নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাওয়াইন স্ট্রীল গীটার , কবিতা , উপন্যাস , প্রবন্ধ-নিবন্ধ , ভোকাল ও আর্ট • এসব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে

দেবজ্যোতিকাজল

আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com

দেবজ্যোতিকাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প: তেরোই শ্রাবণ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১২



রুহি শ্রাবণের মেঘ আর বৃষ্টি থাকে পেয়েছিল ভালবাসা । রিমঝিম শব্দে বেড়ে ওঠেছে অভ্যাসগত সুরের মেঘমল্লার । মীড় , মূর্কী , লগ্ন ও অলগ্ন সুরে গান গেয়ে জেগে ওঠে ঘুম ভাঙা সকাল । রুহির ভীষণ পছন্দের গান । “ভালবেসে যদি সুখ নাহি তবে কেনো.......।”

রুহি বাইরে বেরবে । তাই নিজেকে তৈরি করছে । ঘর থেকে বাইরে বেরিয়েই । রুহি আকাশের দিকে তাকায় । মেঘলা আকাশ রুহিকে রোমান্টিক করে তোলে । এই বিভ্রম জীবনে সবাই আসবে , এটা এড়ানো সম্ভব নয় , প্রথম চুম্বন , প্রথম সময় , প্রথম সব কিছু । রুহি কথাগুলো ভেবে আরও রোমান্টিক একটি হাঁটায় পা মেলায় । গতকাল রুহি অভিকে কথা দিয়েছিল । আজ দেখা করবে ।

আবার আকাশের দিকে তাকায় রুহি । বৃষ্টি বুঝি বাদসাজে ! কিন্তু না , রুহি শেষমেষ গিয়েছিল । কিন্তু অভির সাথে দেখা হয়নি । রুহি জানতে পেরেছিল অভির এক বন্ধুর কাছে । অভি নাকি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়াই মা-বাবার সাথে ডাক্তার দেখাতে কলকায় গিয়েছে ।

রুহির ব্যকুলতা রুহিকে অদৃশ্য কষ্ট দিতে থাকে । এক রকম প্রতিদিনের কাজ-কর্ম কে ছুটি দিয়ে রুহি মনে মনে অভি অভি ছটফট করতে লাগল । হঠাৎ করে অভির এমন কি হলো । কলকাতা অবদি যেতে হলো ! রুহি সস্বভাবগত যখনই অভিকে মিস্ করে । তখনই অভির দেওয়া সমস্ত গীফ্ট বিছানায় নিয়ে নাড়াচাড়া করে । তাতে একটা পরিতৃপ্তি পেত রুহি । রুহিকে অভি একটা বোতাম উপহার দিয়েছিল । অভি রুহিকে চুমু দিতে গিয়ে । রুহির দুষ্টুমীর জন্য তার জামা থেকে একটা বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছিল । অভি রুহিকে বোতামটা দিয়ে বলেছিল ,“ বোতামটা তুমি রেখে দাও । আমি রইলাম বোতামটাতে ।” ঘটনাটা ছিল গত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে । ঠিক । তার ঘন্টা খানেক পর অভি অসুস্থ হয়ে পরে । অসহ্য মাথার ব্যথায় অভি অজ্ঞান হয়ে যায় । অবশ্য দু-তিন দিন পর অভি সুস্থও হয়ে যায় । কিন্তু এমন কি হলো যে, কলকাতা অবদি দৌঁড়াতে হলো ।

তিন দিন হলো অভির কোনো খবর নেই । অভি কেমন আছে । কে জানে । রুহি আস্তে আস্তে মানসিক ভারসাম্য হারাতে লাগল । চার দিনের দিন রুহি অভির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়ির দিকে রওনা দিল । অভির বন্ধুটির বাড়ির ছিল অভিদের পাড়ার উত্তর পাড়ায় । সেহেতু রুহিকে যেতে হলে অভিদের বাড়ির সামনে দিয়েই যেতে হবে । অভিদের বাড়ির পঞ্চাশ হাত দূরে রুহি চমকে থেমে গেল । অভিদের বাড়ির সামনে প্রচুর ভিড় । রুহি হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল । সকাল দশটা । রুহির ভিতরটা মুচড়ে উঠলো । পা দুটো নীথর হয়ে গেল । ভাবনার সীমাহীন পরিবর্তনে রুহি পাগলের মত করতে লাগল । তবে কি অভির কিছু হয়েছে । রুহি ভাবল । রুহি কিছুটা আসতেই যেনে গেল সত্যটা কি । অভি নেই ! অভি ব্রেন ক্যান্সারে মারা গেছে । আরও দু-দিন পর রুহি জেনেছিল । রুহিও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল । আর কখনও কাউকে বিয়ে করবে না ।

আজ সেই তেরোই শ্রাবন । আজও রুহি অভির মৃত্যু দিবস পালন করে । এই দিনে রুহি সাদা শাড়ী পড়ে অভির ছবিতে মালা পড়াই । অফিসে যায় না । সারাটা দিন অভিকে নিয়ে সেই শুরু থেকে শেষ অবদি ভাবে ।

এই ভাবেই রুহি পঁয়তাল্লিশটা বসন্ত কাটিয়ে দেয় । রুহির সারা শরীরে অভির বসন্ত হাওয়া বার্ষিকগতীতে ফিরে ফিরে আসে । খুঁজে পায় শরীর ছুঁয়ে অভির উত্তাপ , স্পন্দন আর প্রতিচিত্র ভালবাসা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছোট্ট এই গল্প পাঠে মুগ্ধ , খুবই ভাল লেগেছে :)
তার পর বলুন কেমন আছেন দাদা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ব্রতশুদ্ধ বলেছেন: দাদা খুব ভালো লাগলো

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি ভাল আছি ।
তুমি কেমন আছো ?

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল আছি । তুমি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.