নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইতিহাসের পাতা থেকে ইতিহাস জানুন, খালা-খালু আর মুরগিদের কাছ থেকে ইতিহাস নামক কিচ্ছা শোনা বাদ দিন ।

বান্দা মোঃ তাজুল ইসলাম

বান্দা মোঃ তাজুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালখাতা

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬

ক্ষমা চাচ্ছি মহান ঋনদাতার কাছে, যিনি আমাকে জীবন দিয়েছেন সাথে তার অনুগ্রহ । দিয়েছেন দুনিয়াকে ফসলি জমি রুপে আর দিয়েছেন সেই জমিতে ফসল বুনিয়ে রাখার বীজ । লাখো শুকরিয়া জানিয়ে তাঁর নামে শুরু করিলাম ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।।

রাস্তা ঘাটে, হাটে বাজারে কিংবা কর্মক্ষেত্র বা আবাসস্থলে সবাই নতুন বছরকে নিয়ে মেতে আছে । অবশ্যই বাঙালি ভাষা ভাষী হওয়ার দরুন গ্রেগ্রিয়ান কিংবা চৈনিক বা হিজরি পঞ্জির মতো আমাদের ও একটি আলাদা বার্ষরিক পঞ্জি আছে । নতুন দিনকে নতুন ভাবে সাজানোর খায়েশ আমাদের ও আছে । যদিও এই জাতিগত পঞ্জি ধরে রাখতে গিয়ে সংস্কৃতির নামে বিজাতীয় কিছু মিশ্রণে তা তিতিয়ে ফেলি । তবে যে বিষয়টি নিয়ে নিছক বিতর্ক কম হয় কেবল তারই একটি এখানে নিয়ে আসলাম । আর তা হল "হালখাতা" ।

হালখাতা কিভাবে আসল, কেন আসল তা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয় । এই মস্তিষ্ক ব্যায়ের যুগে আমরা কারনে অকারণে মেধা খরচে নিজ দায়িত্বে উঠে পড়ে লেগে থাকি । তাই ইতিহাস টানা ও এড়িয়ে গেলাম ।

কয়েকদিন ধরে আমার চাচাত ভাইকে দেখলাম তাহার ব্যবসায়িক হিসাবের খাতা উল্টিয়ে পালটিয়ে পরখ করছে । নিতান্ত গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া না অবধি এই কর্ম চলতে থাকে । বহুদিন চিঠি লেখা দেখি না; সেই না দেখা ভাগ্যটি তা দিয়ে মিটিয়ে ফেলা গেল ।

চিঠির শুরুটা যথারীতি যতটুকু নম্র কিংবা ভদ্র ভঙ্গিতে করা যায় তিনি তারই প্রচেষ্টা করলেন । তারপর নববর্ষের শুভেচ্ছা ও মঙ্গালাদি জানিয়ে ইতি টেনে নিলেন । এবং তা একটি আল্পনায় অলঙ্কিত খামে রাখলেন ।

এইটুকু পড়ে আমার সম্মানিত পাঠকেরা বুঝতে পেরেছেন বলে ধরে নিলাম । এখন আসুন উপলব্ধির জায়াগায় । কল্পনা করুন নিজেকে, নিজের নিজেকে । কি ? কি ভাবছেন- কি চিন্তা করবেন? তাহলে মনে করুন আপনার বিবেক মারা পড়েছে । তাকে জাগিয়ে তুলুন ।

সেই প্রাপ্ত বয়স থেকে আজ অবধি কয়টি সিজদাহ মিটিয়েছেন, কয়টি রুকু পাওনা পূরণ করেছেন । নিজের হালখাতাটা নিজে লিখে দেখুন কত পাওনা আছে, কত বকেয়া পড়ে আছে । একজন আপনার কাছ থেকে কত কিছু পাওনা আছেন, তবু আপনি কি আরাম আয়াশে দিন কাটাচ্ছেন । আপনার কি বিবেক নেই, আপনি কি মরে পড়েছেন । ইসলামিক লাগছে ব্যাপারটা তাই না ।

আচ্ছা তাহলে মানবতা প্রেমীদের কাছে আসি, আপনাকে প্রশ্ন করুনঃ কতটা অসুস্থের সেবা বাকি আছে, কতটা সাহায্য বাকি আছে, কত্তটা হক বকেয়া আছে । কি তাও ইসলামিক লাগছে । ভাই ইসলাম তো এগুলো ই । যেখানে যাবি সেখানে ই ইসলাম ।

হালখাতা দেওয়ার পরও বকেয়া থেকে যায় বছর পেরিয়ে নতুন বছর আসে কিন্তু পাওনা ? মাঝে মাঝে ধমক কিংবা সতর্ক করে দেয়া হয় । স্রষ্টার কাছ থেকে কত বছর চেয়ে নিয়েছেন ; তার পাওনা কে মিটাবে ?

হায়! আমার কি যে হল কি করিব ? কত বাহনা বানিয়ে নিয়েছেন হালখাতা এড়িয়ে গিয়েছেন কিন্তু আর কতকাল নিজেকে ফাঁকি দিবেন । আসুন নিজের হালখাতা খুলে দেখি ; যে কালকের ভোর পেরিয়ে সূর্যটির আলোর ছোয়া নেয়ার মত পাওনা মিটিয়েছি কিনা ; সব কিছুর স্রষ্টা অনুগ্রহ গ্রহণ করার মত বকেয়া মিটিয়েছি কিনা । তারপর মিষ্টি খান; পান্তা খান কিন্তু আদৌ কী আমার গিলার সাধ্য কিংবা কর্ম আছে নাকি ।

নিজের হালখাতা নিজে খুলে দেখুন কতটি গুপ্তধন আছে আপনার স্রষ্টার অনুগ্রহ পাবার। দেখুন স্রষ্টা কত বিনয়ী ; কতকাল আপনার কাছে বিনয়ী হয়ে আছে । আপনি কিছু দিন ; আল্লাহ্‌ আপনার জন্য দ্বার উম্মুক্ত করার অপেক্ষায় আছে । আপনি নিজের কাছে নিজেকে দেওলিয়া করে নিচ্ছেন । স্রষ্টা আপনাকে যা দিয়েছে তা ক্রমাগত গিলে যাচ্ছেন; সাম্নের জন্য কি রেখে যাচ্ছি । আল্লাহর দেয়া একটা নিয়ামত গ্রহণ করে নিজের জন্য আর একটা নিয়ামত সঞ্চয় করুন ।

নয়তু দেওলিয়া হয়ে নিজের হালখাতাতে সব বাকি রেখে কোন একদিন চলে যাবেন । সেই বকেয়া পরিশোধ করার চান্স পাবেন না ।

শুভ নববর্ষ ; (আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ) । হালখাতা লিখুন এবং বকেয়া পরিশোধ করুন আজ থেকে; তাহলে এক দুইটা পাওনা মাফও পেতে পারেন , কিংবা সবই ক্ষমা পেতে পারেন । কিন্তু বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করাটা পূর্ব শর্ত ।

৩০ চৈত্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ ।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪১

খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন

জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২

আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।


মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।

নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২২

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Nice topic.Zajakallahu khairan

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

বান্দা মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ..।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.