নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাওয়াইন স্ট্রীল গীটার , কবিতা , উপন্যাস , প্রবন্ধ-নিবন্ধ , ভোকাল ও আর্ট • এসব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে

দেবজ্যোতিকাজল

আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com

দেবজ্যোতিকাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প ~ দূরবর্তী বন্ধু

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০



সংস্কারমুক্ত পাগলাটে মেয়ে...
জীবন শুরু অনলাইন world.in FB.....
সে অনলাইনে সত্যিকারে একজন বন্ধু খোঁজে বেড়ায়...
একটি ছেলে ... ..তার সাথে চ্যাট শুরু । ছেলেটি মেয়েটির মনোভাব জানতে আগ্রহী ....
বহু ছেলেই ছিল মেয়েটির উপেক্ষিত ...ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে তার ভালবাসার কথা জানায় । মেয়েটি যে ছেলেটিকে ভালবাসে শুধু এইটুকু কথা জানাতে এক বছর সময় নিয়ে নেয়...মেয়েটি তার সাথে নতুন প্রেমের জীবন শুরু করে । তারা উভয়েই একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করে । ফেসবুক ছিল তাদের ভালবাসা আদান-প্রদানের চিঠি । কবেই তো শেষ হয়েছে লাভ লেটার লেখার যুগ । এখন FB , whatsapp , ভিডিও কল ও ডেটিং । বলা হয় এখন নাকি প্রেমের স্বর্ণ যুগ । পবিত্র প্রেম-ট্রেম বলে এখন কিছু হয় না । পবিত্র প্রেম বলতে টাচ না করা । এ সব এখন বস্তা পচা সংস্কার । আজ-কালকার ছেলে মেয়েরা ভাবে , এসব কুসংস্কার । এমন কখনও হয় নাকি ! পাশাপাশি একটা ছেলে একটা মেয়ে , আর নাকি ডন্ট টার্চ ! যত সব ভাড়ামি..........

দূর্ভাগ্যবশত ...তাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয় । ছেলেটি ছিল বাতিকগ্রস্ত ও neurotic.....। হলুদ রঙের পোষাককে সে লাকী রঙ মনে করে । আর প্রতি মাসের তেরো তারিখ ছিল তারকাছে unlucky....। তার কারণে ছেলেটি...মানে রুহীন মেয়েটির সাথে প্রতি মাসের তেরো তারিখে ফেসবুকের অনলাইনে থাকলেও মেয়েটির সাথে চ্যাট করত না । অনিয়ন্ত্রিত চরম আবেগের কাছে রুহীন কে প্রেম হারাবার ভয় দেখত । তাই ছোট ছোট টোটকা আর কুসংস্কার কে সঙ্গ করে নিজের আত্মবিশ্বাস কে দৃঢ় করত ........কিন্তু মেয়েটি ছিল এসবের উল্টো । বলা যেতে পারে ...একটু নাস্তিক স্টাইলের....এবং ওপে-মাইণ্ডেড । এই সব নিয়েই দু’জনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে । আমি বাঙালী অনেক ছেলে-মেয়েকে দেখেছি । তারা পোষাকে-আষাকেই শুধু আধুনীক । কুসংস্কার আর বাতিকগ্রস্ত জীবনটাকে তারা সুখ ধরবার টোপ মনে করে । এ যেনো বিজ্ঞান আর কুসংস্কারের টাগ-অব-ওয়ার ।

কিন্তু......

মেয়েটি মানে.....প্রীজা , রুহীন কে প্রচণ্ড ভালবাসত । নিজেকে ভাগ্যবান মনে করত রুহীন কে ভালবাসতে পেরে । প্রীজা যখন জানতে পেরেছিল যে , রুহীন অন্য একটি মেয়েকে সে বিয়ে করেছে । চিৎকার করে প্রীজা কেঁদেছিল । শব্দহীন মেঘের মত নীরব নীথর হয়ে গিয়েছিল । বুকের মধ্যে যারা কষ্ট দিত তাদেরকে ছোঁয়ে দেখত না । প্রীজার কোন অভিযোগ ছিল না । রুহীনকে কখনই বলেনি । কেনো এমনটা করল । আবার নিজেকে হালকা করতে কাউকে কখনও নিজের কষ্টের কথা শুনায়নি । প্রীজা গোপনে নিজেকে ছিঁড়তো ।

কয়েক মাস পর রুহীন প্রীজাকে বলল , সে নাকি বিয়ে করে অতীত সম্পর্কের জন্য সুখী হতে পারেনি । তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রীজা প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে । বিছানায় , রাস্তায় , পার্কে , মার্কেটে , সিনেমা হলে , খাবার দোকানে ; এমন কি গাড়ির সীটেও । রুহীন স্বীকার করেছে তার ভুলের কথা ।

প্রীজা কথাটা শুনে খুশী হয়েছিল এই ভেবে যে , সে রুহীনকে সত্যিকারের ভালবাসতে পেরেছিল । সে কথা আজ আর মিথ্যে নয় । রুহীনকে হারানোর পরও প্রীজা স্বপ্ন দেখত । রুহীনের সুন্দর হাতটা তার হাতকে স্পর্শ করে আছে ।

প্রীজাই রুহীনকে হাড়িয়েছিল । কারণটাও ছিল রুহীন । সে রুহীনকে সব কিছু দিয়ে ভালবাসত । তার জীবন থেকে রুহীন অনেক দূরে চলে গেছে । মাঝে রেখে গেছে কিছু অনুকম্পা সময় । সে সময় কে ধরে প্রীজা উড়ে বেড়ায় । হাড়িয়ে যায় নীজের মধ্যে । রুহীন তবুও সে আমার কারণেই অসুখী । তার স্ত্রী নিখুঁদ থাকা স্বত্ত্বেও । প্রীজা এখন রুহীনের জীবনে বহিরাগত প্রেমিকা । কিন্তু রুহীনকে সে আজও একই মাত্রায় ভালবাসে । তার একটাই পৃথিবী সে হলো রুহীন । রুহীনও জানিয়েছে প্রীজাও তার আর একটা পৃথিবী । তা আর হয় না । রুহীন তুমি সুখী হও । আমি তোমাকে সুখী দেখতে চাই । অনেক .....অনেক সুখী দেখতে চায় । প্রীজা নিজেকে সামলিয়ে ভাবে । না । রুহীন কে নতুন করে তার প্রতি দূর্বলতা হতে দেওয়া যাবে না । প্রীজা রুহীনকে বুঝতে চেষ্টা করে ।

....কিন্তু প্রীজাও....এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না কেনো ! সে নিজেকে বিচারের আসনে বসিয়ে নির্পেক্ষ বিচার করতে পারছে না কেনও ! এবার প্রীজা নিজেকে সামলায় । প্রীজা দরিদ্র মেয়ে । মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে । রুহীর সাথে তার আর কখনও দেখা হবে না ....। এ হতেও পারে না . .। রুহীন শুধুই ভালবাসা হয়ে বেঁচে থাকবে তার মৃত্যু অবদি । রুহীন তো তার সেকেণ্ডের ভালবাসা ছিল না । রুহীন তার জীবন এলোমেলো করা ভালোবাসা । এখন সে দূরবর্তী বন্ধু । অনেক দূরের একটা আধোনেভা তারা......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর গল্প , পাঠে মুগ্ধ ।
শুভেচ্ছা রইল

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর গল্প , পাঠে মুগ্ধ ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.