কি দেখে ?
পাল্টা ধাওয়ার কঙ্কাল
নর্তকির নাকের নলক
ঝুলমুলে শাড়ীর আঁচল
টিমটিমে বাতির দিকে কখনও কখনও
চোখ ফিরায় ।
লাল কাগজে আলো মোড়ান বলে
বমি করে গলা ভরে
নিশ্বাসের চাপড়ে আওয়াজ তুলে
নষ্টমতী , ছাড়া
হেই-হেই ছেই-ছেই
ভাল্লাগে না তঞ্চক ।

তঞ্চক উঠে পরে লেগেছে
রসে ফেলেছে ছিলিপি
আজ কাল হাত ছাপাই-ও শুরু করেছে
কালো মেঘের সংগে
পিরিত পিরিত খেলছে
অচিরেই কামনীয় জখম হবে
দরদর ক'রে উরু বয়ে রক্ত ঝড়বে
মাটিতে রক্ত পড়বে গন্ধ বের হবে
অধোপ গোশালার মত
বুড়ো ঈশ্বরটা তখন নিশ্বাস নিতে পারবে না ।

বড় তকলিফ হবে
চুলুঢুলু ভেঙ্গে যাবে
একটা একটা করেও
যদি ঘন্টা গুণি । অসংখ্য শৃগালের
লকলকে জ্বিবা গিরিদরী গিলন অর্তকে
ভন্ভন্ করবে
উৎপীড়নের উৎপথ কুকুর নাসিকায়
উত্তুঙ্গ গায়েবী শশ্মান হবে
সব হয়ে গ্যাছে
সব খানে উদ্ভূত
সমপ্রীতি নেই , প্রতীভা নেই
সমঝোতা নেই , উত্তীর্ণ নেই
আছে শুধু পাতকী
যা দেখে বুড়ো বুড়ি সবাই ভয় পাই
দৃশ্যে যদি দেহ অংশন থাকে
যদি আগুন জ্বলে জোড়া বুকের মাঝ খানে
তিরতির করে যদি
সুমুদ্র এ্যামিবিয়া লোম চাটে
চাটে যোনির অঙ্কুর
ছিঁড়তে হবে তখন
বয়বুদ্ধির কাকচাতুরী
ফেল মেরে যেতে হবে
হেডমাষ্টারের অংক খাতায় ।
জ্বিবা কাটতে হবে বাচালতার জন্য
প্রসোব কাটতে হবে
অঙ্গনার অতনু ভোগে ।
বোঝা যাবে না অণ্ডজ ।

অতএব-
বুড়ো ঈশ্বরটা এখন চোখেও দেখছে না
সাপের গায়ের মত শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে
ঝলছে উঠছে থাকথাক বেদনাগুলো
ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে
টিউলিপ ডিম্বাশয়ে ।

তজদিগ হচ্ছে নরাঙ্গণাদের নিয়ে-
নরাঙ্গণা ডাকে , কলিচুনে জ্বিবা ঝলসায়
হায় ভদ্র , হায় শুদ্ধ , হায় চলাচল
হাত ধূয়ে নরাঙ্গণা
দুধ যদি না পাস
ঝালের প্রলেব দিয়ে ধূয়ে দে
কত ক্ষুধাময়-ধর্য্য কত সুখাতুর
অশান্তি কত বিবৃত ।

দেরে নরাঙ্গণা নাকের দুষ্ট ব্রণ
চিরে খোসে দে পচাভাতের গুটি
হাতে দে বিব্রত থিরথির
বিপ্রলব্ধ একখানা অহংকার
আর নয় , হয়েছে
সব হয়েছে
যা হয়-নি
ভোরে পিওন এসে
সব জানিয়ে দিয়েছে ।

এখন তো আমি চঞ্চল
দেনা নরাঙ্গণ একখখনা অস্ত্র
আমার তন্দ্রাকে হৃদয়হীনা করে দেই
সত্যি বলছি-মারবার সময়
ইষ্টনাম কানে দিয়েই মারব
ওকে একবার সুযোগ দিব
যাতে বলতে পারে
বুড়ো ঈশ্বরটার নাম
ওকে একবার সুযোগ দিব
যা-তে জন্তুর বিবরে পালাতে পারে
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সত্যি বলছি
শাসনের ছলে একটুও হাসব না
শুধুই কাঁদব
শুধুই চিৎকার করে বলব
লিপ্সা নেই , বে-এক্তিয়ার নেই
বিগর্হনা নেই
নরাঙ্গণা শুধু
তুমি ছাড়া
শুধু ,তুমি ছাড়া ।কেউ নেই……

১৯৮৮ সালে এই কবিতাটির জন্য কিশোর সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছি

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি পুরষ্কার প্রাপ্তির জন্য।
আচ্ছা এটাকি ঈশ্বরের প্রতি অভিমান থেকে লেখা?

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তোমাকে ধন্যবাদ...

অনেকটা তাই...তবে ঈশ্বরকে মানুষকি সত্যি ভয় পায়?

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ ভয় পায়। যেমন আমি ভয় পাই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: একদম ভয় পায়না...তা না...সব ক্ষেত্রেই কি তুমি ভয় পাও...সেই পরিপূর্ণ ভাবে ভয় পায় যে শাস্ত্র বা ঈশ্বরের বাণীকে মেনে চলে...নিশ্চয় তুমি এতটা মেনে চলতে পার না...

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

সনেট কিংবা বৃত্ত বলেছেন: সুন্দর!

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা দু'টোই রইল

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: এক কথায়, ----- অসাধারণ ------ ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ রইল

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

আবুল হায়াত রকি বলেছেন: আর ১৯৮৮ সালে আমি জন্মেছি ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩২

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ৮৮ সালটা আমার জীবনের আলো @ শুধু সাহিত্য পুরস্কার নয় আরও অনেক ব্যপারেই. আমাকে আনন্দিত করে...

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

ইন্দ্রনাথ বলেছেন: আহারে কি মনলোভা!
ফুঠিয়াছে রক্তজবা।


অসাধারণ কবি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯

কল্লোল পথিক বলেছেন:


বেশ হয়েছে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: ওয়াও ----- অসাধারণ ------ ।
আমিও একদিন ঈশ্বরের সাথে দেখা করতে চাই। :)

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

মহা সমন্বয় বলেছেন: ১৯৮৮ সালে এই কবিতা আপনি লিখলেন কি করে? এত অল্প বয়সে তো এমন চিন্তাধারা মাথায় আসার কথা না!!!
অন্য কেউ লিখে দিয়েছিল না তো?? :-P

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:২৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: যেহেতু আমার বর্তমান বয়সটা তোমার জানা নেই তাই এই ধারণা হওয়াটাই স্বাভাবিক

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার!

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:০৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৩

শুভ্র বিকেল বলেছেন: যেহেতু কিশোর সাহিত্য পুরুষ্কার, তাই ঐ বয়সে দারুণ লেখা। পরিপূর্ণ। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তোমাকেও শুভেচ্ছা রইল

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: যুবক বয়সী আমির থেকে কিশোর বয়েসী আপনি বেশ এগিয়ে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: রবি ঠাকুর ভানুসিংহের পদাবলি কত বছর বয়সে লিখেছিল ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.