নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিসেম্বর১৬

ইকোনোমিস্ট

পাঠক১৯৭১

পাঠক১৯৭১

পাঠক১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা শুধু নিজের জন্য চেয়েছিলেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

জিন্নাহ কংগ্রসের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন, তিনি নেহেরু ও ভারতীয়দের দেখাতে চেয়েছিলেন যে, পাকিস্তান একটা একতাবদ্ধ জাতি: তাদের ভাষা এক, এক সংস্কৃতি; এজন্য জিন্নাহ চেয়েছিলেন 'রাস্ট্রচাষা উর্দু' হোক; কিন্তু জিন্নাহ এ পদক্ষেপ এর অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব নিয়ে ভাবার মত মেধার অধিকারী ছিলেন না। পশ্চিমের পান্জাবী, বেলুচী, সিন্ধি ও পশতু ভাষাভাষীরা সবাই উর্দু জানতেন; কিন্তু পুর্ব পাকিস্তানের বাংগালীরা উর্দু লিখতে পারতেন না; নতুন দেশে চাকুরী বাকুরীতে বাংগালীদের জন্য ভাষা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে, তা জিন্নাহের মাথায় ঢুকেনি।



জিন্নাহ ঢাকায় এলে, কিছু উর্দু-ভাষাভাষী বাংগালী উনাকে ভুল ধরণা দেন যে, 'উর্দু রাস্ট্র ভাষা করলে' অসুবিধা হবে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ জানতো যে, তাঁরা সরকারী চাকুরী ইত্যাদি থেকে বন্চিত হবেন।



জিন্নাহ ঢাকা থাকাকালীন যদি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র শিক্ষকেরা উনাকে 'উর্দু ভাষার' অর্থনৈতিক অসুবিধার কথা বুঝাতেন, উনি ভেবে দেখার সুযোগ পেতেন। সেটা না করে, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা উল্টো চাপ দেয় যে, জনসংখ্যানুসারে 'বাংলাই রাস্ট্র ভাষা হবে'; এটার পেছনে কিচুটা লজিক থাকলেও, এটা সঠিক ছিল না: সঠিক ছিল 'ইংরেজী হবে রাস্ট্র ভাষা', প্রদেশে নিজের এলাকার ভাষায় রাস্ট্রীয় কাজ চলবে।



যাক, উর্দু বা বাংলা কোনটাই রাস্ট্র ভাষা হয়নি, ইংরেজীই অলিখিতভাবে রাস্ট্রভাষা হিসেবে চালু হয়েছিল পাকিস্তানে।



৬২ বছর পর, আজ ৫০% বাগালী বাংলা বা অন্য কোন ভাষায় লিখতে পড়তে পারে না। সেদিন যারা বাংলাকে 'রক্ষা' করেছিলেন তারা নিজের জন্য বাংলা চেয়েছিলেন: সবার জন্য বাংলা চাননি, এটা ছিল ভুল; সেই ভুল চলছেই চলছে, সবাই নিজের জন্য শীদ মিনারে ফুল দিচ্ছে!



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ৫২ সালের আন্দোলন ছিল উর্দু যেন 'রাস্ট্র ভাষা' না হয়; তার স্হলে যেন বাংলা হয়।

বাংলা জানলে যাটে চাকুরী পায়, সেজন্যই সেই আন্দোলন হয়েছিল। আজও ৫০% ভাগ বাংলায় লিখতে পড়তে পারে না; তাদের চাকুরী পেতে কোন ভাষা শিখার দরকার?

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৩৫

গ্রীনলাভার বলেছেন: আজ থেকে ১০০ বছর পরের চিন্তা আমরা বাংগালীরা কখনোই করতে শিখলাম না।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪২

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @গ্রীনলাভার ,






বাংগালীদের চোখ মাথার পেছনে, পেছনের দিকে দেখে; ১৯৭২ সালে দেখেনি যে, ২০১৩ সালে মানুষ হবে ১৭ কোটী; ১৯৭২ সালে দেখেনিযে, মানুষকে পড়তে দিচ্ছে না সরকার।

আজ মানুষ দেখছে না যে, ৫০% জন পড়তে পারে না; তারা দিন মুজুরের কাজ করে।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩১

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @ক্যপ্রিসিয়াস,





আপনারা জার্মান শিখাচ্ছেন, আমরও শেখার ইচ্ছা; কিন্তু আপনি আমার কমেন্ট ব্যান করায় আপনার এত ভালো পোস্টটিতে কমেন্ট করতে পারলাম না।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না পরিসংখ্যান হবে ১০%ভাগ।। বোধহয় এরও কম।। যা নিজেদের প্ল্রোতারয়েট ভাবে,তাদের মাঝেই এই সংখা সীমাবদ্ধ।।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:০৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: What is 10%, illiteracy?

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: socheye boro kotha vasha andulon hoyechey.....bangla matrivashar morjada rokkha peyechhey ar matrivashar proti sroddha jananur niom sara bisshey shikrito hoyechhey...

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @সেলিম আনোয়ার ,




জিন্নাহ'র বেকুবীর প্রতি বাংগালীদের পদক্ষেপ ছিল সঠিক।

বৃটিশ সময়ের ব্যুরোক্র্যাটরা ইংরেজী চালু রেখেছিল রাস্ট্রীয় কাজে; অকারণে সমস্যাটির সৃস্টি করেছিল কিছু বেকুব পাকিস্তানী ও জিন্নাহ।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অর্থে সত্যিকার শিক্ষিত। তা না হলে প্রবাসে আমাদের এই হাল কেন? বাঙ্গালী মাত্রেই যা তা কাজ আর বেতন। অথচ একই কাজে অন্যদের অনেক......। দয়া করে অন্য অর্থে নেবেন না।@পাঠক। ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @সচেতনহ্যাপী ,




আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো দখল করে নিয়েছে ছাত্রলী, ছাত্রদল, শিবিরের মাফিয়ারা: ওখানে লেখাপরার মান কমে গেছে।

২১ লাখ ভারতীয় আইটি স্পেশালিস্ট আয় করে বছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার; আমাদের ৮০ লাখ বাংগালী বিদেশে থেকে আয় করে ৩০ বিলিয়নের মতো। এখানে বুঝা যায়, বাংগালীদের অবস্হা কি!

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: @ পাঠক প্রথম প্যারার সাথে পুরোপুরি একমত। আপনি বোধহয় শিক্ষকদের রাজনীতি করাকে মান পরে যাওয়ার কারন মনে করেন না?? আমি করি।
আর এই ৮০ লাখ বাঙ্গালীর কম আয়ের কারন তো বোঝেনই। একই ভারতীয় কম্পিউটার অপারেটর যেখানে যা বেতন পাচ্ছে,সেখানে আমরা পাচ্ছি অর্ধেক!!
আরেকটি তথ্য দেই ওদের রেমিটেন্সের পরিমান বেশী হওয়ার কারন "কৃচ্ছতা"। বাঙ্গালী যেখানে হোটেলে বসে বুট-মুড়ি খেয়ে ২ দিনার অর্থাত প্রায় ৬০০টাকা বিল দেয় সেখানে ওরা হোটেলেতো বসেই না। যদিও বসে তাও শুধু চা-চাপাতির খেয়ে রাত বা সকালের খাওয়া সাড়ে। ৪০০৫০০ দিনার কামিয়েও ওরা থাকা এবং খাওয়র জন্য ৩০ থেকে ৩৫ দিনার রেখে বাকিটা পুরোই দেশে পাঠিয়ে দেয়।(হাতে গোনা ব্যতিক্রম বাদে) আমি কারো বদনাম করছি না শুধু বাস্তবতাটা জানালাম।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @সচেতনহ্যাপী ,




আমি ছাত্র শিক্ষক সবার কথা বলতে চাচ্ছি: গত ৩০ বছরে যারা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসেবে ঢুকেছে সবাই দলীয় ক্যাডার; সাধারণ ভালো ছাত্রকে কেহ নিতে চাহে না শিক্ষকতায়।

ভারতীয়দের কম খরচের বেলায় আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক আছে। ভারতীয়দের শিক্ষার হার অনেক বেশী। কেহ ইউনিভার্সিটিতে গন্ডগোল করার সুযোগ পায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.