নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ওরে মন তুই কৃষ্ণ কথা বল

সহজ মানুষ ভজে দেখনা রে মন দিব্যজ্ঞানে

দেশী পোলা

হিজ নেম ইজ - পোলা, দেশী পোলা ; ম্যান উইথ এ ডাবল-ও লাইসেন্স ; টানে সবাইকে, বাঁধনে জড়ায় না

দেশী পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শোষনমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা না গেলে গরীব মানুষের ঈশ্বরের উপর ভরসা করা ছাড়া আর কি উপায় আছে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

ধরুন আপনি একটা নিষ্পাপ শিশুর জন্ম দিয়েছেন। একজন ধনী, ক্ষমতাবান বা আইনের ধরাছোয়ার বাইরের কেউ আকস্মিকভাবে সে শিশুটিকে বিনা কারণে নির্মমভাবে হত্যা করল। আপনার বিচার পাবার সম্ভাবনা শূন্য, খুব বেশি হলে আপনি সহানূভুতি হিসাবে দাফন কাফনের জন্য কিছু দান খয়রাত পেতে পারেন। এখন বিচার পাবার জন্য সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সুবিচারের আর কোন ভরসা আপনার কাছে থাকতে পারে?
নাস্তিকতা নিয়ে যতই আর্গুমেন্ট দেখি, সবকিছুর শেষেই এই সমস্যাটা দেখতে পাই। সমাজ সংসার সবখানেই আইন শৃংখলার বাইরে কিছু কিছু ঘটনা ঘটে, সেটার বিচার করবার কেউ থাকে না। একটা নিষ্পাপ শিশুর হত্যাকারী যখন সভ্য ও শক্তিশালী দেশের বিচার ব্যবস্থা থেকে আইনের ফাক দিয়ে পার পেয়ে যায়, তখন অসভ্য অশিক্ষিত দেশে বসবাসকারীদের জন্য সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সুবিচারের আর কোন ভরসা নেই। মানুষ একে অপরকে সবসময়ই কোন না কোনভাবে পদদলিত করে উপরে উঠতে চায়, শোষন ছাড়া সমাজ নেই। আর মানুষের প্রতি মানুষের অবিচার এমন একটা সমস্যা যেখানে আইন চাইলেও সব সময়ে সেটাকে শোধরাতে পারে না

মানুষের প্রতি মানুষের অবিচার দেখে আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস জন্মেছে। আশা করি মরনের পরে এইসব অবিচারের বিচার করার জন্য কেউ আছেন, তা না হইলে এই পৃথিবীতে মানুষের আসলেই দরকার নাই। মানুষের সভ্যতারও কোন দরকার নেই, মানুষ ছাড়াই পৃথিবীটা ভাল চলত। যে সর্বশক্তিমান এই মানুষ সৃষ্টি করেছে, সে যদি আসলেই না থাকে, পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, সংসার করা, জীবনের বাকি মূল্য, সবই অর্থহীন। কারণ আমি মরলেই তখন সব শেষ, আমার অভিযোগ অনুযোগ, সবই তখন মূল্যহীন। কেউ আমার উপর কোন অবিচার করলে, বা আমার প্রতি কারো কোন অভিযোগ থাকলে, তার জওয়াব দেবার জন্য তো কেউ আমার দেহকে ধরে রাখবে না। তাই আন্তরিকভাবেই আমি কামনা করি যে সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ আছেন, বিচার করবার কেউ আছেন, তা না হলে এই মানবজীবনের অবিচার অনুযোগ অভিযোগ গুলো এক জনমে কেউ প্রতিকার করতে পারবে না। আর ইশ্বরের বিচার যদি নাই থাকে তবে জীবন নিয়ে চেষ্টা করার মানে নেই। আপনি যে শিশুকে পরম স্নেহে জন্ম দিয়েছেন, তার ভবিষ্যত যদি ক্ষনস্থায়ী হয়, তার জীবন যদি অবিচারে ভরপুর থাকে, তাহলে কি আপনি শিশুটি জন্ম দিয়ে নিজেই তাকে অবিচারের মুখোমুখি করে দিলেন না??

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

আহলান বলেছেন: হুম সেটাই

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তিনি সর্বশক্তিমান, তিনি সুক্ষ বিচারক, তার প্রতি আস্থা সবসময়ই আছে। কিন্তু শুধুই আস্থা রাখলেই হবে না, অত্যাচার/জুলুমের প্রতিবাদ করে যেতে হবে। অত্যাচার করা আর অত্যাচার সহ্য করা সমান অপরাধ।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার বিচার পাবার সম্ভাবনা শূন্য, খুব বেশি হলে আপনি সহানূভুতি হিসাবে দাফন কাফনের জন্য কিছু দান খয়রাত পেতে পারেনএখন বিচার পাবার জন্য সৃষ্টিকর্তা ছাড়া সুবিচারের আর কোন ভরসা আপনার কাছে থাকতে পারে?
হ্যাঁ, আমিও এভাবে ভেবেছি। সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পাই নি এখনও। পাবোও না জানি। আর তাই আমি পুরোপুরি নাস্তিক হতে পারছি না! পোস্টটা মনে ধরলো। আমার ভাবনাগুলোই যেন বলে দিলেন গুছিয়ে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

দেশী পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ হামা

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

রোবোট বলেছেন: অফটপিক: কি খবর?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

দেশী পোলা বলেছেন: উপরওয়ালার দয়াতে বেঁচে আছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.